Logo
শিরোনাম

নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ‘ভুল’: বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা নীতি ছিল ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার প্রচারিত এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া গাজায় এখন শুধু যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করারও আহ্বান জানান বাইডেন।

হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধে বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং গাজার অভ্যন্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এটি ছিল নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে বাইডেনের সবচেয়ে কড়া সমালোচনা। খবর এএফপির

নেতানিয়াহুর যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাইডেন ইউএস স্প্যানিশ ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক ইউনিভিশনকে বলেন, আমি মনে করি তিনি যা করছেন তা ভুল। আমি তার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত নই।

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থায় গত সপ্তাহে চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি ছিল একেবারে গর্হিত কাজ। এটা নিয়ে নেতানিয়াহুর সাথে বাইডেনের উত্তেজনাপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় আরও সাহায্য সরবরাহের সুযোগ করে দিতে ইসরায়েলের উপর চাপ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরব, জর্ডান এবং মিসরের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে

বাইডেন বলেন, গাজার লোকদের চিকিৎসা ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ না করার কোনো অজুহাত নেই। এটা এখনই করা উচিত।

গাজায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাহায্য কর্মী ইসরায়েলের হামলায় নিহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পর বাইডেনের এমন সাক্ষাতকার তার ইসরায়েল নীতির নাটকীয় পরিবর্তনকে নির্দেশ করে।

হোয়াইট হাউস গত সপ্তাহে বলেছিল, নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে বাইডেন হুমকি দিয়েছিলেন যে, গাজায় বেসামরিক নাগরিক হত্যা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে আর নিঃশর্ত সহায়তা দেবে না। গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন নামে একটি বেসরকারি সংস্থার সাত কর্মীকে নিহত হওয়ার পর বাইডেন সেই হুমকি দিয়েছিলেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। নির্বিচার ও বর্বর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত আরও অন্তত ৭৬ হাজার। উত্তর ও মধ্য গাজার অধিকাংশ এলাকায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে ঈদ এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে।


আরও খবর



কুড়িল-বসুন্ধরামুখী সড়ক ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

এমআরটি লাইন-১ এর ইউটিলিটি স্থানান্তর কাজের জন্য ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে খিলক্ষেত থেকে কুড়িল-বসুন্ধরামুখী সড়ক। এ সময় বিকল্প পথ ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানান ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঞা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ এর ইউটিলিটি স্থানান্তর কাজের জন্য ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত (মোট ২৯ ঘণ্টা) খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ও বসুন্ধরা অভিমুখী যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এ সময় বিকল্প হিসেবে রেডিসন হোটেলের সম্মুখে ইউটার্ন করে কুড়িল ফ্লাইওভার অথবা অন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



রাজধানীবাসী ৯ বছরে ৩১ দিন নির্মল বাতাস পেয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গত নয় বছরে তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে মাত্র ৩১ দিন নির্মল বা ভালো বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে রাজধানীর মানুষ। অর্থাৎ বছরের মাত্র এক শতাংশ সময় ঢাকাবাসী বিশুদ্ধ বাতাস পাচ্ছে। অন্যদিকে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় অস্বাস্থ্যকর, চরম অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ণ বাতাস ফুসফুসে টেনে নিচ্ছে ঢাকাবাসী।

'বিশ্ব ধরিত্রী দিবস ২০২৫: বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বাপার সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, 'বায়ুদূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও শিশুরা। আমরা বৃদ্ধরা তো কয়েকদিন পর মরেই যাব। কিন্তু আগামী দিনের নাগরিক শিশুদের অবস্থাটা কি হবে? আমাদের বর্তমান পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন।তিনি (অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে) দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতে যে ভাষায় কথা বলতেন, এখন কিন্তু তা পারছেন না। এটা বাস্তবতা।'

নুর মোহাম্মদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা দীর্ঘদিন থেকে বলা হচ্ছে। এটা কারা করতে দিচ্ছে না, কেন করতে দিচ্ছে না? সৌরবিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বাধা আসছে।

বাধা দিচ্ছেন যারা বিদ্যুত (ব্যবসা) নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা এদেশের সবচেয়ে বড় পুঁজিপতি। যারা পরিবর্তন করতে দিতে চান সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এজন্য বৃহত্তর আন্দোলন দরকার।

