Logo
শিরোনাম

নিজ দেশে অভিনব সম্মাননা পেলেন মেসি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ইয়াশফি রহমান :দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্স মেতেছিল বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে। তিন তারকা জার্সি গায়ে জড়িয়ে মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে নিজ দেশের মানুষের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে আনন্দে গা ভাসিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা।

পানামার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ের দিন নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের ৮০০তম গোলের দেখা পেয়েছেন লা পুলগা। এবার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে অভিনব সম্মান জানাল আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা। দেশটির জাতীয় ফুটবল দলের অনুশীলন যেখানে হয়, তার নাম বদলে মেসির নামে রাখা হয়েছে।

সাধারণত দেশের মাটিতে আর্জেন্টিনার খেলা হলে বুয়েনস আয়ার্সের কাসা দে এজেইজাতে অনুশীলন করে পুরো দল। সব ফুটবলার সেখানে এসে হাজির হন। সেই মাঠই এবার মেসির নামে পরিচিত হবে।

এই বিষয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতি ক্লাদিয়ো তাপিয়া টুইটারে জানিয়েছেন, বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে এভাবেই সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন তারা। সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘরে আপনাদের স্বাগতম।

আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার এমন কান্ডে মেসি বলেছেন, খুব ভালো লাগছে। এই ঘটনাটা আমার কাছে বিশেষ অনুভূতির হয়ে থাকবে। নিজের নামে অনুশীলন কেন্দ্রের নাম! এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যায় না।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে অভিজাত ধনীদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের অধীন বহিরাগমন অনুবিভাগের হিসাবে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী চার মাসে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের চার মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশিতে। এ নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীদের ৭০ শতাংশই নতুন নাগরিকত্ব নিয়েছেন ইউরোপের কয়েকটি দেশে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাসে ৯৯ ব্যক্তি তাদের বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন। আর আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণেরও বেশিতে, ২০৭ জনে। এর মধ্যে অভ্যুত্থানের পর প্রথম মাস অর্থাৎ আগস্টে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন ৩৬ জন। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুজনে। পরের দুই মাসে এ সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। অক্টোবরে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন ১১২ জন। আর নভেম্বরে ত্যাগ করেছেন ৫৭ জন বাংলাদেশী।

অভ্যুত্থানের পরের চার মাসে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতি জার্মানির নাগরিকত্ব নেয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি। যদিও দেশটিতে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ আছে। এ তালিকায় পরের অবস্থানে আছে জার্মানির প্রতিবেশী অস্ট্রিয়া এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। গত বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৩২ জন জার্মান নাগরিকত্বের অনুকূলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। এ দেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে অস্ট্রিয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন ৪৫ জন। এছাড়া ১৪ জন চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের, চারজন সিঙ্গাপুরের ও দুজন ভারতের নাগরিকত্বের অনুকূলে বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন।

বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হলে দেশে অবস্থান করে বা যে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করা হয়, সেখানে থেকেই বাংলাদেশী দূতাবাসের মাধ্যমে এজন্য আবেদন করা যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকার নাগরিকত্ব পরিত্যাগের বিষয়টি মঞ্জুর করে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (বহিরাগমন-২ অধিশাখা) নাসরিন জাহান বলেন, মূলত নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদনগুলো আসে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই নাগরিকত্ব পরিত্যাগের আবেদন গ্রহণ করা হয়। যারা নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন, তাদের পুরো বিষয়টিই দূতাবাস থেকে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীদের মধ্যে সিংহভাগই অভিজাত ধনী। তাদের মধ্যে বিগত সরকারের আমলের কয়েকজন অলিগার্কও রয়েছেন। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশ থেকে অর্থ পাচারসহ নানা আর্থিক অপরাধের দায়ে শাস্তি এড়াতেও কেউ কেউ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলে কথিত আছে। আবার দক্ষ কর্মীর ক্যাটাগরিতে বিদেশে অভিবাসন গ্রহণকারীরা সংশ্লিষ্ট দেশের শ্রমবাজারে একক নাগরিকত্বের সুবিধা নিতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের নজিরও আছে অনেক। আবার নিরাপত্তাহীনতা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমাবনতিও অনেকের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিমত রয়েছে।

