
শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মোঃ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশের সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য মোঃ মাসুদ করিম সরদার বাদী হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হইলে ১৯৮৭ সালে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীদের সাথে তিনি নিয়োগের জন্য আবেদন করেন এবং নিয়োগ বোর্ডকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অন্য নিয়োগ প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ৩ জানুয়ারি ১৯৮৭ সালে চকুিরিতে যোগদান করে সরকারী সকল ভাতা গ্রহন করেন।
অভিযোগে বাদী মাসুদ করিম সরদার আরও বলেন, তিনি ২০১৮ সালে ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য হয়ে ওই শিক্ষকের কাগজপত্রে অমিল দেখিতে পায়। তার জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ১ মার্চ। তিনি ১৯৭৫ সালে দাখিল পাশ করেন। তার জন্ম তারিখ থেকে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করেন। এরপর তিনি ১৯৭৮ সালে আলিম পাশ করেন। আলিম পাশের ১ বছর পর ১৯৭৯ সালে তিনি ফাযিল (ডিগ্রি) পাশ করেন এবং কামিল পাশ করেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু ওই পদে চাকুরির জন্য কামিল পাশের সার্টিফিকেট আবশ্যক ছিলো।
এবিষয়ে মাসুদ করিম সরদার বলেন, আমি ২০১৮ সালে অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেন। পরবর্তীতে এবছরের ৫ ফেব্রুয়ারী অন্যান্যদের সামনে তার কাগজ পত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন এবং এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। এরপর ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে সাথে নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করলে আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি ওই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
যেখানে ১০ বছর লেখাপড়া করার পর ১১ বছরে দাখিল পরীক্ষা হয় সেখানে আপনি কিভাবে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করলেন? সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তখন মাদ্রাসা লাইনে ১২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম ছিল।