Logo
শিরোনাম

নিউমার্কেট এলাকায় সড়কে স্বাভাবিকতা ফিরেছে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

দুদিনের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় যান চলাচল বন্ধ থাকার পর সড়কে স্বাভাবিকতা ফিরেছে।

তাছাড়া সড়কে ব্যবসায়ী-কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিবদমান কোনো পক্ষের উপস্থিতি দেখা যায়নি। নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে, ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। ওইদিন সকাল ৬টা থেকে নিউমার্কেট ও আশপাশের এলাকার সব সড়ক বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, বুধবার সকালে সড়কে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে না পড়ায় নিউমার্কেটের দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অপেক্ষা করছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায় প্রতিটি মার্কেটের নিচে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের মৌসুমে পুরো একটা দিন দোকানপাট বন্ধ থাকায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

সকালে সরেজমিনে ঢাকা কলেজের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের মূল ফটক বন্ধ। আশপাশে কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি চোখে পড়েনি।

চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ দোকান খোলার উদ্দেশ্যে সকাল ৯টায় মার্কেটে এসেছেন। তিনি জানান, ঈদের মৌসুম চলছে। এসময় মার্কেট না খুলতে পারলে বড় লোকসান হয়ে যাবে। আজ দোকান খোলার জন্য এসেছিলাম, কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত এলেই দোকান খুলবো।

হকার্স মার্কেটের দোকানি হাবিলদার হোসেন বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কখন দোকান খুলুম আর কখন বেচাকেনা করুম তা আল্লাহই জানে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ. ম. কাইয়ুম বলেন, ব্যবসায়ীরা সবসময়ই দোকান খুলতে চায়। তবে তারা কখন দোকানপাট খুলতে পারবে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। গতকালের মতো আজ যেন নতুন করে সংঘর্ষ না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা চলে রাত আড়াইটা পর্যন্ত। মধ্যরাতে দুপক্ষকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

এরপর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের অবরোধের পর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর নীলক্ষেত মোড়-সায়েন্সল্যাব এলাকায় থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরও ঢাকা কলেজ ও নিউমার্কেটসহ আশপাশ এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা যায়।

দুদিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ১১ জন সাংবাদিক, ঢাকা কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এবং ২৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ (১৮) নামের এক কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এদিকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টার দিকে নীলক্ষেত মোড়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাট।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




ডাকাত-ধর্ষকদের রক্ষার নোংরা খেলা বন্ধ করুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাশেদ মেহেদী, সিনিয়র সাংবাদিক :

ভুক্তভোগী যাত্রীদের বর্ণনায় এটা স্পষ্ট যে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের "আমরি ট্রাভেলসের" বাসটিতে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় বাসের চালক ও তার সহকরারিরা জড়িত। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই চালক ও সহকারিরাই ডাকাত দলকে বাসে তুলে ডাকাতি করার সুযোগ দিয়েছে। 

অথচ ঘটনার তিন দিনে কোন মামলা হল না। পরে চালক ও তার সহকারিদের জামিন দেওয়ার পর একজন যাত্রীকে মামলা করার জন্য থানায় ডাকা হল। দেখা গেল থানায় অভিযুক্ত চালক আর তার সহকারিরাও গেছেন আরেকটি মামলা করতে...! 

এটা অসৎ, দূর্নীতিবাজ পরিবহন নেতাদের নোংরা খেলা। তারা শুরু থেকেই মামলাটি দুর্বল করতে চাচ্ছেন। সে কারনে তারা প্রশাসনকেও ব্যবহার করছেন। 

বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হয়, সরকার বদল হয়, আগের সরকারের প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বদলায়, কিন্তু পরিবহন খাত ঘিরে সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজ অটুট থাকে। বিগত সরকারের আমলে পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করা নেতা নামধারী সন্ত্রাসীদের কেউ জেলে, কেউ পালিয়ে, কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখুন আগের সরকারের সেই নেতাদের বন্ধুরাই এখন বিপ্লবী সেজে পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক, গডফাদারের পদ অলংকৃত করে আছেন।

আমার প্রায় ৩০ বছরের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় দেখেছি পরিবহন খাতে রাজনৈতিক দলে ছড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের সদস্যদরা দৃশ্যত প্রতিপক্ষ হলেও পর্দার আড়ালে তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু।  এ কারনেই সরকার বদলায়, কিন্তু পরিবহনের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট আর তাদের নোংরা খেলা অটুট থাকে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই হবেন ‘মুক্তিযোদ্ধা’, বাকিরা সহযোগী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক স্বীকৃতি ও সংজ্ঞা নির্ধারণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন এক অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যারা সরাসরি রণাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন।

এছাড়া যারা দেশ ও বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এক সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নেওয়া আট ধরনের ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন খসড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

তিনি জানান, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে নতুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

নতুন আইনের মূল দিকগুলো হলো

১. রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা: যারা ১৯৭১ সালে সরাসরি অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরাই কেবল ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন।

২. মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী: জনমত গঠন, কূটনৈতিক সহায়তা, বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, চিকিৎসা সহায়তাকারী ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

৩. বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পর্যালোচনা: অতীতে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন সংজ্ঞার আওতায় না পড়েন, তবে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।

৪. বয়সসংক্রান্ত নীতি: মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছর ৬ মাস। এটি নিয়ে মামলা থাকায় আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন আইন কার্যকর হবে।

৫. ভুল তথ্য প্রদানকারীদের জন্য সুযোগ: যারা ভুল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়েছেন, তাদের ২৬ মার্চের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

বর্তমান আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ কিন্তু নতুন খসড়ায় এই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।

নতুন আইনে কেবল রণাঙ্গনে লড়াই করা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ উপাধি প্রবর্তন করা হচ্ছে।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন পেলে পরবর্তীতে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সভায় চূড়ান্ত করে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে ২ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব ও সালাউদ্দীন আম্মার। 

ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। এর মধ্যে মেহেদী সজীব কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সালাউদ্দীন আম্মার যুগ্ম সদস্য সচিব পদধারী নেতা।

ফেসবুক মেহেদী সজীব তার পোস্টে লেখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তার অগোচরেই করা হয়েছে, যা তিনি মেনে নিতে রাজি নন। 

তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নয়া ফ্যাসিবাদী মনোভাবের উত্থান-এর প্রতিবাদে তিনি এ প্ল্যাটফর্মে থাকতে চান না।

মেহেদী সজীব আরও লেখেন, আমি আগেই কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছি, বিভাজনের রাজনীতিতে আমি থাকতে পারব না। তবুও আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্পষ্ট বার্তা ঢাকা ও ঢাবি কেন্দ্রিক ফ্যাসিবাদী মনোভাব থেকে যতদিন না এই দলের অংশীজনরা বেরিয়ে আসতে পারবে, বিকেন্দ্রীকরণের দিকে মনোনিবেশ করবে, ততদিন আমি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় যাব না।

অন্যদিকে সালাউদ্দিন আম্মার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমাদের স্ট্যান্ড আমরা গতকাল রাতেই ক্লিয়ার করেছিলাম। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের পালসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাবি শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে না এই ঢাবি আধিপত্যবাদের পক্ষে থাকতে। তাই আমরাও চাচ্ছি না। শিক্ষার্থীরা না চাইলে আমরা কিছুই না।


আরও খবর



মেজাজ হারিয়ে শাস্তি পেলেন মেসি

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

রেফারি ও বিপক্ষ দলের সহকারী কোচের সঙ্গে বাজে আচরণের দায়ে শাস্তি পেলেন লিওনেল মেসি। গত রবিবার নিউইয়র্ক সিটি এফসি ও ইন্টার মায়ামির মধ্যকার ম্যাচে এ ঘটনা ঘটে।

