মইনুল ইসলাম মিতুল: হু হু করে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় নদী-তীরবর্তী মানুষগুলো বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে ছুটে যাচ্ছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলার হাতিবান্ধার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে (৫২.৭০ সেন্টিমিটার) বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২.৬০ সেন্টিমিটার)।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উজানে ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আজ সকাল ৯টায় পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি এবং বিকেল ৩টায় বিপৎসীমা দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। তবে রাত ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পাশাপাশি জেলার অন্যান্য নদী ও ঢোবায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ক্রমেই বাড়ছে দুর্ভোগ।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটির ওবাইদুল ইসলাম জানান, নদীর পানি বিকেল থেকে হু হু করে বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী হওয়ায় কয়েকদিন থেকে রাতে ঘুম আসছে না চোখে। কখন কি হয় সে চিন্তাই এখন মূল ভয়। এর আগে তিস্তার গ্রাসে ৮ বার বাড়ি সরিয়ে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্ঘুম রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা শুধু ওবাইদুলের নয়, ওই এলাকার শামসুল, আমজাদসহ অনেকেই জানান, পানি বৃদ্ধি পেলে আমরা যেখানে আশ্রয় নিই ইতোমধ্যে সেই স্কুলের মাঠেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এদিকে বন্যাসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর।