সম্পর্কে
থাকা মানে একে অপরের অনেক বিষয়ে ছাড় দেওয়া, মানিয়ে চলা। দুজনের মধ্যে মনের মিল
থাকলে অনেক বিষয়ই সহজ হয়ে যায়। প্রেমের আগে পছন্দ হওয়াটা জরুরি। যাকে ভালো লাগে,
ধীরে ধীরে মানুষ তাকে ভালোবাসতে শুরু করে হয়তো, কিন্তু যাকে ভালোই লাগে না, তাকে
ভালোবাসা তো সম্ভব নয় !
নারীর
যেমন পুরুষের বিভিন্ন দিক ভালো বা খারাপ লাগে, পুরুষের ক্ষেত্রেও থাকে এরকম কিছু
বিষয়। নারীর কিছু স্বভাব আছে যা কোনো পুরুষেরই পছন্দের নয়। এ ধরনের স্বভাব থাকলে
সেই নারীকে কোনো পুরুষ পছন্দ করে না, সম্পর্কে জড়ানো তো অনেক পরের কথা। এমন কিছু
ভুল হয়তো নিজের অজান্তেই থেকে যায়। এ ধরনের ভুল থাকলে নিজেকে শুধরে নেওয়াই উত্তম।
তাতে শুধু পুরুষ কিংবা নারীর কাছে নয়, পছন্দের একজন হতে পারবেন সবার কাছেই-
প্রয়োজনের
চেয়ে বেশি কথা বলার স্বভাব রয়েছে অনেকেরই। তারা অহেতুক নানা ধরনের কথা বলেই যান।
অপরদিকে তাদের বকবকানিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন আশেপাশের সবাই। একবার কথা শুরু করলে
থামতেই চান না যেন। নারীর ভেতরে এমন স্বভাব থাকলে পুরুষেরা তাকে এড়িয়ে চলেন। কারণ
সারাক্ষণ কানের কাছে বকবকানি কে আর শুনতে চাইবে!
অহংকারী
বা দাম্ভিক স্বভাবের নারী আপনার আশেপাশেই দেখতে পাবেন। আসলে এ ধরনের মানুষকে কেউ
পছন্দ করে না। এ ধরনের নারীরা অহংকারের বশে এমন কিছু কথা বলে ফেলেন যেগুলো কারও
কারও মন ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই কারও ভেতরে এ ধরনের স্বভাব দেখলে সতর্ক হোন।
দাম্ভিকতা মোটেই ভালো কোনো অভ্যাস নয়।
পরচর্চা
কিংবা পরনিন্দায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই এগিয়ে থাকে! এদিকে আপনি বিশ্বাস করেন
বা না করেন, অধিকাংশ পুরুষ এই বিষয়টিকে ভীষণ অপছন্দ করেন। মুখ ফসকে কিছু বলে ফেলা
আর ইচ্ছাকৃতভাবে নিন্দা করায় পার্থক্য আছে। এই পার্থক্য খুব সহজেই চোখে পড়ে। যেসব
নারী পরচর্চায় ব্যস্ত থাকেন, পুরুষের অপছন্দের তালিকার শুরুতেই তারা থাকেন।
কেউ কেউ
থাকেন, যারা বড় ধরনের কোনো কারণ ছাড়াই এই স্বভাবটি একবার কারও কাছে ধরা পড়লে তিনি
কি আর সেই মিথ্যাবাদীকে পছন্দ করেন! কথায় কথায় এভাবে মিথ্যা বলা নারীকে পুরুষেরা
এড়িয়ে চলতে চান। তাদের মিথ্যার জালে জড়াতে চান না। আপনার ভেতরেও যদি এ ধরনের
স্বভাব থাকে তবে তা বাদ দিন। কারণ এই স্বভাব দিনশেষে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে
পারে।
অনেক
নারী থাকেন, যারা কাউকেই পাত্তা দিতে চান না। তারা নিজেকে বড় কিছু ভেবে থাকেন।
এরকম স্বভাবের মানুষকে কেউই পছন্দ করেন না। নিজেকে বড় এবং অন্যকে ছোট ভাবার অভ্যাস
আছে যে নারীর, তাকে পুরুষেরা অপছন্দ করেন। এ ধরনের স্বভাবের কারণে কাউকে আপন করা
সম্ভব হয় না।