এদিন মাথা গরম করে রেফারিকে আঙুল তুলে শাসান মেসি। হলুদ কার্ড দেখার পরও থামেননি। প্রতিপক্ষ দলের সহকারী কোচকে ধাক্কা দেন। মেসির এই আচরণে হতবাক সবাই। মেজর লিগ সকারের প্রথম ম্যাচেই মেজাজ হারিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন মেসি।

জানা গেছে, দলের অধিনায়কের এমন আচরণে ক্ষিপ্ত মেজর লিগ এবং ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ। যার ফলে তাকে অপ্রকাশিত পরিমাণ জরিমানা করেছে কর্তৃপক্ষ।

ম্যাচের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল মেসিদের। টমাস অ্যালভেজের গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। কিন্তু গোল করার কয়েক মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ২৩ মিনিটে ১০ জনে হয়ে যায় মায়ামি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে জোড়া গোল দেয় নিউইয়র্ক সিটি।

ম্যাচের শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন মেসিরা। ম্যাচ শেষের ঠিক আগে মেসির পাস থেকে ২-২ করে মায়ামি। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ১০ জনে খেলে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি। কিন্তু রেফারির বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত দলের বিপক্ষে যাওয়ায় খুশি ছিলেন না মেসি।

খেলা শেষ হতেই রেফারির দিকে তেড়ে যান। উত্তেজিতভাবে কথা বলতে দেখা যায় তাকে। রেফারির উদ্দেশে কিছু বলতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু তাতে থামেনি তর্ক। রেফারির সঙ্গে তর্ক করতেই থাকেন। মাঠ থেকে বেরিয়েও শান্ত হননি। বিপক্ষের সহকারী কোচকে ধাক্কা মারেন। এই পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মেসির এই আচরণ দেখে সবাই অবাক।


আরও খবর



দেশের ৭৪ উপজেলাকে দুর্গম ঘোষণা ইসির

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

যোগাযোগব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে দেশের ২৩ জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন । এসব এলাকায় দায়িত্ব পালনকারীদের ভাতা নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি দেওয়া হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত লোকবলের ভাতা নির্ধারণের জন্য দুর্গম এলাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে ২৩টি জেলার ৭৪টি উপজেলাকে দুর্গম এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে উপজেলাগুলো তথ্য সংগ্রহকারী ও অন্যদের জন্য ভাতা/সম্মানী এবং অন্যান্য খাতে অর্থ বরাদ্দ নির্ধারিত হারের চেয়ে দেড় গুণ করা হয়েছে।

দুর্গম এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে : ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা; বরগুনার বেতাগী, পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা; বাগেরহাটের রামপাল, মোড়লগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা; খুলনার বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দাকোপ ও কয়রা উপজেলা; নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা; কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা; হবিগঞ্জের বানিয়াচং, আজমেরীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলা; সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ধর্মপাশা, শাল্লা, জামালগঞ্জ, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলা; কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা।

বরিশালের হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা; সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা; নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও খালিয়াজুরী উপজেলা; পটুয়াখালীর গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও দশমিনা উপজেলা; সাতক্ষীরার আশাশুনী ও শ্যামনগর উপজেলা; পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা; কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা; মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা; মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা; খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, লক্ষীছড়ি; খাগড়াছড়ি সদর ও দিঘীনালা উপজেলা; বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানছি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা ও লামা উপজেলা; রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটি সদর, রাজস্থলী, লংগদু, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলা।

ইসি কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, পার্বত্য অঞ্চল, হাওর অঞ্চল, দ্বীপ অঞ্চল ও সমতল ভূমিকে যোগাযোগব্যবস্থা, ভৌগোলিক প্রেক্ষাপট ও দুর্গমতার ব্যাপকতা বিবেচনায় ভবিষ্যতে দুর্গম এলাকার তালিকা শ্রেণিভিত্তিক করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