Logo
শিরোনাম

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতি, ৬ ডাকাত আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নওগাঁ জেলা পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছেন পুলিশ। সোমবার ৩ মার্চ দুপুর ১টায় নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে  এসব তথ্য জানান নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।

গ্রেফতারকৃত ৬ জন হলেন, জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শামীম ইসলাম সব্দুল (২৭),  হাতিয়র গ্রামের অরুণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র বর্মন (৩০), ও একই উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে নাঈম (২৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পুরন্দর গ্রামের মনসুর বেপারীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৭) ও একই গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এবং বগুড়ার কাহালু উপজেলার সিন্ধুরাইল গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন (৪০)। নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ার বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে নওগাঁর পত্নীতলায় একটি বিআরটিসি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে এবং তদন্ত শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে জয়পুরহাটের কালাই থেকে, দুইজন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে এবং একজন বগুড়ার কাহালু থেকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল, একজোড়া কানের দুলসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে করাত, কয়েকটি হাসুয়া, একটি প্লাস এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নওগাঁয় গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে ৫জন গত ২৮ ফেব্রুয়ারী পাবনার সাঁথিয়ায় সংঘটিত ডাকাতির সাথেও জড়িত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি, শাহারুলের বিরুদ্ধে ২টি, শামীমের বিরুদ্ধে ২টি এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একটি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান এবং অন্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য নওগাঁ জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও ফারজানা হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) জয়ব্রত পাল সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ২০২৫-২৬ মেয়াদে প্রায় ১শ’ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ।জেনেভায় অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে জয়েন্ট রেসপন্স প্যান (জেআরপি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘ জানায়, ১০০টির বেশি অংশীদারের সঙ্গে প্রস্তুত করা এ প্ল্যানে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়সহ ১৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের জন্য ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এদিকে এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সোমবার সকালে জেআরপি প্রকাশনা ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়াবলির জন্য প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

২০১৭ সাল থেকে এক বছরমেয়াদি জেআরপি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দুই বছরের মেয়াদের জন্য জেআরপির ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন (প্রায় ৯৪ কোটি) ডলার সহায়তার প্রস্তাব শুধু ২০২৫ সালের জন্য।

বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের অষ্টম বছরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট আন্তর্জাতিক আলোচনার বাইরে। যদিও তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজন এখনো রয়ে গেছে।

এতে জোর দিয়ে বলা হয়, খাদ্য সহায়তা, জ্বালানি বা তহবিলের ঘাটতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এক তৃতীয়াংশের বয়স ১০-২৪ বছর। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, পর্যাপ্ত দক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার সুযোগ না পেলে তাদের ভবিষ্যৎ আশঙ্কাপূর্ণ।

যতক্ষণ না মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ হয় এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুকূল না হয়, ততক্ষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য জীবন রক্ষাকারী জরুরি সহায়তা তহবিল অব্যাহত রাখতে হবে, বলা হয় বিবৃতিতে।

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর উপকারভোগীরা কারা

জেআরপি ২০২৫-২৬-এর আওতায় সরাসরি সুবিধাভোগীদের মধ্যে কক্সবাজার ও ভাসানচরের ক্যাম্পে বসবাসকারী ১০ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কক্সবাজার জেলার প্রায় ৩ লাখ ৯২ হাজার স্থানীয় জনগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।

পরোক্ষভাবে, জেআরপি অংশীদাররা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে থাকবে। ক্যাম্প ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য সেবা, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মূলত দেশীয় বাজার থেকেই সংগ্রহ করা হয়, যেখানে সম্ভব হলে কক্সবাজার ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হয়।

এ ছাড়া, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো স্থানীয় অংশীদার নির্বাচন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়করণকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও আশপাশের উপজেলাগুলোর উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর



শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় বৈঠকের এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এদিন স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় বেইজিংয়েই বিনিয়োগ-বিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের তথ্য জানাতে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় লুটপাটের পর বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া মামলায় ৯ জন আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় জমি নিয়ে বিরোধের ধরেধরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের পর বসতবাড়ি আগুন দেওয়া মামলায়  ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বিলউথরাইল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

এঘটনায় ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে মামলার অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছেন বলে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 

আতাউর রহমান ঐ গ্রামের মৃত ফজের আলীর ছেলে। বিবাদমান একটি জমি নিয়ে বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে ভুক্তভোগী আতাউর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। 

সংবাদ পেয়ে ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম। বৃহস্পতিবার ৩ মার্চ গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ৯ জন হলেন, তুহিন আলী (৪০), বুলবুল আহমেদ সুমন (৩২), মাইনুল ইসলাম (৩৯), মারুফ হোসেন (১৯), পিয়াস আহমেদ (১৯), ফিরোজ হোসেন (২৬), আবু সাইদ মন্ডল (৪৫), বিদ্যুৎ হোসেন গাইন (৩৬) ও এমাজ উদ্দিন মন্ডল (৫৫)।

ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বলেন, আমার কবলাকৃত সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করে রেখেছেন বিলউথরাইল পশ্চিমপাড়ার লোকজন। আদালতের রায়ের পরও ঐ সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।

আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পশ্চিমপাড়ার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে হামলা করে। হামলাকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আমাদের স্ব-পরিবারে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীদের দেয়া আগুনে পুরো বাড়ির টিনের ছাউনি, দুটি মোটরসাইকেল, জমির দলিল পত্রসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমরা কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে যাই।

এ ঘটনায় মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আতাউর রহমানের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে আতাউর রহমান বাদি হয়ে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। রাতেই যৌথ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবারে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ঘুরে আসুন সুন্দরবনের দ্য ফরেস্ট রিট্রিটে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

সেন্ট অগাস্টিন বলেছেন, ‘পৃথিবী একটা বই, আর যারা ভ্রমণ করে না, তারা বইটি পড়তে পারে না’। ভ্রমণপিপাসু মানুষ বদ্ধ ঘরে না থেকে ছুঁটে বেড়ায় এক স্থান থেকে অন্যত্র।

যারা বনের কাছে যেতে চান? পাখির আওয়াজে মুগ্ধ হতে চান? ঝি ঝি পোকার ডাক শুনতে চান? তারা নববর্ষের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবনের দ্য ফরেস্ট রিট্রিটে।

এখানে রাত্রিযাপন করতে পারবেন প্রকৃতির কোলে। এই রিসোর্টের রুম থেকেই সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। দোলনায় দোল খেতে খেতে বানর, হরিণ, মেছো বাঘ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, জলজ্যান্ত কুমির দেখতে পারবেন। কখনোবা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হুংকারও শুনতে পারবেন।

ইকো রিসোর্ট দ্য ফরেস্ট রিট্রিট খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে গড়ে উঠেছে।

ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠ, গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই রিসোর্ট।

যেভাবে বুকিং করবেন : রিসোর্টের নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। তার মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে।

দরদাম : এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ ও ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এখানে জনপ্রতি ৩৪৫০ টাকা থেকে ৪,৯০০ টাকায় জনপ্রতি রাত্রিযাপন করতে পারবেন।

নিরাপত্তা : এগুলোতে আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।

প্যাকেজে যা রয়েছে : এক দিনের প্যাকেজে দুপুর, রাত ও সকালের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদী ভ্রমণ হয়ে যাবে। এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাতযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে ১১টায় চেক আউট শেষে বোটে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য ৪৬ টাকা জনপ্রতি টিকিট কাটতে হবে। করমজলে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর দেখা মিলবে। তারপর ওয়াচ টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।

যেভাবে যাওয়া যায় : ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলায় যাওয়া যায় বাসে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার তিন কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হয়ে সরাসরি রিসোর্টগুলোতে যাওয়া যাবে। তবে বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।

খাবারদাবার : প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।

সাবধানতা : পরযটকদের খেয়াল রাখতে হবে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো ক্ষতি যাতে না হয়।


আরও খবর



তামিমের কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন থেকে যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সবগুলো করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং একটি স্টেন্ট করা হয়েছে। তামিম ইকবালের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেখানেই তামিম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়৷

কেপিজে হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব তামিম ইকবালের স্টেন্টিং কীভাবে করানো হয়েছে, সে আপডেট দেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে স্টেন্টিংটা খুব স্মুথলি ও এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ওনার স্টেন্টিং করেছেন। ওনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। উনি যেমন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্টেন্টিংয়ের পর ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, সময় লাগবে। ওনার জন্য আমরা সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমরা আশাবাদী উনি ভালো হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

এর আগে সকালে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল মোহামেডানের। টস করার পরই হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দলীয় কর্মকর্তা এবং সতীর্থদের বিষয়টা জানান। তখন বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। চিকিৎসার জন্য একটি হেলিকপ্টারও বিকেএসপিতে আসে। কিন্তু হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিইও তৌফিক বিন ইসমাইলসহ বিসিবি ও বিকেএসপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সবশেষে ডা. রাজীব বলেন, ‘বিকেএসপির ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই ওনারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়াটা ব্যাপার নয়; কিন্তু ওই সময়টা এটেন্ড করতে না পারলে কি হতো বলা আসলে মুশকিল।


আরও খবর