বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন যতো দ্রুত হয়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার শক্তিশালী হয়, কারণ তাদের পেছনে জনগণ থাকে, তখন সংস্কার কাজ করা সহজ হয়। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম থেকেই সংস্কারের কথা বলে আসছে। তবে সেটা হতে হবে টেকসই। তাতে জনগণের সমর্থন থাকতে হবে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন ও আজকের প্রেক্ষিত শীর্ষক এক নাগরিক ভাবনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যশোরে জেলা বিএনপির আয়োজনে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া যশোরের ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আধা ঘন্টা বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সামনে বিরাট ক্রান্তিকাল। ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছি। সেই ঐক্যকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক দেশ নির্মাণ করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আবার বিবেধ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ভুমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৬ বছরের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ৭শ’ নেতাকর্মী গুম হয়েছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন, পঙ্গু করা হয়েছে। গ্রামে গঞ্জে নেতা-কর্মীরা রাতে বাড়িতে থাকতে পারেনি, ধানক্ষেতে, গাছের ওপরে ঘুমিয়েছে। দীর্ঘ এই আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় শেষে গোলটা ভালোভাবে করতে পেরেছে ছাত্ররা। সেজন্য তিনি ছাত্রদের স্যালুট জানান। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ গনতান্ত্রিক দল না। তারা কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সময়, পরে ও গত ১৬ বছরে তারা সেটা প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ স্বাধীনতার পর দেখলাম উল্টোটা। আমাদের দুর্ভাগ্য, ৫৩ বছর পরও সেই গণতন্ত্রের কথাই আমাদের বলে যেতে হচ্ছে।