Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে বঙ্গসাথী ক্লাবের ৩২ বছর পূর্তি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নারায়ণগঞ্জে বঙ্গসাথী ক্লাবের ৩২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অনুধর্ব ১৬ ও মাস্টার্স ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে দেওভোগ শেখ রাসেল পার্ক মিনি স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিতটি হয়। মাস্টার্স ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া দল সোনালী অতীত ক্লাবকে ২-১ গোলে পরাজিত করে সোনালী সকাল ক্লাব বিজয়ী হয়। পরে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অনুধর্ব ১৬ অংশ নেয়া দল মদনগঞ্জ ফুটবল একাডেমি ও বঙ্গবীর সংসদের মধ্যে ট্রাইবেকারে মদনগঞ্জ ফুটবল একাডেমি বিজয়ী হয়। প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বঙ্গসাথী ক্লাবের সভাপতি আহমদ আলী রেজা উজ্জলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির সহ আরও অনেক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ১৮৬ টি মিনি স্টেডিয়াম করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ফুটবলের উন্নয়নে ইন্টার স্কুল ফুটবল চালু না থাকলেও অনুর্ধ ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে সারা দেশে হাই স্কুল পর্যায়ে খেলা চালু আছে। ফতুল্লা স্টেডিয়ামের জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রিপোর্ট পেতেই আমাদের ৫ বছর সময় লেগেছে।  এখন আমরা কাজ শুরু করবো। 


আরও খবর

আসল ঘটনা কী, জানালেন তামিম !

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তামিমকে ছাড়া বিশ্বকাপ দল

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মরক্কোয় নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছয় দশকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্পে উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও একইসংখ্যক মানুষ। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর।

গত শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ওই শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমিকম্পে আহত ২ হাজার মানুষের মধ্যে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছেন মারাক্কেশের দক্ষিণে অবস্থিত প্রদেশগুলোতে।

বিবিসি বলছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্প ও হতাহতের ঘটনায় রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ দেশটিতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং বেঁচে যাওয়াদের আশ্রয়, খাবার ও অন্যান্য সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য ভূমিকম্পে বাড়িঘর হারিয়ে অনেকেই তাদের টানা দ্বিতীয় রাত খোলা জায়গায় কাটাচ্ছেন।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১.১১ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

এছাড়া ভূমিকম্পটির ১৯ মিনিট পর আবারও ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূ- কম্পন অনুভূত হয়। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি সমতল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাজধানী রাবাতের পাশাপাশি কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির এবং এসসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির আল হাউজ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, আর এর পরে রয়েছে তারউদান্ত প্রদেশ। মারাক্কেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম, যদিও ইউনেস্কো-সুরক্ষিত পুরোনো এই শহরটিও ভূমিকম্পে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

পাহাড়ের গ্রামগুলোতে সাধারণ মাটির ইট, পাথর এবং কাঠের তৈরি বাড়িগুলো ভেঙে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধ্বংসের মাত্রা মূল্যায়ন করতে কিছুটা সময় লাগবে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গ্রাম থেকে বিবিসির রিপোর্টার নিক বেক বলছেন, আফটারশকের আশঙ্কায় অনেক লোক সেখানে রাতের (ঘুমানোর) জন্য ক্যাম্পিং করছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, তাদের খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট রয়েছে। কিন্তু এই ধরনের জায়গায় খাবার ও পানি পৌঁছানো কঠিন। মূলত পাহাড়ি রাস্তাগুলোতে পাথর এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকায় জরুরি পরিষেবার দলগুলোর জন্য সেখানে পৌঁছানো কঠিন।

মরক্কোর রাজপ্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী তিন দিন দেশের সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এছাড়া উদ্ধারকারী দলকে সহায়তা করার জন্য রাজা সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং মরক্কোর নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য রক্ত ​​দান করছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ১৯৬০ সালের পর শুক্রবার এই ভূমিকম্প দেশটিতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ওই বছর দেশটিতে শক্তিশালী এক ভূকম্পনে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তবে শুক্রবারের ভূমিকম্পটি মরক্কোতে গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল।

জাতিসংঘ বলেছে, তারা মরক্কো সরকারকে উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। এছাড়া স্পেন, ফ্রান্স এবং ইসরায়েলসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে একই ধরনের প্রতিশ্রুতি এসেছে।

এছাড়া প্রতিবেশী আলজেরিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মরক্কোর বৈরী সম্পর্ক থাকলেও ভূমিকম্পের পর এখন মরক্কোতে মানবিক সহায়তাবাহী ফ্লাইটের জন্য দেশটি তার আকাশসীমা খুলে দিয়েছে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




মরুভূমির নিচে বিশাল পানির ভান্ডার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মরুভূমিতে পানির অভাব, অথচ মাটির নিচেই রয়েছে প্রাচীন জলাধার। সুদানসহ আফ্রিকার বড় কয়েকটি দেশজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই পানির সদ্ব্যবহারের চেষ্টাও চলছে।

সুদানের যত উত্তরে যাওয়া যায়, জমি ততই শুষ্ক হয়ে ওঠে। কয়েকশ কিলোমিটারজুড়ে শুধু মরুভূমি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বালুর স্তূপের নিচে কিন্তু পানির বিশাল ভান্ডার রয়েছে। মিশর, সুদান থেকে চাদ ও লিবিয়া পর্যন্ত সেই জলাধার বিস্তৃত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে খননের সময় নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার নামের সেই ভান্ডার আবিষ্কার করা হয়েছিল।

ভূতত্ববিদ হিসেবে আব্দুল্লাহ ওমর গত ২০ বছর ধরে অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি জায়গায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি পানির নাগাল পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে খননের সময় ওমর এল গা-আব অঞ্চলে একটি উৎস খুলে দেন।

ওমর বলেন, উত্তরের অংশে গভীরতা ৬০ মিটার অথবা আরও কম। ভাবতে পারেন? একটি সেচ প্রণালী দিয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ করা সম্ভব। সেটা সত্যি অনন্য। এতে জলাধারের শক্তিশালী প্রবাহ স্পষ্ট হয়ে যায়।

গা-আব এল-হাশার মতো স্থানীয় গ্রাম এর ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। ২০ বছর আগে সেই উৎস আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ নিয়মিত পানির নাগাল পাচ্ছে।

আব্দুল হাফিজ সাইদের মতো চাষি সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন। কয়েকশ হেক্টরজুড়ে তার নিজস্ব খেতে তিনি নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন। ফাভা বিনস, জোয়ার এবং আলফালফার পাশাপাশি চলতি বছর তিনি গম উৎপাদনে মনোযোগ দিয়েছেন।

আব্দুল হাফিজ বলেন, কৃষিকাজে পানি ঠিকমতো ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ আমার মতে, উন্নত পদ্ধতি ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানির সাশ্রয় করা সম্ভব। কিন্তু প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার করলে বেশি পানি লাগে।

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাচীর গড়ে তোলার সুফল ভোগ করে আব্দুল হাফিজ সাইদ নিয়মিত তার খেতে সেচের কাজ করতে পারেন। প্রত্যেকটি উৎসের জন্য তার প্রায় সাড়ে চারশো ইউরোর মতো ব্যয় করতে হয়। কিন্তু তারপর গ্রামবাসী ও চাষিরা বিনামূল্যে পানি পেতে পারেন।

নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার বিশ্বের সবচেয়ে বড় জীবাশ্ম জলাধার। অর্থাৎ কয়েক লাখ বছর আগে সেখানে পানি জমা হয়ে মাটির নিচে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অ্যাকুইফারের পানির ভাণ্ডার মোটেই অফুরন্ত নয়। কয়েকটি জায়গায় কম হলেও নতুন করে পানি আসে। অন্য জায়গায় একেবারেই সেটা ঘটে না।

কয়েকজন গবেষকের ধারণা অ্যাকুইফারের আয়ু কমপক্ষে আরও দুইশো বছর। তবে সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া সময়টাও বেশি নয়। এক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতিসংঘের এক প্রকল্পের মাধ্যমে সেই পানি ন্যায্য ও টেকসই উপায়ে ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

সুদানের সরকার ২০২২ সালে পানির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি আইনে সম্মতি জানিয়েছিল। সেচ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেটি কার্যকর করার কথা। এখনও পর্যন্ত সরকার জনগণের জন্য ৩৮টি ছোট এবং ছয়টি গভীর কূপ তৈরি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের পানি বিশেষজ্ঞ অটমান আহমেদ বলেন, আমরা দেশের উত্তরে ও নীলনদের কাছের প্রদেশগুলোতে গম উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছি। আমরা জানতে পেরেছি, যে অ্যাকুইফারের পানি ব্যবহার করে দুই লাখ দশ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে গম উৎপাদন করতে পারি। পানির স্তর না কমিয়ে বা অ্যাকুইফারের ক্ষতি না করেই সেটা সম্ভব।

এখনও পর্যন্ত অ্যাকুইফারে জমা বিশাল পরিমাণ পানি অন্তত কাগজে-কলমে কমেনি। তা সত্ত্বেও মানতে হবে, গোটা অঞ্চলের জনসংখ্যা এবং সেইসঙ্গে চাষি ও পশুপালকদের সংখ্যাও বাড়ছে। ভূতত্ত্ববিদ আব্দুল্লাহ ওমর নিয়মিত উত্তরের প্রদেশগুলোর গ্রামে গিয়ে পানির ব্যবহারের ওপর নজর রাখেন।

তিনি বলেন, গোটা উত্তর প্রদেশে ১১টি ডিভাইস ছড়িয়ে রয়েছে, যেগুলোর পানির স্তরে পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে চলা মরুকরণের অর্থ, এই অঞ্চলে অতীতের তুলনায় পানির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। বিশাল অ্যাকুইফারের জীবাশ্ম পানি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারলে সেখানে মানুষ ও প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষা করা অনেক সহজ হবে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




যে ব্যায়াম বাতের ব্যথা দূরে রাখতে কাজে দেবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্বাস্থ্য টিপস : বয়স কম হলেও আজকাল অনেককেই পেয়ে বসে বাতের ব্যথা। অফিসে দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, শরীরচর্চা না করা, শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, ভিটামিন ডি-র অভাবের কারণে এই ব্যথা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। 

এ ছাড়া ওজন বাড়লে হাঁটু ও কোমরের ব্যথাও বাড়ছে। তাই জীবনযাপনে খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানাচ্ছে বাতের ব্যথায় সুস্থ থাকতে কয়েকটি ব্যায়াম নিয়ম করে করা জরুরি। কোন ব্যায়ামে কমবে বাতের ব্যথা?

• দাঁড়িয়ে হাত দু’টি সামনের দিকে তুলে রাখুন, চাইলে মুঠোও করতে পারেন। এ বার অল্প বসার চেষ্টা করুন। তবে পুরোপুরি নয়, অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন। এ ভাবে অন্তত ১০টি সেট করতে হবে। এই হাফ স্কোয়াট করতে সাধারণত ব্যথা হওয়া উচিত নয়। তবে কারও ব্যথা হলেও তা প্রাথমিক। নিয়মিত অভ্যাস করলে স্কোয়াট বা হাফ স্কোয়াটে ব্যথা হবে না। 

• টানটান হয়ে শুয়ে দু’হাতের তালু মেঝের ওপরে রাখুন। তারপর বাম পা আস্তে আস্তে ওপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে পাঁচ সেকেন্ড তুলে রাখুন। তার পরে ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন। একইভাবে ডান পা ওপরে ওঠান ও নামান। 

• মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে হাত এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহ সমান্তরাল ভাবে তুলে ধরুন। কনুই ভাঁজ করে এক বার মাটির কাছাকাছি আবার কনুই সোজা করে মাটির থেকে দূরে নিয়ে যান। শুরুতে অসুবিধা হলে দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়েও করা যেতে পারে এই ব্যায়াম।


আরও খবর



চুরির অপবাদ দিয়ে অমানবিক নির্যাতন' সেই যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু (৩৬) কে দিন-দুপুরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন (মারপিট) করায় দীর্ঘ ২৫ দিন হাসপাতাল বেডে যন্ত্রনায় ছটফট করে অবশেষে মৃত্যু হয়েছে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টুর। 

নিহত লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর বাজার এর পার্শ্ববর্তী ভীমপুর ভেবরী পাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে। 

নিহতের পরিবার ও স্থানিয়রা জানান, সরস্বতীপুর বাজার এর পার্শ্ববর্তী ভীমপুর ভেবরী পাড়া গ্রামের মৃত মিরাজ মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু ছোট থাকতেই তার মা ও বাবার মৃত্যু হয়। দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু বাসের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এরিমাঝে সরস্বতীপুর বাজার দীঘির পাড়ে অবৈধ্য ভাবে গড়ে তোলা (পুরাতন যানবাহন) ভাঙ্গার কারখানা মালিক একই গ্রামের মামুন লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু কে তার কারখানাতে শ্রমিক হিসেবে কাজে নেয়। এক পর্যায়ে কারখানাতে কাজ করতে না চাওয়ায় কারখানা মালিক মামুন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। এরিমাঝে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু কারখানাতে কাজ করা বন্ধ করেন। ঘটনার দিন গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টারদিকে লিটন মোল্লা ওরফে ভুট্টু তার শ্রমের পাওনা টাকা নিতে ঐ কারখানাতে গেলে সে সময় কারকানা মালিক মামুন আলী সরদার এর নের্তৃত্বে সাইদুল দেওয়ান, দুলাল দেওয়ান ও রামিম দেওয়ান সহ কয়েকজন লিটন মোল্লা ভুট্টুকে প্রথমে ভাংরি কারখানার ভেতর আটক করে রেখে অমানবিক নির্যার্তন চালান। এক পর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্য সেখান সাইদুর দেওয়ান এর বাড়িতে নিয়ে আবারো অমানবিক নির্যাতন ( মারপিট) করাকালে বাজারের ব্যবসায়ী ওতার স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পেরে সেখান থেকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় লিটন মোল্লা ভুট্টুকে উদ্ধার পূর্বক দ্রুত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঐ দিনই দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে বগুড়াতে রেফার্ড করেন। স্বজনরা ঐ রাতেই তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান এবং সরস্বতীপুর বাজারের দোকানী, (বয়লার) ধান চাতাল মালিক ও গ্রামের লোকজন চাঁদা টাকা তুলে তার চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। এরি মাঝে অবস্থা সংকট জনক হওয়ায় চিকিৎসক সাথে থাকা স্বজনদের বলেন, এরোগীর অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ সময়ের অপেক্ষা এজন্য বাসায় নেওয়া ভালো বলে গত সোমবার সন্ধার দিকে ছাড়পত্র দিলে স্বজনরা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আনার মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে বুধবার পূর্বরাত ২টারদিকে দীর্ঘ ২৬ দিন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটপট বা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে লিটন মোল্লা ভুট্টুর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্তরা সবাই পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বিকেলে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে ঐ দিন সন্ধায় দাফন সম্পূর্ণ করা হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বজন সহ স্থানিয়রা।

নিহত ভুট্টুর বোন মাবিয়া সুলতানা সুলতানা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর মামুন সরদার তার সহযোগীরা চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ভাইকে আটক রেখে অমানবিক নির্যাতন করেন। পরে স্থানিয় বাজারের ও গ্রামের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে দীর্ঘ ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিতে না পেরে ঐদিন তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার পর তার মৃত্যু হয়। নিহত ভুট্টুর স্ত্রী জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজন এর আর্থিক সহযোগিতায় দীর্ঘ ২৬ দিন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও শেষ পর্যন্ত অর্থাভাবে তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে না পেরে বাড়িতে নিয়ে এসে রাখি। কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে বুধবার রাত ২ টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, ভুট্টুকে মারপিটের ঘটনার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর তার চাচা মান্নান মোল্লা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


আরও খবর



লিবিয়ায় বন্যায় সাগরে ভেসে গেছে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3