Logo
শিরোনাম

নওগাঁর নিভৃত পল্লীতে দিনব্যাপী অনন্য বই মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

প্রত্যন্ত গ্রামের নিভৃত পল্লিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়া, গ্রামের মানুষকে শতভাগ শিক্ষিত করার মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলা, শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধ করাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের লক্ষে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মসিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে দিনব্যাপী অনন্য বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার সকালে মসিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে দিনব্যাপী নিভৃত পল্লীতে অনন্য বই মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক। মসিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অনন্য বইমেলায়  অন্যান্যের মধ্যে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এম মজনুর হোসেন। 

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহীর হেরিটেজ বাংলাদেশ ইতিহাসের আর্কাইভস প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার ড. শেখ সাদ আহম্মেদ, নওগাঁর মান্দার শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগার ও যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর আলম শাহ, রাজশাহীর কথা সাহিত্যিক নিরমিন শিমেল, রাজশাহীর লেখক, গবেষক ও সমাজসেবক ডিএম খোশবর আলী, বিভাগীয় সরকারী গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ বেসরকারী গণগ্রন্থাগার পরিষদেও সহসভাপতি নুরুন নবী প্রভাত মৃধা, মসিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক, নওগাঁ সরকারী গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এসএম আশিক, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশিদ প্রমুখ। 

নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০কিলোমিটার দুরে কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের নিয়ে ২০১০সালে মান্দা উপজেলার মসিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগার স্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক। শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও সংগঠনটি গত ১১বছর যাবত দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরন প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষে বার্ষিক বই মেলার আয়োজন করা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।  

এছাড়া অনন্য বই মেলায় চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, অভিনয়, কৌতুক, উপস্থিত বক্তৃতা দেশাত্মবোধক গান ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে মান্দা উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বাবার প্রতীকেই নির্বাচনে ছেলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

রিফাত আহমেদ রাসেল, নিজস্ব প্রতিবেদক :

নির্বাচনে জয় লাভের পর মাত্র এক বছরের মাথায় শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বাবার। মৃত্যুর দেড় মাসে যেতে না যেতেই পদ শূন্য দেখিয়ে তফসিল ঘোষণাও করেছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে মধ্যে মনোনয়ন দাখিল যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের সময়সীমাও শেষ হয়েছে। তাই বাবার শেষ স্বপ্ন পূরণে বাবার প্রতীক নেই নির্বাচনে নেমেছেন ছেলে। 

নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বাকজোড়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার। বাবা ইয়াকুব আলী তালুকদার ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে বাকলজোড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। গত ১০ জানুয়ারি শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয় তার। 

এই আসলেই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ মার্চ‌। মঙ্গলবার এ আসনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হয়ে। উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার পেয়েছেন বাবার প্রতীক মোটরসাইকেল। প্রতীক পেয়ে আবেগে আপ্লুত হন প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকরাও। বাবার প্রতীককে শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিয়ে আজ থেকে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন ইউসুফ তালুকদার। 

গত মঙ্গলবার দুপুরে (২৮ ফেব্রæয়ারী) উপজেলা নির্বাচন অফিসার তপন চন্দ্র শীল তিন জন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক তুলে দেন। 

এছাড়াও বাকি দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সফিকুল ইসলাম  (নৌকা) ও মো. সিরাজুল ইসলাম স্বতন্ত্র (আনারস) প্রতীক পেয়েছেন। প্রতীক পেয়ে প্রার্থী ও কর্ম সমর্থকরা উল্লাসে মেতে উঠেন। কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেলে শুভযাত্রা নিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় যান প্রার্থীরা। 

এর আগে গত (১৯ ফেব্রæয়ারী) উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন জমা দেন তিন প্রার্থী। যাচাই বাচাই শেষ ও প্রার্তীরা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলেও কেউ প্রত্যাহার করেনি। আগামী ১৬ মার্চ এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারই প্রথম ইউনিয়নে ২২ হাজার ১শ ৬৭ জন ভোটার ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিবেন। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউসুফ তালুকদার জানান, আমার বাবা এই আসনে দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকার মানুষের সুখে দুখে তাদের পাশে থেকেছেন। এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও তিনি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন। ২০২১ সালের তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ভাগ্যের নির্মাণ পরিহাস মাত্র এক বছরের মাথায় তিনি আমাদের সবাইকে ছেড়ে পরকালে চলে গেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। 

তিনি আরো বলেন, এই ইউনিয়নবাসীর জন্য আমার বাবা যে স্বপ্ন দেখেছেন সেই স্বপ্ন পূরণেই আমি পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। এবং আমার বাবার মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকেও ভাগ্যবান মনে করছি। আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার মানুষের জীবন উন্নয়ন ও তাদের সুখে দুঃখে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।  


আরও খবর



রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে ইউনিয়ন পরিষদ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

রমজান মাস জুড়ে ইফতারি বিতরণ করবে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ। 

রোজার প্রথম দিনই নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২শ' দুঃস্থের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হয়েছে। 

শুক্রবার ২৪ মার্চ বিকেলে সদর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এসব ইফতারি বক্স বিতরণ করেন মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান ও তরুন সমাজ সেবক সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল। এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য শিহাব রায়হান, মাসুদ রানা, বদিউল আলম, আব্দুল মান্নান, ইউনুস আলী, বাদশা আলী, আজিজার রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

তরুন সমাজ সেবক ও চেয়ারম্যান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অনেকেই সমস্যার মধ্যে আছেন। তাদের সহযোগী হবার জন্য সকল ইউপি সদস্যের সাথে আলোচনা করে আমরা প্রতিদিন দুঃস্থ রোজাদারদের ইফতার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে দু’শর বেশি মানুষের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ছাদে বসে খাওয়ারও ব্যবস্থা থাকবে। 

তিনি এব্যাপারে সকলের দোওয়া কামনা করেন।


আরও খবর



বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০জন দেখেছেন

Image

রোকসানা মনোয়ার : মার্চ মাস প্রায় শেষ, আসছে এপ্রিল, বাড়বে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ হবে জীবন। তাই গরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ কারণে এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।

এখন পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এপ্রিলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কৃষিকাজে সেচ পুরোদমে চালু হলে বিদ্যুৎ চাহিদা আরও বাড়াবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের যোগান বা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিদ্যুৎ খাত-সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম নতুন করে না বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিদুৎ কর্মকতা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, চৈত্র মাস চলছে, লোডশেডিং নেই বললেই চলে। সামনে বৈশাখ; ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। এ দেশে মৌসুম বিবেচনায় নিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর-কমানোর পরিকল্পনা করা হয়। সামনে কৃষিজমিতে সেচের জন্য বিদ্যু চাহিদা কিছুটা বাড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতিও আছে। এরমধ্যে ভারতের গোড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎ এবং বাগেরহাট থেকে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনুকূলে চলে এসেছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও কমে এসেছে। সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ঐ কর্মকর্তা আরা বলেন, রমজান ও গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যাবে, এটি বিবেচনায় নিয়েই সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওই এলএনজির কারণেই গ্যাসের যোগান বেড়েছে। কয়েকটি খাতে রেশনিং করে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, চৈত্র মাস চলছে, লোডশেডিং নেই বললেই চলে। সামনে বৈশাখ; ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। চিন্তার কিছু নেই। এ দেশে মৌসুম বিবেচনায় নিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর-কমানোর পরিকল্পনা করা হয়। সামনে সেচে চাহিদা কিছুটা বাড়বে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর প্রস্তুতিও আছে। এরমধ্যে ভারতের গোড্ডা থেকে আদানির বিদ্যুৎ এবং বাগেরহাট থেকে রামপালের বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও অনুকূলে চলে এসেছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দামও কমে এসেছে। সমস্যা হবে না।

বিদ্যুৎ, সার কারখানা, ক্যাপটিভ, যানবাহন (সিএনজি), আবাসিকে রান্না, বাণিজ্যিকসহ নানা খাতে দেশে বর্তমানে দৈনিক গড়ে গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। রাষ্ট্রীয় খনি থেকে দেশি-বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে গ্যাস উৎপাদন এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি- এই দুইয়ে মিলে সর্বোচ্চ সরবরাহ হয় তিন হাজার এমএমসিএফ। রমজান মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম কমে এসেছে জানিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, এখন প্রতি এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি খোলা বাজার থেকে ১২ থেকে ১৩ মার্কিন ডলারে কিনছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় সব মিলিয়ে ৫৬টি জাহাজে এলএনজি আসবে। অন্যদিকে স্পট মার্কেট (দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি না করে খোলা বাজার থেকে যে জ্বালানি কেনা হয়) থেকে জুন পর্যন্ত ১২ কার্গো এলএনজি আসবে। এলএনজি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এখন দৈনিক গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে প্রায় ২৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে ৭২০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মার্চ থেকে আগামী জুন পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। সে অনুযায়ী, আগামী জুনে স্পট মার্কেট থেকে সর্বোচ্চ এলএনজি আমদানি করা হবে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি আওতায় এলএনজি আসা অব্যাহত থাকলেও জানুয়ারি মাসে স্পট মার্কেট থেকে কোন এলএনজি আমদানি হয়নি। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন এবং দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় আমদানির মাধ্যমে জানুয়ারিজুড়ে গড়ে ২৬শ থেকে ২৭শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট স্পট মার্কেটের এলএনজি যুক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেও প্রতিদিন গড়ে ২৬শ থেকে ২৭শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। তবে মার্চ থেকে এলএনজির সরবরাহ বেড়েছে। ২৩শ মিলিয়ন ঘনফুট দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে ৭৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। জুন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহে কাজ করছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রেবাংলার তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল, মে, জুন মাসে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি কমবে। তবে এ সময় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি বাড়বে।

গরম ও সেচ- দুই কারণে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ। ফলে এ সময় ঘিরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ নজর দেয় সরকার। এ বছর গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা হতে পারে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিদ্যুৎ খাতে এক হাজার পাঁচশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হবে।

তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বোচ্চ গ্যাসের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে পেট্রোবাংলা দৈনিক এক হাজার ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে।

পেট্রোবাংলা বলছে, দুটি এলএনজি টার্মিনালের দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ক্ষমতা এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু সাধারণত ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। পেট্রোবাংলা যদি সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদার সময় গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে এলএনজির সরবরাহ আরও ১৭০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়াতে হবে।

গরম ও সেচে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে একটি বৈঠক করে জ্বালানি আমদানি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পায়রা এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা আমদানি যাতে ডলার সংকট যাতে প্রতিবন্ধক না হয়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

রমজানে রাজধানীর বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, বিদ্যুৎতের সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য সাবস্টেশন, ট্রান্সফরমার মেনটেইনেন্স চলমান আছে। কোন সমস্যা হলে প্রত্যেকটি উপকেন্দ্রকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা দেওয়া আছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার আবারও ঊর্ধ্বমুখী হলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি গরমে মানুষের যেন াবদ্যুৎ প্রাপপ্তির সমস্যা না হয়।

 


আরও খবর

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩




এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার ;

এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত। পূনর্ভবা নদীটি নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীতে এখন আর নেই পানির উত্তাল ঢেউ। উত্তাল নদীটি এখন নাব্যতা হারিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ধু-ধু এ খরায় তলদেশ খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদে পানি না থাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষে দেখা দিয়েছে ক্ষতির আশংকা।

জানা গেছে, নদটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ, ষ্টির্মার। মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের অন্যান্য উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্র গুলোতে।

ঐসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বড়বড় হাট বাজারে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন পন্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে ছুটে চলতেন। শুধু পন্যই নয় হাট-বাজার গুলিতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। সে সময় পূনর্ভবা নদীটি ছিল পূর্ন যৌবনা। এলাকার একমাত্র নদিপথ হিসাবে ব্যবহার করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার শক্ত ভীত গড়ে তুলেছিল এক সময়। শুধু হাট-বাজারই নয়, নদটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। এর পানি দিয়ে কৃষকরা নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবুজ ফসল ধান ফলাতো। এই পানি দিয়ে নানা ফসলে ভরে উঠতো কৃষকের ক্ষেত। আবার ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের অফুরন্ত উৎস ছিল এই পূনর্ভবা নদী। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। ফলে জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। জীবিকার নির্বাহের জন্য জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াতেন মাছ ধরার জন্য। মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো। সময় গড়িয়ে চলার সথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পূনর্ভবা এখন খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। খরার সময় বালু ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়না এর তলদেশে। একারনেই আশেপাশের জেলে পরিবার গুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন। নদের পাড় গুলি পরিনত হয়েছে কৃষি জমি। নদী গর্ভে জেগে উঠা চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলা। এক সময়ের ব্যবসা বণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ।

থমকে গেছে নদ, নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা। নদ কেন্দ্রীক সম্ভবনাগুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। সরকারিভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত সারা-বছরই এতে পানি থাকতো। এতে কৃষকদের জমির ধানের উৎপাদন বেড়ে যেত। নদটিও পরিনত হতো না বালুচরে। তাছাড়া নদটি কখনও খনন বা রক্ষণাবেক্ষনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যার ফলে নদটির পাড় ফসলের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে অনেকেই ধান চাষ করছেন। খনন না করলে এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীটি হয়তো বা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে কোন এক সময়। সেইসঙ্গে পানির অভাবে জমিতে ফসল হবেনা বলেও আশংখা কৃষকদের।


আরও খবর



ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

মেধাশ্রম দিয়ে বিশ্ব জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

মো. রেজুয়ান খান, জনসংযোগ কর্মকর্তা :

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মেধাকে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, মেধাশ্রম দিয়ে নিজেদের তৈরি হতে হবে এবং বিশ্ব জয় করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ১৩তম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা শিশুসাহিত্যিক, সাইন্সফিকশন লেখক অধ্যাপক ড. মো. জাফর ইকবাল, ন্যাশনাল অলিম্পিয়াডের অন্যতম ফাউন্ডার অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ কায়কোবাদ। অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুলতানা সফি, পদার্থবিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডিএমডি এহতাসিমুল হক খান প্রমুখ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা শেখ হাসিনার হাত ধরে ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে ও বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে তথ্য প্রযুক্তি বিকাশের ধারা শুরু করেছিলেন। ৭২ থেকে ৭৫-এর মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, ৯৭ থেকে ২০০১ এবং পরবর্তীতে ২০০৯ থেকে ২০২৩  পর্যন্ত তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসে যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যে রূপান্তর ঘটিয়েছেন তার একটি পরিসংখ্যান দিয়ে ডাক ও টেলিয়োগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ লাখ। অথচ আজকের এই দিনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটিতে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আমরা ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করতাম ৮ জিবিপিএস এবং এখন ২০২৩ সালের এই দিনে ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছি ৪ হাজার ১৪০ জিবিপিএস।  মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ মোবাইল ফোন উৎপাদন করছি আমরা। বাংলাদেশের উৎপাদিত মোবাইল ফোন আমেরিকা সহ উন্নত বিশ্বে এখন রপ্তানী হচ্ছে। আশার কথা হচ্ছে, আমাদের দেশ ব্যান্ডউইথ এখন ভারতে রপ্তানী করছে। পার্শবর্তী কয়েকটি দেশ আমাদের ব্যান্ডউইথ নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আমরা তথ্য প্রযুক্তিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেব।

মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, মানুষের সভ্যতা তৈরি করতে হলে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তাদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জনদুর্ভোগকে জনশক্তিতে পরিণত করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রটা তোমাদেরকেই এগিয়ে নিতে হবে। আর আমি মনে করি যারা আমার সামনে বসে আছে তারা বাংলার ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মেধাবী প্রজন্ম। মন্ত্রী বলেন, আজকের ছাত্রছাত্রীরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগামি দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তিনি ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ড. জাফর ইকবাল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করে বলেন, ছোটবেলায় আমি পুরস্কার পাইনি। তবে বড় হয়ে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করছি। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলকে বেশি বেশি বই পড়ার পরামর্শ দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুলতানা সাফী বলেন, প্রতিযোগিতা করে বিজয় অর্জন করা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার। তবে কেউ হাল ছাড়বে না। প্রাণপণে চেষ্টা চালাতে হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করার।

প্রথম আলোর ম্যাগাজিন কিশোর আলো পত্রিকার সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, সবচেয়ে সুন্দরভাবে নিজের কাজটা করতে পারলেই দেশের জন্য কাজ করা হয়ে যাবে।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড কমিটি কর্তৃক বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে ক্রেস্ট ও স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজক কমিটি অসামান্য মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদেরকে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আয়োজিত অলিম্পিয়াডগুলোতে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে।


আরও খবর