Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

নকশবন্দিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক :

নকশবন্দিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শেখ খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ আল-বোখারী রহ.। এই তরিকা মূলতঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কর্তৃক উদ্ভাবিত। রাসূলুল্লাহ সা. গোপন ভাবে হযরত আবু বকর রা.কে ইলমে মারেফাতের যে খেলাফত দান করিয়াছিলেন, তাহা অদ্যাবধি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন তরিকা, উপ-তরিকার মাধ্যমে জারী রহিয়াছে। নক্শবন্দিয়া তরিকা উহার একটি উল্লেখ যোগ্য তরিকা। রাসূলুল্লাহ সা.-এর গোপন তালিম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.- এর মাধ্যমে পীর বা খলিফা পরম্পরায় সিনা-ব-সিনায় ইমামে তরিকত শামসুল আরেফিন হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ. পর্য্যন্ত খেলাফত প্রাপ্তির ষোড়শ স্তর পৌঁছিয়াছে।

নকশবন্দিয়া তরিকার গুরুত্বপূর্ণ তালিম হইল ছয় লতিফা এবং চার উপাদান তথা আব, আতশ, খাক, বাদ অর্থাৎ পানি, আগুন, মাটি ও বাতাস প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করা। ছয় লতিফা: ক্বাল্ব, রূহ, ছের, খফী, আখফা, নফস প্রভৃতির উপর সাধনার প্রতিক্রিয়া পরিচালিত হয়। ইহা ব্যতীত পঞ্চ হাযরা তথা সায়ের ইলাল্লাহ, সায়ের ফিল্লাহ, সায়ের আনিল্লাহ, আলম-এ-মিসাল, আলম-এ-শাহাদাত প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করিবার নিয়ম-পদ্ধতি এই তরিকায় বিদ্যমান রহিয়াছে। নকশবন্দিয়ার তালিম রাসূলুল্লাহ সা. হইতে সিনা-ব-সিনায় হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দিয়া রহ.- এর নিকট পৌঁছিলেও পূর্বে তাহা লিপিবদ্ধ আকারে ছিল না। হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ রহ. তাহা সু-শৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করেন।

নক্শবন্দিয়া সাধকগণ আহাদিয়াত, ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াতের স্তরে পরিভ্রমণ করেন। ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াত স্তর দুইটি উপনীত হইতেছে সায়ের ইলাল্লাহতে। আলমে আমর ও আলমে খালক একই স্তরে অবস্থিত। আহাদিয়াতের স্তর কেবলই সায়ের ফিল্লায় অবস্থিত।

নকশবন্দিয়া তরিকা মতে ৮টি বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় যথা:

১. হুঁশদম: শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি খেয়াল রাখা।
২. নেগাহ্ বর কদম: পীরের পদাঙ্কানুসরণ করা।
৩. সফর দার ওয়াতন: দেহ রাজ্যে পরিভ্রমণ করা।
৪. খিলওয়াত দার আঞ্জুমান: চুপি চুপি বাক্যালাপ।
৫. ইয়াদ কার্দান: সার্ব্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল থাকা।
৬. বাজগশত: আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া।
৭. নেগাহ দাশ্ত: আল্লাহতে অন্তর্দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা।
৮. ইয়াদ দাশ্ত বা খোদগোজাশ্ত: নিজকে নিঃশেষ করিয়া আল্লাহতে চির জাগ্রত রাখা। এই তরিকা মতে নিচু স্বরে জিকির স্বীকৃত। এই তরিকার কোন কোন উপ-তরিকায় সামা জাতীয় গজলের প্রচলনও রহিয়াছে।

উল্লেখ্য, নকশবন্দিয়া তরিকার শাজারা মোবারকে ১৬তম পুরুষ ইমামুত তরিকত হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ.। কিন্তু ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম এই পবিত্র তরিকা প্রচার-প্রসার শুরু করেন হযরত খাজা রাজি উদ্দীন মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ রহ.। তিনি এই তরিকার ২২তম পুরুষ। তিনি স্বীয় পীর-মোর্শেদ হযরত মাওলানা খাজাগী আমাকনগী রহ.- এর নির্দেশে এই তরিকার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যেই ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন। তখন তাঁহার সফর সঙ্গী ছিলেন তাঁহার স্ত্রী ও মহীয়সী মাতা।

হযরত বাকি বিল্লাহ রহ.- এর পবিত্র মাজার শরীফ নতুন দিল্লী রেল ষ্টেশনের নিকটে নবী করীম সড়কের একটি টিলার উপর অবস্থিত।



আরও খবর



ডেঙ্গু রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর না করার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হওয়া কোনো রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু বিষয়ে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত কোনো রোগীকে যেন ঢাকায় পাঠানো না হয়।

রবিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ডা. আহমেদুল কবীর আরও বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়েছে। আমরা ঢাকার বাইরে সব জায়গায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

ডেঙ্গুরোগীদের জন্য আইভি ফ্লুইড সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এসময়ে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি, কোথাও স্যালাইনের দাম বেশি রাখা হলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 

তিনি বলেন, কিছু ক্লিনিক এবং হাসপাতাল রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। রোগীদের হাসপাতালে রাখছে এবং আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এবং যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই বা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।

ডা. আহমেদুল আরও বলেন, আমরা আমাদের রোগীদের জিম্মি করে কোনো অসাধু চক্রকে লাভবান হতে দেবো না। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা দেশপ্রেমিক না।


আরও খবর

দেশে ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




২৪ ঘণ্টায় যান চলেছে ২২৮০৫, টোল আদায় সাড়ে ১৮ লাখ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায়। তখন থেকে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ি থেকে মোট ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৮০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি উঠেছে মোট ২২ হাজার ৮০৫টি। এসব গাড়ির মধ্যে বিমানবন্দর থেকে বনানী, মহাখালী, ফার্মগেটের পথে ১২ হাজার ২৪২টি, কুড়িল থেকে বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেটের পথে ২ হাজার ৪২৫টি গাড়ি, বনানী থেকে কুড়িল-বিমানবন্দরের পথে ২ হাজার ৮৯২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও থেকে মহাখালী, বনানী কুড়িল ও বিমানবন্দরের পথে ৫ হাজার ২৪৬টি গাড়ি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ উড়াল পথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার সকাল ৬টায় উড়াল পথটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ধাপের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে দু' জন আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নওগাঁয় 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর' এর অভিযানে এক নারী সহ দু' জন মাদক ব্যবসায়ী আটক।

নওগাঁর মান্দা উপজেলাধীন জোত বাজার ঋষিপাড়া ও মহানগর গ্রামে পৃথক অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ও হেরোইন উদ্ধার পূর্বক এক নারী সহ দু'জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর' এর অভিযানিক দল।

বুধবার সকালে 'নওগাঁ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর' এ অভিযান চালিয়ে চোলাই মদ ও হেরোইন সহ তাদের আটক করেন। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, নওগাঁর মান্দা  উপজেলার মহানগর গ্রামের মৃত আব্বাস উদ্দিন মন্ডল এর ছেলে আলাউদ্দিন মন্ডল আলা (৫১) কে ৬০ গ্রাম হেরোইন সহ ও জোত বাজার ঋষিপাড়া গ্রামের লবা ঋষির মেয়ে গায়েত্রী ঋষি (৩৪) কে ৫ লিটার চোলাই মদ সহ আটক করা হয়। আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গায়েত্রী ঋষি কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও দু' হাজার টাকা জরিমানা। জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড রায় দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। অপরদিকে হেরোইন সহ আটককৃত আলাউদ্দিন  আলা'র বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

নওগাঁ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর পরিদর্শক খলিলুর রহমান বলেন, অভিযান কালে ২শ' লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার পূর্বক ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আঞ্জুমান বানু ঋষি পল্লীতে উপস্থিত থেকে গায়েত্রি ঋষি কে ৬ মাসের কারাদন্ড সহ ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ড রায় দেন।


আরও খবর



দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলার মহড়া চালাল উত্তর কোরিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক হামলার অনুকরণে মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পূর্ব এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটি বলছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পারমাণবিক হামলার অনুকরণে দুটি স্বল্প-পাল্লার কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এই পরীক্ষাগুলো চালানো হয়েছে।বিবিসি বলছে, উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র সাগরে পড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। কিম জং উনের দেশটি এমন এক সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল যখন দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক মহড়া চলছে।একে অপরের মিত্র এই দুই দেশের এই ধরনের সামরিক মহড়াকে অবশ্য যুদ্ধের মহড়া হিসাবে দেখে থাকে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান কমান্ড সেন্টার এবং অপারেশনাল এয়ারফিল্ডে’ হামলার অনুকরণে কৌশলগত পারমাণবিক হামলার মহড়া হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘শত্রুদের কাছে স্পষ্ট একটি বার্তা পাঠানোও ছিল এই মহড়ার উদ্দেশ্য।’

বিবিসি বলছে, চলতি আগস্ট মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করে। উভয় দেশের ১১ দিনের সম্মিলিত এই সামরিক মহড়া শেষ হওয়ার একদিন আগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই মহড়ায় অন্তত একটি মার্কিন বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান কোরীয় উপদ্বীপের ওপরে উড্ডয়ন করে।উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন মঙ্গলবার তার শীর্ষ কমান্ডারদের দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সর্বাত্মক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করার জন্য মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহড়ায় আকস্মিক আক্রমণ প্রতিহত করার পাশাপাশি ‘দক্ষিণ কোরিয়ার পুরো অঞ্চল’ দখল করার জন্য পাল্টা আক্রমণ শুরু করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।


আরও খবর

বন্ধের পথে ট্রাম্পের ব্যবসা

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশ-হাঙ্গেরি তিন চুক্তি-সমঝোতা স্বাক্ষর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী পিটার সিয়ার্তোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইন বৈঠকে উভয় মন্ত্রী এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো হলো অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি, ২০২৪-২৬ সালের জন্য স্টাইপেনডিয়াম হাঙ্গারিকাম প্রোগ্রামের কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৩-২৫ বছরের জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ২০২৩-২০২৫।

বৈঠকে দুদেশের মন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ দ্বিপাক্ষিক অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী জনগণের দুর্দশা লাঘবের জন্য যুদ্ধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে হাঙ্গেরির সহযোগিতা কামনা করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে হাঙ্গেরির প্রচেষ্টা থাকবে বলে জানান পিটার সিয়ার্তো।

এ ছাড়া বৈঠকে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবিত সফরে দ্বৈত কর পরিহার, বিনিয়োগের নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি এবং পানি সহযোগিতা চুক্তি স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে উভয় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য হাঙ্গেরির ভিসা ঢাকা থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান পিটার সিয়ার্তো।

এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রীকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।

সূত্র : বাসস


আরও খবর