গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বেশকিছু হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে বিজয়ী-পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের ও দুজন গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দু’পক্ষই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে কলতাপাড়া ও গাজীপুর বাজারে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সমাবেশে উভয়পক্ষই আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
গত ২১ মে গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন আনারস প্রতীকের সোমনাথ সাহা। নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা ছিলেন দোয়াত-কলম প্রতীকের মোফাজ্জল হোসেন খান।
স্থানীয়রা জানান, ডৌহাখলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার নির্বাচনে কাজ করেন আনারস প্রতীকের পক্ষে।
নির্বাচনের পরের দিন ২২মে বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে আনারস প্রতীকের লোকজন উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান কাইয়ুমের ওপর হামলা ও গুলি করার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে।
গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুপক্ষই মামলা করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান কাইয়ুমের দায়েরকৃত মামলার আসামি তমাল খান পাঠান ও রিপন শেখ এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দুই মামালার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।