সংবাদ সম্মেলনের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

প্রবন্ধে তিনি ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ হতে ২০২৪ সালের বায়ুমানসূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স-একিউআই) ও তথ্য‌-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে রাজধানীর বায়ুদূষণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নয় বছরের তিন হাজার ১১৪ দিনের মধ্যে ঢাকাবাসী মাত্র ৩১ দিন নির্মল বায়ু সেবন করতে পেরেছে। এসময় রাজধানীতে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য মানের বাতাস ছিল ৬২৪ দিন যা মোট দিনের ২০ শতাংশ। ২৮ শতাংশ সময়জুড়ে অর্থাৎ, ৮৭৮ দিন রাজধানীর বাতাস ছিল সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর।

গত নয় বছরে ৮৫৩ দিন অস্বাস্থ্যকর ও ৬৩৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাস ছিল রাজধানীতে যা মোট সময়ের ৪৮ শতাংশ। এসময় ঢাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে খারাপ অর্থাৎ দুর্যোগপূর্ণ বাতাস সেবন করেছে ৯৩ দিন যা মোট দিনের ৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ১৪ দিন ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বা দুর্যোগপূর্ন যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দিনে।

প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে তা ভালো বা বিশুদ্ধ বাতাস। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে সহনীয় বা গ্রহণযোগ্য। সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালেই সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ বিবেচিত।

সংবাদ সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার-এর বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশ বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি। ২০২১ ও ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল প্রথম। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় ও দূষিত শহর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয়।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশে বায়ু দূষণের কারণে ২ লাখ ৩৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) এর গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণে দেশে প্রতিবছর ৫ হাজার ২৫৮ শিশুসহ এক লাখ ২ হাজার ৪৫৬ জনের অকালমৃত্যু ঘটে। এক‌ই সঙ্গে তা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ে অধ্যাপক কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, 'জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর শতভাগ নিশ্চিত করতে পারলেই নির্মল বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলতে বোঝায় সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, ভূ-তাপীয় শক্তি ও বায়োমাস শক্তির মতো প্রাকৃতিক উৎস থেকে প্রাপ্ত শক্তি, যা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে, যা গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব।'

বাপার সহসভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ বলেন, যানবাহনের ধোঁয়া বা অন্যান্য স্থানীয় উৎস ছাড়াও বায়ুদূষণের একটি বড় উৎস আন্তদেশীয় দূষণ। এই দূষণের পরিমাণ অনেক বেশি। এর ওপর আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশে দূষণের সব উৎস বন্ধ করলেও এটা থেকে মুক্তি নেই। এর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বর্তমান পরিবেশবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান যখন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন তখন যে গতি ছিল, এখন তা দেখা যাচ্ছে না কেন- এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাপার সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির বলেন, 'খাঁটি বাংলায় বললে, আমরা একটা গ্যাঁড়াকলের মধ্যে আছি। আমরা (পরিবেশ উপদেষ্টার সঙ্গে) দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর রাজপথে একসঙ্গে এই ইস্যুগুলো নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। ফলে আমরা বলছি, রিজ‌ওয়ানা আপাকে ব্যর্থ হ‌ওয়া যাবে না। কারণ, উনি আবার যখন (পরিবেশ আন্দোলনকর্মী হিসেবে) ফিরে আসবেন তখন আমাদের কথা মানুষ শুনবে না। (মানুষ বলবে) আপনি তো ছিলেন ক্ষমতায়, আপনি তো পারেননি।'

এসময় সংবাদ সম্মেলন থেকে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি আটটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। উল্লেখযোগ্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে মেয়াদউত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করে বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো, ইটের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব ব্লকের ব্যবহার বাড়ানো, বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা, বিদ্যমান জ্বালানি নীতিগুলো সংশোধন ও নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প কারখানায় বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিঃসরণমান নির্ধারণ ও এর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।


আরও খবর



নওগাঁয় পরকীয়ার জেরে বিজিবি সদস্যকে আটক: গলায় জুতার মালা

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় এক মেম্বার পদপ্রার্থীর স্ত্রীর ঘরে পরক্রিয়া করতে গিয়ে রানা হামিদ (৩৮) নামে এক বিজিবি সদস্য আটক হয়েছে। সোমবার পূর্বরাত সাড়ে ১২টার দিকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে বেধে রাখে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরাসহ স্থানীয়রা। পরে সংবাদ পেয়ে মান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে মান্দা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আটককৃত বিজিবি সদস্য রানা হামিদ থানার কুসুম্বা ইউপির বড়পই পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। সে বিজিবির ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত রয়েছেন।

স্থানীয়ারা জানান, ঐ মেম্বার পদপ্রার্থী একটি মসজিদের ইমাম এবং এবারে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী। গত রাত সাড়ে ১২টারদিকে বিজিবি সদস্য রানা হামিদ ঐ নারীর ঘরে যায়। বিষয়টি নারীর স্বামী জানতে পেরে ঘরের দরজা আটকিয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে আটক করে। সে সময় ভুক্তভোগী ঐ নারী সবার অগোচরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা আরও বলেন, রানা ছুটিতে আসলেই সবার অগোচরে গভীর রাতে এলাকার ভাবিদের সাথে দেখা করতে যায়। এর আগেও একবার ঐ নারীর সাথে পরক্রিয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছিল। এছাড়াও সে একাধিকবার এরকম ঘটনায় গণধোলাই খেয়েছে। এবারে তাকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। এব্যাপারে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শয়ন ঘরের উত্তর পার্শ্বের ঘরে অন্ধকার ঘরে রুবিনাকে দেখতে পেয়ে আমার সন্দেহ হয়। পরে ঘরের আলো জ্বালিয়ে দেখি রানা ঘরের এক কোণে দাড়িয়ে আছে। এ সময় তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে আমাকে জখম করে পালানোর চেষ্টা করে। তবে আমি আহত হলেও জাফটে ধরি। আমার চিকিৎসারে আমার ছেলে শাফিক ও আমার ছোট ভাই অহিদুল ইসলাম এসে তাকে আটক করে। পরে গ্রামবাসীরা এসে গণধোলাই দিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জবাববন্দি শোনেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য রানা হামিদ পরকীয়া সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে ঘটনাটি পুরোপুরি সাজানো বলে দাবি করেন।  সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনসুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে রানা হামিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



আগামী সাত মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ মে 2০২5 | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।

আগামী সাত মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে ওই পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, এ সময়টা বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেও পারে, আবার ব্যর্থ করতেও পারে।

শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক বন্দর পরিচালকদের সঙ্গে অংশীদারত্ব ছাড়া এটি সম্ভব নয়। সফল হলে এমন অংশীদারত্ব আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছে দেবে, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।

তিনি বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট জার্নাল বা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পড়লেই বোঝা যায়, ব্রেটন উডস চুক্তির পর যে পুরোনো অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা গড়ে উঠেছিল এবং যা ডব্লিউটিও (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, তা এখন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

শফিকুল আলম লিখেছেন, সেই যুগের সবচেয়ে বড় বিজয়ীরা ছিল জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া; যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বাজারমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে সমৃদ্ধ হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ধীরে ধীরে এই পথে অগ্রসর হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়া পিছিয়ে ছিল।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, এখন হয়তো অবশেষে বাংলাদেশের সময় এসেছে। আমরা কি এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে পারব? রাজনীতি এখানে একটি মূল ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব লিখেছেন, তবে লজিস্টিক-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জই হতে পারে সবচেয়ে বড় বাধা। বৃহৎ পরিমাণ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহনের সক্ষমতা শিগগিরই পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ যে একটি উৎপাদনশীল শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, সে আকাঙ্ক্ষা মুখ থুবড়ে পড়বে।

সূত্র : বাসস


আরও খবর



গেজেট প্রকাশের পর আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। রবিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

সিইসি বলেন, সরকারের গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। গেজেট প্রকাশ হলে আমরা নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো। কমিশনের আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ আমাদের বর্তমান বাংলাদেশের স্পিরিট বুঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কাল গেজেট হয় তাহলে কালই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

গত ৭ মে মধ্যরাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে গেলে নতুন করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। এর সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন সংগঠন ও দল।

গত দুদিন ধরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ তিন দাবিতে রাজধানী এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র-জনতা। শনিবার রাতে গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে গত রাতে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।


আরও খবর