Logo
শিরোনাম

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্বিরগঞ্জের জালকুড়িতে হা পা বাঁধা অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্বারের ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও মুল আসামী মোঃ কমল ওরফে কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করেছে। সনাক্ত করেছে নারীর পরিচয়। নিহত নারীর নাম নাসরিন আক্তার। সোমবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য জানান। রবিবার রাতে কড়িগ্রামের চিলমারীর পুর্বপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ সুপার জানান, গত ১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে নামে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরদিন সনাক্ত হয় নিহতের নাম নাসরিন আক্তার। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে এবং গত রবিবার রাতে চিলমারীতে অভিযান চালিয়ে কমলকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কুদ্দুস স্বীকার করে জানায়, গত ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ জালকুড়ির পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। গান শেষে রাত অনুমান সোয়া ৩ টায় নাসরিন আক্তার (৪০) এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাসরিনের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইরে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪ শ’ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে। নাসরিন রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীণ তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনের হাত বেঁধে এবং নাসরিনের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্য কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হবে।

আর আগামী অর্থবছরে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীন ও ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত রিজিয়নাল ইকোনমিক আউটলুক মে ২০২৩ শীর্ষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 ৩ মে আইএমএফ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ মে) আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সময় তিনি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও প্রবৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ, চীনের হবে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চীনের চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বেশি হচ্ছে দশমিক ৩ শতাংশ। তবে চীনের অর্থনীতি বাংলাদেশের আকারের চেয়ে অনেক বড়। একই সঙ্গে ভারতসহ আরও অনেক দেশের অর্থনীতির আকার বাংলাদেশের চেয়ে বড়। শুধু বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকছে।

চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের দশমিক ৪ শতাংশ কম হচ্ছে। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি। তবে অন্য দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ার সাড়ে ৪ শতাংশ, মিয়ানমারের ২ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার কোনও প্রবৃদ্ধি হবে না। তবে তা নেতিবাচক ৩ শতাংশ হবে। আগামী অর্থবছরে দেশটি প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে। ওই বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি দেড় শতাংশ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৬ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ স্থানের দিক থেকে দ্বিতীয়। ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে শীর্ষে থাকবে ভিয়েতনাম। ওই বছরে চীন ও ভারতের প্রবৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে। চীনের হবে ৪ দশমকি ৫ শতাংশ, ভারতের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্য সব দেশের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের চেয়ে কম হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে এশিয়ার অবদান হবে ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে চীনের এককভাবে ৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতের ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৮ শতাংশ, মধ্যপ্রাচ্যের ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ইউরোপের ৭ দশমিক ১ শতাংশ, আফ্রিকার ৪ শতাংশ।

 


আরও খবর



জামালপুর-১ আসনে নৌকা প্রত্যাশী নুর মোহাম্মদের গণসংযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ। দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার দিনব্যাপী বকশীগঞ্জ উপজেলার সারমারা,বটতলী,সাধুরপাড়া,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সাতভিটা, বাশঁতলী,কাঠারবিল, ঝালুরচর ও বাহাদুরাবাদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করেন তিনি। প্রায়র্ শতাধিক মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে তিনি গণসংযোগ করেন। 

গণসংযোগ কালে জামালপুর-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি নুর মোহাম্মদ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তাও পৌছেঁ দিচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছালাম জানিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করছেন নুর মোহাম্মদ। দীর্ঘদিন পর জোরেশোরে মাঠে নামায় নুর মোহাম্মদ শিবিরে বইছে খুশির জোয়ার। নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব বিরাজ করছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে টপ লিষ্টে আছেন নুর মোহাম্মদ। 

গণসংযোগ কালে অন্যান্যের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালাল, আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুর রহমান খুদু,মনিরুজ্জামান মনির,নজরুল ইসলাম,নিলক্ষিয়া ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জাল হোসেন মিস্টার , উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম তালুকদার জুমান,যুবলীগ নেতা মারুফ সিদ্দিকী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সাইদুর রহমান লাল,সাবেক সাধারন সম্পাদক হাছানুজ্জামান সজিব,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাজন মিয়া , যুগ্ন  আহবায়ক সজল ,সরকারী কে ইউ কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক আরিফুজ্জামান আরিফ  ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম আমিন সাদ্দাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

বাসে আগুন দিলে খবর আছে: কাদের

বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩




বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন

বিপিএর নির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মে 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ  ফিজিক্যাল থেরাপি এসোসিয়েশন (বিপিএ) এর কার্যকরী নির্বাহী কমিটির  সাধারণ নির্বাচন ২০২৩ শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

নির্বাচনে ডা:আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেসিডেন্ট এবং এড: ডা: মো: তৌহিদুজ্জামান জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হন।

গতকাল ১ লা মে ২০২৩ রোজ সোমবার আগারগাঁও আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মিলনায়তনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ডা:আব্দুল্লাহ  আল মামুন কে প্রেসিডেন্ট ও ডা: তৌহিদুজ্জামান কে জেনারেল সেক্রেটারি করে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে ঘোষণা  করেন নির্বাচন পরিচালনা কারী নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডা: টি এম মনজুরুল ইসলাম। 

নির্বাচনে অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন:

ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে  ডা:প্রদীপ কুমার সাহা , ডা: সফিউল্লাহ প্রধান, ডা:আরিফ জুবায়ের, ডা:মহসীন কবীর  লিমন, ডা:মাজহারুল ইসলাম অনু, ডা: মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন এবং ডা:মোসলেম পাটোয়ারী;

জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে ডা:মিজানুর রহমান, ডা:আনিসুজ্জামান,ডা: তোফায়েল তপু, ডা:নাজমুল ইসলাম;অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে ডা:মো:আলাউদ্দিন;

সহকারী  অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ডা:আবু ওবায়দা; ট্রেজারার হিসেবে ডা:শাওন;

এডুকেশন ও স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার  সেক্রেটারি হিসেবে ডা:মুরাদ হোসাইন মেহেদী;

কালচারাল এন্ড ওয়েলফেয়ার  সেক্রেটারি হিসেবে ডা:মকবুল হোসাইন বেলাল;

সাইন্স এন্ড ইন্টারন্যাশনাল এ্যাফেয়ার সেক্রেটারি হিসেবে ডা:তরিকুল ইসলাম

রিসার্চ  এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারি হিসেবে ডা:আশিষ মন্ডল অপু;

অফিস সেক্রেটারি হিসেবে  ডা:তরিকুল ইসলাম; প্রেস এবং পাব্লিক রিলেশন সেক্রেটারি হিসেবে ডা: শান্তনু বাড়ৈ;ওমেন অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি হিসেবে ডা:মারুফা মান্নান;

এক্সিকিউটিভ মেম্বার হিসেবে 

ডা:মো: মাহাবুব আলম অপু, ডা:আব্দুল্লাহ আল রোমান, ডাঃ আবু বকর আফরান, ডা:নুজাইম প্রান্ত, ডা:সাইফুল ইসলাম নির্বাচিত হন।

নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত বার্ষিক  সাধারণ সভায় আগের আহবায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয় এবং "এনএএনএল ডিক্লেয়ারেশন ২০২৩" কে গ্রহণ করা হয়। 

নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটি সুষ্ঠু ও গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ সদস্যরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বিপিএ নতুনভাবে গতি প্রাপ্ত হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।



আরও খবর



২ হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি করার সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


প্রতি বছরের মত এবারও নওগাঁয় গাছ থেকে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসন। 

সেই মোতাবেক সোমবার ২২ মে থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। এরপর পর্যায় ক্রমে বাজারে আসবে সুস্বাদু গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, আম রুপালি, নাকফজলি, ল্যাংড়া, বারী-৪ ও গৌরমতিসহ অন্যান্য আম। এর আগে গত ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জাতভেদে আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ করে দেন। সভায় আম চাষি, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, এ বছর আম পাড়া শুরু হবে সোমবার (২২ মে) থেকে। এই দিন বা তার পরে যে কোনো দিন গুটি আম পাড়া যাবে বা বাজারজাত করা যাবে। এরপর আসবে গোপালভোগ। গোপালভোগ গাছ থেকে পাড়া যাবে ৩০ মে। এছাড়াও ক্ষীরশাপাত বা হিমসাগর ৫ জুন, নাকফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙ্গা ১২ জুন, ফজলি আম ২২ জুন ও আম রুপালি ২৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে নামানো যাবে আর্শ্বিনা, বারী-৪ ও গৌরমতি জাতের আম। মূলত অপরিপক্ক অবস্থায় আম পেড়ে তাতে মেডিসিন দিয়ে পাকিয়ে কেউ যাতে আম বাজারে নিয়ে আসতে না পারে এ জন্যই গত কয়েক বছর ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম পাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের দেওয়া সময়ের নির্ধারিত দিনের আগে নির্ধারিত আম পাড়া যাবে না। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কোনো বাগানে আম পেকে যায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।

সভায় জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫২৫ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ দশমিক ৫০ টন হিসেবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছর প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা আম বেচাকেনা হতে পারে বলে আশা কৃষি বিভাগের।


আরও খবর



কিয়েভকে গুঁড়িয়ে দিতে বললেন মেদভেদেভ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ কিয়েভের সরকারব্যবস্থাকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দেশটির সামরিক সরঞ্জাম ও সেনা কর্মকর্তাদের ধ্বংস করে দিতে বলেছেন।

রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে মেদভেদেভ এমন মন্তব্য করেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ এসব কথা বলেছেন।

মেদভেদেভের কথায় জেলেনস্কির এ সাক্ষাৎকারের সারমর্ম হচ্ছে, জেলেনস্কি পশ্চিমাদের কাছ থেকে আরো অস্ত্র দাবি করেছেন। ক্রিমিয়ায় হামলাসহ সফল পাল্টা হামলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলেনস্কির এসব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ কিয়েভ সরকারকেই গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মেদভেদেভ আরো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এ সহিংসতা কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।

মেদভেদেভ আরো হুঁশিয়ারি দেন, সাক্ষাৎকারটি পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর মনে হলেও হালকা করে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, কারো প্রলাপকেও খাটো করে দেখা উচিত নয়। এটি কিয়েভ শাসনামলের উন্মাদনার সময়। এ সময় কিয়েভ নাৎসি অভিজাতদের সমন্বিত করতে, সেনাদের মনোবল বজায় রাখতে এবং পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত সমর্থন পেতে চায়।

কিয়েভের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে রাশিয়াকে অবশ্যই পাল্টা হামলার সময় ইউক্রেনের সেনা ও সেনা সরঞ্জাম ধ্বংস করে দিতে হবে বলে মনে করেন মেদভেদেভ। তিনি চান, কিয়েভের সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক পরাজয়। তিনি আরো বলেন, কিয়েভের নাৎসি শাসনব্যবস্থা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ইউক্রেনের সাবেক সব ভূখণ্ড জুড়ে বেসামরিকীকরণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

রাশিয়ার সাবেক এ প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেছেন, যারা পালিয়ে গিয়েছে, রাশিয়াকে তাদের খুঁজে বের করতে হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। নাৎসি শাসনের মূল হোতাদের অবস্থান বের করতে হবে এবং কোনো রকম সীমাবদ্ধতা ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ পদক্ষেপ না নিতে পারলে নাৎসি শাসনের মূল হোতারা শান্ত হবে না বলে মনে করেন সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।

 


আরও খবর