Logo
শিরোনাম

নিউমার্কেটে সংঘর্ষে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর : ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন সময় পুলিশের কাজে বাধা, ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা ও ঘটনায় নিহতদের পরিবার বাদী হয়ে দুটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

সোমবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সংঘর্ষের সময় মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. সুজন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা অন্তত ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

থানায় দায়ের করা পাঁচটি মামলা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনার ইন্ধনদাতা, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫

তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫




পীর সাহেব চরমোনাই কী সফল হতে পারবে?

প্রকাশিত:শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

আমিনুল ইসলাম কাসেমী, শিক্ষক ও কলামিস্ট :

ইসলামী রাজনৈতিক অঙ্গনে সুবাতাস  বইছে। বসন্তের হিমেল হাওয়ায়  উজ্জীবিত  রাজনীতির ময়দানে  এখন প্রীতি - ভালবাসাার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে।   ছয়মাস আগেও যাদের সাথে মুখ দেখাদেখি হতনা, ভিন্ন ভিন্ন প্লাট ফরমে বাসা বেঁধে ছিল। যে সব মানুষদের সাথে মুখ দেখা  আজীবন  নিষিদ্ধ ছিল বলা যায়, সেসব লোকগুলোর সাথে এখন প্রেম- প্রীতি দেয়া- নেয়া হচ্ছে। এখন একই ছাদের নিচে, একই টেবিলে বসে গেছে সবাই। আর কেউ মুখ ভেংচি দিয়ে দুরে চলে যাচ্ছেনা।  বরং দিনে দিনে প্রীতির বন্ধন মজবুত হচ্ছে বলে মনেহয়।


 অবশ্য এর কারিগর পীর সাহেব চরমোনাই তথা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ।  এদেশের দেওবন্দী স্রোতধারার সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন হল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  এই সংগঠনের আমীর সৈয়দ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) ।  নায়েবে আমীর সৈয়দ ফয়জুল করীম ( শায়েখে চরমোনাই)  

 যারা  ২৪ সনের বিপ্লবের কান্ডারী। যাদের ইসস্পাত এর ন্যায়  দৃঢ়তা এবং সাহসিকতার সঙ্গে এই  গণ অভ্যুথ্থানের নেতৃত্বে ছিলেন।  তারাই সর্বপ্রথম ইসলামী দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা- ভালবাসার নজরে তাকিয়েছেন। আর কাউকে পিছনে  ফেলা নয়।  আর কারো প্রতি অশ্রদ্ধা নয়। বরং ছাপ্পান্ন হাজার বর্গ মাইলের এ রাজ্যে ফ্যাসিস্টদের চিরতরে উৎখাত করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে  এ জাতি যেন নতুন দিগন্তে পৌছাতে পারে, এদেশ থেকে দুর্নীতির শেকড় উপড়ে ফেলে একটা সুস্হ- সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য পীর সাহেব চরমোনাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। 


পহেলা কাজ কিন্তু পীর সাহেব করেছেন। তিনিই সকলের সাথে বারবার বৈঠকে বসছেন।তার দলের নেতাদের পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গাতে। নিজের আমিত্ব মিটিয়ে দেশের ওলামায়েকেরামের দারস্ব হচ্ছেন বারবার। ইসলামী রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়,  কখনো তাদের অফিসে যাতায়াত, কখনো বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইসলামী দলগুলোর  প্রধান এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সাথে মিলে একাকার হয়ে যাচ্ছেন।


জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন! এটা কি কল্পনা করা যায়? আমিতো কোনদিন ভাবতেও পারিনি  জামাত আর চরমোনাই এর মধ্যে বরফ গলবে কোনদিন।  বরং রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মন্তব্য হল, জামায়াতের সাথে কোন দিন চরমোনাই এর সম্পর্ক হবেনা। কিন্তু সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জামায়াতের আমীর চরমোনাইতে গেলেন।  আর সেখানে পীর সাহেব তাকে অভ্যর্থনা জানাল। বেচারা ডা: শফিকুর রহমান তো শেষমেষ চরমোনাই এর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। চরমোনাইকে একটি দ্বীনি মারকাজ বলে আখ্যা দিলেন।


চরমোনাই ওয়ালাদের বড় চমক হল, এবারের চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে দেশের শীর্ষস্হানীয় আলেমদের হাজির করতে পেরেছেন। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের দেওবন্দী হালকার সবচেয়ে জনপ্রিয় আলেম আল্লামা মামুনুল হক সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে সেখানে নিয়ে গেছেন, এটা সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত। তাছাড়া এদেশের তাওহিদী জনতার মনের কামনা- বাসনাও ছিল এটা। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সেলিব্রিটি হলেন তিনি। যদিও মামুনুল হক সাহেব বরিশালের প্রোগ্রামে পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ প্লাট- ফরমে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন, তারপরেও চরমোনাই এর ওলামা সন্মেলনে মামুনুল হক সাহেবের উপস্হিতি পীর সাহেব এর সফলতা বলা যায়।


এভাবে পীর সাহেব চরমোনাই এগিয়ে যাচ্ছেন। ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরী করতে চাচ্ছেন, অন্তত আগামী নির্বাচনে যেন ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স থাকে।  মানুষ ইসলামের পক্ষে রায় দিতে পারে এমন কোশেশ তিনি করে যাচ্ছেন।  


তবে পীর সাহেব চরমোনাই কী পারবেন সবাইকে এক দস্তারখানে নিয়ে আসার? এখনো কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বসে আছেন। যাদের থেকে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছেনা।  আবার যাদের সাথে নতুন করে প্রীতি গড়ে উঠছে, তারা কী এই প্রেমবন্ধন রাখবেন?   


তবে সাধারণ জনতার প্রাণের দাবী, আর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকা নয়। এবার এক ছাতার নিচে যখন বসা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত প্রীতির এ বন্ধন টিকে থাকুক। সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে চলুক। এই প্রত্যাশা সকলের।

আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।  আমিন।


আরও খবর



১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

চার দিনের সফরে আগামী ১৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের দপ্তর আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব এ সফরে আসছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার ইস্যুবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ড. ইউনূসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




হৃদরোগীর রোজা পালনের ক্ষেত্রে করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ০২ মার্চ 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ শাহরিয়ার : হৃদরোগীরা রোজা পালন করতে পারবেন কিনা, রোজা এলেই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হৃদরোগীদের রোজা রাখতে তেমন সমস্যা নেই। রোজা রাখলে বরং শরীরের জন্য আরও ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, রোজা পালন করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। সেই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। সে হিসেবে রোজা পালন কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ নয় বরং উপকারী। উচ্চ রক্তচাপ রোজা পালনে কোনো প্রতিবন্ধক নয়।

তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রোজা পালনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের মাধ্যমে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। যেসব ওষুধ দিনে তিনবার খেতে হয় সেগুলো বাদ দিয়ে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসককে বললে আপনাকে দিনে একবার খেলেই চলে এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেবেন।

অ্যানজাইনা পেকটোরিস, হার্ট অ্যাটাকের রোগী এমনকি যাদের হৃদপিণ্ডের রক্তনালিতে রিং লাগানো আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে। আপনাকে যদি অ্যাসপিরিন সেবন করতে হয় তবে তা সেহরির সময় সেবন করবেন। যদি এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওমিপ্রাজল খেতে পারেন।

এখন দেশের আর্দ্রতা অনেক বেশি। এজন্য আমাদের ঘাম হয় বেশি। অনেক হৃদরোগীকেই ডাইইউরেটিক যেমন ফ্রুসেমাইড, স্পাইরোনোল্যাকটোন, টোলাজেমাইড ইত্যাদি ওষুধ খেতে হয়। এ ওষুধগুলো দেহে থেকে পানি বের করে দেয়। ঘামের সঙ্গে সঙ্গে এ ওষুধ দেহ থেকে বেশি পরিমাণে পানি বের করে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজার সময় এ ওষুধ সেবন না করাই ভালো। যদি সেবন করতেই হয় তবে ওষুধের ডোজ কমিয়ে দিতে হবে। এ জাতীয় ওষুধগুলো সন্ধ্যার পর সেবন করুন।

রোজা পালন করতে গিয়ে যদি হঠাৎ করে সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৮০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ১১০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয় তবে রোজা ভেঙে ফেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করতে হবে।

