শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :
নওগাঁয় স্বাদু পানিতে ঝিনুকের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন প্রদর্শনী প্লটের ফলাফল প্রদর্শনের জন্য মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে নওগঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা স্লুইচ গেট স্থানে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমীর বাস্তবায়নে জেলা সদর, রাণীনগর, আত্রাই ও বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ''নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ (আরএমটিপি)'' শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় এই ঝিনুক চাষের মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মাঠ দিবসে উন্মুক্ত ২০০০ হাজার ঝিনুক থেকে মুক্তা আহরণ করা হয়। আগ্রহী ঝিনুক চাষীদের মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্প থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠ দিবসে পিকেএসএফ-এর আরএমটিপি প্রকল্পের সমন্বয়কারী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো.হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় আরএমটিপি প্রকল্পের সহকারী মহাব্যস্থাপক (কার্যক্রম) মোহাম্মদ আবু আল বাতেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ, উপ-নির্বাহী পরিচালক এরফান আলী, উপ-সহকারী পরিচালক (কর্মসূচি) লিয়াকত আলী, মৌসুমী আরএমটিপি প্রকল্পের ভিসিএফ ফিরোজ হোসেন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার আব্দুর রউফ পাভেল, ঝিনুক চাষি মোজাক্কির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, মুক্তা চাষী, আগ্রহী সদস্যরা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা মুক্তা উৎপাদন একটি সম্ভাবনাময় একটি খাত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি খুব সহজেই ঝিনুকের মাধ্যমে মুক্তা চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। দিন দিন দেশসহ বিদেশে মুক্তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উদ্যোক্তা হয়ে মুক্তা উৎপাদন করে নিজে যেমন লাভবান হওয়া সম্ভব তেমনি ভাবে এই মূল্যবান উপকরনটি বিদেশেও রপ্তানী করে অনেক বৈদেশিক মুক্তাও অর্জন করা সম্ভব। তাই শুধু পুকুরেই নয় চাষের ঝিনুক চাষের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে বাড়ির পাশে থাকা যে কোন ডোবা কিংবা খালেও মুক্তা উৎপাদন করে লাভবান হওয়া সম্ভব।