Logo
শিরোনাম

নওগাঁর সরস্বতীপুরে শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১১২জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে  শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ কর্তৃক আয়োজিত এবং নওগাঁ জেলা ক্রীড়া অফিসের তত্ত্বাবধানে সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ ইং অনুষ্ঠিত হয় এবং ক্রীড়া প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পরুস্কার বিতরণ করা হয়। 

ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নওগাঁ জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ আবু জাফর।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান লিটন, সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম, সরস্বতীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক তরফদার সহ ইউনিসেফ এর জেলা প্রতিনিধি সহ সুধীজনরা।


আরও খবর



মাঠ পর্যায়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম :

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এ বছর ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নয় মাসেরও বেশি সময় বাকি থাকলেও নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি উত্তাপ বইতে শুরু করেছে। টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি বলছে, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিলেও ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপিও। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারাও বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। দলীয় গণ্ডি থেকে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ছক ও কৌশল। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রধান দুই দলই সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

এদিকে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ছক কষছে কীভাবে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা যায়। এই তিন বড় দলের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও থেমে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই আভাস মিলেছে।

নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হওয়ায় সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নড়েচড়ে বসেছেন। অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। সামাজিক কর্মকাণ্ডেও বেড়েছে তাদের তৎপরতা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন নানাভাবে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, তারা নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ জোরেশোরেই শুরু করেছে। এতে যুক্ত হয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। একই সঙ্গে নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি তারা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরছেন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ভুলভ্রান্তি শোধরাতে এরই মধ্যে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহের কাজও চলছে আওয়ামী লীগে। 

আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এখন দল গোছানোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ের পাশে আলাদা একটি ভবনে এ কার্যক্রম চলবে। বৃহৎ পরিসরে এ কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সব কার্যক্রম পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, নেতাদের সাংগঠনিক সফর ও কর্মসূচিতে দল গোছানো, তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দূর করা এবং সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দলের ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে।

বারবার সব দলকে নিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে আসছে সরকার। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ও দলীয় ফোরামেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ করে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে দলের প্রধান শেখ হাসিনার এমন ইঙ্গিতে সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনীর মাঠ প্রস্তুত করতে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে তিনি চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার এবং রাজশাহীতে জনসভা করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য বিভাগেও জনসভা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি নিজের মতো করে নির্বাচনী মাঠ গোছাতে শুরু করেছেন। দলীয় সভাগুলোতে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, এবার নির্বাচন সহজ হবে না। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে নানা নারকীয় ঘটনার কথাও বারবার বলছেন। সংসদীয় দলের সভায়ও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলছেন। এর বাইরে নির্বাচনকে ঘিরে তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসহ সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। একইসঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভূমিকা রাখা, সর্বোপরি ভিশন ’৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। 

সম্প্রতি আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের বেশি দিন বাকি নেই। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। নেতার সঙ্গে কর্মীর এবং কর্মীর সঙ্গে জনগণের সেতু নির্মাণ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষ উন্নয়ন ও কাজ চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও কাজ করে যাচ্ছেন। তাই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার ওপর খুশি, আর এতে বিএনপির মন খারাপ।

ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে যুগপৎ আন্দোলন করছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। দৃশ্যমান কার্যক্রম না চললেও সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী তালিকার খসড়া তৈরি করেছে বিএনপির হাইকমান্ড। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আমলনামা পাঠানো হচ্ছে লন্ডনে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রার্থী বাছাইয়েও বেগ পেতে হবে না। যে কোনো মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। তবে তা হতে হবে দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকারের অধীনে। অন্যথায় বিএনপি সেই নির্বাচনে যাবে না।

সরকারে থাকা দল এখন থেকেই জনসভা করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে- এ প্রসঙ্গে দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যত সাংগঠনিক কার্যক্রম করছি সবই তো নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ। এই যে দেখলেন ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। অনেক লোক হয়েছে, তারা উজ্জীবিত; নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত। তবে এই সরকারের অধীনে নয়, কেননা এই সরকারে অধীনে হাজারো প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে গেলে ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি হবে। তার ভাষ্যমতে, নির্বাচন যখনই হোক না কেন; বিএনপির প্রার্থী বাছাইয়ে তেমন বেগ পেতে হবে না। কারণ গত সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে হাজারখানেক প্রার্থীর নামের তালিকা আছে। এখান থেকেই অদলবদল হবে। সবকিছু দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তারেক রহমান।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি হবে না। এরই মধ্যে ২০০ আসনের প্রার্থী মোটামুটি ঠিক করা আছে। কিছু আসন পূর্বনির্ধারিতই থাকে। সব মিলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অত বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না বিএনপি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটের প্রস্তুতি তো থাকতেই হবে। আন্দোলনকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব আমরা। তবে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সংসদীয় আসনের নেতাদের মাঠে নামার কথা বলেছেন। কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। পরে আমলনামা হিসেবে এগুলোর ফলোআপ রিপোর্টও সংগ্রহ করতে বলেছেন। তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা এটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন।

নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচন করেই কয়েকবার ক্ষমতায় যায়। নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করে না। তবে তা হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এজন্যই আমরা ১০ দফা দাবি আদায়ে মাঠে আছি। আন্দোলন করে তা আদায় করার পর নির্বাচনের কথা সামনে আসবে। বিএনপি কীভাবে প্রস্তুতি নেবে এটা আমাদের ব্যাপার। এখানে দৃশ্যমান হওয়ার কিছু নেই।

নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলোও। ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলোও নির্বাচন প্রস্তুতিতে থেমে নেই। সব পক্ষই নিজেদের শক্তি এবং সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে চলছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৌশল প্রণয়নের কাজও।

জানা গেছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও বসে নেই। জোটের বাইরে বাম, ডান, মধ্যপন্থা এবং ধর্মভিত্তিক দলগুলোও ঘর গোছাচ্ছে। ভবিষ্যতে জোটবেঁধে নির্বাচনের ভাবনা মাথায় থাকলেও আপাতত তারা এককভাবেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যারিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গঠন করা জাতীয় পার্টি আছে প্রধান বিরোধী দলের আসনে। খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে এই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে মাঠের বড় দল বিএনপি। এর বাইরে আওয়ামী লীগের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, তরীকত ফেডারেশন এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে সংসদে আছে গণফোরামও।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়েছি। যেহেতু ১৪ দল এখনো আছে। ভবিষ্যতে কী হয় তা সময় বলবে। আপাতত আমরা দল গোছানোর পাশাপাশি পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।

টানাপড়েন যাই থাকুক না কেন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যেও।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এর বাইরে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করছেন। দলটির প্রচার উপকমিটির সহকারী সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, ‘আমরা এককভাবে নির্বাচন করব। গত নির্বাচনেও এককভাবে অংশ নিয়েছি। এ ছাড়াও খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, বটগাছ প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, রিকশা প্রতীক নিয়ে খেলাফত মজলিস, গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টিসহ ডানপন্থি এবং ইসলামি ঘরানার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও বসে নেই। জোটের বাইরে থেকে তারাও আপাতত নিজেদের মতো করে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, গবেষক

[email protected] 


আরও খবর

নৌকার পালে নির্বাচনের হাওয়া

মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩




এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার ;

এক সময়ের উত্তাল নওগাঁর পূনর্ভবা নদীতে নেই পানি, বালুচরে পরিণত। পূনর্ভবা নদীটি নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীতে এখন আর নেই পানির উত্তাল ঢেউ। উত্তাল নদীটি এখন নাব্যতা হারিয়ে বালুচরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে ধু-ধু এ খরায় তলদেশ খেলার মাঠ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নদে পানি না থাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান চাষে দেখা দিয়েছে ক্ষতির আশংকা।

জানা গেছে, নদটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পাল তোলা নৌকা, লঞ্চ, ষ্টির্মার। মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলতো গোমস্তাপুর, রহনপুর, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সহ দেশের অন্যান্য উপজেলার ব্যবসা কেন্দ্র গুলোতে।

ঐসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা বড়বড় হাট বাজারে ব্যবসার জন্য বিভিন্ন পন্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ছোট বড় নৌকায় পাল তুলে ছুটে চলতেন। শুধু পন্যই নয় হাট-বাজার গুলিতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি। সে সময় পূনর্ভবা নদীটি ছিল পূর্ন যৌবনা। এলাকার একমাত্র নদিপথ হিসাবে ব্যবহার করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন জীবিকার শক্ত ভীত গড়ে তুলেছিল এক সময়। শুধু হাট-বাজারই নয়, নদটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। এর পানি দিয়ে কৃষকরা নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার হেক্টর জমিতে সবুজ ফসল ধান ফলাতো। এই পানি দিয়ে নানা ফসলে ভরে উঠতো কৃষকের ক্ষেত। আবার ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের অফুরন্ত উৎস ছিল এই পূনর্ভবা নদী। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর ধরে। ফলে জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও পাশের গ্রাম গুলিতে অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতি গড়ে উঠেছিল। জীবিকার নির্বাহের জন্য জেলেরা রাতদিন ডিঙি নৌকায় জাল নিয়ে চষে বেড়াতেন মাছ ধরার জন্য। মাছ বিক্রি করে অসংখ্য জেলে পরিবারের সংসার চলতো। সময় গড়িয়ে চলার সথে সাথে সেই ভরা যৌবনা পূনর্ভবা এখন খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। খরার সময় বালু ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়না এর তলদেশে। একারনেই আশেপাশের জেলে পরিবার গুলো হয়ে গেছে প্রায় বিলীন। নদের পাড় গুলি পরিনত হয়েছে কৃষি জমি। নদী গর্ভে জেগে উঠা চরে এলাকার শিশুরা খেলছে ক্রিকেট, ফুটবল সহ বিভিন্ন খেলা। এক সময়ের ব্যবসা বণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ।

থমকে গেছে নদ, নিভে গেছে বিপুল সম্ভবনা। নদ কেন্দ্রীক সম্ভবনাগুলো নিভে গেলেও কেউ কখনও এসব নিয়ে ভাবেনি। সরকারিভাবে নদীটি খননের পদক্ষেপ নেয়া হলে অন্তত সারা-বছরই এতে পানি থাকতো। এতে কৃষকদের জমির ধানের উৎপাদন বেড়ে যেত। নদটিও পরিনত হতো না বালুচরে। তাছাড়া নদটি কখনও খনন বা রক্ষণাবেক্ষনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যার ফলে নদটির পাড় ফসলের জমিতে পরিণত হয়েছে। এ সুযোগে অনেকেই ধান চাষ করছেন। খনন না করলে এক সময়ের উত্তাল পূনর্ভবা নদীটি হয়তো বা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে কোন এক সময়। সেইসঙ্গে পানির অভাবে জমিতে ফসল হবেনা বলেও আশংখা কৃষকদের।


আরও খবর



বিশ্বম্ভরপুরে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও রামাযানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে মিছিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

শফিউল আলম,স্টাফ রিপোর্টার:

সুুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও

পবিত্র মাহে রামাযানের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। ২১ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচি অংশ হিসেবে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রামাযানের  পবিত্রতা রক্ষা ও দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বের  করা হয়। এসময় উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জয় বাংলা চত্বরে এসে এ মিছিল পথসভায় রুপান্তরিত হয় । এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আমির হুসাইন, উপজেলার ফতেপুর ইউ,পি জমিয়তের সভাপতি ক্বারী ইলিয়াছ আহমদ,বাদাঘাট দক্ষিণ ইউ,পি  জমিয়তের সভাপতি মাও. ফজলুল হক, পলাশ ইউ,পি জমিয়তের সভাপতি  মাও. ওলিউর রহমান,উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি ক্বারী আবুল ফয়েজ,সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. আবু আইয়ুব, প্রচার সম্পাদক মাও. জুবায়ের জামীল,জামালগঞ্জ বেহেলী ইউ,পি যুব জমিয়তের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাও. বদরুল আলম উজ্জ্বল,

ইকরা মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাও. ফরিদ আহমদ অনন্তপুরী,গাজীনগর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাও. শফিকুল ইসলাম,উপজেলা ছাত্র জমিয়তের সভাপতি মিজানুর রহমান নাঈম, সাধারণ সম্পাদক আজীরুদ্দীন সোহাগ প্রমুখ।


আরও খবর



রাণীনগরে শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

নওগাঁর রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইনের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) চাঁদ আক্তার বানুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু,ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম, উপজেলা আ’লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন আকন্দ, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সদস্য রাহিদ সরদার,সদর ইউপি চেয়ারম্যান চন্দনা শারমিন রুমকি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১০জন শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। 


আরও খবর



নওগাঁয় নতুন করে ঘর পাচ্ছেন আরো ১ হাজার ২শ' ৯০টি গৃহহীন পরিবার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে নওগাঁয় আরো ১ হাজার ২শ' ৯০টি গৃহহীন পরিবার এর মুখে হাঁসি ফুটতে যাচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নওগাঁ জেলার ৯টি উপজেলায় বসতহারা পরিবারকে এসব নতুন ঘর করে দেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার সকাল সারে ১০টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এসব ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩শ' ৬৫ ভৃমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে খাস জমি ও ঘর প্রদান করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় চতুর্থ পর্যায়ে ১ হাজার ২শ' ৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে ভিড়িও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতে এসব নতুন ঘড় হস্তান্তরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরে নওগাঁয় এসব ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে ১ হাজার ২শ' ৯০টি পরিবারকে ২ শতক খাস জমি বন্দোবস্ত পূবক করা হয়েছে। এসব গৃহ নির্মানের কাজের গুনগত মান নিশ্চিত করে ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং কবুলিয়ত ও নামজারি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। প্রতিটি গৃহে দুইটি কক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা আছে। এসব গৃহ প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১শ' ২০টি, বদলগাছীতে ১০০টি, ধামইরহাটে ১শ' ৪০টি, পত্নীতলায় ১শ' ৪৬টি, মান্দায় ১শ' ৭৭টি, মহাদেবপুরে ১শ' ১৬টি, নিয়ামতপুরে ১শ' ৬০টি, পোরশায় ১শ' ৫৪টি, সাপাহারে ১শ' ৭৭টি গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবার এসব ঘর পাবেন। এর মধ্যে মহাদেবপুর, ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়, নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন সহ প্রশাসনের অন্যন্যা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য এর আগে নওগাঁ জেলায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫৬টি ও দ্বিতীয় ধাপে ৫শ' ২টি, ৩য় পর্যায়ে ৭শ' ৩৭টি সহ মোট ২ হাজার ২শ' ৯৫ গৃহহীন ও ভৃমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন (নতুন ঘড়) দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর