Logo
শিরোনাম

নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ কিনবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক:


ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। যার প্রতি ইউনিট ব্যয় হবে ৮ টাকা ১৭ পয়সা।



আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে এ জলবিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এটিসহ আরও ১৫টি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।



উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে হত্যা

সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে সিঙ্গাপুর থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার, যেখানে শুধু জাহাজ ভাড়া বা প্রিমিয়াম পড়বে ১৩ হাজার ৮৭৬ দশমিক ৫৩ কোটি টাকা। 


টিসিবির মাধ্যমে সরকার স্থানীয়ভাবে ডাল ও ভোজ্যতেল কিনবে। মসুর ডাল কিনবে ১০ হাজার মেট্রিক টন, যার মোট খরচ ২০৫ কোটি টাকা। আর ৩৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় সয়াবিন তেল কিনবে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার। সরকার সারও কিনবে বিভিন্ন উৎস থেকে।


তিউনিশিয়া থেকে ১১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার, কানাডা থেকে ১২৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার, মরক্কো থেকে ২২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, কাতার থেকে ১১০ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্র্যানিউলার ইউরিয়ার সার এবং কাফকো থেকে ১০৬ কোটি ২ লাখ টাকায় ৩০ হাজার বাল্ক গ্র্যানিউলার ইউরিয়ার সার কেনা হবে।


এছাড়া আগামী ১ বছরের জন্য জিটুজি পদ্ধতিতে কাতার ও সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।



বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, 'ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসবে এই বিদ্যুৎ। ভারত হয়ে ওই বিদ্যুৎ আসবে বলে ভারতকে ট্রেডিং মার্জিন হিসেবে দিতে হবে ইউনিট প্রতি দশমিক ০৫৯ রুপি। ভারতকে ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে; তবে তা এখনও নির্ধারিত হয়নি। '


এই বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৫ বছরের জন্য ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।


মাহমুদুল হোসাইন খান আরও জানান, নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ বিষয়ে চুক্তি করবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফরের সময় কবে থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে, সেই বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।



আরও খবর



টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

টাকা ছাপিয়েও ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)-এর ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে দুর্নীতির শিকার হওয়া ব্যাংকগুলোকে বাঁচানোর জন্য সরকার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে রক্ষা করতে অনেক টাকা ছাপানো হচ্ছে। বর্তমানে ব্যাংক রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান কমেছে, তাই প্রবাসী আয় বেড়েছে। টাকা পাচার কমেছে, সেটা তেমন দৃশ্যমান হচ্ছে না, কারণ ভবিষ্যতের জন্য রোডম্যাপ করতে হবে। এক বছরের পরিকল্পনায় হবে না।

বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসতে চাইবে না। তবে এতকিছুর মধ্যেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। জিনিসপত্রের দামও কমেছে বলে জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটুকু প্রকাশ করা হবে তত স্বচ্ছতা বাড়বে। আগের সরকার যেসব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করছিল তাতে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তো। এতে সরকারও টিকে থাকতে পারতো না। টাকা ছাপানো, টাকা পাচারের ফলে রিজার্ভ থাকতো না। বৈদেশিক লেনদেন ঠিক থাকতো না। ব্যাংকগুলো খালি হয়ে যাচ্ছিলো। শেষের দিকে ব্যাংকগুলো খালি হয়ে বন্ধ হয়ে যেতো।

এসময় তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন দিক নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিটিভিতে সরকারের সমালোচনার জন্য টক শো হোক। পরিকল্পনা কমিশনের অনিয়ম যতটা প্রকাশ হবে, ততটা স্বচ্ছতা বাড়বে।

ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামানের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মুহিব।


আরও খবর



যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমলে তা হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।  
এ বিষয়টি অনেকেরই জানা।

তারপরেও অনেকেরই পেটে জমে যায় মাত্রাতিরিক্ত চর্বি। এটি কমানোর জন্য অনেকেই ব্যায়াম থেকে শুরু করে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা পর্যন্ত অনেক ধরনের কাজই করেও কোনো সুফল পাননি। এর কারণ হিসেবে থাকতে পারে ভুল ডায়েটিং কিংবা ভুল শারীরিক অনুশীলনের মতো বিষয়। আজকের লেখায় থাকছে তেমনই কয়েকটি বিষয়, যা আপনার পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দেহের নানা মাপকাঠি পরিবর্তিত হয় এবং এতে ওজনও বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষ বা নারী, উভয়েরই দেহের ওজন বাড়তে পারে।

* মধ্যবয়সী নারীদের মেনোপজের জন্য পেটে বাড়তি চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে ভালো খবর হলো, চিকিৎসকের সহায়তায় এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।

* অনেকেই বড় কোনো ব্যায়াম প্রোগ্রামের একাংশের ব্যায়াম করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি শুধু হৃৎপিণ্ডের জন্য ব্যায়াম করেন তাহলে তা পেটের চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখবে না। এজন্য সঠিক ব্যায়াম করতে হবে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম বা ১২৫ মিনিট উচ্চমাত্রার নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে।

* আপনার কি অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? ক্র্যাকার্স, চিপস, পরিশোধিত চিনি, কোমল পানীয়, মিষ্টি খাবার ইত্যাদি আপনার পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া খাবার যেমন ফলমূল, সবজি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার আপনার পেটে চর্বি জমা থেকে রক্ষা করবে।

* মানবদেহ সব ধরনের চর্বিতে একই আচরণ করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রায় দ্রবীভূত চর্বি (মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের চর্বি) গ্রহণ পেটের চর্বি বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে কিছু উদ্ভিদ, মাছ, সূর্যমুখী তেল ও অলিভ অয়েলে থাকা অদ্রবীভূত চর্বি ক্ষতিকর নয়। বরং সঠিকভাবে খেলে পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণেও এগুলো ভূমিকা রাখে। অবশ্য মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো খাবার খাওয়াই ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

* পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেকেই অল্পমাত্রায় শারীরিক অনুশীলন করেন। কিন্তু কিছুদিন অনুশীলনের পর কোনো উপকার পান না। এর কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত অনুশীলন। তাই শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে।

* আপনার পেটের চর্বি কমানোর সামান্য লক্ষণ দেখা গেলেই কি অনুশীলন বাদ দেন? ব্যায়াম পুরোপুরি সফল হওয়ার আগেই যদি আপনি অনুশীলন ছেড়ে দেন তাহলে এর ফলাফল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া রয়েছে শুধু পেটের অনুশীলনের মতো কাজ করা। এক্ষেত্রে সারা দেহের জন্য সুষম অনুশীলন করা হতে পারে সঠিক উপায়।

* আপনার যদি কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, সন্তান ইত্যাদি নিয়ে অতিরিক্ত চাপের মাঝে থাকতে হয় তাহলে তা পেটের চর্বি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য উপায় প্রয়োগ করার আগে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

* আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর অন্যতম রূপ হতে পারে পেটের চর্বি বৃদ্ধি। এজন্য ব্যক্তিভেদে প্রতি রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানোর প্রয়োজন হয়।

* অনেকের দেহের মাঝখানের অংশ বিশেষ করে পেট, থাই, উরু ইত্যাদি গঠনগত কারণেই মোটা থাকে। জেনেটিক কারণেই এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেটের চর্বি কমানো কঠিন; তবে অসম্ভব নয়। এজন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়।

* টেস্টোস্টেরোনের মাত্রার ওপর দেহের অনেক বিষয় নির্ভর করে। এ হরমোনটি দেহে উচ্চমাত্রায় থাকলে তা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

* পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহের সঙ্গে অনুশীলন করার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান আবার সব উপায়গুলো ঠিকঠাক মেনে না চলেন তাহলে তা কোনো উপকারে আসবে না।


আরও খবর

স্নিগ্ধ সাজে নতুন বছরকে বরণ

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫




জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব.

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

১) জুম’আর দিন গোসল করা। 

(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।

২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)

৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)

৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)


৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)


৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)


১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)


১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)


১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)


১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। (বুখারীঃ ৯৩৫)


১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)


১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)


১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)


১৭) মসজিদে গিয়ে ফরজের আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা আদায় করা।(আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ১২৬৭৪) (আল মুজামুলআওসাত,

হাদিস: ১৬১৭) 


১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকির বা কোন শিক্ষামূলক হালাকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ ১০৮৯)


১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা তাকে থামার জন্য ইশারা করা। (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)


২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)


২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)


২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)


২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)


২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯)


২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)


২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)


২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া,বা প্রচুর জনবসতি থাকা,বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া,বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)


২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)


২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)


৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।


৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)


৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া,যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)


৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।

৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।

৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)


৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে,ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)


৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)

৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫




পরিশুদ্ধ ক্বলব ব্যতিত্ব আল্লাহর দরবারে কোন ইবাদত কবুল হয়না

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

-শাহসূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী :

ক্বলব সম্পর্কিত কোরআনের ১২৪ টি আয়াত

(১) হেদায়াতের কেন্দ্র হল ক্বলবঃ

যে আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনবে আল্লাহ্‌ তাঁর ক্বলবকে হেদায়াত দান করবেন ।

— সূরা তাগাবুন –আয়াত ১১


(২) ঈমানের নির্ধারিত জায়গা হল ক্বলবঃ

আল্লাহ্‌ তাঁদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ঈমানকে নির্ধারন করে দিয়েছেন ।

— সূরা মুজদালাহ, আয়াত ২২


(৩) ইমানদার হবার জন্য ক্বলবের ভিতরে ঈমানকে প্রবেশ করাতে হয়ঃ

এখনো তোমাদের ক্বলবের মধ্যে ঈমান প্রবেশ করেনি। (সুতরাং তোমরা ইমানদার নও)।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩


(৪) ঈমানকে সুসজ্জিত করার জায়গা হল ক্বলবঃ

কিন্তু আল্লাহ্‌ তোমাদের কাছে ঈমানকে পছন্দনীয় করেছেন এবং একে (ঈমানকে) তোমাদের ক্বলবের মধ্যে সুসজ্জিত করেছেন।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ৭


(৫) ক্বলবই ঈমান আনেঃ

হে রাসূল ! আপনি তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা ঈমান এনেছি, অথচ তাদের ‘ক্বলব’ ঈমান আনেনি

— সূরা মায়েদাহ্‌ আয়াত ৪১


(৬) ‘ক্বলব’কে ঈমানের সাথে অবিচল রাখতে হয়ঃ

কেউ তাঁর ঈমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফরীর জন্য উন্মুক্ত রাখলে তাঁর ওপর পতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাঁর জন্য আছে মহাশাস্তি; তবে তাঁর জন্য নয়, যাকে কুফরীর জন্য জবরদস্তি করা হয় কিন্তু তাঁর ‘ক্বলব’ ঈমানে অবিচল থাকে ।

— সূরা নহল, আয়াত ১০৬


(৭) আল্লাহর মাহাত্ন্যের ভয়ে ক্বলবের কেঁপে উঠাই খাঁটি ঈমানের পরিচয়ঃ

(একমাত্র খাঁটি) মুমিন তো তারাই যাদের সামনে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের ‘ক্বলব’সমূহ কেঁপে উঠে; তথা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ২


(৮) আলাহর মাহাত্ন্যের ভয়ে ক্বলব কেঁপে উঠলেই (ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লেই) সুসংবাদঃ

(হে নবী !) সুসংবাদ দিয়ে দিন সে সমস্ত বিনয়ী কোমল-প্রাণ লোকদেরকে, যাদের সামনে আল্লাহর কথা উল্লেখ করা হলে তাদের ক্বলব (আল্লাহর মাহাত্ন্যের) ভয়ে কেঁপে উঠে ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩৪-৩৫


(৯-১০) তাকয়ার কেন্দ্র হল ক্বলবঃ

নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর রাসূলের সামনে নিজেদের কন্ঠস্বর নিচু করে আল্লাহ তাদের ‘ক্বলব’কে তাকওয়ার জন্য পরিক্ষা করেছেন ।

— সূরা হুজুরাত, আয়াত ৩


কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তাঁর ক্বলবের তাকওয়ার লক্ষন ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৩২


(১১) ‘ক্বলব’ই আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি পায়ঃ

যারা ঈমান আনে এবং তাদের ক্বলব আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখো, আল্লাহর জিকির দ্বারাই ক্বলবসমূহ শান্তি পায় ।

— সূরা রা’দ, আয়াত ২৮


(১২) কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছে রাসূল (সঃ) এর ক্বলবের মধ্যেঃ

অতঃপর নিশ্চয়ই তিনি (জিব্রাঈল ফেরেশতা) আল্লাহর আদেশে এ কালাম (কোরআন শরীফ) আপনার ক্বলবের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৯৭


(১৩) ঈমানদারদের ‘ক্বলব’ আল্লাহর স্মরণে বিগলিত হয়ে যায়ঃ

যারা ঈমানদার তাদের ‘ক্বলব’ আল্লাহর যিকিরে বিগলিত হওয়ার সময় কি আসে নি ?

— সূরা হাদীস, আয়াত ১৬


(১৪) ‘ক্বলব’ই গুনাহগার হয়ঃ

যে কেউ তা গোপন করবে, তাহলে অবশ্যই তাঁর ক্বলব গুনাহ্‌গার হবে ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৩


(১৫) গুনাহ্‌ দ্বারা মরিচা পড়ার জায়গা হলো ক্বলবঃ

কখনও না, বরং তারা যা কিছু (গুনাহ্‌) উপার্জন করে তাই তাদের ক্বলবের উপর মরিচা ধরিয়ে দিচ্ছে ।

— সূরা মুতাফফিফিন, আয়াত ১৩


(১৬) ক্বলবের উপর ছাপ পড়ে যায়ঃ

আল্লাহ এদের ক্বলবসমূহের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন ।

— সূরা মোহাম্মদ, আয়াত ১৬


(১৭) সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্বলবের উপর ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আমি সীমালঙ্ঘনকারীদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেই ।

— সূরা ইউনুস, আয়াত ৭৪


(১৮) অহঙ্কারী-উৎপীড়ক ব্যক্তির ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এমনিভাবে আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী-উৎপীড়ক ব্যক্তির ক্বলবের মধ্যে ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা আরাফ, আয়াত ৩৫


(১৯-২০) কাফেরদের ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আল্লাহ কাফেরদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা আ’রাফ, আয়াত ১০১


কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন । ফলে তারা ঈমান আনে না কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক ।

— সূরা নিসা, আয়াত ১৫৫


(২১) জ্ঞানহীনদের ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়েঃ

এভাবেই আল্লাহ জ্ঞানহীনদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দেন ।

— সূরা রুম, আয়াত ৫৯


(২২) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে অবুঝ হয়ে যায়ঃ

তাদের ক্বলবসমূহের উপর ছাপ পড়ে গেছে । ফলে তারা বুঝে না ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৮৭


(২৩) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে জ্ঞানহীন হয়ে যায়ঃ

আর আল্লাহ তাদের ক্বলবের উপর ছাপ মেরে দিয়েছেন । ফলে তারা জানে না ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৯৩


(২৪) ক্বলবের মধ্যে ছাপ পড়লে আর শুনতে পায় নাঃ

আমি তাদের ক্বলবসমূহের ওপর ছাপ মেরে দিয়েছে । কাজেই তারা শুনতে পায় না ।

— সূরা আ’রাফ, আয়াত ১০০


(২৫) ক্বলব অন্ধ হয়ে যায়ঃ

বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ হয় না, কিন্তু ঐ ক্বলবই অন্ধ হয় যেই ক্বলব হলো বুকের মধ্যে ।

— সূরা হজ্জ, আয়াত ৪৬


(২৬) ক্বলবের মধ্যে তালা লেগে যায়ঃ

তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না, না তাদের ক্বলব তালাবদ্ধ ?

— সূরা মোহাম্মদ, আয়াত ২৪


(২৭-২৯) ক্বলবের মধ্যে আবরণ পড়েঃ

এটা বুঝতে আমি তাদের ক্বলবের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি ।

— সূরা আন’আম, আয়াত ২৫


আমি তাদের ক্বলবের উপর আবরণ রেখে দেই, যাতে তারা একে উপলব্ধি করতে না পারে এবং তাদের কর্ণকুহরে বোঝা চাপিয়ে দেই।

— সূরা বনী ঈসরাঈল, আয়াত ৪৭


আর তারা বলে, আপনি যে বিষয়ের দিকে আমাদেরকে দাওয়াত দেন, সে বিষয়ে আমাদের ক্বলবের উপর আবরন রেখে দিয়েছি ।

— সূরা হা-মীম সেজদাহ্‌, আয়াত ৫


(৩০-৩১) ক্বলব আচ্ছন্ন হয়ে যায়ঃ

এবং তারা বলে, আমাদের ক্বলবসমূহ আচ্ছন্ন; বরং আল্লাহ তাদের কুফরের কারণে অভিসম্পাত করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৮৮


এবং তাদের এই উক্তির দরুন, “আমাদের ক্বলব আচ্ছন্ন” ।

— সূরা নিসা, আয়াত ১৫৫


(৩২-৩৩) ক্বলব দ্বারাই বুঝতে হয়ঃ

আর আমি ছেড়ে দিয়েছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে । তাদের ক্বলব আছে, তাঁর দ্বারা বুঝে না, তাদের চোখ আছে, তাঁর দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান আছে, তার দ্বারা শুনে না । তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো; বরং তাঁর চেয়েও নিকৃষ্ট । তারাই হলো গাফেল ।

— সূরা আরাফ, আয়াত ১৭৯


তারা কি দেশ ভ্রমন করে নি, যাতে তাদের জন্য এমন ক্বলব হয়ে যায়, যার দ্বারা তারা বুঝতে পারে ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৪৬


(৩৪-৩৫) সন্দেহ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

একমাত্র তারাই আপনার কাছে অব্যাহতি চায়, যারা আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে না এবং তাদের ক্বলব সন্দেহগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সুতরাং তাদের সন্দেহের আবর্তে তারা ঘুরপাক খেয়ে চলেছে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৪৫


তাদের নির্মিত গৃহটি তাদের ক্বলবে সদা সন্দেহের উদ্রেক করে যাবে যে পর্যন্ত না তাদের ক্বলবগুলো চৌচির হয়ে যায়।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১১০


(৩৬) রাগ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

এবং তাদের ক্বলবের রাগ দূর করবেন ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১৫


(৩৭) মঙ্গল চিন্তার জায়গা হলো ক্বলবঃ

আল্লাহ যদি তোমাদের ক্বলবের মধ্যে কোন রকম মঙ্গলচিন্তা (ঈমান ও নিষ্ঠা) রয়েছে বলে জানেন, তবে তোমাদেরকে তাঁর চেয়ে বহুগুন বেশী দান করবেন, যা তোমাদের কাছ থেকে বিনিয়ময়ে নেয়া হয়েছে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৭০


(৩৮) ক্বলব নরম হয়ে আল্লাহর জিকিরে ঝুঁকে পড়েঃ

অতঃপর তাদের ক্বলব এবং চামড়া নরম হয়ে আল্লাহর জিকিরে ঝুঁকে পড়ে । এটাই আল্লাহর পথনির্দেশ (হেদায়াত); এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন ।

— সূরা যুমার, আয়াত ২৩


(৩৯) অবিশ্বাস থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

এমনিভাবে আমি গুনাহ্‌গারদের ক্বলব ক্বলবের মধ্যে এটা (অবিশ্বাস) সঞ্চার করেছি ।

— সূরা শু’আরা, আয়াত ২০০


(৪০) ঠাট্টা বিদ্রুপ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

ওদের (কাফেরদের) কাছে এমন কোণ রাসূল আসেন নি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতে থাকে নি । এমনিভাবে আমি পাপীদের ক্বলবের মধ্যে একে (ঠাট্টা বিদ্রুপ আচরনকে) সঞ্চার করি ।

— সূরা হিজর, আয়াত ১২


(৪১) মুনাফেকী থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ

তারপর এরই পরিনতিতে তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে মুনাফেকী সংযোজিত করলেন সেদিন পর্যন্ত; যেদিন তারা তাঁর সাথে গিয়ে মিলবে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৭৭


(৪২) মুনাফেকী ক্বলবের মধ্যে গোপন থাকেঃ

মুনাফিকেরা এ ব্যাপারে ভয় করে, মুসলমানদের উপর না জানি এমন কোন সূরা নাযিল হয়, যা তাদের ক্বলবসমূহের গোপন বিষয় সংবাদ দিয়ে দিবে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ৬৪


(৪৩-৪৪) মুনাফেকী থেকে মুক্ত থাকতে হলে মুখের সাথে ক্বলবকে মিল রাখতে হয়ঃ

তারা (মুনাফিকেরা) নিজেদের মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের ক্বলবের মধ্যে নেই ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৬৭


তারা (মুনাফিকেরা) নিজেদের মুখে এমন কথা বলে, যা তাদের ক্বলবের মধ্যে নেই ।

— সূরা ফাতাহ, আয়াত ১১


(৪৫-৪৮) ক্বলবের মধ্যে মোহর মারা হয়ঃ

আল্লাহ তাদের ক্বলবসমূহের উপর মোহর মেরে দিয়েছেন । (অর্থাৎ ক্বলব বন্ধ করে দিয়েছেন) ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৭


আর যদি আল্লাহ তোমাদের ক্বলবের উপর মোহর মেরে দেন তবে আল্লাহ ব্যতীত এমন উপাস্য কে আছে, যে তোমাদেরকে এগুলো এনে দিবে ?

— সূরা আন'আম আয়াত ৪৬


তিনি তাঁর ক্বলব এবং শ্রবণশক্তির উপর মোহর মেরে দিয়েছেন । সূরা জাছিয়াহ, আয়াত ২৩


আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে (হে নবী !) আপনার ক্বলবের উপর আপন রহমত ও হিফাযতের মোহর মেরে দিতেন ।

— সূরা শু’আরা, আয়াত ২৪


(৪৯-৫০) প্রশান্তি নাযিল হওয়ার জায়গা হলো ক্বলবঃ

তিনি মুমিনদের ক্বলবসমূহের মধ্যে প্রশান্তি নাযিল করলেন, যাতে তাদের ঈমানের সাথে আরও ঈমান বেড়ে যায় ।

— সূরা ফাতাহ্‌, আয়াত ৪


আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নিচে আপনার কাছে শপথ করল । আর আল্লাহ জানেন যা কিছু তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে আছে । অতঃপর তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন ।

— সূরা ফাতাহ্‌, আয়াত ১৮


(৫১) মুশরিকদের আচরণ হতে বাঁচতে হলে মুখের সাথে ক্বলবের মিল রাখতে হয়ঃ

তারা (মুশরিকেরা) মুখে তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের ক্বলবসমূহ তা অস্বীকার করে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত 8


(৫২) মানুষের ভিতরে ক্বলব একটিইঃ

আল্লাহ কোন মানুষের ভিতরে দুটি ক্বলব স্থাপন করেন নি ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৪


(৫৩) আল্লাহ তা’আলা ক্বলবের ইচ্ছা ও সংকল্পকেই ধরে থাকেনঃ


এ ব্যাপারে তোমাদের কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু তোমাদের ক্বলব যা ইচ্ছা সংকল্প করবে সে বিষয়ে গুনাহ্‌ হবে ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৫


(৫৪) ক্বলব খেলায় মত্ত হয়ে পড়েঃ


যখনই তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে কোন নতুন উপদেশ আসে, তারা তা খেলার ছলে শ্রবণ করে । তাদের ক্বলব থাকে খেলায় মত্ত ।

— সূরা আম্বিয়া, আয়াত ২-৩


(৫৫) ক্বলব বিনয়ী হয়ঃ


এবং এই কারণেও যে, যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে, তারা যেন জানতে পারে, এটা আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে সত্য; অতঃপর তারা যেন বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের ক্বলব যেন এর প্রতি বিনয়ী হয় ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৫৪


(৫৬) ক্বলব অগ্রগামী হবার জন্য এবং এবাদত দ্রুত সম্পাদন করার জন্য ভীত-কম্পিত ক্বলব তৈরী করা প্রয়োজনঃ


এবং যা দান করার তা যারা দান করে ভী-কম্পিত ক্বলব নিয়ে, এ কারণে যে, তারা তাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করবে । তারাই সৎ কাজ দ্রুত সম্পাদন করে এবং তাদে তারা অগ্রগামী হয় ।

— সূরা মুমিনুন, আয়াত ৬০-৬১


(৫৭) ক্বলব অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়ঃ

বরং তাদের ক্বলব এ বিষয়ে অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন ।

— সূরা মুমিনুন, আয়াত ৬৩


(৫৮-৬০) ক্বলব বক্র হয়ে যায়ঃ


অতঃপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের ক্বলবকে বক্র করে দিলেন ।

— সূরা ছাফ, আয়াত ৫


হে আমাদের পালনকর্তা ! আমাদেরকে হেদায়াত করার পর আমাদের ক্বলবকে বক্র করে দিবেন না ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৮


আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা তাঁর অনুসরণ করেছিল সঙ্কটকালে, তাদের একদলের ক্বলব বক্র হয়ে যাবার উপক্রম হবার পর । পরে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করলেন ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১১৭


