Logo
শিরোনাম

নাকে পলিপের চিকিৎসায় কী করবেন ?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জুন ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

নাকে পলিপ একটি পরিচিত রোগ। শিশু থেকে সব বয়সি মানুষের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পলিপ বড় হয়ে গেলে অস্ত্রোপচার করা লাগে। সঠিক চিকিৎসা নিলে সুস্থ জীবনযাপন করা হয়।

নাকের আশপাশে কিছু প্রকোষ্ঠ (সাইনাস) আছে। চোখের ঠিক নিচে যে উঁচু হাড়টি আছে তার ভেতরে থাকে ম্যাক্সিলারি সাইনাস, নাক আর চোখের মাঝখানে যে ক্ষুদ্র স্থান সেখানে থাকে বেশ কয়েকটি ইথময়েড সাইনাস। কপালের সম্মুখভাগে থাকে ফ্রন্টাল সাইনাস। চোখের পেছন দিকে থাকে স্ফেনয়েড সাইনাস। সাইনাসগুলোর আবরণী অনেক সময় ফুলতে ফুলতে আঙ্গুরের থোকার মতো আকার ধারণ করে। একেই আমরা ডাক্তারি পরিভাষায় পলিপ বলে থাকি।

বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইমপালস হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমিন।

সাধারণত ইথময়েড সাইনাস থেকে পলিপ তৈরি হয়। কখনও কখনও ম্যাক্সিলারি সাইনাস থেকেও পলিপ তৈরি হতে পারে। নাকের মধ্যে ফাংগাস ইনফেকশন আমরা অনেক সময় দেখে থাকি। নাকের ফাংগাল (ছত্রাক) ইনফেকশন থেকে নাকের উভয় দিকে এবং ক্ষেত্রে একাধিক সাইনাস পলিপ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পলিপগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে সাইনাসের ভেতর থাকে।

এক সময় এটা বাড়তে বাড়তে সাইনাস থেকে নাকের ভেতরে চলে আসে এবং তখন আমরা খালি চোখে নাকের ভেতরে পলিপ দেখতে পাই। এগুলো দেখতে অনেক সময় সাদা আঙ্গুরের থোকার মতো থাকে। অনেক সময় পলিপে ইনফেকশন হলে বা আঘাতজনিত কারণে এর ত্বকের স্তর মিউকোসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময় এটা লালচে রঙ ধারণ করতে পারে। রোগীরা সাধারণত যাকে পলিপ বলে থাকেন সেটা আসলে নাকের মধ্যে মাংস ফুলে যাওয়াকে তারা বুঝিয়ে থাকেন। মেডিকেলের ভাষায় একে হাইপারট্রপিড ইনফেরিয়র টারবিনেট বলা হয়। নাকের ভেতরে, পার্শ্ব দেয়ালে দুই দিকে দুইটি তাকের মতো মাংসপিণ্ড থাকে।

একে আমরা ইনফেরিয়র টারবিনেট বলি। এই ইনফেরিয়র টারবিনেটের প্রদাহ হলে এর আকৃতি বড় হয়ে যায়। যাকে হাইপারট্রপিড ইনফেরিয়র টারবিনেট বলা হয়। এটা সাইনাস থেকে আসে না। নাকের ভেতর থেকে এর উৎপত্তি। মেডিকেল ভাষায় এটা পলিপ নয়। অনেক ক্ষেত্রেই পলিপ এবং হাইপারট্রপিড ইনফেরিয়র টারবিনেটের কারণ একই এবং দুটো একসঙ্গে বিদ্যমান থাকে।

উপসর্গ

* প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীরা সাধারণত নাক দিয়ে সর্দি ঝরা, নাক বন্ধ ভাব ধরনের সমস্যায় ভোগেন। নাকের সর্দি সামনের দিকে আসতে পারে। অনেক সময় এটা সামনের দিকে না এসে পেছন দিকে চলে যায় এবং ঢোক গিলা বা গলা পরিষ্কার করার মতো প্রবণতা দেখা যায়। নাক বন্ধ থাকাটা প্রাথমিক পর্যায়ে একদিকে থাকে এবং কিছুক্ষণ পরপর এটা দিক পরিবর্তন করে নাকের দুই দিকে হয়। কিছু সময় এক নাক বন্ধ থাকে আবার কিছু সময় আরেক নাক বন্ধ থাকে। অসুখ যত বাড়তে থাকে ততই দেখা যায় ধীরে ধীরে দুটো নাকই বন্ধ হয়ে যায়, প্রথমে আংশিকভাবে এবং পরে সম্পূর্ণভাবে।

* হাঁচি থাকতে পারে এবং অল্প ধুলাবালি বা ধোঁয়াতে গেলেই প্রচণ্ড হাঁচি হতে থাকে। সিগারেটের বা রান্নার ধোঁয়া সহ্য হয় না। দম বন্ধ ভাব চলে আসে।

* নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যায় এবং অনেক সময় নাকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়।

* মাথাব্যথা সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পলিপ যখন বেশ বড় আকার ধারণ করে তখন মাথাব্যথা চলে যায়। এর কারণ যে অবস্থাতে আমরা পলিপ দেখতে পাই সে অবস্থাতে মাথাব্যথার সমস্যা সাধারণত থাকে না। মাথা এবং কপালের সম্মুখ বা নাক এবং এর আশপাশে একটা বন্ধ ভাব থাকতে পারে। সময় রোগীর ইতিহাস নিলে অবশ্যই দেখা যাবে, কয়েক মাস বা কয়েক বছর আগে যখন রোগ শুরু হয়েছিল তখন তাদের মাথাব্যথার সমস্যা ছিল। পলিপ যখন বেশি বড় হয়ে যায় তখন মাথাব্যথার সমস্যাটা এতটা প্রকট থাকে না।

* দেখা যায় কিছু কিছু রোগীর গলায় খুসখুস ভাব থাকে। অনেকের আবার কাশিও থাকতে পারে। গলায় নিয়মিত প্রদাহ বা মুখ দিয়ে নিয়মিত শ্বাস নেয়ার ফলে অনেক সময় গলার স্বর বসে যায় বা গলা বসা বা স্বরভঙ্গ থাকতে পারে।

* নাকের পেছনে ইউস্টেশিয়ান টিউব আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেক সময় মধ্য কর্ণে সমস্যা হয়ে থাকে। কান বন্ধ বন্ধ ভাব বা কানের ভেতর পানি যাওয়ার কারণে কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথা ঘুরানোর সমস্যাও থাকতে পারে। মধ্যকর্ণের সমস্যা থেকে অল্প-স্বল্প মাথা ঘুরানোভাব থেকে শুরু করে মারাত্মক রকমের মাথা ঘুরানোর সমস্যা থাকতে পারে। ছাড়াও কানের ভেতরে শোঁ শোঁ আওয়াজের সমস্যাও হতে পারে। কানের ভেতরে অনেক দিন পানি জমে থাকলে কানের পর্দা নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদে কান পাকা রোগের সৃষ্টি হতে পারে।

কারণ : নাকের পলিপের কারণ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। সাধারণভাবে বলা যায় নাকের এলার্জি এর অন্যতম কারণ। এলার্জি নাকের ভেতরে ধুলাবালি বা ধোঁয়ার এলার্জি থেকে হতে পারে। অনেকে মনে করেন, নাকের ভেতরে ক্রনিক ইনফেকশনও এলার্জির কারণ হতে পারে। নাকের ভেতরে ফাংগাল ইনফেকশনের এলার্জি থেকে কিছু কিছু রোগীর উভয় নাকে এবং অনেক সাইনাসজুড়ে পলিপ তৈরি হয়। নাকের ভেতরে রক্তনালির অসাঞ্জস্যতা বা অস্থিরতা থেকেও অনেক সময় পলিপ তৈরি হয় বলে অনেকে মনে করেন। নাকের এলার্জি যেটাকে আমরা এলার্জিক রাইনাইটিস বলি, গলার এলার্জি যেটাকে আমরা এলার্জিক ফ্যারিনজাইটিস এবং ফুসফুসের এলার্জি যেটাকে আমরা অ্যাজমা বা হাঁপানি বলে থাকি- এর একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যাদের নাকের এলার্জি আছে তাদের শতকরা ১৭ থেকে ১৯ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে হাঁপানিও আছে। যাদের হাঁপানি আছে তাদের ৫৫ থেকে ৭০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে নাকের এলার্জিও থাকে। বিশেষভাবে বলা উচিত, নাকের এলার্জি ফুসফুসের এলার্জির (হাঁপানি) একটির প্রভাব আরেকটির ওপর পড়ে। নাকের এলার্জি ঠিকমতো কন্ট্রোল না করলে অনেক সময় হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে বা হাঁপানির চিকিৎসা করা দুরূহ হতে পারে। সে রকম ফুসফুসের এলার্জি বা হাঁপানি ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নাকের ওপর পড়ে।

চিকিৎসা : প্রাথমিক চিকিৎসা হল ধুলাবালি, ধোঁয়া ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে নাকে স্টেরয়েড জাতীয় স্প্রে ব্যবহার করলে এটা চলে যেতে পারে। পলিপ যদি নাককে সম্পূর্ণ অথবা আংশিকরূপে বন্ধ করে দেয় তাহলে সাধারণত ওষুধে কাজ হতে চায় না। এরকম ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে পলিপ ফেলে দেয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। নাকের পলিপের কয়েক ধরনের অপারেশন হতে পারে। আমরা অবশ করে পলিপ বের করে নিয়ে আসতে পারি। এতে নাকের ভেতরের অংশটুকু সাধারণত কিছুটা দূর করা সম্ভব। অজ্ঞান করে আরও ভালোভাবে আমরা পলিপগুলো ফেলতে পারি। এতেও সাইনাসের ভেতরে যে ঝিল্লি থেকে পলিপগুলো তৈরি হয় সেটা সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব নয়। আধুনিক যুগে পলিপের সর্বশেষ এবং সর্বাধুনিক চিকিৎসা হল এন্ডোস্কোপের মাধ্যমে পলিপগুলো শিকড় থেকে অর্থাৎ সাইনাসের যে ঝিল্লি থেকে পলিপ উৎপত্তি হয় সেখান থেকে সম্পূর্ণরূপে ফেলে দেয়া। এন্ডোস্কোপ ব্যবহার করে আমরা অতি সূক্ষ্মভাবে পলিপের উৎপত্তিস্থল থেকে পলিপকে ফেলে দিতে পারি এবং যে কোনো সাইনাস নাক থেকে যত দূরেই হোক না কেন তার ভেতরে সূক্ষ্মভাবে প্রবেশ করে পলিপটাকে সম্পূর্ণভাবে বের করে ফেলা সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এন্ডোস্কোপের সাহায্যে পলিপ ফেলে দেয়া ছাড়া বিকল্প কোনো অপারেশন নেই। পলিপগুলো তাদের উৎপত্তিস্থল থেকে সম্পূর্ণভাবে ফেলে দিলে সাধারণত নতুন করে পলিপ হয় না। পুরনো পদ্ধতিতে পলিপের অপারেশন করা হলে পলিপের কিছুটা অংশ সাইনাসের ভেতরে থেকে যেত এবং তা থেকে পলিপ আবার নতুন করে খুব তাড়াতাড়ি গজিয়ে যেত। যেহেতু পলিপ সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হয় না, সেহেতু পলিপ উদ্ভূত সমস্যাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব একটা দূরীভূত হতো না। বলে রাখা দরকার, সাধারণত পলিপ ছাড়াও নাকের ভেতর কিছু মারাত্মক ইনফেকশন, টিউমার, ক্যান্সার এবং অন্যান্য কিছু জটিল সমস্যা আপাতদৃষ্টিতে পলিপ আকারে প্রকাশ পেতে পারে। যদি মেডিকেল চিকিৎসাতে পলিপ বা পলিপের উপসর্গ সম্পূর্ণরূপে দূর না হয় তবে পলিপ থেকে বায়োপসি নিয়ে দেখা উচিত, সেটা আসলে পলিপ নাকি অন্য কোনো সমস্যা। যা অনেক সময় মারাত্মক জটিলও হতে পারে। অপারেশনের মাধ্যমে পলিপ চিকিৎসা করাতে কিছুটা দেরি করা যেতে পারে। তবে বায়োপসি করা থেকে অবশ্যই লম্বা সময় বিরত থাকা উচিত নয়।

