Logo
শিরোনাম

নির্মাণ মৌসুমেও কমছে রড-সিমেন্টের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের শুরুর দিকে অবকাঠামো নির্মাণের প্রধান পণ্য রড-সিমেন্টের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ডলার ব্যাংকে তারল্য সংকটের পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খুলতে অনীহাসহ বিভিন্ন কারণে এলসি মার্জিন সুবিধা কমে যায়। এতে ব্যাহত হয় আমদানি বাণিজ্য। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সরবরাহ উৎপাদন। তবে পর্যাপ্ত আমদানি সত্ত্বেও চাহিদা না থাকায় দাম নিম্নমুখী রয়েছে। চলতি নির্মাণ মৌসুমে সংকট কাটিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরার আশা থাকলেও সরকারি নির্মাণ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় সংকটে পড়েছে ইস্পাত সিমেন্ট খাত।

গত দুই সপ্তাহে দেশের বাজারে রডের দাম টনপ্রতি - হাজার টাকা কমেছে। সর্বশেষ গত দুই দিনে কমেছে প্রায় হাজার টাকা। রডের পাশাপাশি সিমেন্টের দামও বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০-১৫ টাকা কমেছে। চাহিদা না বাড়লে রড-সিমেন্টের দাম আরো কমবে বলে আশঙ্কা করছেন মিল মালিকরা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো খাত সবচেয়ে নাজুক সময় পার করছে। চলমান প্রকল্পের কাজে ধীরগতির পাশাপাশি বিগত ছয় মাসে নতুন কোনো মেগা প্রকল্পের অনুমোদন হয়নি। আগের প্রকল্পগুলোয় বিক্রি করা পণ্যের দামও মেটাতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। আগস্ট-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মিলছে না। আবার সরকারি প্রকল্পের বিল আটকে থাকায় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না অনেকে।

এদিকে গত এক বছর ডলারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে বাড়তি দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অথচ দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদকরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত ইস্পাত শিল্পকে নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া না হলে এর সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মেসার্স ডালিয়া ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. সাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘শীত মৌসুমে মূল্যবৃদ্ধির কথা থাকলেও গত ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের রডের দাম টনপ্রতি - হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার টনপ্রতি দাম কমেছে হাজার টাকা। মিল মালিকরা সরবরাহ বাড়ানোর কারণে মিলগেট থেকে সংগ্রহ মূল্য টনপ্রতি হাজার টাকা কমিয়েছেন।দাম আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী সংগ্রহ মজুদ কমিয়ে দিচ্ছেন। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন তিনি।

জানা গেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে নির্মাণ খাতে ধস নেমেছে। আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম একেবারে স্তিমিত হয়ে গেছে। মিল-কারখানাগুলো কোনো রকমে উৎপাদন চালু রাখলেও নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ভবন নির্মাণে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজেও মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বিগত এক বছর দেশে সরকারি বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন কম থাকায় রড-সিমেন্টের বাজারে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার বেছে বেছে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে।

বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের ইস্পাত খাত সংকটময় সময় পার করছে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্লান্ট স্থাপনে বিশাল বিনিয়োগ করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে কারখানাগুলো। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার চাহিদা না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে না পারলে ইস্পাত খাতের উদ্যোক্তারা বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

সিমেন্ট খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেড ওয়ানভুক্ত কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা সিমেন্টের বস্তাপ্রতি দাম ছিল ৫০০ টাকা। তবে গত কয়েক দিন সিমেন্ট ক্রয়ে ডিলারদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছে উৎপাদকরা। যার কারণে বস্তাপ্রতি দাম ১০-১৫ টাকা কমে লেনদেন করতে পারছেন পাইকারি খুচরা বিক্রেতারা। তবে দেশে উৎপাদিত অন্যান্য কোম্পানির সিমেন্ট ৪৬০-৪৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদা কম থাকায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দাম আরো নিম্নমুখী হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রামভিত্তিক ডায়মন্ড সিমেন্টের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাকিম আলী বলেন, ‘সিমেন্ট খাতের উৎপাদন সরকারি নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দেশের বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, সেগুলো গত আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সিমেন্ট খাতে।বিশ্ববাজার থেকে আমদানি, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা কেটে গেলেও ব্যবহারজনিত চাহিদা বৃদ্ধি না পেলে খাত ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উৎপাদকরা বলছেন, এতদিন ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ব্যাংকে ব্যাংকে ধরনা দিতে হতো। ডলার সংকটে অনেকে বাধ্য হয়ে ছোট আকারের এলসি খুলতেন। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহের কারণে পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। যার কারণে দেশে রড-সিমেন্ট উৎপাদনে কাঁচামালের সংকট নেই। বরং বাড়তি আমদানির কারণে স্ক্র্যাপের বাজারও কমে গেছে। উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও চাহিদা কম থাকায় দামে প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, দেশের ইস্পাত কোম্পানিগুলোর রড উৎপাদনে সক্ষমতা কোটি ২০ লাখ টন। বছরে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টনের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশই ব্যবহার হয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে। বাকি ৪০ শতাংশ বেসরকারি উদ্যোক্তা ব্যক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহার হয়। বর্তমানে চাহিদা কমে ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা কমেছে সরকারি প্রকল্পে। নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে রডের চাহিদা ২০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসায় দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রানী রি-রোলিং স্টিল মিলসের নির্বাহী পরিচালক সুমন চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ইস্পাত পণ্যের প্রধান ক্রেতা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন কার্যত বন্ধ রয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতিও শূন্যের কোঠায়। যার ফলে রডের বাজারে ক্রেতা চাহিদা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। অবকাঠামো নির্মাণ খাতের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরও সংকটময় পরিস্থিতিতে বিল পাচ্ছেন না। ফলে নানামুখী সংকটের কবলে পড়েছে দেশের ইস্পাত সিমেন্ট খাত।

 


আরও খবর

শৈত্যপ্রবাহ বইছে দেশের ১০ জেলায়

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫

কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় ন্যায্য মূল্যের দোকানে মিলছে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হওয়া ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলোতে বাজারের তুলনায় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। এই দোকানে ৯০-১০০ টাকা কম মূল্যে মাংস পেয়ে খুশি স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষরা। শুধুমাত্র নওগাঁতেই চালু করা হয়েছে এই ন্যায্য মূল্যের দোকান। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে পুরো দেশে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ মডেল হিসেবে মূল্যায়িত হবে বলে মনে করছেন নওগাঁর সচেতন মহল। বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের এমন উর্দ্ধগতির বাজারে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের স্বল্প মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্যতার কথা চিন্তা করে গত ২৩ নভেম্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশনায় জেলার ১১টি উপজেলায় প্রশাসনের পরিচালনায় চালু করা হয়েছে ন্যায্য মূল্যের দোকান। যে দোকানে বাজারের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যে আলু, পেঁয়াজ এবং ডিম পাওয়া যাচ্ছে। দোকানগুলোয় বর্তমানে নতুন আলু ও পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি এবং ডিম ৪৫ টাকা হালিতে পাওয়া যাচ্ছে। এই দোকান থেকে একজন ক্রেতা দুই হালি ডিম এবং দুই কেজি করে আলু, পেঁয়াজ ও মাংস কিনতে পারবেন। বাজার মূল্য থেকে কিছুটা কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন সকল শ্রেণির ভোক্তারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে ন্যায্য মূল্যের এই দোকান। শুক্রবার থেকে সেই দোকানগুলোর পণ্যের তালিকায় নতুন পণ্য হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস। একজন ভোক্তা প্রতি শুক্রবার ন্যায্য মূল্যের এই দোকান থেকে স্বল্প মূল্যে দুই কেজি গরুর মাংস ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে খোলা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭৫০ টাকা। ফলে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে গরুর মাংস এখন অনেকটাই ডুমুরের ফুলের মতো দুষ্প্রাপ্য বস্তু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এমতাবস্থায় মাসে অন্তত একবার এই সব মানুষদের খাবারের তালিকায় গরুর মাংস সংযোজন করতে জেলা প্রশাসন স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলার সদর, রাণীনগর, মান্দাসহ অন্যান্য উপজেলা পরিষদের ন্যায্য মূল্যে মাংস বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ন্যায্য মূল্যের দোকানে প্রায় দুই মন ওজনের একটি গরু সকাল ৯টায় জবাই করা হয়। সাড়ে ১০টার মধ্যে মাংস কেটে সাইজ করা হয়। মাংসের দাম কম হওয়ার কথা শুনে ক্রেতারা ছুটে আসেন। আবার অনেকে দেখার জন্যও আসেন। মাংস নিতে ইচ্ছুক অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে তালিকায় নাম লেখান। ঘন্টাব্যাপী সময়ের ব্যবধানে মাংস বিক্রি শেষ হয়ে যায়। উপজেলা সদরের রনসিংগা গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল জব্বার বলেন বাজারে গরুর মাংসের যে দাম কিনতে না পারার কারণে সেই মাংসের স্বাদ ভুলেই গেছি। বর্তমানে বাজারে ৬৯০-৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে যা আমার মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। আবার বাজারে কম পরিমাণ মাংসও বিক্রি হয় না। অথচ ন্যায্য মূল্যের দোকানে স্বল্প মূল্যে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস কেনা যাচ্ছে। এতে করে আমি পরিবারের সদস্যদের মাসে অন্তত একবার একবেলা গরুর মাংস খাওয়াতে পারবো। এমন দোকান চালু হওয়ায় আমি খুবই খুশি। এমন দোকান যেন কখনও বন্ধ না হয়। এখন থেকে আমিষের চাহিদা পুরণে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা হবে। নওগাঁ সদর উপজেলার চকমুক্তার মহল্লার বাসীন্দা বেসরকারি চাকরিজীবী সানাউল্লাহ বলেন, খুচরা বাজারে বরাবরই মাংসের দাম বেশি থাকে। মুরগি খাওয়া হলেও গরুর মাংস তেমন একটা কেনা হয় না। দাম কিছুটা কম পেয়ে এক কেজি কিনেছি। মাংস মোটামুটি ভাল। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য এমন উদ্যোগ অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. রবিন শীষ বলেন, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু হওয়ার পর সুবিধা পাচ্ছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। আলু, পেঁয়াজ ও ডিম এর সাথে গরুর মাংস যোগ করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার গরুর মাংস বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি এবং সর্বনিম্ন ২৫০গ্রাম পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন। এক কথায় সকল আয়ের মানুষই তাদের সামর্থ্য অনুসারে গরুর মাংস এই দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে সচেতনামূলক কিছু বিষয়ও প্রচার করা হচ্ছে। পলেথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে বিকল্প হিসেবে কাপড়ের ব্যাগে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ চাইলেও পলেথিনে পণ্য বিক্রি করা হবে না। এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলার মানুষরা ব্যাপক ভাবে উপকৃত হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।


আরও খবর



রাজাপুরে বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরে নানা বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রদল বুধবার সকালে জাতীয় সংগিত, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়। পরে বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়াও রক্তদান কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরণ,  ৬ ইউনিয়নে এতিমদের নিয়ে মিলাদ-দোয়া ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে বেলা ১১ টায় রাজাপুর পাইলট স্কুল মাঠে ৬ ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়। ইউনিয়ন থেকে আসা মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে যায় সভাস্থল। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল।

উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন রাব্বির সভাপতিত্বে এবং উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকন, বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হক নান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন, ছাত্রনেতা গোলাম জাকারিয়া, যুবদলের আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ পারভেজ, সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক রতন দেবনাথ, সৈয়দ নাজমুল হক, আমিনুল ইসলাম খান রিয়াজ, আব্দুল মান্নান খান, মাসুম হোসেন, রুহুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন নয়ন তালুকদার, মাহিম তালুকদার, নাজমুল হায়দার নুহু, তরিকুল ইসলাম মুন, জাহিদ হাসান, নাসিম সোহেল, তরিকুল ইসলাম মারুফ, ইমরান হোসেন, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌস রিপন, তাহা, শাহনেওয়াজ তুহিন, সৈয়দ ইয়াসিন আল আরাফাত, জুনায়েদ, পলাশ মৃধা প্রমুখসহ ৬ ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর

উজ্জীবিত খালেদা জিয়া

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন এমবাপ্পে

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গত অক্টোবরে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে দুই দিনের জন্য গিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ সময় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা হয়। তবে দুই মাস পর এসে সেই ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসী এই তারকা।

সুইডেনের যে প্রসিকিউটর এই মামলার তদন্ত করছিলেন, তিনি এমবাপ্পের বিপক্ষে অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। কারণ, এমবাপের বিপক্ষে অভিযোগ গঠন করার মতো কোনো কিছুই পাননি তিনি।

অক্টোবরে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হলেও, ওই সময় সুইডিশ প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন কারও নাম প্রকাশ করেনি। তবে একাধিক সুইডিশ সংবাদমাধ্যম, রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড এমবাপ্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ার কথা নিশ্চিত করে।

এমবাপ্পের প্রতিনিধিরা অবশ্য এই অভিযোগ ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে দাবি করেন। তাদের মতে এটা পুরোপুরি মিথ্যা এবং গুজব। এমনকি সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একই কথা বলেন এমবাপ্পে। তার ভাষ্য, তিনি স্টকহোমে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

এক বিবৃতিতে প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মারিনা সিরাকোভা জানান, সুইডিশ রাজধানীর হোটেলে সংঘটিত ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে নেই।

সিরাকোভা বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলার সময় সুপরিচিত এক ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত কারণে ধর্ষণ এবং যৌন নিপীড়নের দুটি ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। তবে আমার মূল্যায়ন হচ্ছে, তদন্ত এগিয়ে নেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রমাণ হাতে নেই।

এ কারণে এই তদন্তপ্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সেই পরিচিত ব্যক্তি, অর্থাৎ এমবাপ্পের কোনো ধরনের অপরাধে সংশ্লিষ্ট না থাকার কথাও নিশ্চিত করেন তিনি।


আরও খবর



বিটিভির জন্মদিনে প্রকাশ হয়ছে বিশেষ গ্রন্থ ‘তারিখ অভিধান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

পথচলার ষাট বছর পূর্ণ করে ফেললো বাংলাদেশ টেলিভিশন- বিটিভি। সরকারি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলটির জন্মদিন ঘিরে চ্যানেল আই আয়োজন করেছিলো এক ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠান। গান, স্মৃতিচারণ, বইয়ের মোড়ক খোলার আয়োজন আর আড্ডায় বুধবারের সকালটা ছিলো একেবারেই ভিন্ন ধরনের। 

১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের। বিটিভি নামেই পরিচিত দেশের সকল মানুষের কাছে। সৃষ্টি সৃজনের সূতিকাগার এই টেলিভিশন চ্যানেলের পথচলায় চড়াই উতরাই থাকলেও এক সময় বিটিভিই ছিল দেশের কোটি মানুষের দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠানের বিশাল সম্ভার। 

তাই টেলিভিশন চ্যানেলটির অতীত ঐতিহ্যর সাথে নতুন প্রজন্মের মেলবন্ধন রচনায় বেসরকারি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান চ্যানেল আই আয়োজন করেছিলো বিটিভির জন্মদিনের অনুষ্ঠান। গান গল্পের আড্ডায় বুধবারে সকালে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ হয়ে উঠিছিল বিটিভির নবীন প্রবীণ শিল্পী কলাকুশলীদের মিলনমেলায়। 

দেশের টেলিভিশনের অতীত ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য লেখক, সাংবাদিক নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের গবেষণা গ্রন্থবাংলাদেশ টেলিভিশন তারিখ অভিধানেরমোড়ক খোলা হয় এই আয়োজনে। 

বহুমুখী প্রতিভার লেখক, সাংবাদিক নাট্যকার আহমেদ রেজাউর রহমানের সঙ্গে বিটিভি সম্পর্ক অনেক পুরোনো। বাংলাদেশ টেলিভিশন নিয়ে যে কয়েকজন মানুষ নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে আসছেন, তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। বিটিভির এর আগে তিনি লিখেছেন গবেষণাধর্মী১৯৭১ ঢাকা টেলিভিশনগ্রন্থটি।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার আহমেদ রেজাউর রহমান সামনে আনছেন বিটিভি নিয়ে তার আরেকটি গ্রন্থ। বাংলাদেশ টেলিভিশনের নানা ধরনের অনুষ্ঠানের প্রচার সময় নিয়ে রচিত হয়েছেতারিখ অভিধান তার তথ্যবহুল এই বইটিতে ১৯৭১-১৯৮০ সাল পর্যন্ত সময়কে তুলে ধরা হয়েছে।

লেখক আহমেদ রেজাউর রহমানের বলেন, বিটিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান নাটক সম্প্রচারের দিন তারিখের ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিক বইয়ের প্রথম খণ্ড এটি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় খণ্ড প্রকাশেরও আশা রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বইটি খুবই প্রয়োজনীয় হবে বলে জানিয়েছেন প্রকাশক মনিরুল হক।

