Logo
শিরোনাম
বহুল পরিচিত পাঁচ তরিকার বিবরণ

নকশবন্দিয়া তরিকা

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, ও গবেষক :

নকশবন্দিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা হযরত শেখ খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ আল-বোখারী রহ.। এই তরিকা মূলতঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কর্তৃক উদ্ভাবিত। রাসূলুল্লাহ সা. গোপন ভাবে হযরত আবু বকর রা.কে ইলমে মারেফাতের যে খেলাফত দান করিয়াছিলেন, তাহা অদ্যাবধি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন তরিকা, উপ-তরিকার মাধ্যমে জারী রহিয়াছে। নক্শবন্দিয়া তরিকা উহার একটি উল্লেখ যোগ্য তরিকা। রাসূলুল্লাহ সা.-এর গোপন তালিম হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.- এর মাধ্যমে পীর বা খলিফা পরম্পরায় সিনা-ব-সিনায় ইমামে তরিকত শামসুল আরেফিন হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ. পর্য্যন্ত খেলাফত প্রাপ্তির ষোড়শ স্তর পৌঁছিয়াছে।

নকশবন্দিয়া তরিকার গুরুত্বপূর্ণ তালিম হইল ছয় লতিফা এবং চার উপাদান তথা আব, আতশ, খাক, বাদ অর্থাৎ পানি, আগুন, মাটি ও বাতাস প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করা। ছয় লতিফা: ক্বাল্ব, রূহ, ছের, খফী, আখফা, নফস প্রভৃতির উপর সাধনার প্রতিক্রিয়া পরিচালিত হয়। ইহা ব্যতীত পঞ্চ হাযরা তথা সায়ের ইলাল্লাহ, সায়ের ফিল্লাহ, সায়ের আনিল্লাহ, আলম-এ-মিসাল, আলম-এ-শাহাদাত প্রভৃতির উপর মোরাকাবা করিবার নিয়ম-পদ্ধতি এই তরিকায় বিদ্যমান রহিয়াছে। নকশবন্দিয়ার তালিম রাসূলুল্লাহ সা. হইতে সিনা-ব-সিনায় হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দিয়া রহ.- এর নিকট পৌঁছিলেও পূর্বে তাহা লিপিবদ্ধ আকারে ছিল না। হযরত বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ রহ. তাহা সু-শৃঙ্খল ভাবে লিপিবদ্ধ করেন।

নক্শবন্দিয়া সাধকগণ আহাদিয়াত, ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াতের স্তরে পরিভ্রমণ করেন। ওয়াহিদাত ও ওয়াহেদিয়াত স্তর দুইটি উপনীত হইতেছে সায়ের ইলাল্লাহতে। আলমে আমর ও আলমে খালক একই স্তরে অবস্থিত। আহাদিয়াতের স্তর কেবলই সায়ের ফিল্লায় অবস্থিত।

নকশবন্দিয়া তরিকা মতে ৮টি বিষয়ের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় যথা:

১. হুঁশদম: শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি খেয়াল রাখা।
২. নেগাহ্ বর কদম: পীরের পদাঙ্কানুসরণ করা।
৩. সফর দার ওয়াতন: দেহ রাজ্যে পরিভ্রমণ করা।
৪. খিলওয়াত দার আঞ্জুমান: চুপি চুপি বাক্যালাপ।
৫. ইয়াদ কার্দান: সার্ব্বক্ষণিক জিকিরে মশগুল থাকা।
৬. বাজগশত: আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া।
৭. নেগাহ দাশ্ত: আল্লাহতে অন্তর্দৃষ্টি নিবন্ধ রাখা।
৮. ইয়াদ দাশ্ত বা খোদগোজাশ্ত: নিজকে নিঃশেষ করিয়া আল্লাহতে চির জাগ্রত রাখা। এই তরিকা মতে নিচু স্বরে জিকির স্বীকৃত। এই তরিকার কোন কোন উপ-তরিকায় সামা জাতীয় গজলের প্রচলনও রহিয়াছে।

উল্লেখ্য, নকশবন্দিয়া তরিকার শাজারা মোবারকে ১৬তম পুরুষ ইমামুত তরিকত হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহ.। কিন্তু ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম এই পবিত্র তরিকা প্রচার-প্রসার শুরু করেন হযরত খাজা রাজি উদ্দীন মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ রহ.। তিনি এই তরিকার ২২তম পুরুষ। তিনি স্বীয় পীর-মোর্শেদ হযরত মাওলানা খাজাগী আমাকনগী রহ.- এর নির্দেশে এই তরিকার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যেই ভারতবর্ষে আগমন করিয়াছিলেন। তখন তাঁহার সফর সঙ্গী ছিলেন তাঁহার স্ত্রী ও মহীয়সী মাতা।

হযরত বাকি বিল্লাহ রহ.- এর পবিত্র মাজার শরীফ নতুন দিল্লী রেল ষ্টেশনের নিকটে নবী করীম সড়কের একটি টিলার উপর অবস্থিত।



আরও খবর

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারির পবিত্র মোনাজাত

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের নিয়ম প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়। ইকোনমিক টাইমস এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিগগিরই এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হবে। বিষয়টি ভারত থেকে যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, তাদের অনেকটাই সুবিধা দেবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু সে সময় সরকার পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেয়। যার পরিমাণ ছিল প্রতি টনে ৫৫০ ডলার

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। কারণ প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক মিলে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারের অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট ২ দশমিক ৬০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। অথচ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে দেশটি ১৭ দশমিক ১৭ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল



আরও খবর

কমেছে ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম

শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪




বাংলাদেশ জাসদ জাতীয় কমিটির সভায়

সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে ঐক্যমতের জন্য রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে মত বিনিময়ের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – বাংলাদেশ জাসদ জাতীয় কমিটির তৃতীয় সভা ঢাকাতে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দলের সভাপতি জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ সর্বজনাব মুশতাক হোসেন, আবদুল কাদের হাওলাদার, নুরুল আলম মন্টু, হেমায়েতুল্লাহ হিরো, এটিএম মহব্বত আলী, শহীদুল ইসলাম মিরন, করিম সিকদার, রফিকুল ইসলাম খোকন, বাদল খান, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, নাসিরুল হক নওয়াব, মনজুর আহমেদ মনজু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু। সভায় ৩০ টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে জুলাই-আগস্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও সাম্প্রতিককালে মৃত্যুবরণকারী দলের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় জাসদ (ইনু) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ জাসদে যোগদানের জন্য জনাব রোকনুজ্জামান রোকনকে সম্বর্ধিত করা হয়।


সভায় গৃহীত প্রস্তাবাবলীঃ

১। ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বলে এ সভা মনে করে। স্বৈরতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদ ও ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি রোধে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন স্তরে শুধুমাত্র ব্যক্তি পরিবর্তন নয়, ব্যবস্থা-কাঠামো-দর্শন বদলের মাধ্যমেই তা হতে পারে। তবে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের সুযোগে বিভিন্ন স্থানে সুযোগসন্ধানীরা যেভাবে লুটপাট, দখল, পিটিয়ে হত্যা, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি এক দল হীনমন্য দুর্বৃত্ত কর্তৃক বাংলাদেশ জাসদের সাবেক কার্যকরী সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য জনাব মইন উদ্দীন খান বাদলের সমাধি ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা একটি জঘন্য অপরাধ। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় চিহ্নিত দুর্বৃত্ত ও তাদের হুকুমদাতাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে এ সভা হিন্দু সম্প্রদায় ও পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ওপর  সংঘবদ্ধ হামলা, মাজার-মন্দির-বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার কঠোর নিন্দা ও তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছে। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক শক্তিসমূহ যদি এ ধরণের নৈরাজ্য প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনজীবনে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে গণঅভ্যুত্থানের গৌরব মুখ থুবড়ে পড়বে এবং দেশে ভিন্ন চেহারার দীর্ঘস্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরশাসনের কবলে পড়তে পারে।

২। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে বাংলাদেশ জাসদ নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রের সংস্কারের বিষয়ে দলের মতামত সম্পর্কে অবহিত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে সংক্ষিপ্ত আকারে ৮ দফা প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। তিনি ও উপস্থিত অন্যান্য উপদেষ্টা এ বিষয়ে আরো বিশদ প্রস্তাবনা কামনা করেন। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ৬টি কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এ সব বিষয় ও দলের রাজনৈতিক কর্তব্য বিবেচনা করে এ সভা এ ৬টি বিষয় সহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়ে নীতিগত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে সাথে এ সব বিষয়ে বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার প্রশ্নে ঐক্যমত সৃষ্টির জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মত বিনিময় করার জন্য এ সভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

৩। ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃত্ব কর্তৃক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে এ সভা স্বাগত জানায়। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয় বলে এ সভা মনে করে। সেটা স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি করবে। বিষয়টি স্বচ্ছতার সাথে ছাত্র নেতৃত্ব খোলাসা করবেন বলে আমরা আশা করি।

৪। আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৪ দলের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক আকারে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।


আরও খবর



আত্মহননের সাংবাদিকতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

পুলক ঘটক, সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক :

আত্মহত্যা অবশ্যই বেদনাদায়ক। এর পেছনের ঘটনাও সাধারণত সংবেদনশীল ও বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। তাই আত্মহত্যার ঘটনার সংবাদ-মূল্য অনস্বীকার্য। কিন্তু নিউজ ভ্যালু আছে এবং পাঠক চাহিদা আছে বলেই কি এই জিনিস প্রকাশ্যে বিক্রি করা উচিত?

বিষের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আত্মহত্যার ঘটনাগুলো বিষ স্বরূপ, যা বিতরণের সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যম এর নেতিবাচকতা বিবেচনায় নেয় না, যা দুর্ভাগ্যজনক।

পেছনের ঘটনা যতই বেদনাদায়ক হোক, আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এই অপরাধটি সংক্রামক বৈশিষ্ট্যর। আত্মহননের মনস্তত্ব সংক্রামক এবং এটি একটি ব্যাধি – যা গবেষণায় প্রমাণিত। আত্মহত্যার ভাইরাস জনসমাজে ছড়ানোর দায়িত্ব মিডিয়া নেবে কেন?

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র আত্মহত্যার সংবাদ প্রচারের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এই সেলিব্রেটির বেশ কয়েজন তরুণ ভক্ত আত্মহত্যা করেছিল। মিডিয়া সেই সংবাদগুলিও প্রচার করেছিল।

একটি আত্মহত্যার ঘটনা অন্যকেও আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সাংবাদিকতায় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। আমরা যখন বিদেশি মিডিয়ায় কাজ করি তখন সম্পাদকীয় নীতিমালার এই বিষয়গুলো মানি। অথচ নিজ দেশে মানি না।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢুকে একজন মানুষ নিজেকে হত্যার মতো গর্হিত কাজ করার ফলে, এরপর অন্যকেউ এরকম কর্মে উদ্বুদ্ধ হবে কিনা তা মাথায় রাখা উচিত।

প্রথমত: সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আত্মহননকে দুস্কর্ম হিসেবেই উপস্থাপন করা উচিত। পিছনে যে কারণই থাক, সেই কারণে একজন ব্যক্তি যেমন কাউকে হত্যা করার অধিকার রাখে না, তেমনি নিজেকেও হত্যা করার অধিকার রাখে না।

নিজেকে হত্যাকারী ব্যক্তিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না, যেমন একজন খুনি, ডাকাত বা আত্মঘাতি জঙ্গিকে হিরো হিসেবে উপস্থাপন করা যায় না।

আত্মহননকারীর প্রতি সহানুভূতি মিশ্রিত সংবাদ পরিবেশন অন্যকেও এধরনের অপকর্মে উৎসাহিত করতে পারে। এধরনের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহানভূতিব্যঞ্জক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাইরাল হলে তা সমাজের জন্য আরও ক্ষতির কারণ হয়।

যতই সংবেদনশীল হোক, এই নিউজ পত্রিকার প্রথম পাতায় কভার করা উচিত নয়। ভেতরের পাতায় দিতে হবে, যাতে এর ফোকাস কম হয়। সংবেদনশীলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে সংবাদটি উপস্থাপন করতে হবে। গণপাঠক টার্গেট করে নয়, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং একাডেমিক প্রয়োজনে সতর্কতার সাথে সংবাদটি যাবে।

এধরনের সংবাদ টেলিভিশনে প্রচার না করাই ভাল।

আত্মহত্যার বহুবিধ কারণ থাকে। সেগুলো নিরসন করতে না পারা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। ঘটনার তদন্ত করে কারণ খুঁজে বের করা এবং প্রতিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।



আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




কানপুর টেস্টে বাংলাদেশের লজ্জাজনক হার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করে ওঠতে পারেনি টাইগাররা। সাদমান ইসলামের ৫০ রানের ইনিংসের সুবাদে অল আউট হওয়ার আগে করতে পারে ১৪৬ রান, তাতে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৫ রানের। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারালেও সহজেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। যশ্বসী জয়সোয়ালের ৪৪ বলে খেলা ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে ভারত। এতে করে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে ২ টেস্টের সিরিজ জিতে নিয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

কানপুরে বাংলাদেশকে হারিয়ে রেকর্ডও গড়েছে ভারত। এর আগে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে সবথেকে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ছিল ৮২ রানের। ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পেয়েছিল ভারত। এবার বাংলাদেশ ১৩ রান বেশি টার্গেট দিলেও সেটা স্বাগতিকদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি

৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন দুই ভারতীয় ওপেনার। বাংলাদেশের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকান অধিনায়ক রোহিত। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব আল হাসান। টাইগার এই অলরাউন্ডারের ওভারে দুইটি চার মারেন জয়সোয়াল

দুই ভারতীয় ওপেনারের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দুই ওভারেই ১৮ রান করে ভারত। এদিকে তৃতীয় ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন মিরাজ। তাঁর করা ওভারের প্রথম বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন রোহিত

রোহিত ফেরার পর ক্রিজে জয়সোয়ালের সঙ্গী হন শুবমান গিল। মাঠে নেমেই মিরাজের বলে চার মেরেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে তাকে মিরাজের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়েই

গিল ফেরার পর মাঠে নামেন বিরাট কোহলি। তাকে নিয়েই জয়ের পথ পাড়ি দিয়েছেন জয়সোয়াল। দলকে জেতাতে জয়সোয়াল খেলেছেন ৫১ রানের এক ইনিংস, তবে ভারত যখন জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে তখন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরে ফিরেন জয়সোয়াল। এরপর ভারতের জয় নিশ্চিত করেন কোহলি, তিনি অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে


আরও খবর



কেশবপুরে জলবদ্ধতা নিরোশনের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর ২০২৪ |

Image
উত্তম কুমার - যশোর, জেলা প্রতিনিধি::

যশোরের কেশবপুরে বন্যার পানি জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য কেশবপুর পৌর বাড়ি মালিক সমিতির উদ্যোগে কেশবপুর দৌলত বিশ্বাস চত্বরে   মানববন্ধন ও আলোচনা হয়। 

 মানববন্ধন আলোচনা সভায় কেশবপুর পৌর বাড়ির মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে  সঞ্চালনা করেন   পৌর বাড়ি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  মুস্তাফিজুর রহমান মিন্টু। 

 মানববন্ধন এবং আলোচনা সভায বক্তব্য রাখেন বাড়ি মালিক সমিতির সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস আর সাইদ, কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আরশাদুল ইসলাম ঝন্টু, সাংবাদিক ডাবলু,বাড়ি মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, নিউজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রহমান বুলবুল,

শিক্ষক আব্দুর সালাম,সাংবাদিক আবু হুরাইরা  রাসেল, বিএনপি নেতা ওবাই,আযিদ,প্রমুখ,বক্তারা বলেন কেশবপুর উপজেলায় ১০৪ গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে শুধু মাত্র কেশবপুরের নদ নদীর তলদেশে পলিভরাট হওয়ার কারনে।

এছাড়া কেশবপুর উপজেলায অপরিকল্পিত ভাবে  মৎস্য ঘের তৈরি করার কারনে সারা বছর ভুগর্বত্য পানি দিয়েঘেরের মধ্যে পানি ভরে রাখে তাহার কারনে বর্ষা মৌসুমে আকাশের বৃষ্টির শুরু হলে। কেশবপুর উপজেলার মানুষের বাড়ীঘরে পানি উঠে।

মানববন্ধনে সকল বক্তার দাবি নদী খালের তলদেশে পলি অপসরন করে কেশবপুর উপজেলা বাসিকে দীর্ঘ স্হায়ী বন্যার  হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আরও খবর