 


আরও খবর

তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকার উপায়

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪




চলতি বছরই উৎপাদনে আসছে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

চলতি বছরই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে আসছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তার আগেই নিরাপত্তার দিকসহ সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসবে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-এর প্রতিনিধি দল। পারমাণবিক শক্তিতে অগ্রগামী রাশিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে রূপপুরের প্রযুক্তি কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা টেকসই সেই তথ্যই জানার চেষ্টা চলছে।

গত ৬ দশক ধরে রাশিয়ার সভারডলভস্ক অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগানে অন্যতম নির্ভরতা বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট। কেন্দ্রটির প্রথম দুটি ইউনিট প্রথম প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এএমবি রিঅ্যাকটরের, আর তৃতীয়টিতে বিএন ৬০০ ও ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসা চতুর্থ ইউনিটে বসেছে বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টর।

আর এই বিএন ৮০০ রিঅ্যাক্টরকে মনে করা হয় থ্রি প্লাস জেনারেশন প্রযুক্তির,আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরও সমমানের প্রযুক্তির।বাংলাদেশে যে রুশ প্রতিষ্ঠানটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, রাশিয়ার বুলেয়াস্ক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাতেও যুক্ত সে একই প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

তবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন আসে নিরাপত্তার দিক নিয়ে।রাশিয়ার বুলেয়াস্ক নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টকে উদাহরণ হিসেবে নিলে বলা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যাত্রা শুরু হয়েছিল যে ধরনের প্রযুক্তি দিয়ে, সেটির তুলনায় বেশি অগ্রগামী সংস্করণ রূপপুরের পরমাণু চুল্লি। রাশিয়ার প্রকৌশলীরাও মনে করেন, বেশ নিরাপদেই এগোচ্ছে রূপপুর।

রাশিয়ার বিএনপিপির ফার্স্ট ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়া ফিলিন বলেন, রাশিয়ার পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল বার্তা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে মানুষের কল্যাণে, নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব। আর রোসাটম এই দর্শনেরই সফল প্রয়োগ করছে। বাংলাদেশ, মিশর, ভারত ও হাঙ্গেরির প্রকল্পগুলো তারই উদাহরণ।

পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পর্শকাতর নিরাপত্তার বিষয়গুলো কতটা অনুসরণ করছে বাংলাদেশ? ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন সামনে রেখে সে সব বিষয় সরেজমিনে দেখতে রূপপুরে আসছে আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা-আইএইএ প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানড. মো. শৌকত আকবর বলেন, আমাদের জনবলই এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। পরমাণু শক্তি কমিশন সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে। এর জন্য যত ধরনের প্রশিক্ষণ ও ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার আলোচনায় সবসময় উচ্চারিত চেরনোবিল কিংবা ফুকুশিয়ার মতো দুর্ঘটনার কথা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রযুক্তিগত কারণে সে ধরনের কোনো শঙ্কা নেই রূপপুরে। তবে অন্য সব ঝুঁকি এড়াতেও সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। বলছেন পরমাণু গবেষক অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ শিক্ষক বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি ধারণ করতে হবে। একে চর্চার মধ্যে আনতে হবে। নয়তো যেকোনো প্রযুক্তিগত বা মানুষের ত্রুটি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, রূপপুরের নিরাপদ পরিচালনায় দেশীয় জনবল প্রশিক্ষিত করতে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে রোসাটমের বিশেষ কর্মসূচি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি):

প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে দুপুর পর্যন্ত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম।

তবে এই নিবার্চনে দলীয় প্রতীক না থাকায় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আরও দুইজন প্রার্থী সহ মোট ৩ জন চেয়ারম্যান পদে লড়বেন। এছাড়াও ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কার্বারী পেয়েছেন আনারস প্রতীক, রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো.আবদুল কাদের পেয়েছেন দোয়াত কলম এছাড়াও কংজঅং মারমা ঘোড়া প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়বেন।


এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো.আনোয়ার ফারুক পুনরায় টিয়া প্রতীক পেয়েছেন, মো.শামছুউদ্দিন মিলন তালা প্রতীক, মো.ওমর ফারুক মাইক প্রতীক, মোবারক হোসেন বাদশা চশমা প্রতীক, মো.নুরুল আমিন টিউবওয়েল প্রতীক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম কলস প্রতীক ও নাছিমা আহসান নীলা প্রজাপ্রতি প্রতীকে নিবার্চনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রামগড় উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে একটি পৌরসভা ও দুইটি ইউনিয়নের ৪১ হাজার দুইশত ৬১ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।


আরও খবর



আসছেন কাতারের আমির, সই হবে ১১ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তার এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইই। এ ছাড়া আলোচনায় প্রাধান্য পাবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি।

এছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার এই সফরের বিস্তারিত গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। পাশাপাশি এই সফর একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিনের। কাতার বঙ্গবন্ধুকালীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের মহা মুহিম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমাদের আরো অনেক এক্সপোর্ট আইটেম আছে, এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বলব। এছাড়া আমাদের ওষুধ আছে। এগুলো এখনো রপ্তানি হয়, এগুলো ভলিয়মটা আরো বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয়, বিশেষ করে আমাদের ইকোনোমিক জোনে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয় সেটাও আলোচনা করব। আমরা বিনিয়োগ চাইব, কাতার তো নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে, অর্থনৈতিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




পদ্মা সেতুতে একদিনে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শাহ আলম ইসলাম নিতুল: একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। গতকাল মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। এটি পদ্মা সেতুতে ১ দিনে অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ টোল আদায় বলে জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পারাপার করে। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা। আর জাজিরা প্রান্তের আয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

আমিরুল হায়দারের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই প্রান্ত মিলিয়ে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৫০ টাকা। এ সময় শুধু মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল ২৪ ঘন্টায় টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। রোববার (৭ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে এই টোল আদায় হয়।

রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে পদ্মাসেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমান ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গতবছরের ৮ জুলাই।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ জুন ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২৩ জেলার সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যানবাহন পারাপারের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। সেদিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পাড়ি দেয়। এ পর্যন্ত এটাই পদ্মা সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ যানবাহন পারাপারের রেকর্ড।


আরও খবর



বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল সদরের চৌরাকররা গ্রামে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে  হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার প্রাঙ্গণে পাঠাগারের পাঠকদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৭ জন অংশগ্রহণকারী কোরআন তেলাওয়াত, হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করে। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে তামীম, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে মঞ্জুরুল  এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে মোজাম্মেল। বিজয়ীদের মাঝে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে বই উপহার প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি মোঃ শাহজাহান। এসময় পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, সুমন খান, মোঃ শাকিল আহমেদ, সুমন চৌধুরী, রিপন মিয়া, হাবিবুর রহমান, হামিদ হাসান, মেহেদী মাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, “এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি” স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।


আরও খবর