Logo
শিরোনাম

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নতুন করে গণবিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা নীতির বিরুদ্ধে হাজার হাজার ইসরাইলি নাগরিক সোমবার জেরুসালেমে বিক্ষোভ জানিয়েছে।

ইসরাইলি পার্লামেন্টে নেসেটের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়ে পরবর্তীতে তা নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবন পর্যন্ত যায়।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকার যেন হামাসের সাথে দরকষাকষি করে তাদের হাতে আটক বাকি পণবন্দীদের মুক্তির উদ্যোগ নেয় এবং আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরাইলি নাগরিকদের হত্যা ও পণবন্দী করে

ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস।

 

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ মূল জনস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা করে পুলিশি ব্যারিকেড অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে পিছু হটতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।

নেতানিয়াহু যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিক্ষোভ শুরু হয়। গত সপ্তাহে মধ্যপন্থী দুই সাবেক জেনারেল বেনি গ্যান্টজ ও গাদি এইসেনকট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পর নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিতই ছিল। নেতানিয়াহুর সাথে যুদ্ধ পরিচালনার প্রক্রিয়া নিয়ে মতভেদের জেরে এই দুই নেতা পদত্যাগ করেন।

 

গ্যান্টজ অক্টোবর মাসে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরুর দিকে নেতানিয়াহুর জোট সরকারে যোগ দেন এবং যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠনের দাবি জানান।

হোয়াইট হাউস সোমবার জানিয়েছে, মন্ত্রিসভা ভেঙে দেয়ার বিষয়টি ইসরাইলি সরকারের অভ্যন্তরীণ ও নিজস্ব পদক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ইসরাইলি সরকারে কে থাকবেন বা থাকবেন না, সেটা যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয় নয়।

মিলারকে জিজ্ঞাসা করা হয় ইসরাইলে সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কট্টর ডানপন্থীদের মতামত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন কিনা। এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিবেচনায় যেসব নীতিমালা শুধু ফিলিস্তিনি জনগণ না, ইসরাইলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও অকার্যকর, সেগুলোর ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন তার দ্বিমতের কথা প্রকাশ্যে জানাবে।

 

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে জানিয়েছিল, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ফলপ্রসূ।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকার


আরও খবর



মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫০০

প্রকাশিত:সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০০-তে। ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানেই। আহত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৩০০ জন।

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভূমিকম্পটি মিয়ানমারসহ অন্তত আটটি দেশকে কাঁপিয়ে দেয়। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সেখানে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশে হাজারো ভবন ধসে পড়েছে, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

দুর্যোগের তিন দিন পার হলেও উদ্ধারকাজ ধীরগতিতে চলছে। স্থানীয়রা দলবেঁধে জীবিতদের উদ্ধারে চেষ্টা চালালেও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এত বড় দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা মিয়ানমারের নেই।

বিদেশি সাহায্যকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, তবে অবকাঠামোগত বিপর্যয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

এরই মধ্যে রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মিয়ানমারে ৫.১ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যাতেও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তবে নতুন এই কম্পনে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। মান্দালয়ের ২৫ বছর বয়সী হতেত মিন রয়টার্সকে জানান, তার স্বজনেরা ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়েছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়নি।


আরও খবর



রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম সৃষ্টি”

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম, হুজুর পূরনুর (ﷺ) হলেন সর্বপ্রথম সৃষ্টি, যাঁকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি হতো না।

★২৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন,ওহে ঈসা! মহানবী (ﷺ)-এঁর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো।রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-না হলে আঁমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না,বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”

📚*দলিল

*১. আল মোসতাদরেক’ হাকিম: ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭

*২.আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২

*৩. ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা

*৪.ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫

*৫. শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০

*৬.ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা

*৭.আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,

*৮. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী :

জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০

*৯. ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া : ১/২৯ পৃ:

*১০.ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০

*১১. ইবনে কাসীর :মুজিযাতুন্নবী (দরুদ ) : ১/৪৪১

*১২. ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪,রাবী, ১০৪০।

*১৩.ইবনে হাজর আসকালানী রচিত ‘আফদাল আল-কুরআন’; ১/১৮৯।

ইমাম কুস্তালানী : মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া; ১/১৮

ইবনে হাজার হাইসামী : শরহে শামায়েল, ১/১৪২।

*১৩. ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬

*১৪. ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২

*১৫. ইমাম যুরকানী :শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০

*১৬. আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫

*১৭. খাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১

*২৮. ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭

*২৯. কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২

*৩০.মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১

*৩১. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫

*৩২. ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩

✅হাদিসের মান পর্যালোচনা✅

*১.ইমাম হাকিম তাঁর ‘মোসতাদরেক’ গ্রন্থে তাঁর তাহকিকে হাদিসটিকে সহিহ্ সাব্যস্থ করেছেন।

আল মোসতাদরেক’ হাকিম: ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭

*২.ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।

আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২

*৩.অারও অসংখ্য ইমাম, ইমাম হাকিম রহ. এঁর রায়কে গ্রহণ করেছেন।অপরদিকে, কেবলমাত্র ইমাম যাহাবী (রহ:) উক্ত রায়ের বিপরীত বলেছেন।তিনি বিপরীত বলার কারন স্বরুপ বলেন :উক্ত হাদিসের একজন রাবী ‘আমর ইবনূ আউস আল আনসারী’ ‘অপরিচিত’।

একজন রাবী অপরিচিত হওয়াতে একটি হাদিস জাল কোনভাবেই হতে পারে না।উক্ত রাবী ইমাম যাহাবী (রহ:)এর দৃষ্টিতে অপরিচিত।অথচ তাঁর চেয়ে উঁচু স্তরের ইমামগণ উক্ত হাদিসকে সহিহ্ ও উক্ত রাবী (আমর ইবনূ আউস) কে সিকাহ্ বলেছেন।

*৪.বিশ্ববিখ্যাত রিযাল গ্রন্থ ‘তাহযিবুল কামাল ফি আসমাউর রিযাল’ এ বলা হয়েছে, উক্ত রাবী সিকাহ্ বা বিশ্বস্থ।

*৫. ইমাম ইবনে হিব্বান, ইমাম বুখারি, ইমাম আবু নুআইম (রহ:)ও তাঁকে সিকাহ্ বলেছে।

[ইমাম মিযযী : তাহযিবুল কামাল ফি আসমাউর রিযাল; ১৪/১৭৭, রাবী নং : ৪৯১৩]

*৬. তদুপরি,আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:) উক্ত রাবীকে সিকাহ্ বা বিশ্বস্থ বলেছেন।

[ইবনু হাজর আসকালানী : তাকরীবুত তাহযীব; ১/৪৩৬]


বুঝা গেল ইমাম যাহাবী (রহ:) এর নিকট উক্ত রাবী অপরিচিত হলেও আর কারো নিকট পরিচিত হবেন না এমন নয়।আর ইমাম যাহাবী (রহ:) উক্ত রাবীকে মিথ্যাবাদী বলেন নি; বলেছেন,অপরিচিত।


✌সুতরাং হাদিসটি নি:সন্দেহে সহিহ্ এর মান রাখে। আর হাদিসটি যেহেতু আমল ও আহকাম সম্পর্কিত নয়, সেহেতু ‘হাসান’ বলে মানতে ও বিশ্বাস করতে সমস্যা নেই।

★৩০. এবার আমি তাবলীগ জামাতের ‘ফাজায়েলে আমল’ গ্রন্থ থেকে একটি প্রমান দিব।সেখানে একটি শিরোনাম দেওয়া হয়েছে কোন ‘আমালে আদাম (আ:)-এঁর তাওবাহ কবূল হলোঃ

“হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুজুরে পাক (ﷺ) বলেন, যখন হযরত আদম (আঃ) হইতে কিছুটা পদস্খলন হইয়া গেল যাহার দরুণ তিনি বেহেশত হইতে দুনিয়াতে প্রেরিত হইলেন,তখন তিঁনি সব সময় কান্নাকাটি ও এস্তেগফার করিতে থাকেন।একদিন তিঁনি আসমানের দিকে মুখ উঠাইয়া আরজ করিলেন হে আল্লাহ! মোহাম্মাদ (ﷺ)-এঁর উছিলায় আঁমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি।ওহী নাজিল হইল, মোহাম্মদ (ﷺ) কে? যাহার উছিলায় তুমি ক্ষমা চাহিতেছ? হযরত আদম (আঃ) বলিলেন- যখন আঁপনি আমাকে সৃষ্টি করেন তখন আমি আরশের উপর লিখিত দেখিয়াছিলাম ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ’, তখনই আমি বুঝিতে পারিয়াছিলাম মোহাম্মদ(ﷺ) হইতে অধিক মর্যাদাশীল আর কেহই হইবে না,যেহেতু আঁপনি তাহার নাম নিঁজের নামের সঙ্গে রাখিয়াছেন।ওহী হইল হে আদম! তিঁনি আখেরী নবী এবং তিঁনি তোমার আওলাদভূক্ত হইবেন অথচ তিনি না হইলে তোমাকেও পায়দা করতাম না”-।

