Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

নকশবন্দিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৭২২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক :

নকশবন্দিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শেখ খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ আল-বোখারী রহ.। এই তরিকা মূলতঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কর্তৃক উদ্ভাবিত। রাসূলুল্লাহ সা. গোপন ভাবে হযরত আবু বকর রা.কে ইলমে মারেফাতের যে খেলাফত দান করিয়াছিলেন, তাহা অদ্যাবধি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন তরিকা, উপ-তরিকার মাধ্যমে জারী রহিয়াছে। নক্শবন্দিয়া তরিকা উহার একটি উল্লেখ যোগ্য তরিকা। রাসূলুল্লাহ সা.-এর গোপন তালিম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.- এর মাধ্যমে পীর বা খলিফা পরম্পরায় সিনা-ব-সিনায় ইমামে তরিকত শামসুল আরেফিন হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ. পর্য্যন্ত খেলাফত প্রাপ্তির ষোড়শ স্তর পৌঁছিয়াছে।

নকশবন্দিয়া তরিকার গুরুত্বপূর্ণ তালিম হইল ছয় লতিফা এবং চার উপাদান তথা আব, আতশ, খাক, বাদ অর্থাৎ পানি, আগুন, মাটি ও বাতাস প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করা। ছয় লতিফা: ক্বাল্ব, রূহ, ছের, খফী, আখফা, নফস প্রভৃতির উপর সাধনার প্রতিক্রিয়া পরিচালিত হয়। ইহা ব্যতীত পঞ্চ হাযরা তথা সায়ের ইলাল্লাহ, সায়ের ফিল্লাহ, সায়ের আনিল্লাহ, আলম-এ-মিসাল, আলম-এ-শাহাদাত প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করিবার নিয়ম-পদ্ধতি এই তরিকায় বিদ্যমান রহিয়াছে। নকশবন্দিয়ার তালিম রাসূলুল্লাহ সা. হইতে সিনা-ব-সিনায় হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দিয়া রহ.- এর নিকট পৌঁছিলেও পূর্বে তাহা লিপিবদ্ধ আকারে ছিল না। হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ রহ. তাহা সু-শৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করেন।

নক্শবন্দিয়া সাধকগণ আহাদিয়াত, ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াতের স্তরে পরিভ্রমণ করেন। ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াত স্তর দুইটি উপনীত হইতেছে সায়ের ইলাল্লাহতে। আলমে আমর ও আলমে খালক একই স্তরে অবস্থিত। আহাদিয়াতের স্তর কেবলই সায়ের ফিল্লায় অবস্থিত।

নকশবন্দিয়া তরিকা মতে ৮টি বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় যথা:

১. হুঁশদম: শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি খেয়াল রাখা।
২. নেগাহ্ বর কদম: পীরের পদাঙ্কানুসরণ করা।
৩. সফর দার ওয়াতন: দেহ রাজ্যে পরিভ্রমণ করা।
৪. খিলওয়াত দার আঞ্জুমান: চুপি চুপি বাক্যালাপ।
৫. ইয়াদ কার্দান: সার্ব্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল থাকা।
৬. বাজগশত: আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া।
৭. নেগাহ দাশ্ত: আল্লাহতে অন্তর্দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা।
৮. ইয়াদ দাশ্ত বা খোদগোজাশ্ত: নিজকে নিঃশেষ করিয়া আল্লাহতে চির জাগ্রত রাখা। এই তরিকা মতে নিচু স্বরে জিকির স্বীকৃত। এই তরিকার কোন কোন উপ-তরিকায় সামা জাতীয় গজলের প্রচলনও রহিয়াছে।

উল্লেখ্য, নকশবন্দিয়া তরিকার শাজারা মোবারকে ১৬তম পুরুষ ইমামুত তরিকত হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ.। কিন্তু ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম এই পবিত্র তরিকা প্রচার-প্রসার শুরু করেন হযরত খাজা রাজি উদ্দীন মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ রহ.। তিনি এই তরিকার ২২তম পুরুষ। তিনি স্বীয় পীর-মোর্শেদ হযরত মাওলানা খাজাগী আমাকনগী রহ.- এর নির্দেশে এই তরিকার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যেই ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন। তখন তাঁহার সফর সঙ্গী ছিলেন তাঁহার স্ত্রী ও মহীয়সী মাতা।

হযরত বাকি বিল্লাহ রহ.- এর পবিত্র মাজার শরীফ নতুন দিল্লী রেল ষ্টেশনের নিকটে নবী করীম সড়কের একটি টিলার উপর অবস্থিত।



আরও খবর

রুহ এবং মানুষ : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

রবিবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে এ কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

আশকোনা হজ অফিস ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট। হজচুক্তি অনুযায়ী এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন।

আশকোনা হজ ক্যাম্প, হজ এজেন্সি হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এবার হজ পালনে যাবেন সরকারি-বেসরকারিভাবে ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন বাংলাদেশি। ৪০ হজযাত্রীর জন্য থাকছেন একজন গাইড।

হজ ক্যাম্পের আইটি সেকশন ও কয়েকটি হজ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক জানান, এবার ৬০৩টি হজ ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে ১ লাখ ১০ হাজার ৪১৭ জন (নন-ব্যালটি) হজে যাচ্ছেন। আর সরকারিভাবে যাচ্ছেন (ব্যালটি) ১০ হাজার ৭৪ জন। এসব হজযাত্রীর খোঁজখবর নিতে ৬০৩টি ট্রাভেল এজেন্সির ৬০৩ জন মালিক বা প্রতিনিধি সৌদি আরব যাচ্ছেন।

আগামী ২০ মে দিনগত রাত পৌঁনে ৩টায় প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবে যাবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



মোখা’ থেকে ফসল রক্ষায় ১০ পরামর্শ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ১২ মে অতি প্রবল আকার ধারণ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে ধান ও অন্যান্য ফসল রক্ষায় বিশেষ কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা (বামিস)।

আগামী ১৪ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ঝোড়ো হাওয়া এবং হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য জরুরি কৃষি আবহাওয়া বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের জন্য বিশেষ এই পরামর্শের কথা বলা হয়।

১. বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে ফেলুন।

২. সংগ্রহ করা ফসল পরিবহন না করা গেলে মাঠে গাদা করে পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে রাখুন যেন ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতি না হয়।

৩. দ্রুত পরিপক্ব সবজি ও ফল সংগ্রহ করে ফেলুন।

৪. সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকুন।

৫. দণ্ডায়মান ফসলকে পানির স্রোত থেকে রক্ষার জন্য বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিন।

৬. নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখুন যেন জমিতে পানি জমে না থাকতে পারে।

৭. খামারজাত সব পণ্য নিরাপদ স্থানে রাখুন।

৮. আখের ঝাড় বেঁধে দিন, কলা ও অন্যান্য উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল এবং সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করুন।

৯. পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে দিন যেন ভারী বৃষ্টিপাতের পানিতে মাছ ভেসে না যায়।

১০. গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখুন।


আরও খবর



কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

সময় যতই গড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা তত বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি আসছে। আগামীকাল সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও পায়রায় ৮ নম্বর এবং মোংলায় ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এনামুর রহমান বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোন হচ্ছে না। এটি অতি প্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড়। আগামীকাল রোববার (১৩ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।

এর আগে শনিবার (১৩ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে চলে এসেছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা (ECP: 966 HPA) উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৫.৪° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

বিশেষ ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এটি আজ সকাল (১৩ মে) ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রবিবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

শনিবার থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। এছাড়াও অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।


আরও খবর



মানসিক চাপে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

একথা আমাদের প্রায় সবারই জানা যে, রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে সমস্যা আরও বেশি দেখা দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছাড়াও সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও রক্তে হঠাৎস সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলার পরও সুগার বেড়েই চলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক কারণে শরীরে সুগারের তারতম্য ঘটতে পারে। কী কারণে এমনটা হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক :

পানিশূন্যতা

শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে তাকে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন বলা হয়। শরীরের ভেতরে পানির অভাব দেখা দিলে তখন শরীর আর্দ্রতা হারায়। এর ফলে দেখা দিতে পারে ডায়াবেটিসের সমস্যা। তাই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে।

নিয়মিত ওষুধ না খেলে

রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। অনেকে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে ভুলে যান। সেখান থেকেই বাড়ে বিপদ। নিয়মিত সুগারের ওষুধ না খেলেই হঠাৎ সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার পরও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এরকমটা হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করলে

ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় অনেকেরই। সেসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও সুগার বাড়তে পারে। ক্ষতিকারক স্টেরওয়েডযুক্ত ওষুধ সেবন করলে তা ব্লাড সুগার হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না।

মানসিক চাপের কারণে

নানা কারণে মানসিক চাপে ভুগে থাকেন অনেকেই। সম্প্রতি কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপের ফলে শরীরে হরমোন ক্ষরণে তারতম্য ঘটে থাকে। গবেষণা আরও বলছে, মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সুগারেরও। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে রক্তে সুগারের পরিমাণ বাড়তে পারে।

ঘুম কম হলে

অনেকেই রাতে ঠিক সময়ে ঘুমাতে যান না। রাত জেগে থাকার বদ অভ্যাস আছে অনেকের। যে কারণে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এদিকে মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে ঘুমে সমস্যা সৃষ্টি হয়। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীরে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



এক সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে সিলগালা

ভূমিকম্পের বড় ঝুঁকিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন ১৭তলা ভবন ডি-ব্লকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি বিভাগের মধ্যে অনেক বিভাগও এ ভবনেই। অথচ ভবনটি রয়েছে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকিতে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে সিলগালা করার নির্দেশনা দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পরে ভবনগুলো ভেঙে ফেলতেও বলা হয়েছে। রাজউক থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্স প্রদানের জন্য ঢাকায় ১৯৬৫ সালে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর আইপিজিএমআরকে ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল সংসদীয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রূপান্তর করা হয়। আইপিজিএমআর থেকে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. তাহির। ওই সময় ডি-ব্লক নির্মাণ করা হয় এবং এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ছিলেন অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হুমায়ুন কবির।

জানা গেছে, বর্তমানে বিএসএমএমইউতে ৫৬ বিভাগের অধীন ১ হাজার ৯০৪ শয্যা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৯টি ভবন। এ ছাড়া গত বছর সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএসএমএমইউর মধ্যে সবচেয়ে বড় ভবন ডি-ব্লক। ১৭তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান ও রাজউকের যৌথ গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভবনটি ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। গত ১২ মার্চ বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন জাহানের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন কারিগরি কমিটির গবেষণাকালে ৪২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিএসএমএমইউর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩টি ভবন আগামী সাত দিনের মধ্যে সিলগালা করে দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। বিষয়টি অতিব গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠির বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মো. মোবারক হোসেন বলেন, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টে দেখা গেছে, রাজউকের আওতাধীন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৪২টি ভবন রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়, যেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। আর ১৮৭টি ভবন কম ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোকে রেক্ট্রোফাইটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করতে হবে। এসব ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হবে।

বিএসএমএমইউর প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা বাইরের প্রকৌশলীদের নিয়ে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন ভবনটি ঠিক আছে। এটি কীভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হলো, তা জানতে রাজউককে চিঠি দিয়েছি। রাজউক এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভবনটিতে অনেক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এত যন্ত্রপাতিসহ একটি ভবন ভেঙে ফেলা সহজ নয়। রাজউক যদি বুয়েটের টিম দিয়ে ফের পরীক্ষার কথা বলে থাকে, তাহলে আমরা পরীক্ষা করাব। তারপরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালক) প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ১৭ তলা বিশিষ্ট ডি-ব্লক নামের ভবনটি নতুন হলেও নকশা অনুযায়ী হয়নি। ভবনটির ভেতরে অপ্রশস্ত করিডোর, জরুরি নির্গমন না থাকা, লিফট স্থাপনও সঠিকভাবে হয়নি। ভবনটি চরম অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তর নির্মাণ করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছে। আমরা বলেছি, ভবনটি বিধিবিধান মেনে নির্মাণ হয়নি। এখন তারা যদি আমাদের গবেষণা রিপোর্ট মানতে না চায়, তাহলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে ফের পরীক্ষা করাতে পারে। সে সুযোগ তো তাদের আছে। ভবনটি এখনই ভেঙে ফেলত হবে, এমন নয়। তবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ভবনটি খালি করে সিলগালা করা উচিত।

গবেষণা দলের একজন সদস্য বলেন, ১৭ তলা ভবনটি একবারে নির্মাণ করা হয়নি। প্রথমে কয়েকতলা নির্মাণ করা হয়েছে। এর কয়েক বছর পর আবার কয়েক তলা নির্মাণ করা হয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশা অনুযায়ী গণপূর্ত অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটিতে দুটি ফায়ার এক্সিট রাখার দরকার হলেও একটিও রাখা হয়নি। ভবনের ভেতরের করিডোর একেবারে চিকন। সিঁড়ি দুটি এমনভাবে করা হয়েছে, আগুন লাগলে মানুষ সেগুলো দিয়ে বের হতে পারবে না। ভবনটি একটি বাক্সের মতো করে নির্মাণ করা হয়েছে। কত সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে, সে তথ্যও পাওয়া যায়নি। এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হাজারো মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে।

রাজউকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্লান (ডিএমডিপি) এলাকার সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতাধীন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ করতে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প : রাজউক অংশের আওতায় একটি গবেষণায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গবেষণার দায়িত্বে ছিল জেভি অব এনকেওয়াই (তুর্কি)। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ঢাকার শেলটেক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডিএমডিপি এলাকার ৩ হাজার ২৫২টি ভবনের রেপিড ভিজ্যুয়াল অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএ) এবং প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) করে ভূমিকম্প ঝুঁকি নিরূপণ করে। গবেষণাকালে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর কম ঝুঁকির তালিকায় আছে ১৮৭ ভবন। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে রাজউকে দাখিল করা হয়েছে।

রাজউকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গবেষণা প্রতিবেদনে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ৪২টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ফেলার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদরাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন। এ ছাড়া প্রতিবেদনে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রেক্ট্রোফাইটিং করে মজবুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।


আরও খবর