ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে নারীর টানে বাড়ি ফিরেছেন
রাজধানীবাসী। সেজন্য ঈদের আগের দিন থেকে ঢাকা শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেছে। তবে
ফাঁকা শহরকে নিরপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। যেকোনো ধরনের অপরাধ
কর্মকাণ্ড থেকে ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা
হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের পক্ষ
থেকেও নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে নিরাপত্তার
স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য রাজধানীজুড়ে কাজ করছে। বিভিন্ন
মোড়ে মোতায়েন আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ
নগরীর অভিজাত এলাকগুলোতে চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়া ইউনিফর্ম
টিমের মোবাইল ডিউটি, মোটরসাইকেল টহল, সিসি
ক্যামেরায় অপরাধী চিহ্নিতকরণ, সিভিল টিমের টহল জোরদার করা
হয়েছে। ব্যাংক-বিমাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটে এমনকি
পাড়া-মহল্লা, আবাসিক এলাকাগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডিএমপির ৫০টি থানার পাশাপাশি বিভিন্ন
এলাকায় ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে। চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সিসিটিভি চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদে শহর ছেড়ে যাওয়া
মানুষের বাসা/বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে গুজব ছড়িয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি
ঘটাতে না পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসব নিদের্শনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স
বিভাগের উপ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা হয়েছে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ
টার্মিনালের পাশাপাশি ছুটির সময়ে আবাসিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হয়েছে।
অপরাধ রোধে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে
জানিয়ে তিনি বলেন,
ঈদুল ফিতর অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন, উৎসব মুখর।
তাই জনগণকে কোন ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না; সেই চিন্তা
করেই কাজ করা হচ্ছে।