Logo
শিরোনাম

নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা অর্পণ করে এই সরকার সরে যাবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বতীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে এই সরকার সারে যাবে, তবে দশ বছর পরে যেন ছাত্ররা আবার রাস্তায় নামতে না হয়, আর যে ছাত্ররা বুকের রক্ত দিতে না হয় সে দিকে রাজনীতিবিদদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মতবিনিময়ের শুরুতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।

তিনি আরও বলেন, একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে। যারা বিজয় অর্জন করেছে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কাজ করতে হবে। সবকিছু একদিনে সমাধান করা সম্ভব নয়। সবাই সহযোগিতা করলে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে চূড়ান্তভাবে একটি নিরপেক্ষ এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর।

নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোঃ জাহিদ হোসেন, এমআরডিআই-এর অ্যাডভাইজার মোঃ সাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার কমোডর মোঃ খালিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (বেলাব-রায়পুরা) সার্কেল আফসান আল আলম, সহকারী কসিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেনসহ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যেন ফাটল সৃষ্টি না হয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে যেন কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয়। সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে সবচাইতে জরুরি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে ধরে রাখা। ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই জাতীয় ঐক্যকে গণ ঐক্যে রূপান্তরিত করে সেটাকে রাজনৈতিকভাবে আমরা যেন সাংস্কৃতিক চর্চা করতে পারি, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি এবং সেই ঐক্যকে ধরে রেখে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেটাই আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল তাদের সবাইকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন এখন যেকোনো রকমের অনৈক্যের বিজ আমাদের ভেতরে বপন করতে না পারে কোনো সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন, আমরা এসেছি, কথা বলেছি, আমাদের পরামর্শ যা দরকার রাষ্ট্র পরিচালনা হিসেবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে সেটা আমরা দিয়েছি।

ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনো পরামর্শ ছিল কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত ঘোষণাপত্র নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন। আমরা প্রশ্ন করেছি যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র আসলেই সাড়ে ৫ মাস পরে কোনো প্রয়োজন ছিল কি না? যদি থেকে থাকে সেটার রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং আইনি গুরুত্ব কী? সেটা নির্ধারণ করতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে সেখানে যেন কোনো ফাটল সৃষ্টি না হয় সেখানেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে। যদি কোনো রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয় সে দলিলটাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি। কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয় সেই দিকটা নিয়ে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। যেন জাতীয় ঐক্যে কোনো ধরনের ফাটল সৃষ্টি না হয়। আমাদের মধ্যে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।

ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী ছিল— জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলিল প্রণয়ন বিষয়ে আমরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছি, ইত্যাদি বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।

খসড়া নিয়ে কোনো আপত্তি আছে কি না— জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য কোন ধরনের বক্তব্য না দিয়ে চলে যান।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিপিএল ফাইনালে তামিমকে সম্মাননা দেবে বিসিবি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

আরেকটি বিপিএলের শেষ পর্যায়ে এসে তামিম ইকবাল প্রকাশ করেছেন পরবর্তী বিপিএলেও খেলার তার আগ্রহ রয়েছে। এটি হওয়া স্বাভাবিক। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটকে তো নয়!

শুধু বিপিএল নয়, আসন্ন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও তামিমের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া সুযোগ পেলে বিভিন্ন দেশে হওয়া সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ড লিগেও খেলতে চান তিনি। সুতরাং বাংলাদেশ দলের জার্সি না পরলেও এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন না তামিম। তবে গুঞ্জন সত্যি হলে অদূর ভবিষ্যতে যদি তিনি সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, সেটি হবে ভিন্ন কথা।

জাতীয় দলে যেহেতু আর খেলছেন না, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিম ইকবালকে বিদায়ী সম্মাননা জানানোর। আপাতত ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক কোনো ইভেন্ট নেই। বিপিএলের কালকের ফাইনালটাকেই তাই তামিমের বিদায়ী উপলক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিসিবি। কাল সন্ধ্যায় মিরপুরে অনুষ্ঠেয় বিপিএল ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে তার হাতে বিদায়ী স্মারক তুলে দেওয়া হবে। ফাইনালের দুই দলের একটি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

বিপিএলের সিলেট পর্ব চলাকালীন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে তামিম থাকবেন কি থাকবেন না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিলেটে নির্বাচকেরা তার মতামত জানতে চাইলে তামিম জানিয়ে দেন তিনি আর জাতীয় দলে খেলবেন না। নির্বাচকেরা তাঁকে আরেকটু ভাবতে বললে তামিম দুই দিন সময় নেন। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান তিনি।

তামিম লিখেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ পরে বিপিএলের মধ্যেই এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন তিনি। আজ মিরপুরেও বলেছেন একই কথা।

এর আগে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যে অনেকটা অভিমান থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তামিম। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে অবশ্য পরদিনই সিদ্ধান্ত পাল্টান। তবে এরপর জাতীয় দলের হয়ে মাত্র দুই ওয়াডেই খেলেছেন তামিম। বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গেছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য নিয়ে বিরোধ, মারপিটে আহত-৪

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image



শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি না দিয়েও ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য হওয়ার দাবী করাকে কেন্দ্র করে স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক শাহাজান গংয়ের মারপিটে আহত হয়েছেন রাজু আহমেদ জুয়েল, সাজু, হাবিব ও উৎসব নামে ৪ যুবক। নেক্কার জনক এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী সকাল সারে ১০ টারদিকে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতর। মারপিটের ঘটনাটি জানাজানি হলে, শাহাজানের শাস্তির দাবী করে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী- অভিভাবক ও এলাকাবাসীরা বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার দিন স্থানিয় চেরাগপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহাজানকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ওই বিদ্যালয়ের জমির দাতা হিসাবে নিজেকে দাবী করেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারী ওই বিদ্যালয়ের জমির প্রকৃত দাতা আব্দুল রাজ্জাক মাস্টারের স্বজনেরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষককে তাদের দলিল দেখানোর সময় খবর পেয়ে শাহাজান তার দলবল (শাকিব, শামিম, আরাফাত, রহুল, সালাম) সহ আরো কয়েক জনকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা সহ বিদ্যালয়ের অফিসের ভেতরে থাকা প্রকৃত জমি দাতার স্বজনদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং প্রধান শিক্ষিকাকে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী আজ বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করেন। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, শাহাজান বলেন, আমি তাদের মারপিট করিনি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। তারা আমার ভাবির কাথায় ইট মেরে মারান্তক জখম করেছে, আমার ভাবি নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে স্বরুপপুর সরকারি প্রাথমিক

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, শাহজাহন ও রুহুল এসে আমাদের মেডামকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে ও হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি মেয়ে মানুষ না হলে এতোক্ষনে আপনাকে পিটিয়ে সরাইতাম, আপনি মেয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে গেলেন। এখনো সময় আছে নিজে থেকেই বদলী নিয়ে সরে পরেন, না হলে আপনার চাকুরি খাব। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চিতা রানী সরকার বলেন, শাহজাহান আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং আমাকে চাকুরিচুত করার হুমকি দেন। শাহজান গংয়ের হুকমিতে আমি ও অপর শিক্ষকরা সবাই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রযে়ছি। 

ঘটনার বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করাহলে চেরাগপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ হারুন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান, তার ছোট ভাই ইউনিয়ন জামায়াতের কোষাধ্যক্ষ মোঃ শামিম এবং তার আরেক ছোট ভাই যিনি, নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা দাবী করেন তারা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রাধান শিক্ষকের কাছে দাতা সদস্য হিসাবে দাবী করলে প্রধান শিক্ষক তাদের (কাগজ) দলিল দেখাতে বলেন। এরপর আজ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি প্রকৃত জমি দাতার ছেলেসহ স্বজনরা জমির দলিল (কাগজ) সহ বিদ্যালয়ের অফিস রুমে গিয়ে শিক্ষকদের দেখানোর সময় ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান এর নের্তৃত্বে বেশ কয়েক জন বিদ্যালয়ের অফিসের মধ্যে ঢুকে জমি দাতার ছেলে ও স্বজনদের মারপিট সহ শিক্ষককে গালিগালাজ ও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, এক পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে এবং অন্য পক্ষও অভিযোগ দেওয়ার জন্য এসেছে। এ বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.১ শতাংশে নামবে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামতে পারে। এই অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সংকটের মুখোমুখি হবে দেশের অর্থনীতি।

আজ শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণসেবা ব্যয়ের চাপসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণ এই সংকটের জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। কিন্তু ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। দেশের মূল্যস্ফীতি ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

এদিকে রাজস্ব ঘাটতির কারণে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরও বেশি সংকটে পড়ছে।

সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য কয়েকটি সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে আছ রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে অর্থনীতির গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা যায়। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে স্বল্পমেয়াদে সংকট মোকাবিলায় জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ প্রয়োজন।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁর শিরন্টি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৪ শে জানুয়ারী বিকেলে খন্জনপুর বালিকা বিদ্যালয় মাঠে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদল শিরন্টি ইউনিয়ন শাখার  সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ট কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাস ব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  

উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাপাহার উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল  মজিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য আব্দুল্লাহ আনসারী, শিরন্টি ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আক্কাস আলী, যুগ্ন আহবায়ক বাবুল আকতার, ইসমাইল হোসেন, মোশারফ হোসেন,  ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সামেদুল ইসলাম, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম সরকার, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হারেস আলী, যুবদল সভাপতি ডাঃ নিয়ামত আলী, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবিব, ছাত্রদল নেতা হাসান আলি প্রমূখ। এসময় উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীগণ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর