Logo
শিরোনাম

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রাজধানী

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে নারীর টানে বাড়ি ফিরেছেন রাজধানীবাসী। সেজন্য ঈদের আগের দিন থেকে ঢাকা শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে ফাঁকা শহরকে নিরপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে নিরাপত্তার স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য রাজধানীজুড়ে কাজ করছে। বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ নগরীর অভিজাত এলাকগুলোতে চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়া ইউনিফর্ম টিমের মোবাইল ডিউটি, মোটরসাইকেল টহল, সিসি ক্যামেরায় অপরাধী চিহ্নিতকরণ, সিভিল টিমের টহল জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংক-বিমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটে এমনকি পাড়া-মহল্লা, আবাসিক এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

জানা গেছে, ডিএমপির ৫০টি থানার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে। চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসিটিভি চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদে শহর ছেড়ে যাওয়া মানুষের বাসা/বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নিদের্শনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ টার্মিনালের পাশাপাশি ছুটির সময়ে আবাসিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

অপরাধ রোধে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন, উৎসব মুখর। তাই জনগণকে কোন ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না; সেই চিন্তা করেই কাজ করা হচ্ছে।

 

 


আরও খবর

বঙ্গবাজারে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

উৎসবের রঙে রঙিন রাজধানীর সড়ক

রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪




ছুটিতে পদ্মাসেতুতে প্রায় ২২ কোটি টাকা টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

এবার ঈদের ছুটিতে (৮ থেকে ১৪ এপ্রিল) পদ্মাসেতু হয়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২১ কোটি ৪৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ঈদুল ফিতরের সময় ২০ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয়েছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫০ টাকা।


সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৮ এপ্রিল ২০ হাজার ৮৫১ টি, ৯ এপ্রিল ৩০ হাজার ৩৩০টি, ১০ এপ্রিল ১৭ হাজার ৭০৫টি, ১১ এপ্রিল ১১ হাজার ১৯৪টি, ১২ এপ্রিল ১৫ হাজার ৮৮৩টি এবং ১৩ এপ্রিল ১২ হাজার ৮৯৬টি ও ১৪ এপ্রিল ১১ হাজার ৬২৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে এ সাতদিনে টোল আদায় হয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫০ টাকা।

জাজিরা প্রান্ত দিয়ে সাতদিনে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯৪৯টি, ১৪ হাজার ৮৭৪টি, ৮ হাজার ৫১০টি, ৭ হাজার ৪৬৫টি, ১২ হাজার ১০০টি এবং ১৫ হাজার ৫৯৬টি ও ২৩ হাজার ৩০১টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।


এতে এ প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে মোট ১০ কোটি ২০ লাখ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। এবার ঈদের আগে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড হয়।

এসব তথ্য দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এক মিনিটের জন্য সেতুতে যান পারাপার বন্ধ হয়নি। নির্বিঘ্নে পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করতে পারছে।


আরও খবর

মুরগি ও সবজির বাজার চড়া

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪




উপকূল অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনার দাবী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ি উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩% পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা পূর্বের তুলনায় ২৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। মিঠা পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে "নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা" শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা একথা বলেন। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ গোলবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল'র সভাপতিত্বে ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ'র সঞ্চালনায়

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুর রহমান, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও মংলা টেকনিক্যাল কলেজ'র অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম। 

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশ্বাস রনজিত কুমার, ব্রাক'র শফিকুর রহমান স্বপন, মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, ড. অসিত বসু, ড. অপর্ণা অধিকারী, প্রভাষক সাহারা বেগম, লিডার্স'র কৌশিক রায়, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুল হায়দার ইকবাল, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা'র গীতিকার মোল্লা আল মামুন, লিডার্স'র কৌশিক, বাদাবন'র পপি, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র কমলা সরকার, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেয়া হয়। পৌর এলাকার ৫ হাজার ৬ শো হোল্ডিংধারীদের  মধ্যে ২ হাজার  ৬ শো হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেয়া হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে ৩/৪ শো গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। 

এরআগে সকাল ৯টায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স, বাদাবন সংঘ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে মোংলার দক্ষিণ কাইনমারি পশুর নদীর পাড়ে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত লবণাক্ততার কবল থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি সরবরাহের দাবীতে অনুষ্ঠিত র‌্যালী ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। 

এ সময়ে তিনি বলেন ২০১০ সালে সুপেয় পানি পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে জাতিসংঘ। এসডিজি'র অভিষ্ট ৬ এর ৬.১ এ ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সুপেয় পানি পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদানের কথা বলা হয়েছে। সরকারকে উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে জলাধার-পুকুর খনন ও সংরক্ষন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। র‌্যালীতে শতাধিক নারী-পুরুষ খালি কলস হাতে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়।


আরও খবর



এবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 |

Image

ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি মিশন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন এই সংঘাত থেকে দূরে থাকে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

রবিবার ভোর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর এই হামলা শুরু করে ইরান। নজিরবিহীন এ হামলায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। জেরুজালেম ও তেলআবিবসহ পুরো ইসরায়েলজুড়ে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন।

হামলার পর থেকে ইসরায়েলের উপর পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জো বাইডেন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তারা ইসরায়েলের পাশে আছেন। ইরানের সমালোচনাও করেছেন তিনি। এমন অবস্থায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা যেন এই সংঘাত থেকে দূরে থাকে

ইরানের দাবি, তারা আত্মরক্ষার জন্য এই হামলা চালিয়েছে। জাতিসংঘ সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের হামলা বৈধ। ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে তারা এই হামলা চালিয়েছে।

এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে ইরান জানায়, ইসরায়েল যেন আর ভুল না করে, তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ আরও মারাত্মক হবে। আর এই সংঘাত শুধুমাত্র ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে হবে।


আরও খবর

ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট?

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

এদিকে, সকাল ৯টায় জেলার ফরিদগঞ্জ টোরামুন্সিরহাট বাজার জামে মসজিদেও মাওলানা মাহবুবুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

এর আগে গত ১১ মার্চ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন এসব মানুষ।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

উল্লেখ্য, বিগত ১৯২৮ সালে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি এবং মতলব উত্তর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত গ্রামে প্রায় শতাব্দিকাল ধরে এভাবে রোজা এবং ঈদ উদযাপন হচ্ছে।


আরও খবর



বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ |

Image

কক্সবাজারের টেকনাফে গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও বোমা হামলার বিস্ফোরণের শব্দে আবারও কেঁপে উঠেছে সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম। ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন। মিয়ানমারের গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্তে এ আতঙ্ক দেখা যায়।

সীমান্তের ওপার থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের শব্দ শুনতে পান হোয়াইক্যং, হ্নীলা, শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টেকনাফ সীমান্তের দক্ষিণ প্রান্তে এবার মিয়ানমার থেকে সবচেয়ে বেশি গুলির শব্দ ভেসে আসছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, সেহরির সময় থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলি ও মর্টার শেলের আওয়াজ শুনতে পান ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিকট শব্দে ঘুমাতে পারেননি কেউ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের কারণে মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, রাখাইনের মংডু টাউনশিপের উত্তরে নাকপুরা, বলিবাজার, পেরাংপ্রু, কাওয়ারবিলসহ কয়েকটি গ্রামে রোববার রাত থেকে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘাত চলমান রয়েছে। এসব এলাকায় দুই পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা ও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্তচৌকি দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়। ইতিমধ্যে মংডু টাউনশিপের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বপাশের রাচিডং টাউনশিপসহ ১০টির বেশি থানা দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য ও বিভিন্ন দফতরের ৩৩০ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। পরে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এরপর গত ১৫ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে তাদের পরিচয় শনাক্ত ও ডেটাবেইসের কাজ শেষ করা হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাড়া পেলে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।


আরও খবর