Logo
শিরোনাম

নারীদের কীভাবে নির্যাতন করা হয়, দেখাল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের সময় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ঠেকানোর জন্য মেয়েদের ও মহিলাদের যৌন নির্যাতন করেছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয়ের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মহিলা বিক্ষোভকারীদের উপর শারীরিক আক্রমণ প্রায়শই মুখ, বুক, শ্রোণী এবং নিতম্বের মতো নির্দিষ্ট শরীরের অংশগুলোকে লক্ষ্য করে করা হত, কারণ অপরাধীরা কেবল ব্যথা দেওয়ার জন্যই নয় বরং স্পষ্টতই নারীদের তাদের লিঙ্গের ভিত্তিতে অপমানিত ও অবমাননা করার চেষ্টা করেছিল।

ওএইচসিএইচআর গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেনেভা অফিস থেকে ‘২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের বিক্ষোভের সাথে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, নারী প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে সহিংসতা প্রায়শই লিঙ্গ-ভিত্তিক ছিল, যা বিশেষভাবে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অপমানজনক ধরনগুলোকেই প্রতিফলিত করে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, অপরাধীরা নারীদের অংশগ্রহণকে বাধাগ্রস্ত করার, আন্দোলনের মধ্যে নারী নেতৃত্বকে দুর্বল করার এবং প্রতিষ্ঠিত পুরুষতান্ত্রিক রীতিনীতিকে শক্তিশালী করার হাতিয়ার হিসেবে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা চালিয়েছিল।

শারীরিক সহিংসতার পাশাপাশি নিয়মিতভাবে লিঙ্গ-ভিত্তিক অপমান করা হত, মহিলা বিক্ষোভকারীদের প্রায়শই নানা ধরনের অন্যান্য অবমাননাকর শব্দ যেমন ‘বেশ্যা’, ‘মাগী’ এবং ‘পতিতা’ বলে উল্লেখ করা হতো।

ওএইচসিএইচআর উল্লেখ করেছে যে, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পুরুষ এবং পুলিশ অফিসাররা প্রায়শই ধর্ষণ, জোরপূর্বক নগ্ন করা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধরনের যৌন সহিংসতার মৌখিক হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে যে, তারা আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা শারীরিক যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তির নির্যাতনের বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ পেয়েছে।

একটি ঘটনায়, আগস্টের শুরুতে ঢাকায় বাঁশের লাঠি হাতে একদল লোক একজন মহিলাকে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করে যে, সে একজন বিক্ষোভকারী কি না।

জাতিসংঘের তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুসারে, তার ব্যাগ ও ফোন তল্লাশি করে একটি বাংলাদেশি পতাকা পাওয়ার পর তারা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, তার চুল ছিঁড়ে ফেলে, তার জামা ছিঁড়ে ফেলে, তার স্তন ও নিতম্বে হাত দেয়, তার বুকে আঁচড় দেয় এবং যৌনতাসূচক গালিগালাজ করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, জুলাই মাসে ঢাকায় ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই সমর্থক একজন বিক্ষোভকারী মহিলা,তার মা এবং তার পরিবারের সকল মহিলাকে ধর্ষণের হুমকি দেয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, যৌনতাসূচক অশ্রাব্য গালিগালাজ করার সময় তার স্তন ও যৌনাঙ্গে হাত দেয়।

ঘটনার পর, ফোন করে ভুক্তভোগী তার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আবার ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন যে, ছাত্রলীগের লোকেরা কুমিঠ বেশ কয়েকজন মহিলাকে লাঞ্ছিত করেছিল, এদের মধ্যে দুইজন ছাত্রীকে তারা আটক ও হাত দিয়ে নির্যাতন করে এবং পরে পুলিশে সোপর্দ করে।

বাংলাদেশের ভুক্তভোগীরা প্রায়শই কার্যকর রিপোর্টিং ব্যবস্থার অভাব, অপরাধীদের কাছ থেকে প্রতিশোধের ভয়, বিশেষ করে যদি তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হন এবং ব্যাপক সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে যৌন সহিংসতার রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকেন।

জাতিসংঘের অধিকার সংস্থা আরো বলেছে, ঘটনার শিকার ব্যক্তিরা অনেক সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, মনোসামাজিক এবং আইনি পরিষেবাও পান না। এমনকি যদি তারা রিপোর্ট করতে ইচ্ছুক হন, তবুও তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা, সম্মান এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দেয়া হয় না।

ওএইচসিএইচআর বলেছে, সম্ভবত তারা ঘটনা নথিভুক্ত করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি ঘটনা ঘটেছে এবং তাই যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে লিঙ্গ-সংবেদনশীল ঘটনা তদন্তের জন্য দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করছে।


আরও খবর



জুলাই কন্যা’দের অভিনন্দন জানালেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

জুলাই কন্যারা ২০২৫ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মর্যাদাপূর্ণ ‘আন্তর্জাতিক সাহসী নারী’ পুরস্কার অর্জন করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই কন্যাদের সাহসিকতার প্রতীক অভিহিত করে শনিবার (৩০ মার্চ) তাদের অভিনন্দনবার্তা পাঠান তিনি।

অভিনন্দনবার্তায় জুলাই কন্যাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমাদের সবাইকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই স্বীকৃতি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে তোমাদের অসাধারণ সাহসিকতা, নেতৃত্ব এবং অটল অঙ্গীকারের শক্তিশালী প্রমাণ; সেই সংকটময় সময়ে তোমাদের কৃতি সত্যিকার সাহসিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা কেবল প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওনি, একই সঙ্গে অস্থির একটি সময়ে জাতিকেও আশা দিয়েছ।

অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, পুরস্কারে যেমনটি বলা হয়েছে, অটল সংকল্পের সঙ্গে তোমরা সহিংস দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছ, নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণের মুখে তোমরা পুরুষ সহ-সংগ্রামীদের সামনে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছ। ইন্টারনেট যখন বন্ধ ছিল তখনো মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছ।

অভিনন্দন বার্তায় ড. ইউনূস বলেন, তোমাদের শক্তি, দৃঢ়তা এবং দৃঢ় সংকল্প বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী অগণিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। তোমাদের নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টা আমাদের সকলের কাছে স্মরণ করিয়ে দেয় যে ন্যায়বিচারের সাধনা কখনই সহজ নয়, তবে তা সর্বদা সার্থক। তোমরা বিশ্বকে দেখিয়েছ যে প্রকৃত নেতৃত্ব এবং ত্যাগ কেমন হয় এবং তোমাদের সাহসের মাধ্যমে তোমরা বাংলাদেশের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং আরও ন্যায়সংগত ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করেছ।

জুলাই কন্যাদের জন্য দেশবাসী গর্বিত উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমরা ভীষণভাবে গর্বিত এবং এটি তোমাদের প্রাপ্য এক স্বীকৃতি যা তোমাদের অটল স্পৃহাকে প্রতিফলিত করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তোমাদের সাথে আছে এবং একসাথে আমরা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতার আদর্শের দিকে কাজ চালিয়ে যাব, যা তোমরা এত সাহসের সাথে রক্ষা করেছ।

ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে তোমাদের সম্মুখসারিতে এবং কেন্দ্রীয় ভূমিকায় পাওয়ার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

তোমরা সমগ্র বাংলাদেশকে গর্বিত করেছ’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আরও একবার এই অসাধারণ অর্জনের জন্য অভিনন্দন।


আরও খবর



ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী পুতিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া স্থায়ী শান্তি চুক্তি করতে আগ্রাহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত উইটকফ। গতকাল সোমবার তিনি বলেন, রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি চুক্তির জন্য আগ্রহী।তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পুতিনের সাথে আলোচনার পর স্টিভ উইটকফ একথা বলেন।

ট্রাম্প মস্কো ও কিয়েভকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে রাশিয়ার ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বারবার আলোচনা সত্ত্বেও ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনও বড় ছাড় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

শুক্রবার, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত জানুয়ারিতে রিপাবলিকান দলের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে এটি তাদের তৃতীয় বৈঠক।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফক্স নিউজের এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ বলেন, তিনি একটি শান্তি চুক্তি উদীয়মান দেখছেন। পুতিনের দুই প্রধান উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ ও কিরিল দিমিত্রিভ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

উইটকফ বলেন, পুতিনের অনুরোধ হলো এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তাই যুদ্ধবিরতির বাইরেও আমরা এর উত্তর পেয়েছি। এই জায়গায় পৌঁছাতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমরা এমন কিছুর দ্বারপ্রান্তে এসে পড়েছি, যা বৃহত্তরভাবে বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।


আরও খবর

মার্কিন হামলায় ইয়েমেনে নিহত ১২

সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫




ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় কমেছে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রোজার ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে দেশে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৮২৬ জন।

আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন নিহত এবং ৮৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংগঠনটির পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের রোজার ঈদের সাথে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে ২১ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং আহত কমেছে ৪০ দশমিক ৪১ শতাংশ। আগের বছরের ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জনের প্রাণহানি হয়েছিল এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন।

ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় এবং ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত ধাপে ধাপে ও স্বস্তিদায়ক হওয়ার কারণে গেলবারের তুলনায় এবার সড়কে হতাহতের সংখ্যা কমে এসেছে বলে তাদের পর্যবেক্ষণে তুলে ধরেছে এই সংগঠন। তাই দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার একগুচ্ছ সুপারিশে তারা ঈদের ছুটি বাড়ানোর বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজ বুধবার ঢাকার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ঈদযাত্রা শুরুর প্রথম দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার দিন ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনের দুর্ঘটনার তথ্য এসেছে এ প্রতিবেদনে। বরাবরের মতোই সংবাদমাধ্যমে আসা দুর্ঘটনার খবর সঙ্কলিত করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।


আরও খবর



বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক

প্রকাশিত:বুধবার ০২ এপ্রিল 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রংপুর জেলা প্রতিনিধি :

মিঠাপুকুর উপজেলার বলদীপুকুর চায়না ক্যাম্পে রাত হলেই চলে চুরির হিড়িক। হাইওয়ে কাজের জন্য বলদীপুকুর - জায়গীর মধ্যস্থলে অবস্থিত চায়না ক্যাম্প।সেখানে রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের চলে চুরির হিড়িক।ভিতরে কাজের আড়ালে তাদের রয়েছে আলাদা সোর্স, ভিতরে তারা নজরদারি করে রাখে কোন মালমাল চুরি করা সহজ হবে।হাইওয়ের কাজে ব্যবহৃত মালামাল চুরি করতে  আলাদা কিশোর গ্যাং তৈরি করে রন্জু আহমেদ।চায়না ক্যাম্পে তাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে,রাত হলেই রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাং দেশীয় অস্ত্র সহ বিভিন্ন ভাবে ক্যাম্পে প্রবেশ করে।তার কিশোর  গ্যাংয়ের সদস্যরা চায়না ক্যাম্পের বিভিন্ন পয়েন্টে দেশীয় অস্ত্র সহ অবস্থান নেয়।সুযোগ বুঝে তারা চুরি করা মালামাল টিনের প্রাচীর ভেদ করে বাহিরে থাকা সদস্যদের কাছে পারাপার করে।চুরি শেষ হলেই তার গ্যাংয়ের সদস্যদের যেকোনো একজনের বাড়িতে রাখে।রন্জু আহমেদ রংপুরে ইলেক্ট্রিকের কাজ করে বিধায় তার চুরির মালামাল বিক্রি করা সহজ হয়।চুরির মালামাল বহনের জন্য তারা নিজেদের  আলাদা ভ্যানগাড়ি ব্যবহৃত হয়।ভ্যান গাড়িতে মালামাল তোলার পর রন্জু আহমেদের কাছে পৌছানোর পর্যন্ত তারা মোটরসাইকেল দিয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। সেগুলো বিক্রি করে তারা গভীর রাতে বিভিন্ন হোটেলে খাবার খেয়ে মাদকের আসর জমায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের গ্যাংয়ের এক সদস্য বলেন, আমরা চায়না ক্যাম্পে থাকা সোর্সকে দিয়ে সেখানেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করেছি এমনকি চাইনিজ অস্ত্রসহ।আমাদের দলের সকল সদস্যের কাছে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আমরা প্রথমে ভিতরে প্রবেশ করি, আমাদের সোর্সের দেয়া তথ্য মতে সেগুলো বাহিরে বের করি।কিছুদিন সিকিউরিটি গার্ড ঝামেলা করেছিলো,পরে তাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে এগুলো চুরি করি। এখন আর সমস্যা নেই, আমরা যা চুরি করি তা সিকিউরিটি গার্ডদের কয়েকজনকে ভাগ দেই।


পরে সিকিউরিটি গার্ডদের কাছে তথ্য নিতে গেলে তারা জানান,আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি, এখানে কিশোর গ্যাং রাত হলেই চলে আসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে।কখন কাকে তারা মেরে ফেলে তার কোনো গ্যারান্টি নেই।

উল্লেখ্য, রন্জু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া চলাফেরায় এলাকার মানুষ আতংকিত। কারণ তারা চুরির মালামাল বিক্রি করে নেশা সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে গেছে।


আরও খবর



রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২০ এপ্রিল ) বিকেলে অভিযান 

চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীনকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান,গত ২৬আগষ্ট উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নি সংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার সাথে জরিত সন্দেহে আওয়ামীলীগ নেতা মফিজ উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীন উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত কোকাই প্রামানিকের ছেলে।তাকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর