Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ

নারায়ণগঞ্জে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসবে পরিনত। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাসহ কোটি মানুষের বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে ইতিহাস সৃষ্টি করছে বাংলাদেশ। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হতে নারায়ণগঞ্জে পদ্মা সেতুর আদলে এঞ্চ তৈরি করে উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রচারের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রসাশন।

সকাল থেকে নগরের ইসদাইরে সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জড়ো হতে থাকেন মানুষ। মঞ্চে বক্তব্য রাখেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক,  আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পরে মঞ্চে থাকা ডিজিটাল স্কিনে প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপভোগ করে ইতিহাসের সাক্ষী হল নারায়ণগঞ্জবাসী। উৎসবকে ঘিরে উচ্ছ্বাস উল্লসিত সাধারণ মানুষ।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা উপহারের দিয়েছিলেন। আজ তারই কন্যা বাঙালি জাতিকে পদ্মা সেতু উপহার দিলেন। পদ্মা সেতুর হওয়ার কারণে ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

আর নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পদ্মা সেতু হবে না, বাংলাদেশ আগাবে না, তারা চায় বাংলাদেশ যেনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। সারা বিশ্বের কাছে পদ্মা সেতু অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলন বাঙ্গালী জাতিকে দাবায়ে রাখতে পারবানা তা প্রমাণ করেছে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




রাণীনগর-আত্রাইয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  

 নওগাঁর রাণীনগর এবং আত্রাই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। "প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মাট বাংলাদেশ" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার দুই উপজেলায় পৃথক পৃথকভাবে উদ্বোধনী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৬,(আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। 

রাণীনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ প্রাঙ্গনে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের বাস্তবায়নে এবং প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রাণালয় এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এমপি ওমর ফারুক সুমনসহ অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা রফি ফয়সাল তালুকদার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক,মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায় প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

অপর দিকে আত্রাই উপজেলায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক,জেলা পরিষদ  সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা ডা. আবু আনাছসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীতে খামারিরা রাণীনগরে ৩০টি এবং আত্রাই উপজেলায় ৩০টি স্টলে বিভিন্ন জাতের পশু-পাখি প্রদর্শনে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।


আরও খবর



চাঁদাবাজি ও অপপ্রচার করায় হলুদ সাংবাদিক রাশেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

উখিয়ায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে সাংবাদিক সেজে ''জেএসআর'' চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপে অডিও রেকর্ড পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন করেছে কথিত টায়ায় সাংবাদিক মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় রিপোর্টার্স ইউনিটি উখিয়ার কোর্ট বাজার অফিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন 'জেএসআর' স্টুডেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দীন।

এসময় তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য'তে বলেন, মোহাম্মদ রাশেদ (প্রকাশ টায়ার রাশেদ) গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় সাংবাদিক পরিচয়ে আমাকে ফোন করে আমাদের শপিংমলে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্লাকমেইল করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় প্রতিষ্টানের নামে ভূয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের হুমকী দিয়ে ফিরে যান। পরে একইদিন রাত ১টায় আমাকে টাকা নিয়ে তার ধুরুমখালী অস্থায়ী অফিসে আসতে বলেন। আমি চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপে আবারো টাকা দাবি করে একটি স্যাম্পল অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছে বলে মেসেজ করে হুমকী দেন। যার স্কিনসর্ট আপনারা দেখেছেন। চাঁদার টাকা দাবী করার মেসেজটি সে নিজে ডিলিট করে দিয়েছেন। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় রাশেদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করলে আমি উখিয়ার বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে টাকা না দিয়ে আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং রাশেদ নামের কোন গণমাধ্যম কর্মী উখিয়াতে নাই বলে জানান। ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্টান চাঁদা দাবির সব তথ্য নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ইতিমধ্যে আপনারা অবগত হয়েছেন, কিছু অপসংবাদিক আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মধ্যে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রাশেদ তার নিজস্ব গণমানুষের দর্পন নামের একটি অনুমোদনহীন ভুয়া নিউজ পোর্টালে আমাদের নামে মিথ্যা, ভূয়া, ভিত্তীহীন গুজব প্রচার করে আমাদের প্রতিষ্টানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। চাঁদা না পেয়ে অপপ্রচার কারী ভুয়া সাংবাদিক রাশেদ যে ১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা অডিট রির্পোট বলে প্রচার করেছে সেটির কোন সত্যতা নেই।

১কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা কোন খাতে ব্যয় হয়েছে আমার কাছে সব গুলো ডকুমেন্টস আপনারা দেখেন। এই ব্যয় গুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়েছে। এইটাকে দুর্নীতি বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, আমাদের শেয়ারহোল্ডার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ সকল ভিত্তিহীন বিষয়ের কর্ণপাত না করে বিচলিত না হয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।


আরও খবর



ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুরে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। এতে বাস, লঞ্চ টার্মিনালের মতো কমলাপুর রেলস্টেশনেও বেড়েছে চাপ। এদিকে শেষ মুহূর্তের দিন ট্রেন যাত্রায় ভেঙে পড়েছে রেলের নিয়মশৃঙ্খলা। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়েই রওয়ানা করছে ট্রেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদে বাড়ি ফেরার তাগিদে সকাল থেকে স্টেশন ভিড় করছেন যাত্রীরা। অনেকের ট্রেনের সময় হয়নি কিন্তু আগেই চলে এসেছেন। অনেকে টিকিট পাননি কিন্তু এসেছেন, কোনোভাবে যাওয়া যায় কিনা। টিকিট কাউন্টারের সামনেও কিছু লোকের জটলা চোখে পড়েছে। প্ল্যাটফর্মে তো মানুষে মানুষে ভরপুর।

এছাড়া ভোর থেকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-জামালপুর আর উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতর গাদাগাদি করেই উঠছে ঘরে ফেরা মানুষেরা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া যাত্রীরা ট্রেনের সিট না পেয়ে উঠেছেন ছাদে। তীব্র গরমেও ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে স্বস্তির খবর প্রতিটি ট্রেন কমলাপুর থেকে শিডিউল মেনে সঠিক সময়ে ছাড়ছে। ভোগান্তি থাকলেও যথাসময়ে ট্রেন যাত্রা করায় স্বস্তির কথা জানিয়েছে কেউ কেউ।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মারিয়া বলেন, নিদির্ষ্ট সময়ে ট্রেন পাওয়া ঈদের আগে যেন বাড়তি আনন্দ। সময়মতোই পরিবারের কাছে যেতে পারবো, এই ভেবে বাকি কষ্ট, কষ্টই মনে হচ্ছে না।

সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আজাদ হোসেন বলেন, অনলাইনে টিকিট কাটায় কোন ভোগান্তি হয়নি। আর এখানে এসে মানুষের চাপের কারণে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে এটি ঈদে স্বাভাবিক পরিস্থিতি। আমরা এতে অভ্যস্থ।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে কমলাপুর ছেড়েছে। আজ সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সবগুলো ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। যাত্রী সাধারণের কোন অভিযোগ-আপত্তি নেই। দিনের বাকি সময়ও নিরাপদ যাত্রা হবে বলে আশা করছি।


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪




নওগাঁয় পুলিশের উপর হামলা, ৬ পুলিশ আহত, গ্রেফতার ৮ জন

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন মাতাজীহাট ফাঁড়ি পুলিশের উপর হামলা ও ৬ জন পুলিশ আহত ঘটনায় ২শ জনকে আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাদেবপুর থানাধীন রাইগাঁ মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত ৮ জন হলেন, কুড়াইল গ্রামের পরেশের ছেলে প্রতাপ (৩৫), সুপথ মন্ডলের ছেলে রাম গোপাল (২৬), সনজিতের ছেলে বিশু (২৭), সুরেনের ছেলে সুচিত্র (৩০), সুরেনের ছেলে সুপথ (৪২), নিবাসের ছেলে সুইট (৩০), সবুজ (২৫), পরেশের ছেলে রিপন (৩০)। 

জানা গেছে, কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রে'র ছেলে হিলন একই গ্রামের বিপ্লব চন্দ্রের কন্যা স্কুল ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত বুধবার বন্যা রানীকে পালিয়ে নিয়ে প্রেমিক হিলন বাড়িতে তোলেন। বন্যা রাণীর পরিবার বিষয়টি পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার রাতে মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই লালন কুমার দাস এর নেতৃত্বে পুলিশ মেয়েটি কে উদ্ধারের জন্য হিলন এর বাড়িতে যায়। এ সময় হিলন এর বাড়ির লোকজন পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন এক পর্যায়ে ঐ গ্রামের প্রতাপ এর নেতৃত্বে গ্রামের একদল মানুষ পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট শুরু করেন। এসময় আত্নরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরা মসজিদে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাদের মারধর করে আটক করে রাখেন। 

খবর পেয়ে দ্রুত (মহাদেবপুর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে থানা পুলিশ গিয়ে আটক করে রাখা পুলিশ সদস্যদের আহত অবস্থায় উদ্ধার পূর্বক এস আই লালন কুমার দাস, পুলিশ সদস্য মোঃ মাইনুল ইসলাম, তজারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন, রুবেল হোসেন কে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় এস আই লালন কুমার দাস বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।পুলিশের উপর হামলা কারীদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ।


আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ |

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে ২৬ মার্চ প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

এরপর বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে আজ সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন।

সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

 


আরও খবর

তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা

বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