(৬১) বক্রতা থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যাদের ক্বলবের মধ্যে বক্রতা আছে তারা ফিতনা ও অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে যা মুতাশাবেহ্‌ (রুপক) আয়াত সেগুলোর অনুসরণ করে থাকে ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ৭


(৬২) বিদ্বেষ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের ক্বলবের মধ্যে কোণ বিদ্বেষ রেখো না ।

— সূরা হাশর, আয়াত ১০


(৬৩) ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য ক্বলবের মিল থাকতে হয়ঃ


আপনি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করেন, অথচ তাদের ক্বলবসমূহ শতধাবিচ্ছিন্ন ।

— সূরা হাশর, আয়াত ১৩


(৬৪) আগের যুগের কাফের এবং পরের যুগের কাফেরদের মিল থাকার মাধ্যম হলো ক্বলবঃ


এমনিভাবে তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও তাদেরই অনুরুপ কথা বলেছে । তাদের ক্বলবসমূহ একই রকম সাদৃশ্যপূর্ন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ১১৮


(৬৫) ক্বলব সংকোচিত হয়ে যায়ঃ


যখন এক আল্লাহর কথা উচ্চারণ করা হয়, তখন যারা পরজীবনে বিশ্বাস করে না, তাদের ক্বলব সংকোচিত হয় যায় ।

— সূরা যুমার, আয়াত ৪৫


(৬৬-৬৭) ক্বলবের মধ্যে ভাল-মন্দ যা কিছু আছে সবই আল্লাহ তা’আলার জানাঃ


ওরা হলো সে সমস্ত লোক যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে যা কিছু (গোপন বিষয়) আছে সবই আল্লাহ জানেন ।

— সূরা নিসা, আয়াত ৫১


তোমাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে যা আহচে তা আল্লাহ জানেন ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৫১


(৬৮) ক্বলবকে পরিষ্কার করার পন্থা অবলম্বণ করা দরকারঃ


এবং যাতে করে তিনি তোমাদের ক্বলবের মধ্যে যা কিছু রয়েছে তা পরিষ্কার করে দিতে পারেন ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫৪


(৬৯) অনুতাপ থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যাতে আল্লাহ এক তাদের ক্বলবের মধ্যে অনুতাপে পরিনত করে দিতে পারেন ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫৬


(৭০-৭১) মোহাব্বত থাকার জায়গা হল ক্বলবঃ


অতঃপর আল্লাহ তোমাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে মোহাব্বত সঞ্চার করেছেন । 

--(সূরা আল ইমরান, আয়াত ১০৩


এবং তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে প্রীতি স্থাপন করেছেন । পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও আপনি তাদের ক্বলবসমূহে মোহাব্বত স্থাপন করতে পারতেন না; কিন্তু আল্লাহই তাদের মধ্যে মোহাব্বাত স্থাপন করেছেন ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৬৩


(৭২) নম্রতা ও দয়া থাকার জায়গা হল ক্বলবঃ

আর আমি তাঁর অনুসারীদের ক্বলবসমূহে নম্রতা ও দয়া স্থাপন করেছি ।

— সূরা হাদীস, আয়াত ১২৭


(৭৩) আল্লাহ তায়ালা (শপথের ব্যাপারে) 

ক্বলবের কাজকেই ধরেনঃ


কিন্তু (শপথের ব্যাপারে) আল্লাহ তোমাদেরকে ধরবেন সেসব বিষয়ে যা তোমাদের ক্বলব উপার্জন করেছেন ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ২২৫


(৭৪) গোবৎস প্রীতি পান করানোর জায়গা হল ক্বলবঃ


তাদের কুফরীর কারণ তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে গোবৎসপ্রীতি পান করানো হয়েছে ।

— সূরা বাকারা, আয়াত ৯৩


(৭৫-৭৮) ক্বলব ভয় পায়ঃ

তোমাদের ক্বলবসমূহ (ভয়ে) কন্ঠাগত হয়ে পড়েছিল ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ১০


আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন, যখন ক্বলবসমূহ (ভয়ে) কন্ঠাগত হওয়ার উপক্রম হবে ।

— সূরা মুমিন, আয়াত ১৮


সেদিন ক্বলবসমূহ ভীত-সন্ত্রস্ত হবে ।

— সূরা নাযিআত, আয়াত ৮


তারা ভয় করে সেই দিনকে, যেদিন ক্বলবসমূহ ও দৃষ্টিসমূহ (ভয়ে) উল্টে যাবে ।

— সূরা নূর, আয়াত ৩৭


(৭৯-৮৩) ভয়-ভীতি থাকার জায়গা হলো ক্বলবঃ


যার জন্যে অনুমতি দেয়া হয়, তাঁর জন্য ব্যতীত আল্লাহর কাছে কারও সুপারিশ ফলপ্রসূ হবে না । 

যখন তাদের ক্বলবসমূহ থেক ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে, তখন তারা পরস্পরে বলবে, তোমাদের পালনকর্তা কি বললেন? তদুত্তরে তারা বলবে, যা সত্য তিনি তাই বলেছেন ।

— সূরা সাবা, আয়াত ২৩


শীঘ্রই আমি কাফেরদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিব ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ১২


খুব শীঘ্রই আমি কাফেরদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিব ।

— সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৫১


তিনি তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিলেন ।

— সূরা হাশর, আয়াত ২


তিনি ক্বলবসমূহের মধ্যে ভয় ঢেলে দিলেন ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ২৬


(৮৪-৯৫) ক্বলবের মধ্যে রোগ থাকেঃ

যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে রোগ আছে, তারা কি মনে করে যে, আল্লহ তাদের অন্তরের বিদ্বেষ প্রকাশ করে দিবেন না ?

— সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ২৯


অতঃপর যখন কোন (মুহ্‌কামাত) দ্ব্যর্থহীন সূরা নাযিল হয় এবং তাতে যুদ্ধ-জিহাদের উল্লেখ করা হয়, তখন যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, আপনি তাদেরকে মৃত্যুভয়ে মূর্ছাপ্রাপ্ত মানুষের মত আপনার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখবেন ।

— সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ২০


বস্তুতঃ যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে আপনি তাদেরকে দেখবেন দৌড়ে গিয়ে তাদেরই (কাফেরদের) মধ্যে প্রবেশ করে ।

— সূরা মায়িদাহ্‌, আয়াত ৫২


এবং যাতে যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, তারা এবং কাফেররা বলে যে, আল্লাহ এর দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন ।

— সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত ৩১


এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এটি তাদের কলুষের সাথে আরো কলুষ বৃদ্ধি করেছে ।

— সূরা তাওবা, আয়াত ১২৫


এবং যখন মুনাফিক ও যাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে রোগ আছে তারা বলছিল, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল আমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলেন তা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয় ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ১২


তাদের ক্বলবসমূহের মধ্যে কি রোগ আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে ?

— সূরা নূর, আয়াত ৫০


মুনাফেকরা এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং নগরে গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে প্রবল করবো ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৬০


হে নবীর স্ত্রীগণ ! তোমরা অন্য স্ত্রীগণের মতো নয়; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে এমনভাবে কথা বলিও না, যাতে যার ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে, সে কুবাসনা করে ।

— সূরা আহ্‌যাব, আয়াত ৩২


স্মরণ করুন, মুনাফেকরা এবং যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে তারা বলে, এদেরকে তাদের ধর্ম বিভ্রান্ত করেছে ।

— সূরা আনফাল, আয়াত ৪৯


এটা এ জন্য যে, শয়তান যা মিশ্রণ করে, তিনি তা পরীক্ষাস্বরূপ করে দেন, তাদের জন্যে, যাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং যাদের ক্বলব পাষাণ ।

— সূরা হাজ্জ, আয়াত ৫৩

তাদের ক্বলবের মধ্যে রোগ আছে এবং আল্লাহ তাদের রোগকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ।

— সূরা বাকারা, ১০


আরও খবর



নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

দেশের সব জায়গায় ঈদের জামাতে যারা শরীক হয়েছেন ও নারী-প্রবাসী শ্রমিকসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে স্থায়ীভাবে সেই ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।

জাতীয় ঈদগাহ ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস।তিনি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে,‌ সব প্রতিকূলতার সত্ত্বেও সেই ঐক্য অটুট রাখতে হবে।

সেই সঙ্গে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি ও বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এর আগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই মুসল্লিরা রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন এবং হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেছেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন ছিল।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক ইমাম হিসেবে এ জামাতে দায়িত্ব পালন করেন, এবং ক্বারী হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর