Logo
শিরোনাম

নেপালে ভূমিধস ও বন্যায় নিহত ১১, নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

নেপালে ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধস ও হঠাৎ বন্যায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ জন। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন আরও আটজন। রবিবার (৭ জুলাই) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এসব এই ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধস ও বন্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক ও তলিয়ে গেছে।

পুলিশের মুখপাত্র দান বাহাদুর কারকি রয়টার্সকে জানান, কীভাবে আটজন নিখোঁজ হয়েছেনতা বলা যাচ্ছে না। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জরুরি বিভাগের কর্মীরা ভূমিধসের মাটি ও আবর্জনা পরিষ্কার করে রাস্তাগুলো চালু করার চেষ্টা করছেন।

নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় কোশি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এই নদী নেপালের সীমানা পেরিয়ে ভারতের বিহার রাজ্যের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। প্রায় প্রতি বছর বিহারে প্রাণঘাতী বন্যার কারণ হয় এই নদী বলে এক জেলা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।।

নেপালের সানসারি জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেদ রাজ পুয়েল বলেন, কোশির পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আমরা সম্ভাব্য বন্যার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি।

তিনি জানান, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টায় প্রতি সেকেন্ডে কোশি নদী দিয়ে ৩ লাখ ৬৯ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, যা স্বাভাবিক প্রবাহ দেড় লাখ কিউসেকের দ্বিগুণের চেয়েও বেশি।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানি বের করে দিতে কোশি ব্যারেজের ৫৬টি স্লুইস গেটের সবগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ১০ থেকে ১২টি গেট খোলা রাখা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারায়ণী, রাপ্তি ও মহাকালী নদীর পানিও বাড়ছে। পাহাড় ঘেরা রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে বেশ কয়েকটি নদীর পানি পাড় উপচে বন্যার কারণ হয়েছে, এতে নগরীর কয়েকটি রাস্তা তলিয়ে গেছে ও অনেকগুলো বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।

নেপালে মধ্য জুনে বৃষ্টির মৌসুম। বৃষ্টি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভূমিধস, বন্যা ও বজ্রপাতে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



ঈদে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে আগামী ১৯ মার্চ থেকে ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় ঈদে নতুন নোট বিতরণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, টাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় কয়েকটি পক্ষ থেকে আপত্তি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ সামনে রেখে নতুন নোট বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয় জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এবার ঈদে নতুন নোট বিনিময় করা হবে না। বাজারে যেসব নোট রয়েছে, তার প্রচলন অব্যাহত থাকবে।

নোট বিনিময় স্থগিত বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০ টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। নতুন নোট বিনিময় হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক ও কয়েকটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত জনসাধারণ ও গ্রাহকদের মধ্যে নতুন নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে নতুন নোট বিতরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে বাংলাদেশের ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার ১০টি কাগুজে নোট প্রচলন আছে। এর মধ্যে ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আছে। কোনো কোনো নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এ ছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি আছে। নতুন করে নোটের নকশার যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে সেখানে শেখ হাসিনা সরকারের সময় ছাপানো নোটের ডিজাইন পরিবর্তন হবে এবং শেখ মুজিবের ছবি থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ওই নোটে শেখ মুজিবের জায়গায় ধর্মীয় স্থাপনা, বাঙালি ঐতিহ্য এবং জুলাই বিপ্লবের দোলচিত্র বা গ্রাফিতি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন। মূলত রোহিঙ্গা বিষয় নিয়েই তাঁর সফর। তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করবেন। শুক্রবার সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন আন্তোনিও গুতেরেস ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

জাতিসংঘ মহাসচিবের চার দিনব্যাপী সফরসূচি তুলে ধরেন উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আন্তোনিও গুতেরেস আগামীকাল বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় আসবেন। ১৬ মার্চ তিনি ফিরে যাবেন। এই চার দিনের মধ্যে মূলত শুক্র ও শনিবার তাঁর মূল কর্মসূচিগুলো আছে। শুক্রবার সকালে হোটেলে মহাসচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যা ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলি-সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব একটি বিশেষ ফ্লাইটে কক্সবাজারে যাবেন। সেখানে তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শনে যাবেন।  আর জাতিসংঘের মহাসচিব কক্সবাজার থেকে সরাসরি রোহিঙ্গাশিবিরে চলে যাবেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তাঁর কর্মসূচিগুলো শেষ হওয়ার পর তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। আর প্রধান উপদেষ্টা তাঁর কক্সবাজারের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে এই ইফতারে অংশ নেবেন।  রাতেই ঢাকায় ফিরে আসবেন তারা।

আজাদ মজুমদার বলেন, আমরা আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে এক লাখ রোহিঙ্গা ইফতারে যোগ দেবেন। এই ইফতার আয়োজন করা হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্যে।

উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, শনিবারও জাতিসংঘের মহাসচিব একটি কর্মব্যস্ত দিন কাটাবেন। তিনি জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। তারপর দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া তিনি সেদিন সংবাদ সম্মেলনেও বক্তব্য দেবেন। সেদিনই জাতিসংঘের মহাসচিবের সম্মানে ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে জাতিসংঘের মহাসচিব যোগ দেবেন। পরদিন তিনি বাংলাদেশ ছাড়বেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফর বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সফর। বাংলাদেশে এটি তাঁর দ্বিতীয় সফর হবে। ২০১৮ সালে তিনি একবার বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকার বিশ্বাস করে, জাতিসংঘের মহাসচিবের এই সফরের ফলে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আবার বৈশ্বিক আলোচনায় আসবে। সরকার আশা করে, এ বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি ভালো বার্তা দেবেন।


আরও খবর



ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ নির্দেশনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়ানোসহ ১৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো—

১. ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে দেশব্যাপী সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে।

২. চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা, গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ দেশের অন্যান্য বড় বড় শহর ও বন্দরে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল বাড়াতে হবে।

8. গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্পের মালিক পক্ষ অর্থাৎ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং শিল্প পুলিশ একত্রে বসে ঈদের পূর্বেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, বোনাস ইত্যাদি পরিশোধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. সাধারণ জনগণের ঈদ উপলক্ষে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করতে হবে। মার্কেটগুলোতে বিশেষ রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকল মার্কেট সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ নিশ্চিতকল্পে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, লঞ্চ/ফেরিঘাটে অনিয়ম ও অবৈধ সিরিয়াল প্রদানের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা এবং পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

৭. ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে যথাযথ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (Electronic Toll Collection) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. যানজট নিরসনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক চিহ্নিত ১৫৫ স্পটে আইপি/সিসি ক্যামেরা স্থাপনপূর্বক ঈদুল ফিতরের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময় মনিটরিং জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনে অধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা যেতে পারে;

১০. যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ঈদের পূর্বের সাত দিন ও পরের সাত দিন সুনির্দিষ্ট পূর্ব তথ্য ব্যতীত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সড়কের ওপরে মোটরযান তথা যানবাহন থামানো যাবে না;

১১. অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনও জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনসমূহ ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

১২. ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিন করে নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে;

১৩. বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও নৌ-পথে আকস্মিক দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরি, অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদিসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে;

১৪. দুর্ঘটনা কবলিত অথবা রাস্তা/ব্রিজে কোনও গাড়ি নষ্ট হলে দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত/অকেজো গাড়ি অপসারণ/রেকারিং করে পার্শ্ববর্তী খালি জায়গায় স্থানান্তর করতে হবে। যমুনা ও পদ্মা সেতুসহ যানজট প্রবণ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক রেকারের ব্যবস্থা রাখতে হবে;

১৫. ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদফতর এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক কন্ট্রোলরুম স্থাপন করতে হবে। সকল কন্ট্রোল রুমকে প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ০১৩২০০০১২২৩-নম্বরে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সঙ্গে কন্ট্রোল রুমের সংযোগ স্থাপনপূর্বক সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বয় জোরদার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী ঝড়, অনেক প্রাণহানির শঙ্কা!

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

দেশজুড়ে চৈত্রের তীব্র গরমে নাজেহাল জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এই দাবদাহের মাঝে আশার আলো হিসেবে এক পশলা স্বস্তির বৃষ্টি প্রত্যাশা করছে দেশবাসী।

কিন্তু আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক দুঃসংবাদ দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি এই ঝড়ে প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

২০ মার্চ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, ২২ ও ২৩ মার্চ সারাদেশের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি অতিক্রম করতে পারে। বিশেষ করে ২৩ মার্চ ঝড়টি তেঁতুলিয়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে টেকনাফ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ২৩ মার্চ ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও প্রবল কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত বয়ে যেতে পারে। এর ফলে বজ্রপাতে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এই গবেষক বলেন, হিমাগারের সামনে অপেক্ষারত আলু চাষিদের উৎপাদিত আলু দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের মানুষের শর্করার চাহিদা পূরণে আলু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই এটি সঠিক সময়ে সংরক্ষণ করা দরকার।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ১২টি অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছেরাজশাহী, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও সিলেট।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এসব অঞ্চলে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের আবহাওয়ার এমন রূপ দেখে সাধারণ মানুষ এখন একদিকে গরম থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকলেও, অন্যদিকে শক্তিশালী কালবৈশাখীর সম্ভাবনায় শঙ্কিত।


আরও খবর



মাজারে হামলা করে মুসলমানদের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ইসলামকে উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে।

দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো ভক্ত  জনতার অংশগ্রহণে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপি'র চেয়ারম্যান  হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভাণ্ডারীর  (ম.জি.আ.) ৫৮তম খোশরোজ শরিফ পালিত হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ,হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট ও মইনীয়া যুব ফোরামের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যে বাদে ফজর  থেকে খতমে কোরআন,খতমে গাউছিয়া, শাইখুল ইসলাম হযরত সৈয়দ  মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারীসহ  মাইজভাণ্ডারী মহাত্মা সাধকদের রওজা শরিফ জিয়ারত, জিকির, দোয়া কালাম পাঠসহ সেমা মাহফিল ও তবারুক বিতরণ। রাতে  আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হযরত শাহসুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী   বলেন, বিশ্ব মুসলিম বিভিন্নভাবে আজ অত্যাচার,নিপীড়ন,নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার। শান্তির ধর্ম ইসলামের বিজয়ের পথ সুগম করতে মুসলমানদের বিশ্বব্যাপী ঐক্যের বিকল্প নেই। পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রিয় নবী (দ:) প্রণীত মদিনা সনদের আলোকেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। তিনি বলেন উপমহাদেশে ইসলামের বিজয় নিশান উড়িয়েছেন আউলিয়ায়ে কেরামগণ। আজ পরিকল্পিতভাবে তৌহিদী জনতার ব্যানারে  আউলিয়ায়ে কেরামের  মাজার খানকাহ ও দরবারসমুহে হামলা করে মুসলমানদের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। তৌহিদী জনতার ব্যানারে এই ধরনের উগ্র কার্যক্রম কোনভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। এক শ্রেণীর লোক ইসলামের শান্তি ও সম্প্রীতির পথ ছেড়ে অস্ত্রবাজির মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন দেখছে। যা একটা ভুল পদক্ষেপ ও ইসলামকে উগ্রবাদী ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার গভীর ষড়যন্ত্র। তাছাড়া মাজারে হামলার মাধ্যমে উগ্রবাদীরা তরিকত পন্থী সুন্নি সুফিবাদি জনতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।  

তাই দেশের সকল পীর মাশায়েখ হাক্কানী আলেম-ওলামাকে  ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও আর্মির উপস্থিতিতে মাজারে নৃশংস  হামলা করা হচ্ছে। আমি এই গর্হিত অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই উগ্রবাদীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে । এ সময় মাহফিলে থাকা হাজার হাজার নবী-অলি প্রেমিক জনতা নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার,  নারেয়ে রিসালাতের গগনবিধারী স্লোগানের মাধ্যমে হুজুর কেবলাকে সমর্থন জানায়। খোশরোজ  শরীফ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মইনীয়া যুব ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা শাহজাদা সৈয়দ মইনুদ্দীন ফয়সাল।বিশেষ অতিথি ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের কেন্দ্রীয়  সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন।  আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খলিফা আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহা সচিব কাজী মহসীন চৌধুরী, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আলহাজ্ব কবির চৌধুরী, বিএসপি ভাইস চেয়ারম্যান  মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া মাইজভাণ্ডারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আসলাম হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: নুরুল আনোয়ার হিরণ,বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুন, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জাহিদুল আলম,কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ,  মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকবর হোসেন রুবেল,  মাইজভাণ্ডার রহমানিয়া মইনিয়া দরসে নেজামী  মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ খান সিরাজী, মাওলানা বাকের আনসারী,মুফতি মাওলানা এইচ এম মাকসুদুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মদ নাজের হোসাইন, হাফেজ মাওলানা কেরামত আলী প্রমুখ। মাহফিল শেষে হাজরো ভক্ত আশেকানের আমিন আমিন  ধ্বনীতে  দেশ জাতি, মুসলিম উম্মাহ ও সর্বমানবতার কল্যাণ কামনা করে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ম.জি.আ.)।


আরও খবর