Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

নানান আয়োজনে মাভাবিপ্রবিতে বিজয় দিবস পালন

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে  জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়রের পতাকা  উত্তোলনের  মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে ‘প্রত্যয়-৭১’ এর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

পরে বিভিন্ন হল, বিভাগ, সাংবাদিক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, বাঁধন, ধ্রুবতারা, সাহিত্য সংসদ, ক্যারিয়ার ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাবসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রত্যয়-৭১ এর পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দিনব্যাপী অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে :

 শিশুদের চিত্রাংকন ও বিস্কুট দৌড়, ছাত্র বনাম শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ভলিবল প্রতিযোগিতা, ছাত্রী, শিক্ষিকা, মহিলা কর্মকর্তা ও কর্মচারী পিলো পাসিং খেলা, গোবিন্দ মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা, বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাতে হলসমূহে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন। 

সকল কর্মসূচিতে অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ  অংশগ্রহণ করছেন ।


আরও খবর



দেশে চালু হলো গুগল পে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে গুগলের ডিজিটাল সেবা গুগল ওয়ালেট।এই সেবা সাধারণভাবে ‘গুগল পে’ নামে পরিচিত। গুগল, মাস্টারকার্ড ও ভিসার সহযোগিতায় সিটি ব্যাংক পিএলসি এই ডিজিটাল লেনদেন সেবা চালু করেছে। এখন থেকে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ডটি গুগল ওয়ালেটে সংযুক্ত করে ‘গুগল পে’ ব্যবহার করে দ্রুত, নিরাপদ ও স্পর্শবিহীন পেমেন্ট করতে পারবেন।

মঙ্গলবার ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত গুগল পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে সেখানে ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এন জ্যাকবসন ও সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গুগল পেমেন্টসের গ্রুপ প্রোডাক্ট ম্যানেজার শাম্মী কুদ্দুস, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ভিসা বাংলাদেশের প্রধান সাব্বির আহম্মেদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সেবার গ্রাহকরা এখন থেকে দেশে কিংবা বিদেশে এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন) সক্ষম— এমন পস টার্মিনালে শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোন স্পর্শ করেই সহজে ও ঝামেলাহীনভাবে লেনদেন করতে পারবেন। ‘গুগল পে’তে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত এনক্রিপশন প্রযুক্তি; এটি গ্রাহকের তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর মধ্য দিয়ে গ্রাহকের হাতে থাকা স্মার্টফোনই হয়ে উঠবে ডিজিটাল ওয়ালেট। ফলে গ্রাহককে আলাদা করে প্লাস্টিক কার্ড বহন করতে হবে না। আকাশপথে যাতায়াত থেকে শুরু করে কেনাকাটা কিংবা সিনেমা— সব লেনদেন মুঠোফোনে হবে।


আরও খবর



ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

বোমা হামলার পর ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, রেজিম চেঞ্জ শব্দটি ব্যবহার করা রাজনৈতিকভাবে ঠিক না হলেও, যদি বর্তমান ইরানি সরকার ইরানকে আবার মহান (গ্রেট) করতে না পারে, তাহলে সরকার পরিবর্তন কেন হবে না?

পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, এমআইজিএ— যা তার প্রচলিত নির্বাচনী স্লোগান এমএজিএ (মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন)-এর অনুকরণে মেইক ইরান গ্রেট অ্যাগেইন বোঝাতে ব্যবহার করেছেন।

তার এই মন্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্ববর্তী অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। হোয়াইট হাউজ এতদিন ধরে বলে এসেছে, তারা ইরানের সরকার পতনের চেষ্টা করছে না। তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এই বক্তব্য স্পষ্টভাবে সে অবস্থানের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে।

এদিকে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উপসাগরীয় দেশগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। এই দেশগুলোর অনেকগুলোতেই মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

বাহরাইন সরকার জানায়, দেশটির ৭০ শতাংশ সরকারি কর্মচারীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাসা থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ জুলাই ২০২৫ |

Image

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে গতকাল মধ্যরাতে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো দিবস। এদিনে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব দল বাতিল করে চরম কর্তৃত্ববাদী একদলীয় বাকশাল কায়েম করে তাদের অনুগত ৪টি সংবাদপত্র রেখে গোটা জাতিকে নির্বাক করে দিয়েছিলো। ফলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কর্মরত অসংখ্য সংবাদ কর্মী বেকার হয়ে পড়েছিলো। তাদের রুজিরোজগার ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়া হয়।

বাণীতে বলা হয়, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনা ছিল বাংলাদেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। চিরায়ত গণতন্ত্রে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয় এবং যার মূল শর্ত হচ্ছে বাক, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকায় রাষ্ট্র ও সমাজ জবাবদিহিতার আওতায় আসে এবং দেশের সরকার গঠনে নাগরিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীনরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে স্তব্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে।

বাণীতে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দেশের কাঙ্ক্ষিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন।

বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালাকানুন বাতিল করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ মূলত চিন্তা ও বিবেককে বন্দী রাখা। শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার মেয়ে শেখ হাসিনাও একই পথ ধরে তাদের প্রকৃত দর্শন একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল নতুন আঙ্গিকে। নানা কালাকানুন প্রণয়ন করে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের ওপর অব্যাহত জুলুম চালিয়েছে তারা। বাংলাদেশে গণমাধ্যমেরস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল।

সত্য উচ্চারণ করলেই নেমে আসত নির্যাতনের খড়গ। বাংলাদেশের গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল পর্যায়ের মানুষকে সার্বক্ষণিক শঙ্কিত থাকতে হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো একের পর এক ড্রাকোনিয়ান আইন প্রণয়ন করে সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়াল দুর্গে বন্দী করা হয়েছিল।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম কিছুটা স্বাধীনতা ভোগ করলেও এখনও ফ্যাসিবাদ শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান। গণতন্ত্রের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব দিতে হলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, বলেন তারেক রহমান।


আরও খবর



জুমার দিন দরূদ শরীফ পাঠ করার ফযীলত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

নবী(আঃ)দের সুলতান, রহমতে আলামিন, সরদারে দো-জাহান, মাহবুবে রহমানصَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিন দুইশত বার দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার দুইশত বছরের গুনাহ্ মাফ হয়ে যাবে।”

(জমউল জাওয়ামেয় লিস সুয়ূতী, ৭ম খন্ড, ১৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস-২২৩৫৩) 


صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلٰی مُحَمَّد


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা কতই না সৌভাগ্যবান যে, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবীব

 صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

এর ওসিলায় আমাদেরকে বরকতময় জুমার নিয়ামত দ্বারা ধন্য করেছেন। আফসোস!

আমরা অকৃতজ্ঞরা অন্যান্য দিনের মতো জুমার দিনটিকেও অলসতার মধ্যে অতিবাহিত করি। অথচ জুমার দিন ঈদের দিন, জুমার দিন সকল দিনের সরদার, জুমার দিনে জাহান্নামের আগুন প্রজ্বলিত করা হয় না, জুমার রাতে জাহান্নামের দরজা খোলা হয় না, জুমাকে কিয়ামতের দিন নববধূর মতো উঠানো হবে, জুমার দিনে মৃত্যুবরণকারী সৌভাগ্যবান মুসলমান শহীদের মর্যাদা লাভ করে এবং কবরের আযাব থেকে নিরাপদ হয়ে যায়। 

___________________________________

প্রচারেঃ-মোতালিব শেখ আল মাইজভান্ডারী

--------------------------------------

প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন 

رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ 

এর বর্ণনা অনুসারে;“জুমার দিন হজ্ব হলে সেটার সাওয়াব সত্তরটি হজ্জের সাওয়াবের সমপরিমাণ হবে। জুমার দিনের একেকটি সৎকাজের সাওয়াব সত্তরগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। (যেহেতু জুমার দিনের মর্যাদা অনেক বেশি, তাই) জুমার দিনে গুনাহের শাস্তিও সত্তর গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।

(মীরআত, ২য় খন্ড, ৩২৩, ৩২৫, ৩২৬ পৃষ্ঠা) 


বরকতময় জুমার ফযীলত সম্পর্কে আর কী বলব? আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র কুরআনে “সুরাতুল জুমা” নামে পরিপূর্ণ একটি সূরা অবতীর্ণ করেছেন। যা কুরআনুল করীমের ২৮তম পারায় শোভা পাচ্ছে। 


আল্লাহ তাআলা “সুরা- জুমা”এর নবম আয়াতে ইরশাদ করেন:

يَاۤ اَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰہِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۹﴾

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:হে ঈমানদারগণ! যখন নামাযের আযান হয় জুমা দিবসে, তখন আল্লাহর যিকরের দিকে দৌঁড়াও এবং বেচা-কেনা পরিত্যাগ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানো।


হুযুর পুরনূর ﷺ প্রথম জুমা কখন আদায় করেছিলেন?

সদরুল আফাযীল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী

 رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ 

বলেন: হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম, শাহে বনী আদম

 صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

যখন হিজরত করে মদীনা শরীফ তাশরীফ আন ছিলেন তখন রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ (৬২২ খ্রীষ্টাব্দ) 

রোজ সোমবার চাশতের (দ্বিপ্রহর) সময় ‘কুবা’নামক স্থানে অবস্থান করেন।সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সেখানে অবস্থান করেন এবং মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। জুমার দিন তিনি মদীনা শরীফ যাওয়ার সংকল্প করলেন। বনী সালেম ইবনে আউফ এর “বতনে ওয়াদী”এলাকায় জুমার সময় উপস্থিত হলে ঐ জায়গায় লোকেরা মসজিদ তৈরী করলেন এবং তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবুয়ত, মুস্তফা জানে রহমত

 صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

সেখানে জুমা আদায় করেন এবং খোৎবা দেন। 

(খাযায়েনুল ইরফান, ৮৮৪ পৃষ্ঠা) 

اَلْحَمْدُ لِلّٰہ عَزَّوَجَلَّ 

আজও ঐ স্থানে সুন্দর “জুমা মসজিদ” বিদ্যমান রয়েছে। যিয়ারতকারীগণ বরকত লাভের জন্য সে মসজিদটির যিয়ারত করেন এবং সেখানে নফল নামায আদায় করেন।


জুমার অর্থ প্রখ্যাত মুফাস্সীর, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন

 رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ 

বলেন: যেহেতু সেদিনই (জুমার দিন) সমস্ত সৃষ্ট জীবের অস্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেছে, সেদিনই হযরত সায়্যিদুনা আদম

 عَلٰی نَبِیِّنَاوَعَلَیْہِ الصَّلوٰۃُ وَالسَّلام 

এর মাটি একত্রিত করা হয়, আর সেদিনই লোকেরা একত্রিত হয়ে জুমার নামায আদায় করে। এই কারণে সে দিনকে জুমা বলা হয়। ইসলামের পূর্বে আরবরা এটাকে ‘আরুবা’ নামে অভিহিত করতো। 

(মিরাতুল মানাজিহ, ২য় খন্ড, ৩১৭ পৃষ্ঠা) 


হুযুর পুরনূর ﷺ সর্বমোট কয়টি জুমা আদায় করেছিলেন?

প্রখ্যাত মুফাসসির, হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন

 رَحْمَۃُ اللّٰہِ تَعَالٰی عَلَیْہِ 

বলেন: নবী করীম, রউফুর রহীম, রাসূলে আমীন

 صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

প্রায় ৫০০টি জুমার নামায আদায় করেন। কেননা, জুমা হিজরতের পর শুরু হয় আর হিজরতের পর  হুযুর পুরনূর 

صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

দশ বছর সময়কাল পর্যন্ত জাহেরী জিন্দেগীতে ছিলেন।ঐ সময়ে জুমার সংখ্যা৫০০ ওয়াক্তই হয়। --(মীরআত, ২য় খন্ড, ৩৪৬ পৃষ্ঠা। 

লুময়াত লিশ শায়খ আব্দুল হক দেহলভী, ৪র্থ খন্ড, ১৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস-১৪১৫) 


তিন জুমা অলসতায় বর্জনকারীর অন্তরে মোহর রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম, 

শাহে বনী আদম

 صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 

ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি অলসতার কারণে তিন জুমার নামায পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ্ তাআলা তার অন্তুরে মোহর মেরে দিবেন।”

(সুনানে তিরমিযী, ২য় খন্ড, ৩৮ পৃষ্ঠা হাদীস-৫০০) 


জুমা ফরযে আইন, এর ফরযিয়্যত (অর্থাৎ ফরয হওয়ার ভিত্তি) যোহর থেকেও বেশি সুদৃঢ় আর এর অস্বীকারকারী কাফির। 

(দুররে মুখতার, ৩য় খন্ড, ৫ পৃষ্ঠা।

বাহারে শরীয়াত, ১ম খন্ড, ৭৬২ পৃষ্ঠা)

( সূত্রঃ নামাযের আহকাম)


~~~~~~


জুম্মা দিনের আমল সম্পর্কিত কতিপয় হাদিস

জুম্মার দিনের মর্যদা বিষয়ক কয়েকটি হাদিস পড়ার পর, এইবার এই দিনের করনীয় কিছু আমল সম্পর্কে নীচে আলোকপাত করা হলো। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই দিনে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন।

১। গোসল করা (বুখারি ৮৫০/৮৫১,

মুসলিম ১৮২৫,*তিরমিযী ৪৯২, 

*নাসাই ১৩৮০)

বুখারি ৮৫০ – 


আবূল ইয়ামান (রহঃ) – আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল ﷺ কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যাক্তি জুম্মার নামাযে আসবে সে যেন গোসল করে।”

বুখারি ৮৫১ –


আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য জুম্মার দিন গোসল করা কর্তব্য। 


1।--মুসলিম ১৮২৫ –কুতায়বা ইবনু যাঈদ ও ইবনু রুমহ (রহঃ) 


আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার মিম্বরে দাঁড়িয়ে বললেন, তোমাদের কেউ জুমুআয় এলে সে যেন গোসল করে নেয়।

-নাসাই ১৩৮০ 


আবূল আশআস (রহঃ) নামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি জুম্মার দিন অযু করে তা তার জন্য যথেষ্ট এবং তা উত্তম কাজ; আর যে ব্যক্তি গোসল করে তবে তা পরমোত্তম কাজ।

২। সুগন্ধি/ তেল ব্যবহার করা (বুখারি ৮৩৬/৮৩৯,

মুসলিম ১৮৩৭)


৩। জুমু’আর সালাতে শীঘ্র উপস্থিত হওয়া 

(বুখারি ৮৮২,মুসলিম ১৮৪১,*তিরমিযী ৪৯৯)


৪। পায়ে হেঁটে মাসজিদে যাওয়া (*বুখারি ৮৬১/৮৬২,তিরমিজি ৪৯৬)


৫। ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজ পড়া (মুসলিম ১৮৯৭,তিরমিযী ৫১০)


৬। মনোযোগ সহকারে খুত্বা শোনা 

(বুখারি ৮৮৭,মুসলিম ১৮৪২,১৮৬৫,*তিরমিযী ৫১২)


৭। দু’আ ক্ববুলের মুহুর্ত অন্বেষণ 

(বুখারি ৮৮৮,মুসলিম ১৮৪৭,তিরমিযী ৪৮৯,

আবু দাউদ ১০৪৮) তিরমিযী ৪৮৯ –


 আবদুল্লাহ ইবনুল সাববাহ আল-হাশিমী আল-আত্তার (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জুমাবারের যে মুহূর্তটিতে দু’আ কবূলের আশা করা যায়, তোমার সে মুহূর্তটিকে বাদ আসর সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টিতে তালাশ কর।

--তিরমিযী ৪৯০ 


–যিয়াদ ইবনু আয়্যূব আল-বাগদাদী (রহঃ) 

আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জুমুআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে। কোন বান্দা যদি সেই মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কিছু দু’আ করে, তবে অবশ্যই তিনি তার দু’আ বাস্তবায়িত করেন। সাহাবীগণ আরয করলেন : হে আল্লাহর রাসূল! কোনটি এই মুহূর্ত? তিনি বললেনঃ জুমুআর ইকামতে সালাত থেকে নিয়ে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত।


৮। সূরাহ কাহফ তিলাওয়াত (হাকিম ২/৩৯৯,

বায়হাকি ৩/২৪৯)

মুসতাদারেক হাকিম ২/৩৯৯, 

বায়হাকী ৩/২৪৯, ফয়জুল ক্বাদীর ৬/১৯৮ :: 


আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়বে তার জন্য এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত আলো বিচ্ছুরিত হবে।“

--আত তারগীব ওয়া তারহীব ১/২৯৮ :: 


হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমা থেকে এ জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।“

--সহিহ মুসলিম হা: ১৩৪২, 

মুসনাদু আহমদ হা:২০৭২০, 

আবু দাউদ হা:৩৭৬৫ :: 


আবু দারদা (রা.) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, “যে ব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা হতে রক্ষা পাবে।”

৯। নবীর (ﷺ) এর ওপর বেশি বেশি দরূদ পড়া 

(ইবন মাজাহ ১০৮৫,আবু দাউদ ১০৪৭)।


আরও খবর

মহররম মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল

বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫




জীবিত আছেন ইরানের কুদস প্রধান

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জুন 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানি জীবিত এবং সুস্থ রয়েছেন। তেহরানে এক জনসমাবেশে তাকে সরাসরি দেখা গেছে। ২৪ জুন তিনি রাজধানী তেহরানে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

বুধবার (২৫ জুন) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে। তারা সূত্র হিসেবে ইরানের রাষ্ট্রীয় এবং আধা-সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়েছে।

তাসনিম নিউজ এজেন্সি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, কানি অনুষ্ঠানে জনতার মধ্যেই আছেন। তাকে স্বাভাবিক অবস্থায় হাঁটতে ও জনতার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়তে দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাসনিম জানায়, অপারেশন ডিভাইন ভিক্টরির পর তেহরানের জনগণের আজকের (মঙ্গলবার) সমাবেশে কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল কানি যোগ দিয়েছেন।

ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম প্রেস টিভিও একই ভিডিও প্রকাশ করেছে। প্রেস টিভি জানায়, ইহুদি শাসনের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনের সময় তেহরানে উল্লসিত জনতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কানিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।


আরও খবর