Logo
শিরোনাম

নানা সমস্যায় জর্জরিত মাভাবিপ্রবি ভেটেরিনারি অনুষদ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image


মো: হৃদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি ) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এনিমেল সায়েন্স  অনুষদটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।চলতি বছরের ১ লা ফেব্রুয়ারি  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগের সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাভাবিপ্রবি অনুষদ হিসেবে যুক্ত করা হয়। 

বর্তমানে মাভাবিপ্রবির এ অনুষদটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত দুটি ব্যাচে  ১০০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র এগারো জন যারা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেষণে কর্মরত আছেন। নেই কোন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক। খেলার মাঠ অনুপোযোগী, বিশুদ্ধ পানির স্বল্পতা, বৈদ্যুতিক বাল্ব সমস্যা, বৈদ্যুতিক বিভ্রাট, জিমনেসিয়ামে সরঞ্জাম নেই, কম্পিউটারের স্বল্পতা (১৪টি কম্পিউটার), পাঠাগারে বইয়ের স্বল্পতা (৮৪৩টি বই), মেডিকেল সেন্টার ডাক্তার নেই ও মসজিদে মুয়াজ্জিন নেই।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আউটসোর্সিং থেকে ৩৬ জন কর্মচারী নিয়োজিত আছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে আসেন না বললেই চলে। ফলে ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলে কিছু নেই। বিশ^মানের ‘ডিভিএম’ (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) গ্র্যাজুয়েট তৈরির লক্ষ্যে ল্যাবগুলোতে আনা হয় অনেক দামি রাসায়নিক ও যন্ত্রপাতি। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।

দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন মাহমুদ বলেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসনের পরও দীর্ঘ নয় মাসেও সংকট সমাধান না হওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার আশংকা করছি। ভেটেরিনারি মেডিসিনের মতো টেকনিকাল বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে অপর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছে, যা মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি অন্তরায়। অন্যদিকে ল্যাবগুলোতে ব্যাবহারযোগ্য পর্যাপ্ত ল্যাব ইক্যুইপমেন্ট না থাকার কারণে আমরা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ইতোমধ্যে করোনাসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আমাদের দীর্ঘ ৩ বছরের সেশনজটে পড়তে হয়েছে। এ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। আমরা মাননীয় উপাচার্য স্যারের নিকট সকল সমস্যা সমাধানের আবেদন করছি।

প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবা আক্তার বলেন, এই অনুষদের মেডিকেল সেন্টারে কোনো ডাক্তার নেই। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে তাকে দূরবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় এবং এক্ষেত্রে মেডিকেল সেন্টারে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো বাসের ব্যাবস্থা নেই। এখানে এনিমেল সেড থাকলেও শিক্ষা ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত প্রাণি নেই। চলমান সংকট সমাধানের মাধ্যমে তীব্র সেশনজট কমিয়ে আনতে (৪ থেকে ৫ মাসে সেমিস্টার) উপাচার্যের নিকট অনুরোধ করছি।

মাভাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছেন আপনারা একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমের বেশ কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। এটি যদি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি আকারে নিতে চাই তাহলে আমাকে একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করাতে হবে, এটি কি ফ্যাকাল্টি হবে সেটা পাস করাতে হবে, কি কারিকুলাম হবে, পাস করাতে হবে, এটি নিয়ে একটি অর্ডিন্যান্স করতে হবে।

ক্ষথীদের ক্লাস শেষ পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখলাম এখানের সিলেবাস শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোকে, সেই অর্ডিন্যান্সের ভিত্তি‌ করে ক্লাসও হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি ভিন্ন রকমের। দুটার মধ্যে সমন্বয় করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এই প্রতিষ্ঠানটি যদি পুরোপুরি আমাদের হস্তান্তর করা না করা হয় তাহলে আমরা যেটুকু এগিয়ে গিয়েছি এবং যে পরীক্ষাগুলো নেয়ার চেষ্টা করতেছি এই পরীক্ষাগুলো নেয়ার পরপরই আমাদের এক্টিভিটিস বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আগাতে পারবো না। এই ক্যাম্পাসটি পরিচালনা করতে বাজেট ঘাটতি রয়েছে। যে কয়জন শিক্ষক তা খুবই কম। শিক্ষক কমপক্ষে ৪০ জন লাগবে। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষক বিভিন্ন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছেন এবং বড় অর্থ ব্যয় করেছেন সেই অর্থটা কাজে লাগানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পশু পালন মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি ইউজিসি কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করবো যতদ্রুত সম্ভব আমরা যে বাজেট সাবমিট করেছি বাজেট পাস করে পুরোপুরি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেন আমরা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রহিম বলেন, কলেজের যেসকল সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



