

শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫
দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পতিত স্বৈরাচার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সম্প্রতি নারীদের ওপর যে জঘন্য হামলার খবর আসছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। এটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এই ‘নতুন বাংলাদেশে’ নারী-পুরুষ সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আমাদের সব শক্তি প্রয়োগ করে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।
দেশের সব মানুষকে নিয়ে নারীবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নারীবিরোধী যে শক্তি মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাকে আমরা দেশের সকল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই মোকাবিলা করব। তাছাড়া, আমাদের সমাজে এখনও এমন বহু মানুষ আছে যারা নিপীড়িত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে তাদের খাটো করে দেখে, অবজ্ঞার চোখে দেখে। অথচ নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে, বৈষম্যহীন, সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হলে নারীর পাশে দাঁড়ানোর, তাদেরকে সমর্থন জানানোর, কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে নারীকে খাটো করে দেখার এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। তা না হলে আমরা জাতি হিসেবে এগোতে পারব না।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত স্বৈরাচার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। আমাদের এখন ততটাই সতর্ক থাকতে হবে যেমনটা আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সজাগ থাকুন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলুন। একে অন্যের পাশে দাঁড়ান। একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করুন।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারীরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে তাদের সংগ্রাম ও আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া তা সম্ভব হবে না। এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের সাথে পুরুষদেরও সহযোদ্ধা হয়ে কাজ করতে হবে।
সমাজে নারীদের ন্যায্য স্থান প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরকে উৎসাহী সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ‘নতুন বাংলাদেশ’-এ আমরা আমাদের প্রত্যাশী পরিবারকে নতুনভাবে গড়তে চাই। যেটা সব বাবা-মা’র, ভাই-বোনের নিশ্চিত ও স্বীকৃত অধিকারের পরিবার।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক সময় নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও তারা বুঝতে পারেন না কোথায় অভিযোগ জানাবেন। নারীরা যেন তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে। আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ হালনাগাদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন, ২০২৫ প্রণয়নের কাজও আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা একটি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করেছি, তারাও তাদের সুপারিশগুলো দেবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সম্মুখসারিতে থাকলেও আমাদের সমাজে এখনও অনেকক্ষেত্রেই নারীরা পিছিয়ে আছে। নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সরকার সবসময় সচেষ্ট। এজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ চলমান। দুঃস্থ মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, কর্মজীবী নারীদের থাকার হোস্টেল, ডে কেয়ার সেন্টার সুবিধাসহ নানান ধরনের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে। আরও কী কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা চলছে।
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার গঙ্গা চুক্তি বিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক সোমবার (০৩ মার্চ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসলেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা চায় না দিল্লি।
বস্তুত গতবছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের হামলা সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে ঠেকায়।
কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো ‘অনির্বাচিত’ বা ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারের সঙ্গে তারা পূর্ণ এনগেজমেন্টে যেতে আগ্রহী নয় এবং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে তারা এমন কোনো সমঝোতায় যাবে না, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে।
এই পটভূমিতেও যে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের যৌথ কমিটি মুখোমুখি বৈঠকে বসছে এবং সরেজমিনে ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারছে– এটাকে পর্যবেক্ষকদেরও অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।
বিবিসি জানতে পেরেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে ‘রাজনৈতিক সবুজ সংকেত’ (পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার পরেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বাংলাদেশেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।
এর প্রধান কারণ হলো, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তির তিরিশ বছরের মেয়াদ ২০২৬-র ডিসেম্বরেই শেষ হবে– ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনো পক্ষই, দু'দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির বিষয়টি আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে বসছেন কারণ আমাদের হাতে চুক্তি রিনিউ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই।
তিনি আরও জানাচ্ছেন, তবে অভিন্ন নদী তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে ভারত কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে এবং ভারত মনে করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই আলোচনা চালানোর কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই!
কী হবে বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।
গঙ্গা চুক্তিতেই বলা আছে, দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশে পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন করতে পারবেন।
সেই অনুযায়ী, ৮৬তম বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তেসরা ও চৌঠা মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ (বুধবার) যৌথ কমিটির সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।
৬ই মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের 'টেকনিক্যাল কমিটি'র বিশেষজ্ঞদের বৈঠক। পরদিন (৮ই মার্চ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটি এমনিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গা চুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে আসছে তাই এটির ‘আলাদা গুরুত্ব’ আছে।
গঙ্গায় ফারাক্কা পয়েন্টের আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে জলের প্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার জলপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে– এই বিষয়গুলো নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা হয়ে থাকে।
আগামী বছর গঙ্গা চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় জল ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাইছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সে দিক থেকেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের আমলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিস্তায় না, কিন্তু গঙ্গাতে হ্যাঁ : গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ভারতের কাছে অভিন্ন নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও দাবি করবে। ওই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য স্পষ্টতই ভারতের মনঃপূত হয়নি এবং তারা সেটা ঢাকাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল।
দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার নয় তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো আলোচনাতে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। ফলে গত সাত মাসে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এমনকি শেখ হাসিনার বিদায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে যে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'য় ভারতের সক্রিয় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটাও যথারীতি হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত এক ধরনের অনমনীয় মনোভাব দেখালেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কিন্তু দিল্লির দিক থেকে এক ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই চুক্তি নবায়নে তাগিদ যে ভারতের দিক থেকেও আছে, সেটা ঘটনাপ্রবাহ থেকেও স্পষ্ট।
ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য এর মধ্যে অসুবিধার কিছু দেখেন না।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গঙ্গা চুক্তি প্রায় তিন দশক ধরে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’ – মানে ভরসা আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এর মাঝে বাংলাদেশে এমন সরকারও এসেছে যারা ভারতের প্রতি ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু তাতে চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে এই চুক্তিটাকে যে দুই দেশই নবায়ন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু অন্য দিকে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আমরা কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিই করে উঠতে পারিনি। ফলে গঙ্গা আর তিস্তার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা চোখে দেখতে হবে।
আর যেহেতু ঢাকায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে দিল্লি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তিস্তা নিয়ে আলোচনা না এগোলেও গঙ্গা নিয়ে বৈঠক কিন্তু ঠিকই হচ্ছে—বলেন, সাবেক হাই কমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
রেফারি ও বিপক্ষ দলের সহকারী কোচের সঙ্গে বাজে আচরণের দায়ে শাস্তি পেলেন লিওনেল মেসি। গত রবিবার নিউইয়র্ক সিটি এফসি ও ইন্টার মায়ামির মধ্যকার ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন মাথা গরম করে রেফারিকে আঙুল তুলে শাসান মেসি। হলুদ কার্ড দেখার পরও থামেননি। প্রতিপক্ষ দলের সহকারী কোচকে ধাক্কা দেন। মেসির এই আচরণে হতবাক সবাই। মেজর লিগ সকারের প্রথম ম্যাচেই মেজাজ হারিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন মেসি।
জানা গেছে, দলের অধিনায়কের এমন আচরণে ক্ষিপ্ত মেজর লিগ এবং ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ। যার ফলে তাকে অপ্রকাশিত পরিমাণ জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল মেসিদের। টমাস অ্যালভেজের গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। কিন্তু গোল করার কয়েক মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ২৩ মিনিটে ১০ জনে হয়ে যায় মায়ামি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে জোড়া গোল দেয় নিউইয়র্ক সিটি।
ম্যাচের শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন মেসিরা। ম্যাচ শেষের ঠিক আগে মেসির পাস থেকে ২-২ করে মায়ামি। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ১০ জনে খেলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি। কিন্তু রেফারির বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত দলের বিপক্ষে যাওয়ায় খুশি ছিলেন না মেসি।
খেলা শেষ হতেই রেফারির দিকে তেড়ে যান। উত্তেজিতভাবে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। রেফারির উদ্দেশে কিছু বলতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু তাতে থামেনি তর্ক। রেফারির সঙ্গে তর্ক করতেই থাকেন। মাঠ থেকে বেরিয়েও শান্ত হননি। বিপক্ষের সহকারী কোচকে ধাক্কা মারেন। এই পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মেসির এই আচরণ দেখে সবাই অবাক।
বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫
রবিবার ০২ মার্চ 2০২5
রাশেদ মেহেদী, সিনিয়র সাংবাদিক :
ভুক্তভোগী যাত্রীদের বর্ণনায় এটা স্পষ্ট যে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের "আমরি ট্রাভেলসের" বাসটিতে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকরারিরা জড়িত। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই চালক ও সহকারিরাই ডাকাত দলকে বাসে তুলে ডাকাতি করার সুযোগ দিয়েছে।
অথচ ঘটনার তিন দিনে কোন মামলা হল না। পরে চালক ও তার সহকারিদের জামিন দেওয়ার পর একজন যাত্রীকে মামলা করার জন্য থানায় ডাকা হল। দেখা গেল থানায় অভিযুক্ত চালক আর তার সহকারিরাও গেছেন আরেকটি মামলা করতে...!
এটা অসৎ, দূর্নীতিবাজ পরিবহন নেতাদের নোংরা খেলা। তারা শুরু থেকেই মামলাটি দুর্বল করতে চাচ্ছেন। সে কারনে তারা প্রশাসনকেও ব্যবহার করছেন।
বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হয়, সরকার বদল হয়, আগের সরকারের প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বদলায়, কিন্তু পরিবহন খাত ঘিরে সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজ অটুট থাকে। বিগত সরকারের আমলে পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করা নেতা নামধারী সন্ত্রাসীদের কেউ জেলে, কেউ পালিয়ে, কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখুন আগের সরকারের সেই নেতাদের বন্ধুরাই এখন বিপ্লবী সেজে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক, গডফাদারের পদ অলংকৃত করে আছেন।
আমার প্রায় ৩০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় দেখেছি পরিবহন খাতে রাজনৈতিক দলে ছড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের সদস্যদরা দৃশ্যত প্রতিপক্ষ হলেও পর্দার আড়ালে তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এ কারনেই সরকার বদলায়, কিন্তু পরিবহনের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট আর তাদের নোংরা খেলা অটুট থাকে।
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
ধর্ষক নামের যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
৯ মার্চ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, মাগুরার সেই আট বছরের মেয়ে শিশুর ধর্ষক ও ধর্ষণের সহযোগিতাকারীদের অপরাধ এক ও অভিন্ন। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত চাই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এরকম ধর্ষক নামের আরও যত নিকৃষ্ট প্রাণী আছে, যে যেখানেই থাকুক তাদেরকে পাকড়াও করে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এ সময় ধর্ষকদেরকে বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদেরকে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। ধর্ষকদেরকে ঘৃণা করুন ও সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