Logo
শিরোনাম

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি চলমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :

'বৈষম্য নিপাত যাক-পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক' এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৈষম্য দূরীকরণ সহ অভিন্ন চাকুরী-বিধি বাতিলের দাবীতে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো সারা দেশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। কর্মবিরতি পালনের অংশ হিসেবে রবিবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার বিভিন্ন বৈষম্যের প্রতিবাদে রবিবার সকাল ৯টা থেকে নওগাঁ শহরের চকবিরাম নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়। এসময় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা ডিজিএম আকিয়াব হোসেনের নেতৃত্বে এজিএম রাজু হাসান ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা, ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিএ বোনাস সমহারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, মাঠ পর্যায়ে কর্মচারীদের চুক্তি ভিত্তিক চাকুরি নিয়মিত না করা সহ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়মের শিকার হচ্ছে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এসব শোষন, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করে স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে অভিন্ন চাকুরী বিধি ও সকল চুক্তিভিত্তিক, অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরি নিয়মিতকরনের দাবি জানান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষনাও দেওয়া হয়।


আরও খবর



আবরার ফাহাদ হত্যায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবরে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।


আরও খবর



তৌসিফ-তটিনীকে নিয়ে ‘মন দিওয়ানা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

তৌসিফ-তটিনী জুটি হয়ে আজকাল অনেক গল্পেরই নায়ক-নায়িকা হচ্ছেন। পাচ্ছেন সফলতাও। তবে এই ঈদে খানিকটা ভিন্ন গল্পের আবহে পর্দায় হাজির হচ্ছেন তারা। দুজনকে জুটি করে হাসিব হোসাইন রাখি নির্মাণ করেছেন ঈদের বিশেষ নাটক মন দিওয়ানা

সিএমভির ব্যানারে সদ্য নির্মিত এই নাটকের সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন রাজু রাজ। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী। চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা নিজেই।

মন দিওয়ানার গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতার সারসংক্ষেপ এমন- রুসু বাউণ্ডুলে ও বন্ধুপ্রেমী একটা ছেলে। ভার্সিটিতে পড়লেও সারাদিন বাইকে চেপে ঘুরে বেড়ায় আর বাউণ্ডুলে জীবন কাটায়। এদিকে গল্পের নায়িকা মারজান মাত্র কলেজ লাইফ শেষ করে ভার্সিটিতে পা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। একই ভার্সিটির সিনিয়র রুসু। মারজান ক্যাম্পাসে প্রথম পা দিয়েই টের পায়, চলছে নতুনদের র‌্যাগিং! তার সিরিয়াল পড়ে রুসুদের গ্রুপে। মজার বিষয়, সেদিন মারজানকে র‍্যাগ না দিয়ে ছেড়ে দেয় রুসু। এবং মারজানকে বলে দেয়, কেউ কিছু বললে বলতে যে, আমি রুসুর গার্লফ্রেন্ড!

নির্মাতা হাসিব হোসাইন রাখির মতে, গল্পটা শুধু প্রেমের নয়, বন্ধুত্বেরও। যেখানে প্রেম ও বন্ধুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে সমান্তরাল গতিতে। যা দেখে দর্শকরা ভিন্নতার স্বাদ পাবেন।

মন দিওয়ানার প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, এবারের ঈদ উৎসবে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটকের পসরা সাজাচ্ছে সিএমভি। যা চাঁদরাত থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হবে প্রতিষ্ঠানটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে।


আরও খবর



ইউরোপের বাজারে কদর বাড়ছে তৈরি পোশাকের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের কদর ক্রমশই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। এবার ইউরোপের বাজারেও চমক সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। গতকাল ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট ও বিজিএমইএর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ৬ হাজার ৮৫৪ মিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৫৭৬ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ চলতি বছর জানুয়ারিতে ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।

এদিকে জানুয়ারিতে ইউরোপে শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সাড়ে ৩৩ শতাংশের বেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যেখানে চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৮৪১ মিলিয়ন ডলার, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৫৯ মিলিয়ন ডলার।

অন্যদিকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫২.৫৬ শতাংশ। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল ১ হাজার ২৯৬ মিলিয়ন ডলার; সেদিক থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৭৭ মিলিয়ন ডলার।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্যমতে, জানুয়ারি মাসে ইউরোপে ভারতের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, কলোম্বিয়ার ৬৩ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২৭ শতাংশ, পাকিস্তানের ২৫ শতাংশ, মরক্কোর সাড়ে ৩ শতাংশ, শ্রীলংকার ৪৩ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ার ১৬ শতাংশ। তবে ইউরোপে জানুয়ারিতে একমাত্র তুর্কির পোশাক রপ্তানি কমেছে, যা মাত্র দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানিতে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে দেশটিতে সাকল্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে আগের তুলনায় বেশি। গত ১১ মার্চ ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, চলতি বছরজুড়ে কাজের অর্ডার বাড়ার পাশাপাশি প্রবৃদ্ধির গতি বজায় রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রেতারা বাংলাদেশে সোর্সিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধির গতিপথ অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত পরিবর্তন আরও জরুরি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির মুখে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলকতা বজায় রাখা এবং মুনাফার মার্জিন রক্ষা করার জন্য মূল্য সংযোজন এবং বাজার বৈচিত্র্য এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।


আরও খবর



রকেট ডিস্ট্রিবিউটার পয়েন্টের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও সুপারভাইজার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

রিফাত আহমেদ রাসেল :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট ডিস্ট্রিবিউটর পয়েন্টের ১৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি সুপারভাইজার শিহাব উদ্দিন। এই ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

বুধবার রাতে এই ঘটনা নিশ্চিত করেন দুর্গাপুর থানার ওসি বাচ্চু মিয়া। 

এর আগে গত সোমবার (৩ মার্চ) ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে দুর্গাপুর থেকে জারিয়া-ঝানজাইল বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুপারভাইজার শিহাব। এরপর থেকেই ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার সহ কোম্পানির মুল সিমকার্ড (মাদার সিম) বন্ধ করে গা ঢাকা দেন তিনি।

এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ডাচ-বাংলার মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেট ডিস্ট্রিবিউটর ও দুর্গাপুর পৌর শহরের কথা টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মোঃ মোক্তার হোসেন শামীম। 

অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিন দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের ফারাংপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিহাব ওই প্রতিষ্ঠানের একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী হওয়ায় রকেট ব্যবসার সকল  দিক নিজেই পরিচালনা করতেন। ব্যবসার মূল (মাদার সিম) সিমকার্ড নং- ০১৮৬৫ ----- ৩১ সহ মোবাইল সেট তার কাছেই ছিলো। উক্ত সিমকার্ডে দুই ধাপে দেয়া মোট ১৭ লক্ষ টাকা লোড করা অবস্থায় ছিলো। এ অবস্থায় গত ৩ মার্চ দুপুরে ব্যবসার মূল সিমকার্ড সহ মোবাইল সেট নিয়ে ঝানজাইল বাজারে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান শিহাব উদ্দিন। 

ওইদিন সন্ধ্যায় শিহাবের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করলে, সে পূর্বধলা এলাকায় আছেন এবং কিছুক্ষন পরেই রওনা দিবেন বলে জানান। পরবর্তিতে তারাবির নামাজ শেষে রাতে শিহাব উদ্দিনের চাচা আজগর আলী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীকে মুঠোফোনে জানায়, শিহাব উদ্দিন এখনো বাড়ী ফিরেনি। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠান থেকে শিহাব উদ্দিনের ব্যক্তিগত নাম্বার সহ কোম্পানীর মাদার সিমকার্ডে ফোন দিলে সকল ফোনই বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তিতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে খোঁজ নিলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। 


এ ব্যপারে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. মোক্তার হোসেন শামীম জানান, শিহাবের কাছে থাকা সকল ফোন নাম্বার বন্ধ পেয়ে রকেট অফিসের ১৬২১৬ হট লাইন নম্বরে ফোন করে জানতে পারি, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাদার সিমকার্ডে ১৫,৫০০/- টাকা ছাড়া আর কোন টাকা নাই। ওইদিন সহ বিভিন্ন সময়ে মাদার সিম থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা উঠিয়েছে। কোম্পানী সুত্রে জেনেছি, দীর্ঘদিন ধরেই জালিয়াতি মাধ্যমে টাকা গুলো অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছিল যা আমার নজরে আসেনি কারন প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় হিসাব তার কাছেই থাকতো। 

এ ব্যপারে দুর্গাপুর থানার ওসি বাচ্চু মিয়া বলেন, এ ঘটনা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। যাহা মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 



আরও খবর



ভোট সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ভোট সম্ভবত চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (৩ মার্চ) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমতা, প্রস্তুতি ও সংকট ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার হাজদা লাহবিব দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাক্ষাৎকালে ইইউর কমিশনার হাজদা লাহবিব বলেন, ইইউ এ বছর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা ও মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে সংঘাতে আটকে পড়া মানুষের সহায়তায় ৬৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে।

তিনি বলেন, এ অনুদান গত বছরের প্রাথমিক ইইউ অবদানের চেয়ে বেশি হলেও ক্যাম্পের মানবিক পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি ঠেকানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়, কারণ তহবিলের ঘাটতি ক্রমশ বাড়ছে।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এটি বহু বছর ধরে চলমান, কিন্তু এর কোনো সমাধান নেই। এর কোনো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ নেই।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আপনার বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য আনন্দের। জাতিসংঘের মহাসচিবও আসছেন। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছি।’

ইইউ কমিশনার বলেন, ‘এ সংকটের একমাত্র সমাধান হলো শান্তি। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন দুর্যোগের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়ানোও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এক ঘণ্টার এ বৈঠকে তারা জলবিদ্যুৎ আমদানি, বন্যা ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য ইইউ’র সমর্থন চান, কারণ এটি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে উত্তরণের পথ সুগম করবে এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে।

‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা বলি, আর এটি হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি। নেপাল ও ভুটান— উভয় দেশই আমাদের কাছে জ্বালানি বিক্রিতে আগ্রহী-যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইইউ কমিশনার দুর্যোগ প্রস্তুতি, ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে ‘সেরা অভিজ্ঞতা’ এবং প্রস্তুতি কৌশল বিনিময়ের জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।

দেশের সংকটকালীন মুহূর্তে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে লাহবিব বলেন, ‘আপনি অসাধারণ সময়ে অসাধারণ কাজ করেছেন। আমার মূল বার্তা হলো— আমরা আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি ইইউর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সময় প্রত্যক্ষ করছি। আমরা জানি, পরিবর্তন আনতে গেলে সবসময় প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এখনও অনেক কিছু করার বাকি। আমরা আপনাদের পাশে আছি।


আরও খবর