রোজা রাখলে যদি শ্বাসকষ্ট ও বুকে বেশি ব্যথা অনুভূত হয় তবে রোজা না রাখাই ভালো। যদি উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে কিডনির সমস্যা থাকে তবে রোজা রাখতে হলে একজন কিডনি রোগের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা রোজা পালনে কোনো সমস্যা নেই।

হৃদরোগীরা ইফতারিতে ভাজা-পোড়া খাবেন না। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। রোজার ফল খেজুর খেতে পারেন বেশি করে। পানি পান করুন বেশি করে। একটা কথা না বললেই নয় সেটি হলো, কোনো ওষুধেরই ডোজ নিজে নিজে পরিবর্তন করবেন না। চিকিৎসক যদি মনে করেন রোজা পালনে আপনার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বা অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা থাকে, তবে রোজা না রাখাই শ্রেয়। পরবর্তী সময় রোজাগুলো আদায় করতে পারেন বা বদলি রোজাও পালন করতে পারেন।

লেখক : শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

শেরেবাংলানগর, ঢাকা


আরও খবর



বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়েছে। আলহাজ্ব মানিক সওদাগর সভাপতি ও জাহিদুল ইসলাম প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা কমিটি এবং এডভোকেট আনিছুজ্জামান গামা সভাপতি ও সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১২ মার্চ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি জমা দানের নির্দেশ দিয়েছে জেলা কমিটি। উপজেলা বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিবুল হক সঞ্জু,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ক্বারী ও ময়নুর হোসেন সম্পদকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পৌর বিএনপির কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সানোয়ার সওদাগর,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক শাহজাহান পারভেজ শাহীনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৬ বছর পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জামালপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সেদিন কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। সম্মেলনের ২৩ দিন পর কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি।  

এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল তালুকদার বলেন,পৌর বিএনপির সকল নেতাকর্মীর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি জননেতা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম,সাধারণ সম্পাদত এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন ভাইয়ের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আমাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা সততার সাথে পালনের জন্য সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।

বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভ্পাতি আলহাজ্ব মানিক সওদাগর বলেন,নতুন কমিটি দিয়ে তৃনমূল নেতাকর্মীদের চাওয়া পাওয়া পুরন করেছেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ভাই। তাই এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও জেলা কমিটির সভাপতি ,সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত এর দিকনির্দেশায় সুন্দর একটি পুর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



গঙ্গা চুক্তিতে ইতিবাচক হলেও তিস্তায় সম্মতি নেই ভারতের

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার গঙ্গা চুক্তি বিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম বৈঠক সোমবার (০৩ মার্চ) থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে। পাঁচ দিনের এই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিচ্ছেন ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ঢাকা ও দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসলেও তিস্তা চুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতে রাজি নয় দিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা চায় না দিল্লি।

বস্তুত গতবছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই ঢাকা ও দিল্লির এক সময়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করে। এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের হামলা সেই সম্পর্ক আরও তলানিতে নিয়ে ঠেকায়।

কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে বাংলাদেশে কোনো ‘অনির্বাচিত’ বা ‘অন্তর্বর্তী’ সরকারের সঙ্গে তারা পূর্ণ এনগেজমেন্টে যেতে আগ্রহী নয় এবং মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে তারা এমন কোনো সমঝোতায় যাবে না, যেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে।

এই পটভূমিতেও যে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের যৌথ কমিটি মুখোমুখি বৈঠকে বসছে এবং সরেজমিনে ফারাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শন করতে পারছে– এটাকে পর্যবেক্ষকদেরও অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন।

বিবিসি জানতে পেরেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বৈঠকের ব্যাপারে ‘রাজনৈতিক সবুজ সংকেত’ (পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স) দেওয়ার পরেই এই বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হয়, বাংলাদেশেকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং যাবতীয় কর্মসূচি ঠিক করা হয়।

এর প্রধান কারণ হলো, ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তির তিরিশ বছরের মেয়াদ ২০২৬-র ডিসেম্বরেই শেষ হবে– ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ওই চুক্তির নবায়নের জন্য মাত্র বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে আছে বলেই এই বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকটিকে স্থগিত করতে চায়নি কোনো পক্ষই, দু'দেশের কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা যাচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পদস্থ সূত্র বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গঙ্গা চুক্তির বিষয়টি আলাদা। এখানে টেকনিক্যাল কমিটির বিশেষজ্ঞরা বৈঠকে বসছেন কারণ আমাদের হাতে চুক্তি রিনিউ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই।

তিনি আরও জানাচ্ছেন, তবে অভিন্ন নদী তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে ভারত কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাচ্ছে না। কারণ সেখানে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্ন আছে এবং ভারত মনে করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সেই আলোচনা চালানোর কোনো ‘ম্যান্ডেট’ নেই!

কী হবে বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার যৌথ নদী কমিশনের অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন।

গঙ্গা চুক্তিতেই বলা আছে, দু'দেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশে পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জলের প্রবাহ ও অন্যান্য বিষয়ে যৌথ পরিদর্শন করতে পারবেন।

সেই অনুযায়ী, ৮৬তম বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধিরাই কলকাতা থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তেসরা ও চৌঠা মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশে যৌথ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হবে। ৫ মার্চ (বুধবার) যৌথ কমিটির সদস্যরা আবার কলকাতায় ফিরে আসবেন।

৬ই মার্চ কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের 'টেকনিক্যাল কমিটি'র বিশেষজ্ঞদের বৈঠক। পরদিন (৮ই মার্চ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, এটি এমনিতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গা চুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে আসছে তাই এটির ‘আলাদা গুরুত্ব’ আছে।

গঙ্গায় ফারাক্কা পয়েন্টের আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে জলের প্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার জলপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে– এই বিষয়গুলো নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা হয়ে থাকে।

আগামী বছর গঙ্গা চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় জল ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাইছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ফলে সে দিক থেকেও এই বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব আছে। আর এই বৈঠকের রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের আমলেও ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে এই সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিস্তায় না, কিন্তু গঙ্গাতে হ্যাঁ : গত বছরের ৮ আগস্ট বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পরেই ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তার সরকার ভারতের কাছে অভিন্ন নদী তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাও দাবি করবে। ওই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য স্পষ্টতই ভারতের মনঃপূত হয়নি এবং তারা সেটা ঢাকাকে বুঝিয়েও দিয়েছিল।

দিল্লিতে সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকার নয় তাই তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো আলোচনাতে যাওয়ারও প্রশ্ন ওঠে না। ফলে গত সাত মাসে তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এমনকি শেখ হাসিনার বিদায়ের মাত্র দিনকয়েক আগে যে 'তিস্তা মহাপরিকল্পনা'য় ভারতের সক্রিয় যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছিল, সেটাও যথারীতি হিমঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিস্তার ক্ষেত্রে ভারত এক ধরনের অনমনীয় মনোভাব দেখালেও গঙ্গা চুক্তি নিয়ে কিন্তু দিল্লির দিক থেকে এক ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওই চুক্তি নবায়নে তাগিদ যে ভারতের দিক থেকেও আছে, সেটা ঘটনাপ্রবাহ থেকেও স্পষ্ট।

ঢাকায় ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী অবশ্য এর মধ্যে অসুবিধার কিছু দেখেন না।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, “গঙ্গা চুক্তি প্রায় তিন দশক ধরে ‘টেস্টেড অ্যান্ড ট্রাস্টেড’ – মানে ভরসা আর সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এর মাঝে বাংলাদেশে এমন সরকারও এসেছে যারা ভারতের প্রতি ততটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু তাতে চুক্তির বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হয়নি। ফলে এই চুক্তিটাকে যে দুই দেশই নবায়ন করতে চাইবে, এটাই তো স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু অন্য দিকে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আমরা কিন্তু এখনও কোনো চুক্তিই করে উঠতে পারিনি। ফলে গঙ্গা আর তিস্তার বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা চোখে দেখতে হবে।

আর যেহেতু ঢাকায় বর্তমান সরকারের সঙ্গে দিল্লি কোনো দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই তিস্তা নিয়ে আলোচনা না এগোলেও গঙ্গা নিয়ে বৈঠক কিন্তু ঠিকই হচ্ছে—বলেন, সাবেক হাই কমিশনার পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