অনুষ্ঠানে আসা তারকারা বলেন, বিটিভি মানুষকে যেমন স্বপ্ন দেখিয়েছে তেমনি মেধার সম্মেলনও ঘটিয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি তাই রাজনীতি প্রভাবমুক্ত রেখে বিটিভি পরিচালনা করলে এক অনন্য উচ্চতায় চলে যেতো। উল্লেখ্য, চ্যানেল আই প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর বিটিভির জন্মদিনে নিজস্ব আঙিনায় আয়োজন করে বিশেষ অনুষ্ঠানের। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। 


আরও খবর



সহনীয় পর্যায়ে সবজির বাজার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

গেল ২-৩ সপ্তাহ ধরে বাজারে কমেছে সবজির দাম। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে। নতুন টাটকা সবজিতে ভরে গেছে বাজার, ফলে কমেছে দামও ।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দুই একটি সবজির এখন মৌসুম না হওয়ায় সেগুলোর দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে ঢেঁড়স, পটল, বরবটি। এগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় সাইজের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, একইভায়াবে প্রতি পিস বাধা কপিও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকায় ও পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মুলা ২০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বিচি যুক্ত শিম ৬০ টাকা, সাধারণ শিম ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা, নতুন লাল আলু ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে অন্যান্য জিনিসের তুলনায় সবজি কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হচ্ছে। কারণ বর্তমানে সবজির দাম কম যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছিল, সেই তুলনায় এখন সবজির দাম কম। আমরা চাই সবজির এমন দামের মতো বাজারে অন্যান্য পণ্য সাধারণ ক্রেতাদের এমন ক্ষমতার মধ্যে আসুক। তবে কয়েক বছর আগে শীতের সময় অর্থাৎ সবজির ফুল মৌসুমে সব ধরনের সবজির দাম আরো অনেক কম থাকতো, সে হিসেব করলে সবজির দাম আর আগের মত নেই। তবে কিছুদিন আগে সবজির চড়া দামের তুলনায় বর্তমানে সবজির বাজার কম যাচ্ছে।

রাজধানীর মগবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জয়নাল হক বলেন, বাজারে একেবারে কমে গেছে সবজির দাম, ক্রেতারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তবে দু একটি সবজির বর্তমানে মৌসুম না হয়, সেগুলোর দাম একটু বেশি। বাকি সব সবজির দাম অনেক কমে গেছে বাজারে। এছাড়াও বাজারে টাটকা সবজির সরবরাহও অনেক বেশি, যে কারণে দাম কম যাচ্ছে। পুরো শীতকালীন সময়ে সবজির দাম এমন কম যাবে। সামনে আরো কমতে পারে সবজির দাম।

সবজির দাম বিষয় কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি ঢাকায় আসছে প্রতিদিন। সব সবজি নতুন এবং টাটকা, আগের তুলনায় বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজির সরবরাহ হচ্ছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম কমে গেছে। কমপক্ষে আরো দেড় মাস সবজির দাম এমন কম থাকবে। এরপর থেকে কিছুটা বাড়তে শুরু করবে। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে সবজির দাম বর্তমানে যা যাচ্ছে, এর চেয়েও আরো অনেক কম দাম কারওয়ানবাজারে। যেকোনো ক্রেতা অন্যান্য বাজারের চেয়ে কারওয়ানবাজার থেকে আরো অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারবে।

মাংসের দাম স্থিতিশীল : সবজির দাম কমার ধারাবাহিকতার সাথে স্থিতিশীল রয়েছে সব ধরনের মাংসের দাম। তবে এতে ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বর্তমান দামকে গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল উল্লেখ করে সরকারকে দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ ও মৌচাকের একাধিক বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

মুরগির পাশাপাশি অন্যান্য মাংসের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীল অবস্থা দেখা গেছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা দরে। এছাড়া কলিজা, হাড় ছাড়া মাংস আলাদা আলাদা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস প্রতিকেজি ১০৫০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় স্থিতিশীল থাকলেও সার্বিকভাবে মাংসের দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে ক্রেতাদের মধ্যে। তারা বলছেন, বাজার স্থিতিশিল মানেই তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে না। বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।


আরও খবর