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগকারীদের অন্যতম সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ অলিগার্ক হিসেবে পরিচিত তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই সিঙ্গাপুরে স্থায়ী নিবাসী (পারমানেন্ট রেসিডেন্ট) হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। তবে তার নাগরিকত্ব ছিল বাংলাদেশের। কিছুদিন আগেই তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। দেশটির আইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনো সুযোগ নেই। এজন্য গত বছর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন আজিজ খান।

সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণকারী অলিগার্কদের আরেকজন এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল আলম মাসুদ, যিনি এস আলম হিসেবেও পরিচিত। গত নভেম্বরে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের আইনজীবীদের পাঠানো একটি চিঠির তথ্য দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়ে বলা হয়, ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের বিদেশী বেসরকারি আইন অনুসারে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে এস আলম ও তার পরিবারের অধিকার ও সুরক্ষা আছে। বিনিয়োগকারী হিসেবে নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে এস আলমের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু আন্তর্জাতিক সালিশি মামলা নয়, প্রয়োজনে অন্যান্য ব্যবস্থাও নেয়া হবে।

তবে এস আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব কবে গ্রহণ করেছেন, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কেউ সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে তাকে আগে বর্তমান নাগরিকত্ব ত্যাগ করে এর তথ্যপ্রমাণ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হয়। এর পরই তিনি দেশটির নাগরিক হওয়ার সুযোগ পান। সিঙ্গাপুরের আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার সুযোগ না থাকায় ওই ব্যক্তিকে আগে বাংলাদেশের পাসপোর্ট হস্তান্তর করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনুমোদন নিতে হবে যে তিনি সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেবেন এবং তিনি আর বাংলাদেশের নাগরিক নন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, নিরন্তর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতির কারণে আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও উচ্চদক্ষতার ব্যক্তিদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে বা স্থায়ীভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আবার বিচার এড়াতেও বিগত সরকারের আমলে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব ত্যাগের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‌তারা কেন নাগরিকত্ব ত্যাগ করছে সেটি তো অনুমান করে বলা যাচ্ছে না। একেকজনের কারণটা একেক রকম হতে পারে হয়তো। তবে মোটা দাগে আমার যেটা মনে হয়, বিগত সরকারের আমলের অলিগার্করা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের অনেকেরই বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অনেকেই বিদেশে পালিয়েছেন। ফলে বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যও অনেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে পারেন। কারণ বাংলাদেশের নাগরিক না হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা বা বিচারের মুখোমুখি করা একটু কঠিন এবং লম্বা প্রক্রিয়া।

অনেকটা একই বক্তব্য অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীরেরও। তিনি বলেন, যখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়, বিশেষ করে সে সময় যদি নিরাপত্তার ইস্যু থাকে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এখনকার সময়ে বিষয়টি প্রায় একই। প্রথমত, যারা নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছে, তারা মনে করছে বাংলাদেশে থাকা নিরাপদ না। যেহেতু একটা আইনি প্রক্রিয়া আছে, সুযোগও আছে, সে সুযোগটা তারা নিচ্ছে। এখন এ সুযোগ অনেকেই নিতে পারবে না। আমরা এ-ও দেখেছি যে অনেকেই বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, তারা পারেননি। কিন্তু ব্যবসায়ীসহ অনেকের ক্ষেত্রে সে সুযোগটা আছে। কেননা তাদের পরিবারের অনেকেই বিদেশে থাকে। যেটা আমরা শুনেছি বিভিন্ন সময়ে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে, সেখানে ব্যাংকে তাদের প্রচুর অর্থ আছে। যেকোনো সময়ের জন্য এমন সুযোগ তারা একটা ট্রাম্প কার্ডের মতো হাতে রাখেন। যাতে যেকোনো সংকটের সময় সেখানে থেকে যেতে পারেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে পারেন। নাগরিকত্ব ত্যাগ করার আরেকটি কারণ হতে পারে যে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক দলের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হয়। হয়তো রাজনৈতিক পটপরিবর্তন না ঘটলে তারা থেকেই যেত। তারা যে দেশেই থাকুক না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশে নিয়োজিত বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কিছুই করতে পারবে না। কারণ তারা পুরোপুরি ওই দেশেরই নাগরিক।

অভিযোগ রয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক দুর্নীতিবাজ ও নব্য ধনীর বিদেশে অর্থ পাচারের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ওই সরকারের শেষ দিকে বাংলাদেশীদের আরো বেশি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়। আর কয়েকটি শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশী অন্য দেশের পাসপোর্ট (অর্থাৎ নাগরিকত্ব) গ্রহণের পর বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে না চাইলেও এ দেশে ৭৫ হাজার ডলার স্থায়ী বিনিয়োগ করে সহজেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান।

বাংলাদেশী নাগরিকত্ব পরিত্যাগের পাশাপাশি গ্রহণের ঘটনাও রয়েছে। যদিও সেটি সংখ্যায় খুবই কম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৯৮৮ সালে প্রথম চারজন বিদেশীকে নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ। ১৯৮৯ সালে নাগরিকত্ব পান ৩৩ বিদেশী। এরপর ২০০৩ ও ২০১০ সাল ছাড়া প্রতি বছরই কিছু না কিছু বিদেশীকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫২ জন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নাগরিকত্ব পেয়েছেন বৈবাহিক সূত্রে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের কারণেও বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারীরা কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলে তাদের দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হলে সেই অপরাধ সংঘটনের পর নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করলেও তাদের নামে ফৌজদারি মামলা চালাতে কোনো বাধা নেই। তবে যেসব দেশে মৃত্যুদণ্ড নেই, কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের শাস্তিযোগ্য অপরাধের দায়ে বিচারের জন্য বন্দি প্রত্যর্পণ করা যায় না। কেবল যেসব দেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে, সেসব দেশের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভারতের সঙ্গে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকায় ওইসব দেশ থেকে বন্দি আনতে পারি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকায় বিষয়টি জটিল। যদি কেউ দেশে অভিযুক্ত হওয়ার ভয়ে নাগরিকত্ব ত্যাগ করে, তাহলে নিশ্চয়ই আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েই কাজটি করবে। বিষয়টি নিয়ে আন্তঃদেশীয় বিবাদ দেখা দিলে তা আইনের জটিল অংশ। এক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল ও দক্ষ কূটনীতিক লাগবে। এমনও হতে পারে, আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েও লড়তে হতে পারে। এটি বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া।

 


আরও খবর



সেপ্টেম্বরে ক্যান্সারের টিকা বাজারে আনবে রাশিয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মরণব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসায় খুব শিগগিরই বাজারে আসছে ভ্যাকসিন। রাশিয়ার গবেষকদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফসল এই ক্যান্সারের টিকা। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এই টিকার ব্যবহার শুরু হতে পারে বলে দাবি করেছেন রুশ গবেষকরা। রুশ বার্তা সংস্থা ‘তাস’ এ খবর জানায়।

রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেক্সজান্ডার গিন্টসবার্গ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে মিলতে পারে সংস্থাটির তৈরি ক্যান্সারের টিকা। রুশ বার্তা সংস্থা নভোস্তিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।   গিন্টসবার্গ বলেছেন, ‘চিকিৎসাক্ষেত্রে এই টিকার ব্যবহার সংক্রান্ত অনুমোদনের জন্য আমরা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আগামী আগস্টের শেষ নাগাদ সম্ভবত অনুমোদন দেয়া হতে পারে বলে আমরা আভাস পেয়েছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে আগামী সেপ্টেম্বরে এই টিকার ব্যবহার শুরু সম্ভব হবে। 

তিনি আরো বলেছেন, যাদের ইতোমধ্যে ক্যান্সার ধরা পড়েছে তাদেরকে এই টিকা দেয়া যাবে। টিকার মূল ওষুধ মানবদেহে প্রবেশের পর সেটি অল্প সময়ের মধ্যেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলে। এই প্রশিক্ষিত প্রতিরোধী শক্তিই ক্ষতিকর ক্যান্সারের কোষগুলোকে প্রথমে শনাক্ত এবং পরে ধ্বংস করে দেয়।  তিনি আরো জানিয়েছেন, চলতি বছর আরো কয়েকটি ক্যান্সারের ওষুধ এবং টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, রাশিয়ার অনেক সরকারি-বেসরকারি কোম্পানি এখন এ সংক্রান্ত গবেষণার দিকে ঝুঁকছে। 

ভ্যাকসিনটি সম্পর্কে গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এর আগে বার্তা সংস্থা ‘তাস’কে বলেছিলেন, পরীক্ষামূলক ব্যবহারে দেখা গেছে, এই ভ্যাকসিন টিউমারের বিকাশ এবং সম্ভাব্য মেটাস্টেট গুলোকে দমন করে রাখে, ছড়াতে দেয় না।



আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাত্র দুটি কাজ করলেই ক্যান্সার উধাও!

সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫




রাষ্ট্র পুনর্গঠনে পিছিয়ে গেলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে

প্রকাশিত:রবিবার ০২ ফেব্রুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে পিছিয়ে গেলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা যদি তর্কে লিপ্ত থাকি তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও ভোটারহীন নির্বাচন আমরা দেখেছি। উন্নয়নের নামে লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। কোনো রকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে তত দ্রুত আমরা উন্নত করতে পারব।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শামিম প্রমুখ।


আরও খবর

গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণে আসবে সমতা

শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারত থেকে এলো আরো ১২৫ টন চাল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

পাথরের পাশাপাশি চাল আমদানিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। বন্দরটিতে কয়েক দফায় এসেছে টনের পর টন চাল। সোমবার বন্দরটিতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে এসেছে পাঁচ ট্রাকে ১২ টন আতপ চাল।

মঙ্গলবার সকালে চাল আমদানির তথ্যটিনিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, ভারত থেকে আবার ১২৫ টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। এ চালগুলো আমদানি করেছে আল আমিন স্ট্যাবিলিসড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ২৫ টন করে পাঁচটি ট্রাক ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।


আরও খবর

রমজানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করবে সরকার

সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন (পরামর্শক) কমিটি সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে।

সুপারিশ অনুযায়ী- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধু ‘শিক্ষক’ পদবি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টাকে এ সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেয় পরামর্শক কমিটি। পরে বিকেল ৫টায় এ নিয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

এসময় পরামর্শক কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। ৯ সদস্যের এ পরামর্শক কমিটি দেশে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে মোট ১৪টি সুপারিশ করেছে।

শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের শিক্ষাকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, পদোন্নতি ও পেশাগত অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দিষ্ট আশু পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদে প্রাথমিক শিক্ষকসহ বিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো বিবেচনা করার সুপারিশ করে কমিটি। এ উদ্দেশ্যে আশু উদ্যোগ নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়।

পরামর্শক কমিটির সুপারিশে শিক্ষকদের বেতন বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে আছেন। প্রধান শিক্ষকদের জন্য সরকার ১১তম গ্রেড দিয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে পদায়নের দাবি উচ্চ আদালতে সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করেছে।

সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী সুপারিশ হলো- শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ, আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি।

প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে যে সুপারিশ সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ ও সকল প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ। শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়মানুসারে উচ্চতর স্কেল পাওয়ার যোগ্য হবেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বৃদ্ধি করা যেতে পারে ও সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্য থেকে দায়িত্বভাতাসহ পদায়ন করা যেতে পারে।

মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতিযোগ্য পদসমূহ ও শূন্যপদ আশু পূরণ, সমন্বিত গ্রেডেশন, পারস্পরিক বদলি, আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশ প্রতিবেদনের শেষাংশে বলা হয়, শিক্ষা সংস্কারের জন্য কোনো সহজ জাদুকরী সমাধান নেই। প্রস্তাবিত সুপারিশের বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সমন্বিত বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কার্যক্রম ও সরকারের বার্ষিক বাজেট হবে সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রধান বাহন।

গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে। কমিটিতে একজন সদস্যসচিব ও ৭ জন সদস্য ছিলেন।

কমিটির সদস্যরা হলেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সাবেক মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পিইডিপি-২ এর সাবেক যুগ্ম প্রোগ্রাম পরিচালক চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, গণসাহায্য সংস্থার পরিচালক (শিক্ষা) বেগম সামসি হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইরাম মারিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ এবং শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আলম।


আরও খবর