Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ, সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা..!

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৯০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মোঃ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশের সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সাবেক অভিভাবক সদস্য মোঃ মাসুদ করিম সরদার বাদী হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লক্ষনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন হইলে ১৯৮৭ সালে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীদের সাথে তিনি নিয়োগের জন্য আবেদন করেন এবং নিয়োগ বোর্ডকে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অন্য নিয়োগ প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ৩ জানুয়ারি ১৯৮৭ সালে চকুিরিতে যোগদান করে সরকারী সকল ভাতা গ্রহন করেন।


অভিযোগে বাদী মাসুদ করিম সরদার আরও বলেন, তিনি ২০১৮ সালে ম্যনেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য হয়ে ওই শিক্ষকের কাগজপত্রে অমিল দেখিতে পায়। তার জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ১৯৬৩ সালের ১ মার্চ। তিনি ১৯৭৫ সালে দাখিল পাশ করেন। তার জন্ম তারিখ থেকে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করেন। এরপর তিনি ১৯৭৮ সালে আলিম পাশ করেন। আলিম পাশের ১ বছর পর ১৯৭৯ সালে তিনি ফাযিল (ডিগ্রি) পাশ করেন এবং কামিল পাশ করেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু ওই পদে চাকুরির জন্য কামিল পাশের সার্টিফিকেট আবশ্যক ছিলো।


এবিষয়ে মাসুদ করিম সরদার বলেন, আমি ২০১৮ সালে অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তার জালিয়াতির কথা জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেন। পরবর্তীতে এবছরের ৫ ফেব্রুয়ারী অন্যান্যদের সামনে তার কাগজ পত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন এবং এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে। এরপর ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যকে সাথে নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করলে আদালতে মামলা দায়ের করি। আমি ওই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

যেখানে ১০ বছর লেখাপড়া করার পর ১১ বছরে দাখিল পরীক্ষা হয় সেখানে আপনি কিভাবে ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করলেন? সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তখন মাদ্রাসা লাইনে ১২ বছর বয়সে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম ছিল। 


আরও খবর



মুরাদনগরে পৃথক দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী ও মোটরসাইকেল মিস্ত্রি নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

কু‌মিল্লা  ব্যুরো :

কুমিল্লার মুরাদনগরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক প্রবাসী ও মোটরসাইকেল মিস্ত্রি নিহত হয়েছে।

বুধবার সা‌ড়ে ৭ টার দিকে মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের জাহাপুর ইউনিয়নের শুশুন্ডা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার বজরি খোলা গ্রামের মৃত ইসমাইল মুন্সির ছেলে রোমানিয়া প্রবাসী রিয়াদুল হাসান রাসেল (২৬) ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর (ইলেয়টগঞ্জ) গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে মোটরসাইকেল মিস্ত্রি মোশারফ হোসেন (২৬)।

স্থানীয় মাহাবুব আলম আ‌রিফ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদ বাজারে যাওয়ার পথে শুশুন্ডা এলাকায় মাটিবাহী ট্রাক্টর এর সাথে ধাক্কা লেগে চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।

নিহত প্রবাসী রিয়াদুলের খালাতো ভাই মহসিন জানান, রিয়াদুল রোমানিয়া প্রবাসী সে গত দুই মাস আগে ছুটিতে বাংলাদেশ আসে। বুধবার দুপুরে রিয়াদুল ও আমি মোটরসাইকেলযোগে মুরাদনগরে একটি চাকুরির বিষয়ে কথা বলতে আসি। কাজ শেষ করে যাওয়ার পথে আমাদের মোটরসাইকেলটি নষ্ট হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক রিয়াদুল তার বন্ধু মোটরসাইকেল মিস্ত্রি মোশারফকে ফোন দিলে সে ইলিয়টগঞ্জ থেকে আমাদের কাছে এসে জানায় কিছু সরঞ্জাম আনতে হবে গাড়িটি ঠিক করতে। পরে মোটরসাইকেল মিস্ত্রি মোশাররফ ও রিয়াদুল বাখরাবাদ বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের দেরি হওয়া দেখে আমি রিয়াজুল এর মোবাইল ফোনে ফোন দিলে কেউ একজন ফোনটা রিসিভ করে আমাকে জানায় রিয়াদুল ও মোশারফ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। 

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মুরাদনগ‌রে শুশুন্ডায় মা‌টিবা‌হি ট্রাক্টর চাপায় দুই  মোটর সাইকেল আরোহীর মারা গে‌ছে।  দূর্ঘটনা কব‌লিত মটরসাই‌কেল উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। এ ব‌্যাপা‌রে এক‌টি মামলা প্রক্রিয়ার্ধীন র‌য়ে‌ছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মার্চ 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image


শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক সহ দু' জনের মৃত্যু।

নওগাঁর রাণীনগরে ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে ঐ ট্রাকের চালক আমির হোসেন (৫৮) এর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বান্দায়খাড়া এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত ট্রাক চালক আমির নাটোর জেলার বড়ই গ্রামের মৃত দিলবর রহমানের ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ট্রাক নিয়ে বান্দাইখাড়া বাজারে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে দূর্ঘটনাস্থলেই চালক আমির গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দূর্ঘটনা কবলীত ট্রাকটি উদ্ধারের কাজ চলছে।

অপরদিকে নওগাঁর পত্নীতলার বাকরইল রুপগ্রাম মোড়ে সকাল ১১ টায় ট্রলির সাথে মোটরসাইকেল এর সংঘর্ষে  মোটরসাইকেল আরোহী তুহিন হোসেন (২৬) নামের এক যুবকের মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুহিন হোসেন পত্নীতলা উপজেলার বড় মহোরন্দি গ্রামের সারওয়ার হোসেন এর ছেলে।

সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, নিহতের পরিবার বা কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের  নিটক মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত তুহিন হোসেন দীর্ঘ দিন প্রবাসে থাকার পর প্রায় দু মাস পূর্বে দেশে (বাড়িতে) আসেন এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বিবাহের মাত্র কয়েক দিন পরই তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে নিহতের পরিবার-স্বজন সহ গ্রামজুড়ে লোকজনের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।


আরও খবর



নওগাঁয় পুলিশের পদক্ষেপে রক্ষা পেলো একটি সংসার, অভিযুক্ত শ্রীঘড়ে..!

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১৭০জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় পুলিশের পদক্ষেপে রক্ষা পেলো একটি সংসার, অভিযুক্ত কথিত প্রেমিক শ্রীঘড়ে..!

প্রথমে সোস্যাল মিডিয়া 'ফেসবুকে' পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে দু' জনের মাঝে চলছিলো হাই-হ্যালো। এভাবে চলার মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ঘড়ে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও হাবিবুর রহমান (২৪) নামের এক যুবক অসৎ উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে গৃহবধূ (১৯) কে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদ পাতেন। ফোনেই চলে প্রেমালাপ। এক পর্যায়ে বিয়ে করার কথা বলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে পাড়ি জমাবেন অজানা কোন স্থানে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনার দিন অন্তসত্বা স্ত্রী সহ পরিবারের কাউকে না জানিয়ে প্রেমিক হাবিবুর রহমান (২৪) 

নিজ বাড়ি মান্দা থেকে বের হয়ে আনুমানিক ১৯ কিঃ মিঃ দূরে মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় চৌমাশিয়া বাজারে এসে অবস্থান করেন এবং ফোনে গৃহবধূ (১৯) ডেকে নিয়ে বাজারে প্রথম বারের মতো দু'জন একে অপর কে সরাসরি দাখেন এবং পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একটি অটো-বাইক যোগে পালাতে গিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের খোর্দ্দনারায়নপুর নামক স্থানে পৌছালো গৃহবধূ'র স্বামী নিজেই স্ত্রী ও তার কথিত প্রেমিক কে আটক করে নিজ গ্রামে নিয়ে যান। এরপর কয়েক ঘন্টাধরে (ত্রিমুখি) প্রেমিকের স্বজন, গৃহবধূর পিতার পরিবার ও স্বামীর পরিবার ঘটনাটি সমাধান এর চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন। ঐ সময় গৃহবধূকে তার স্বামীও বাড়িতে তুলতে রাজি হয়নি। অপরদিকে কথিত প্রেমিকও তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি। যার ফলে খবর দেওয়া হয় নিকটস্থ্য নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ কে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান ও গৃহবধূ দু'জন কেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ ও তদন্ত (ওসি) পৃথক ভাবে দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, প্রেমিক বিবাহীত এবং তার ঘরে অন্তসত্বা স্ত্রী থাকার পরও সে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের গৃহবধূ (ভিকটিম) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, তবে তাকে সে বিয়ে করবে না, তার উদ্দশ্যে ছিলো অসৎ। অপরদিকে (ভিকটিম) গৃহবধূ কে তার স্বামী খু্ব ভালো বাসেন এবং তিনি কোন কিছু না বুঝেই স্বামীর বাড়ি থেকে বের হোন, তবে তার স্বামী খুবই ভালো মানুষ জানিয়ে গৃহবধূ আরো বলেন, হাবিবুর রহমান আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে, আমি তার শাস্তি চাই, আমি আমার স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই বলেও পুলিশকে জানান এবং এঘটনায় (ভিকটিম) গৃহবধূ নিজেই বাদি হয়ে থানায় কথিত প্রেমিক হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দাযের করেন। সম্পতি এঘটনাটি ঘটে নওগাঁর মহাদেবপুরে।

স্থানিয় সুত্র জানায়, গত বুধবার ১৫ মার্চ সকাল ১০ টারদিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ গ্রামের ছবের আলীর ছেলে কথিত প্রেমিক   

হাবিবুর রহমান (২৪) মহাদেবপুর উপজেলার হাট-চকগৌরী এলাকার এক গৃহবধূকে মোবাইল ফোনে চৌমাশিয়া নওহাটামোড়ে ডেকে নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অটো-বাইক যোগে অজানার উদ্দশ্যে নিয়ে যাওয়াকালে (ভিকটিম) গৃহবধূর স্বামী তাদেরকে আটক করেন। এঘটনায় কয়েক ঘন্টাধরে দফায় দফায় পারিবারিক ভাবে আপোস-মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে বার্থ হোন, ঐ সময় গৃহবধূকে ভুল বুঝে তার স্বামী ঘড়ে তুলতেও রাজি হয়নি অপরদিকে  কথিত প্রেমিক ও তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেন। 

এব্যাপারে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের দু'জনকে উদ্ধার পূর্বক থানা হেফাজতে নেওয়ার পর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর ও (তদন্ত) ওসি আবুল কালাম আজাদ পূথক ভাবে দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদে 'মোবাইল ফোনে সম্পর্ক, সেই সম্পর্ক থেকে ঘটনার দিনই তাদের প্রথম দেখা ও অভিযুক্ত যুবক (বিয়ে করবেনা) সে অসৎ উদ্দশ্যে মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে গৃহবধূকে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে শিকার করেন। এসময় ভিকটিম জানান, তার স্বামী তাকে খুবই ভালো বাসেন এবং সে তার ভুল বুজতে পেরে স্বামীর ঘড়ে ফেরার আকুতি জানিয়ে (ভিকটিম) নিজেই বাদি হয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ভিকটিম গৃহবধূর স্বামী ও তার শ্বশুড় সহ স্বজনরা থানায় এসে মূল ঘটনা জানা ও শুনার পরই স্বামী ও শ্বশুড় নিজেই গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিতে চাইলে, স্বামির হেফাজতে গৃহবধূকে দেয়া হয়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মানবিক ভূমিয়ার কারনে এভাবেই টিকে যায় একটি পরিবার। এলাকার সচেতন অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন থানা পুলিশের এমন উদ্যোগকে। গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, আমার স্ত্রী সামান্য একটি ভুল করেছিলো, যা পুলিশের মাধ্যমে আমি বুজতে পেরেছি। আমার স্ত্রী আমার কাছেই (বাড়িতে) সংসার করছেন।


আরও খবর



রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

উচিংছা রাখাইন, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি :

রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য অনুমোদিত কমিটিতে পূর্ববর্তী কমিটির

ত্যাগী- পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে

আওয়ামীলীগের পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ মার্চ সোমবার

সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙ্গামাটির স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে এই সাংবাদিক

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ পদ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম

সাধারন সম্পাদক মো: আব্দুল মতিন।

এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ডা:আশুতোষ বড়ুয়া, সাবেক

সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জমির উদ্দিন, সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক

সম্পাদক স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: হানিফ,

সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো: জাকির হোসেন সেলিম, সাবেক উপ প্রচার ও

প্রকাশনা  সম্পাদক অমর কুমার দে, সাবেক সদস্য জয় সেন তঞ্চঙ্গ্যা, সাবেক

সদস্য নুরুল আজম চৌধুরী, সাবেক সদস্য মো: শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাঙ্গামাটিতে আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন

গ্রুপিং রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করিনা।

আমরা চাই বর্তমান নতুন অনুমোদিত জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে সাবেক কমিটিতে

যারা ছিলেন সেসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে

অন্কর্ভূক্ত করা হোক। এ জন্য নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।



আরও খবর



একই দিনে ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ''বিআরটিএ'' এর কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে ও সেবা গ্রহীতা সহ সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ লাঘবে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁতেও একই দিনে ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম এর উদ্বোধন করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার সকাল সারে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পিএএ। 

নওগাঁর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক (এডি) হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে এসময় নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রে আব্দুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর মোটরযান ইন্সপেক্টর ফয়সাল হাসান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) বিকর্ন কুমার চৌধুরী, ডা. আশিষ কুমার সরকার সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং বিআরটিএ এর উধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর মোটরযান ইন্সপেক্টর ফয়সাল হাসান জানান, একই দিনে ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি লাঘব হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম উদ্বোধন হওয়ার ফলে সেবা গ্রহীতাদের বার বার বিআরটিএ অফিসে এসে ধর্না দিতে হবে না। সেবা গ্রহীতারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে, ব্যাংকে সরকারী ফি জমা দিবেন এবং এক দিনই বিআরটিএ 

অফিসে আসবেন। ওই দিনই তার ড্রাইিভিং লাইসেন্স ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শেষ করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন। লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং ফিল্ড টেষ্টে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সেবা গ্রহীতার ড্রাইিভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে যাবে। ড্রাইিভিং লাইসেন্স তৈরী হয়ে গেলে সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে একটি মেসেজ যাবে সেবা গ্রহীতার মোবাইলে সেদিন এসে সেবা গ্রহীতা তার ড্রাইিভিং লাইসেন্স উত্তোলন করে নিয়ে যাবেন। আবার কেউ যদি মনে করেন সরকারী ফি প্রদানের মাধ্যমে বাড়ীতে বসে ড্রাইিভিং লাইসেন্স গ্রহন করবেন তাও সম্ভব। সেবা গ্রহীতা সরকারী ফি এবং তার বাড়ীর সঠিক ঠিকানা প্রদানের মাধ্যমে পোস্ট অফিসের সেবার মাধ্যমে বাড়ীতে বসেই লাইসেন্স গ্রহন করতে পারবেন। 

উদ্বোধনী দিনে নওগাঁয় পেশাদার ও অপেশাদার মিলিয়ে মোট ২২৫ জন সেবা গ্রহীতার ড্রাইিভিং লাইসেন্স এবং বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।


আরও খবর