📚দলিল

মৌ:মোহম্মদ জাকারিয়া,ফাজায়েলে আমল; খণ্ড ‘ফাজায়েলে জিকির’, পৃষ্ঠা ৩১৫ (বাংলা), পরিবেশনায় তাবলিগী কুতুবখানা / ফাউণ্ডেশন।

তাবারানী; সাগীর,২/৮২,২০৭।


★৩১. ইবনে আসাকির (রহ:) উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা:)-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (ﷺ)-এঁর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আঁপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আঁমি সৃষ্টি করিনি।আঁমি বিশ্বজগতও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আঁপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আঁমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আঁপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

📚দলিল

*১.ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৩/৫১৭

*২. মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১

৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৮২

৪. ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২৮৯

*৫.কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০৫


★৩২.তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,(বিশাল বর্ননার পর)…. যদি তিঁনি [রাসুল (ﷺ)] না হতেন তাহলে আঁমি না তোমাকে [আদম (আ:)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান,জমীন সৃষ্টি করতাম।

📚দলিল

*১.ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩

*২.ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২

*৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮

*৪. আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১

*৫.ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২

★৩৩. হাদিস শরীফে অপর একটি বর্ননায় এসেছে।

عن ابن اباس رضي الله عنهما انه قال قال رسول الله صلي عليه و سلم اتاني جبريل عليه السلام فقال يا رسول الله صلي عليه و سلم لولاك ما خلقت الجنة ولولاك ما خلقت النار

অর্থ : হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম আঁমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক তিঁনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, আঁপনি যদি না হতেন তবে আঁমি জান্নাতও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না। ”

📚দলিল

*১.কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২

*২.ইমাম দায়লামী: ‘মুসনাদ আল- ফিরদাউস, ২/২৪২

*৩. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী : যাওয়াহিরুল বিহার; ৪/১৬০।

*৪.আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫।

🌹সনদের মান যাচাই🌹

*(ক.) ইমাম দায়লামী বলেন, হাদিসটি সনদের দিক থেকে ‘হাসান’।

[দায়লামী; মুসনাদ আল ফিরদাউস, ২/২৪২]

*(খ.) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মোল্লা আলী ক্বারী বলেন,একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।

[আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫]

★৩৪. ইবনে আসাকির উদ্ধৃত করেন হযরত সালমান ফারিসী (রা:) থেকে।তিনি বলেন : “হযূর পূর নূর প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী : ‘আঁমি যদিও ইব্রাহিম (আঃ) কে খলিল বানিয়েছি, কিন্তু আঁপনাকে বানিয়েছি ‘হাবীব’।আঁমি যদিও মূসা (আঃ) এঁর সাথে দুনিয়াতে কথা বলেছি, আঁপনার সাথে কথা বলেছি আসমানে।আঁমি ঈসা (আঃ) কে রুহুল কুদ্দুস থেকে সৃষ্টি করলেও আঁপনাকে করেছি সমগ্র সৃষ্টিজগতের ২০০০ হাজার বছর পূর্বে।আঁপনার কদম এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আঁপনার পূর্বে কারো কদম পৌঁছেনি, ভবিষ্যতেও পৌঁছবে না।আঁমি আদম (আঃ) কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেও আঁপনার মাধ্যমে ঘটিয়েছি নাবুয়্যাত ক্রমধারার পরিসমাপ্তি।(হে রাসূল) আঁপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আঁমি সৃষ্টি করি নি।

ক্বিয়ামাত দিবসে আঁমার আরশের ছায়া আঁপনার উপর প্রসারিত হবে। প্রশংসার জয়মুকুট আঁপনার নূরানী মস্তকে শোভা পাবে। আঁমি আঁপনার নাম আঁমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি।আঁমি বিশ্বজগতও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আঁপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে।আঁমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না,যদি আঁপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

📚দলিল

*১. ইবনূ আসাকির : তারীখে দামেস্ক; ৩/৫১৭।

*২. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী : মওদ্বুআতুল কবীর; পৃষ্ঠা ১০১।

*৩. ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব; ১/১৮২।

*৪. শায়খ ইউসূফ নাবাহানী : যাওয়াহিরুল বিহার; ১/২৮৯।

*৫. ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরিফ; ২/১০৫।


আরও খবর



ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বৈশ্বিক কর্মসূচিতে ধর্মঘট মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। একইসঙ্গে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টাংগাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে কাজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

গাজাবাসীর সমর্থনে আজ সোমবার ৭ই এপ্রিল, টাংগাইলে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিয়ে সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছে মাভাবিপ্রবি এবং টাংগাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ডাকের প্রতি সংহতি জানিয়ে এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগে আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, আইইউবিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে। 

সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে প্রেসক্লাব-নিরালা মোড়-পুরাতন বাস স্ট্যান্ড - ডিস্ট্রিক্ট গেট- প্রেস ক্লাব হয়ে পৌর উদ্যানে এসে শেষ হয়। মিছিলে তারা ইনকিলাব ইনকিলাব, আল-আকসা জিন্দাবাদ।  "শেম শেম জায়োনিস্ট, মেক ফ্রী প্যালেস্টাইন, ফ্রম দা রিভার টু দা সি প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রী, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরাইল মুর্দাবাদ, ইসরাইল নিপাক যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ব্রেক ডাউন ইজরায়েল বিল্ড আপ ফিলিস্তিন, সেভ গাজা, স্টপ জেনোসাইড" ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে পৌর উদ্যানে লিফলেট বিতরণ করে  আগামী ৭ দিনের মধ্যে সকল ইসরায়িলের পণ্য সরিয়ে ফেলার আহব্বান জানানোর পাশাপাশি ৬ দফা ঘোষণা করা হয়। দফাগুলো হলো: ইজরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, ভিসায় এক্সেপ্ট ইজরায়েল লেখা, জাতীয়ভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিবৃতি প্রকাশ, ভারতের ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদ ও ভারতের সাথে দালালির সম্পর্ক ছিন্ন করা।

‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আজ সোমবার বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে সংহতি সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে।


আরও খবর



জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

এবার নববর্ষ শুধু বাঙালির উৎসব হিসেবে নয়, বরং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, মণিপুরী, গারোসহ দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সরকার নববর্ষ উদযাপনকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এবার থেকে এ সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে নববর্ষের দিন একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা এতদিন শুধু বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালিদের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকার দেশের সংস্কৃতিকে আরো বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরতে চায়, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে।

অন্যদিকে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে ভিন্নধর্মী এক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো চাঁদরাতে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের সংস্কৃতিকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিফলন ঘটাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এ ধরনের উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কোনো জাতিগোষ্ঠী বা ধর্মীয় বিশ্বাসের সংস্কৃতিকে অবমূল্যায়ন করা হবে না। বরং সবার সংস্কৃতি সম্মানিত ও স্বীকৃত হবে, যা একটি সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।



আরও খবর



ইতালিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ইতালি ব্যুরো :

ইতালির রাজধানী রোম, বাণিজ্যিক নগর মিলানো, ভূমধ্যসাগরের বুকে ভাসমান শহর ভেনিস, আগ্নেয়গিরির শহর নাপলিসহ বিভিন্ন শহরে মুসলিম অভিবাসীরা ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন। 

ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোয় সাধারণত সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রমজান মাসের সিয়াম পালন এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। এ বছর সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারে ঈদ হওয়ায় ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম সমবেত হন ঈদ জামাতে। শিশু কিশোরদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকালে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লীরা শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং পানশালাগুলোয় আড্ডায় মেতে উঠেন। ঈদের নতুন পোশাক পরে শিশু কিশোরদের স্থানীয় পার্কগুলোয় খেলাধুলা করতে দেখা যায়। 


ইতালির ঈদ জামাতগুলোয় নারীদেরও অংশগ্রহণ চোখে পড়ে।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি ঈদ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরে ঈদের নামাজে শামিল হন। এ সময় অনেকে নিজ নিজ সংস্কৃতির মিষ্টান্ন নিয়ে আসেন এবং উপস্থিত সবাইকে তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। 

মসজিদুল ইত্তেহাদের খতিব হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ ঈদের খুতবায় বলেন, ঈদ সার্বজনীন কোন উৎসব নয়। এটি রোজাদার মুসলিমদের উৎসব। ইসলামের সংস্কৃতি মতো ঈদ উদযাপন হওয়া উচিত। সার্বজনীনের নামে মুসলিম সংস্কৃতির সাথে অন্য কিছু মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়, এতে প্রবাসের নতুন প্রজন্ম ইসলামের বিকৃত সংস্কৃতের সাথে অভ্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

ঈদের নামাজ শেষে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনি মুসলিমদের শান্তি কামনা করে দোয়া, মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর

মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি আটক

শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