অবরোধ : ১৭ দিনে ১৫৪টি আগুন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১৫৪টি আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগুন দেওয়া হয়েছে ঢাকা সিটিতে। গড়ে দিনে ৫টি করে বাস পোড়ানো হয়েছে এই কয়েকদিনে। এসব ঘটনায় সারা দেশে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মারধরের শিকার ও ফায়ার সার্ভিসের একটি পানিবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই ১৭ দিনে সারা দেশে ১৫৪টি আগুনের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯টি, ৩০ অক্টোবর একটি, ৩১ অক্টোবর ১১টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর সাতটি, ৪ নভেম্বর ছয়টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর দুটি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর সাতটি, ১০ নভেম্বর দুটি, ১১ নভেম্বর সাতটি, ১২ নভেম্বর সাতটি এবং সবশেষ ১৩ নভেম্বর সাতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এসব অগ্নিকাণ্ডে ৯৪টি বাস, মাইক্রোবাস তিনটি, প্রাইভেটকার দুটি, মোটরসাইকেল আটটি, ট্রাক ১৩টি, কাভার্ড ভ্যান আটটি, অ্যাম্বুলেন্স একটি, পিকআপ দুটি, সিএনজি দুটি, নছিমন একটি, লেগুনা একটি, ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি একটি, পুলিশের গাড়ি একটি, বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি এবং দুটি শোরুম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ে দিনে পাঁচটি করে বাস পোড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে দেখা গেছে, এ সময়ে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়াও দেশের ২৫টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। বাকি ৩৯ জেলায় কোনও অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফায়ার সার্ভিস পায়নি।

এ সময় দেশের সকল বিভাগে দুর্বৃত্তদের দেওয়া অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও সিলেট বিভাগে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৮২টি, ঢাকা বিভাগে ৩৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪টি, রাজশাহী বিভাগে ৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬টি, রংপুর বিভাগে ৬টি, খুলনা বিভাগে ২টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জেলাভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৫টি, চট্টগ্রামে আটটি, নারায়ণগঞ্জ ছয়টি, বগুড়ায় পাঁচটি, মানিকগঞ্জে চারটি, ফরিদপুরে চারটি এবং লালমনিরহাটে চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

সময়ের বিবেচনা দিনের চেয়ে রাতে (সন্ধ্যা ৬টা-সকাল ৬টা) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দিনে ৬১টি ও রাতে ৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ দেশের জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না বলেও জানিয়েছে দেশটি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সমর্থন করে বলেও জানিয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় সময় (১৩ নভেম্বর) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এছাড়া সংলাপের আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর দেওয়া চিঠির প্রসঙ্গটিও ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।

এদিকে ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, আপনি জানেন- বাংলাদেশ এবং ঢাকা গাজার মতো আরেকটি উত্তপ্ত স্থান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে খুব শিগগিরই এটি গাজা উপত্যকায় পরিণত হবে। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ এবং এখানে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্র এবং অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পক্ষে। আমেরিকা মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভূমিকা পালন শুরু করার পর বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব আশাবাদী হয়ে ওঠেছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল প্রধান রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের সাথে কাজ করছে। কেন মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি অনেকবার যা বলেছি এবারও সেটিই বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ সরকারের ভবিষ্যৎ তার জনগণের মাধ্যমেই নির্ধারিত হওয়া উচিত।

পরে ওই সাংবাদিক বলেন, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিরোধী দলের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা কারাগারে থাকা অবস্থায় সংলাপ কীভাবে হবে? এবং সরকার ক্র্যাকডাউন চালিয়ে যাওয়ায় বিরোধীদের কারা সেই চিঠি পেয়েছেন, সেটাও ভাবছি। গার্মেন্ট কর্মীও নিহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচজন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এই অবস্থার মধ্যে সংলাপ কীভাবে হতে পারে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকের প্রচেষ্টাকে আমি স্বাগত জানাই, তবে তেমন কিছু করা থেকে আমি বিরত থাকব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনও পক্ষ নেবে না। আমরা একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে অন্য কোনও দলকে সমর্থন করি না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি।

 


আরও খবর



আলো ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবিয়ান কামরুজ্জামানের স্টেশন পাঠাগার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

সমাজের মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়ানো তথা  সুশিক্ষার কথা বিবেচনা করে, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১০ সনে পারিবারিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগে অধ্যয়ন করেছেন।  বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। মাভাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। অপরাধ বিষয়ক গবেষণায় ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং এ স্থান অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরেছেন বিশ্বদরবারে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের  সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এ কর্মরত রয়েছেন।

বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে বই, পুস্তিকা, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র ও অন্যান্য তথ্য সামগ্রীর একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলেছেন মো. কামরুজ্জামান যাতে সবাই এই উপকরণগুলোর সাহায্যে গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধান করতে পারেন। পাঠাগারটিতে বই পড়া, জ্ঞান আহরণ তথা নতুন তথ্য অনুসন্ধানের জন্য প্রতিনিয়তই পাঠকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ এখানে এসে জ্ঞানের অতল সমুদ্রে অবগাহন করতে পারেন। আবার কেউ চাইলে নির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে পাঠাগারের সদস্য হতে পারেন। কোন পাঠক ইচ্ছা করলে পাঠাগারে বসে বই পড়তে পারেন আবার চাইলে বাড়িতে নিয়েও পড়তে পারেন। জানা যায়, পাঠাগারটি পরিচালিত হচ্ছে স্থানীয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে। তাদের সহযোগিতায় সদস্য হওয়া, বই নেয়া, বই ফেরৎ দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পন্ন হয়ে থাকে। তারাও তাদের কর্তব্য সুন্দরভাবে পালন করছেন। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বই পড়ার মাধ্যমে অনেকেরই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজেবাজে আড্ডা না দিয়ে এই পাঠাগারে সময় দিচ্ছে যা তাদের বিভন্ন আসক্তি থেকে দূর রাখছে। গ্রন্থাগারটি পরিদর্শণ ও অনুসন্ধান করলে  বুঝা যায় এর গভীরের সৌন্দর্য। পাঠাগারটির পাশাপাশি বাস স্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার , রেল স্টেশন অণু-পাঠাগার, সেলুন অণু - পাঠাগার চালু করা হয়েছে। এ পাঠাগারের যাবতীয় কার্যক্রম সত্যিই অবাক হওয়ার মত। মূল পাঠাগার ছাড়াও অপেক্ষমাণ মানুষের জন্য  এ পর্যন্ত  ৮ টি সেলুন অণু-পাঠাগার, ১ টি বাসস্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার ও ১ টি স্টেশন  অণু-পাঠাগার চালু করা হয়েছে।


পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, “অনেক মানুষ আছেন, যারা বই পড়তে ভালোবাসেন তবে নিয়মিত বই কিনে পড়ার সামর্থ নেই তাদের জন্য সহজে বই পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পাঠাগারটি শুধু বই পড়াকে ঘিরে নয়, আমরা বিনোদনের আয়োজনও করে থাকি। প্রতি বছর প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা, বৃত্তি প্রদান, কবিতা আবৃতি, গান এবং কোরআন-এর হাফেজদের নিয়ে আল-কোরআন পাঠসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা করা হয়ে থাকে।”

তিনি আরও জানান, “পাঠাগারের সংগ্রহে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের  ২৫০০  এর বেশী বই রয়েছে। যেমন-ধর্মীয়, সাহিত্য, বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিহাসমূলক, জীবনী, চাকুরি পারীক্ষার প্রস্তুতিমূলক বই, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র, মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, শিশু সাহিত্য ছাড়াও একাডেমিক বই বিদ্যমান। পাঠাগারটির উন্নয়নে যারা বই দিয়ে এবং বিভিন্ন সময় সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

মাভাবিপ্রবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর ঘোষ বলেন, “ আমার ভাইবা থাকায় সেলুনে চুল কাটতে গিয়ে দেখি নাপিত ২ জন চুল কাটছেন। বাকি যারা সিরিয়ালে রয়েছেন,  বেন্ঞ্চে বসে সবাই গল্পের বই ও পত্রিকা পড়ছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম সেলুনে পাঠাগার!  তখন জানতে পারলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর পাঠাগার তৈরীর গল্প। তাই আশা করি, এভাবেই এগিয়ে যাবে ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’ চারদিকে ছড়াবে জ্ঞানের আলো। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে এই পাঠাগারটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। 


টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামান জানান, "বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগটি অনেক মহৎ উদ্যোগ। আমরা এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানাই।

আমরা পাঠাগারটির পাশে থাকবো। আমরা চাই এমন উদ্যোগ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক।  

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা জানান, "ভবিষ্যতে পাঠাগারের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ভবন নির্মাণসহ বইয়ের সংগ্রহ আরও বেশি সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সমাজের বিবিধ সমস্যাগুলো সমাধানেও এই প্রতিষ্ঠান থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে। তাই আশা করি আমাদের সহযোগিতায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি, সংগঠন যদি এগিয়ে আসে তাহলে  পাঠাগারের কার্যক্রমের পাশাপাশি মাদকাসক্তি, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বিলুপ্তকরণসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।


আরও খবর



CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

আমরা সাধারনত ল্যাপটপ, কম্পিউটার খোললে মাদারবোর্ডের সাথে একটি ছোট ব্যাটারি দেখতে পাই ,এই ব্যাটারি কে সিমোস  ব্যাটারি বলা হয়। CMOS (Complementary Metal Oxide Semiconductor). এই ব্যাটারি ভুমিকা অপরসীম ।ল্যাপটপ /কম্পিউটার এর বায়োস  ডাটা  সংরক্ষিত এবং সচল রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় আমাদের কম্পিউটার উইন্ডোজ এ বায়োস সমস্যা হলে ,এই ব্যাটারিকে সর্ট করে বায়োস কে সচল করা হয়।এই ব্যাটারি নষ্ট হলে আমাদের কম্পিউটার এ যে সমস্যা গুলা হয় তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে কম্পিউটার এর সময় /ঘড়ি সচল থাকেনা এবং স্থিতি রেম এর ডাটা সংরক্ষন করতে পারেনা ।

 কাউসার আহমেদ মাসুম 

বি এস সি (কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলী),এম ,এস,সি ,পি ,এম ,আই,টি(জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)

সহকারি আইটি সাপোর্ট,নন্দন পার্ক লিমিটেড


আরও খবর

বিল বাকি থাকায় ইন্টারনেটের গতি ধীর

শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩




উত্তাপ ভোগ্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

এবার বছর জুড়েই উত্তাপ ছড়িয়েছে ভোগ্যপণ্যে অস্বাভাবিক দাম। ডিসেম্বরে এসেও যা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর বাজারে এ মাসেও যথারীতি চড়াই রয়েছে আটা-ময়দা, চিনি, ডাল, আলু ও পেঁয়াজের দাম। এর মধ্যে আমদানি পণ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশীয় পণ্যের বাজার চড়া, ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে।

তবে বছরের শেষ মাসে এসে কিছুটা স্বস্তি ডিম ও সবজির বাজারে। এ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে ডিম এবং ৫০ টাকায় মধ্যে বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ সবজি। তবে বছর জুড়েই এ দুই পণ্যের অস্বাভাবিক দামও ভুগিয়েছে ক্রেতাদের।

গত মাসের শুরুতে বেড়ে যাওয়া আটা-ময়দা, চিনি ও মসুর ডালের দাম এ মাসেও অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত আটা-ময়দা। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো নতুন রেটে ২ কেজির আটা ও ময়দার প্যাকেট সরবরাহ করেছে। তবে দাম এক লাফে ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন দামে ২ কেজির আটা ১২০ টাকা এবং ময়দা ১৪০ টাকা করা হয়েছে। যা নভেম্বরে বিক্রি হয়েছে ১শ ও ১২০ টাকা দরে। ফলে বাজারে খোলা আটা ও ময়দা প্রতি কেজি ৫০ ও ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একই অবস্থা চিনি ও মসুর ডালসহ বেশিরভাগ আমদানি পণ্যের দরেও। এদিন বাজারে প্রতি কেজি চিনি এবং ছোট দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকার উপরে। অন্যদিকে গত ৪ মাস ধরে উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজের বাজার এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি আমদানি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকার উপরে। এর আগে এত দীর্ঘ সময় পেঁয়াজে এমন দাম দেখা যায়নি।

এদিকে বাজারে নতুন আলু আসতে শুরু করলেও দাম স্বস্তি পাচ্ছে না ক্রেতারা। এখনো বাজারে ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে পুরানো আলু। অন্যদিকে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ বছরের শেষ মাসে এসে ডিম ছাড়া অন্য কোনো পণ্যে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।

অন্যদিকে বছর শুরুতে খাদ্য পণ্যে ৭.৭৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি থাকলেও শেষ হচ্ছে প্রায় ১৪ শতাংশে। বিশেষ করে শেষ চার মাসে গড়ে প্রায় ২ শতাংশ হারে বেড়েছে এর হার। এর ফলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৪০ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, বছরের শুরুতে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে খাদ্য উৎপাদন ও পরিবহণে বাড়তি খরচ খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তা সার্বিক মূল্যস্ফীতির থেকে তা ছিল। তবে জুন-জুলাইয়ে পর রিজার্ভ সংকট ও ডলারের বিপরীতে টাকার মান হ্রাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সার্বিক মূল্যস্ফীতিকে ছাড়িয়ে যেতে থাকে। মূলত বাজার সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে এখাতে মূল্যস্ফীতির এমন অস্বাভাবিক প্রবণতা দেখা গেছে। অর্থাৎ অন্য যে কোনো পণ্যের থেকে খাবারে ভোক্তার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ।

তবে গত দু-সপ্তাহ ধরে বাজারে কমতির দিকে ডিমসহ পোল্ট্রি পণ্যের দাম। এদিন প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা মধ্যে। সে হিসেবে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০ টাকার কম। যা সরকার নির্ধারিত দামের থেকেও প্রতি পিসে প্রায় আড়াই টাকা কম। ফলে ডিম আমদানির অনুমতি নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে ডিম আনছেন না। এছাড়াও বাজারে প্রতি সপ্তাহেই কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। এদিন প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা ও সোনালি ২৯০ টাকা দরে।

অন্যদিকে বাজারে শীতের সবজির ব্যাপক সরবরাহ দেখা গেছে। যদিও হরতাল-অবরোধে সবজি পরিবহণ কমছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত দু-সপ্তাহ ধরে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। ফলে সবজির কম এলেও তা ক্রেতা চাহিদার থেকে বেশি। ফলে দামও কমতির দিকেই রয়েছে। এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি।

অন্যদিকে, প্রায় অপরিবর্তিত দাম রয়েছে মাছের বাজারে। এদিন মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪শ, বড় কাতল ৪শ, বড় পাঙ্গাশ ২শ, চাষের কই (ছোট) ৩২০, তেলাপিয়া আড়াইশ ও শিং মাছ ৬শ, শোল মাছ ৮শ টাকা, পাবদা ৫শ থেকে ৬শ, ট্যাংরা মাছের কেজি আকার ভেদে ৬শ থেকে ৭শ, মলা মাছ ৫শ, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ, মাঝারি আকারের বোয়াল ৫শ থেকে ৬শ, গুড়ামাছ ৩শ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ টাকা, গলদা ৭শ এবং বাগদা ৮শ থেকে ৯শ ও রূপচাঁদা ৯শ টাকা দরে।

 


আরও খবর

আবারও কমলো রেমিটেন্স

সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