Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ২২মে গুটি আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাজারে আসতে শুরু করবে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে আমের নতুন রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে দেশের উত্তরের খাদ্যভান্ডার বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁ। ধান উৎপাদনের পাশাপাশি বিগত কয়েক বছর আম উৎপাদনে রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জকে ছাড়িয়ে গেছে নওগাঁ। আগামী ২২মে থেকে গুটি আম বা স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাজারে আসছে নওগাঁর আম। এছাড়াও নওগাঁর ঐতিহ্য আম্রপালি আমসহ অন্যান্য জাতের সুস্বাদু ও সুমিষ্ট আম পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ভোক্তাদের।

বর্তমানে আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা উপজেলা সাপাহারের পাশাপাশি পোরশা, নিয়ামতপুর, ধামইরহাটসহ জেলার ১১টি উপজেলাতে গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক ভাবে আম বাগান। আর দেশের মধ্যে শুধুমাত্র নওগাঁতেই উৎপাদন হওয়া সুস্বাদু আম্রপালি আমের সুনাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবছরই নওগাঁয় উৎপাদিত বিভিন্ন জাতের আমের চাহিদা ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  

সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আম সংগ্রহ করার জাতীয় ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিল রেখে এক সভায়  বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ওই সভায় আমচাষী, ব্যবসায়ী, কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ২২মে গুটি আম বা স্থানীয় জাত, ২৮মে থেকে গোপালভোগ, ২জুন ক্ষীরসাপাত/হিমসাগর, ৭জুন নাক ফজলি, ১০জুন ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা, ২০ জুন ফজলি, ২২জুন আম্রপালি এবং ১০জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারি আম-৪, গৌড়মতি ও কাটিমন আম সংগ্রহ করা যাবে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে জেলার ৩৩ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। যা থেকে ৪লাখ ৩১ হাজার ৫০০টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন বাগানে উচ্চ মূল্যের ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, কাটিমন, গৌড়মতি, বারি-৪ আমচাষসহ দেশি-বিদেশি প্রায় ১৬জাতের আম চাষ করা হয়েছে। তবে চলতি মৌসুমে আমের মুকুল কম আসায় ও প্রচন্ড দাবদাহে কিছু আম ঝড়ে যাওয়ার কারণে আমের ফলনে কিছুটা তারতম্য হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ।


জাত ভেদে নাকফজলি ৮৯৮ হেক্টর, ল্যাংড়া ১ হাজার ৬১৫ হেক্টর, ফজলি ১ হাজার ৪০৮ হেক্টর, গোপালভোগ ৬১০ হেক্টর, ক্ষীরশাপাত ১ হাজার ৪৭ হেক্টর, বারি-৪ ২ হাজার ৪০২ হেক্টর, বারি-১১ আম ৪২ দশমিক ৫০ হেক্টর, মল্লিকা ৩৭ হেক্টর, কাটিমন ১৫৪ দশমিক ৫০ হেক্টর, গৌড়মতি ১৪৩ দশমিক ২৫ হেক্টর, হাড়িভাঙা ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর, ব্যানানা ম্যাংগো ১০৭ দশমিক ৫০ হেক্টর, আশ্বিনা ২ হাজার ৩২২ দশমিক ৫০ হেক্টর, কুমড়াজালি ১৩ হেক্টর, গুটি বা স্থানীয় ৬০৭ হেক্টর এবং আম্রপালি ১৮হাজার ৪২২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। জেলায় যে পরিমাণ আম বাগান রয়েছে তার মধ্যে আম্রপালি ৬০ দশমিক ৮০শতাংশ।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকার আমচাষী আব্দুর রশিদ বলেন, দিন দিন আম চাষ অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাগানের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে এই আম চাষ। আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে বাজারজাত করা পর্যন্ত বিঘাতে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ পড়ে। তবে চলতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরার কারণে বিঘা প্রতি ৪-৫হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। এছাড়া খরায় কিছু আম ঝড়ে পড়ার কারণে ফলন কিছুটা কম হবে। তাই আমের দাম সঠিক ভাবে পেলে লোকসান কিছুটা পুষে নেয়া সম্ভব হবে। তাই এবার আম চাষীদের বাঁচাতে সঠিক ওজনে আম বিক্রয় করা ও ঠিকঠাক দাম বেধে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমরা সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, চলতি মৌসুমে নওগাঁ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের আশা করা হচ্ছে। চলতি বছর আমের মুকুল কিছুটা কম আসলেও গাছে বর্তমান থাকা আমের আকার ও রং ভালো থাকার কারণে আমচাষীরা ভালো দাম পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া গতবছরের চেয়ে চলতি বছর নওগাঁ থেকে আরো বেশি পরিমাণ আম বিদেশে রপ্তানি করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দ্রæতই নওগাঁর বিভিন্ন আম বাগান পরিদর্শন করতে আসবেন।


আরও খবর



শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় বৈঠকের এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এদিন স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় বেইজিংয়েই বিনিয়োগ-বিষয়ক এক সম্মেলনে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের তথ্য জানাতে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


আরও খবর



সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়

প্রকাশিত:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, এ দৃশ্যমান হতে হবে; আর একটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার- এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।

আজ শনিবার লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠে ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু এটি সঞ্চালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, কালো টাকা ও পেশীশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। সেজন্য অবশ্যই নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরি করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে প্রতিবেশী হিসেবে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা ভালো থাকলে তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালো কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে তারা ভালো থাকবে কিনা।

তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হলেও এখনো কিছু কু-রাজনীতক চাঁদাবাজি-দখলবাজি করছে। এ সময় জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও কাজের ব্যবস্থা করবে বলে জানান তিনি।পাশাপাশি তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ লালমনিরহাটের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।

দেশবাসীর উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন চাই না। টুকরা টুকরা জাতি চাই না। আমরা মাইনরিটি মেজরিটি শব্দই শুনতে চাই না।এখন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরাও বলেছে এই কথাগুলো বলে বলেই আমাদের শোষণ করা হয়েছে। আমরাও চাই না।

তিনি বলেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই দেশকে গড়ে তুলব। নারীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তারা নিরাপদভাবেই ঘরে থাকবেন, বাইরে যাবেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন। যুবকদের হাত কাজের হাতে পরিণত করব। সেই অপেক্ষায় আছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য জীবন দেব, তবুও দেশের সার্বভৌমত্ব দেব না। কারও লাল চোখের দিকে আর আমরা তাকাব না। আমাদের দিকে যদি কেউ লাল চোখ তুলে তাকায় তাও আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারও হাতে বন্দী হওয়ার জন্য না। বরং সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্যহীন মানবিক সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চায় বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, এটা কী আপনারা সবাই চান যেদিন এই দেশে ইনসাফ ন্যায়বিচার কায়েম হবে। আমরা সেই দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এজন্য আপনাদের ভালবাসা দরকার, দোয়া চাই, সহযোগিতা চাই, ইতিবাচক সমালোচনাও চাই।আমরা বিভেদহীন জাতি চাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ জাতি নিয়ে সামনে এগুতে চাই।

এর আগে জনসভায় যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এসে উপস্থিত হন।জনসভা ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কালেক্টরেট মাঠ ছাড়াও শহরের অপর একটি মাঠে মহিলাদের জন্য বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়।

জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ ছাড়া দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দও এ সময় জনসভায় বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



জুমার দিন ও জুমার নামাজের কিছু সুন্নত ও আদব.

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

১) জুম’আর দিন গোসল করা। 

(বুখারীঃ ৮৭৭, ৮৭৮, ৮৮০, ৮৯৭, ৮৯৮)। পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসাবে সেদিন নখ ও চুল কাটা একটি ভাল কাজ।

২) জুম’আর সালাতের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। (বুখারীঃ ৮৮০)

৩) মিস্ওয়াক করা। (ইবনে মাজাহঃ ১০৯৮, বুখারীঃ৮৮৭, ইঃফাঃ৮৪৩)

৪) গায়ে তেল ব্যবহার করা। (বুখারীঃ৮৮৩)

৫) উত্তম পোশাক পরিধান করে জুম’আ আদায় করা। (ইবনে মাজাহঃ১০৯৭)

৬) মুসুল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। (তিরমিযীঃ৫০৯, ইবনে মাজাহঃ১১৩৬)

৭) মনোযোগ সহ খুৎবা শোনা ও চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব। (বুখারীঃ ৯৩৪, মুসলিমঃ৮৫৭, আবু দাউদঃ১১১৩, আহমাদঃ১/২৩০)


৮) আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। (বুখারীঃ৮৮১, মুসলিমঃ৮৫০)


৯) পায়ে হেঁটে মসজিদে গমন করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৫)


১০) জুম’আর দিন ফজরের নামাজে ১ম রাক’আতে সূরা সাজদা (সূরা নং-৩২) আর ২য় রাকা’আতে সূরা ইনসান(দাহর)(সূরা নং-৭৬) পড়া। (বুখারীঃ৮৯১, মুসলিমঃ৮৭৯)


১১) সূরা জুম’আ ও সূরা মুনাফিকুন দিয়ে জুম’আর সালাত আদায় করা। অথবা সূরা আলা ও সূরা গাশিয়া দিয়ে জুম’আ আদায় করা। (মুসলিমঃ৮৭৭, ৮৭৮)


১২) জুম’আর দিন ও জুম’আর রাতে বেশী বেশী দুরুদ পাঠ। (আবু দাউদঃ ১০৪৭)


১৩) এ দিন বেশী বেশী দোয়া করা।। (বুখারীঃ ৯৩৫)


১৪) মুসুল্লীদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। (বুখারীঃ৯১০, ৮৮৩)


১৫) মুসুল্লীদের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করা। (আবু দাউদঃ ৩৪৩, ৩৪৭)


১৬) কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা। (বুখারীঃ৯১১, মুসলিমঃ২১৭৭, ২১৭৮)


১৭) মসজিদে গিয়ে ফরজের আগে চার রাকাত কাবলাল জুমা আদায় করা।(আল মুজামুল কাবির, হাদিস : ১২৬৭৪) (আল মুজামুলআওসাত,

হাদিস: ১৬১৭) 


১৮) জুম’আর দিন জুম’আর পূর্বে মসজিদে জিকির বা কোন শিক্ষামূলক হালাকা না করা। অর্থাৎ ভাগ ভাগ হয়ে, গোল গোল হয়ে না বসা, যদিও এটা কোন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান হোক না কেন। (আবু দাউদঃ ১০৮৯)


১৯) কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ এটুকুও না বলা তাকে থামার জন্য ইশারা করা। (নাসায়ীঃ ৭১৪, বুখারীঃ ৯৩৪)


২০) মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধুমপান না করা। (বুখারীঃ ৮৫৩)


২১) ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা বদল করে বসা। (আবু দাউদঃ ১১১৯)


২২) ইমামের খুৎবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা। (আবু দাউদঃ ১১১০, ইবনে মাজাহঃ ১১৩৪)


২৩) খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা। জান্নাতে প্রবেশের উপযুক্ত হলেও ইমাম থেকে দূরে উপবেশনকারীরা বিলম্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আবু দাউদঃ ১১০৮)


২৪) জুম’আর দিন সূরা কাহফ পড়া। এতে পাঠকের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুই জুম’আর মধ্যবর্তী সময়কে আলোকিত করে দেন। (হাকেমঃ ২/৩৬৮, বায়হাকীঃ ৩/২৪৯)


২৫) জুম’আর আযান দেওয়া। অর্থাৎ ইমাম মিম্বরে বসার পর যে আযান দেওয়া হয় তা।(বুখারীঃ ৯১২)


২৬) জুম’আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর মসজিদে ৪ রাকা’আত সুন্নাত সালাত আদায় করা। (বুখারীঃ ১৮২, মুসলিমঃ ৮৮১, আবু দাউদঃ ১১৩০)


২৭) উযর ছাড়া একই গ্রাম ও মহল্লায় একাধিক জুম’আ চালু না করা। আর উযর হল এলাকাটি খুব বড় হওয়া,বা প্রচুর জনবসতি থাকা,বা মসজিদ দূরে হওয়া, বা মসজিদে জায়গা না পাওয়া,বা কোন ফিতনা ফাসাদের ভয় থাকা। (মুগনি লিবনি কুদামাঃ ৩/২১২, ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহঃ ২৪/২০৮)


২৮) ওজু ভেঙ্গে গেলে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া। অতঃপর আবার ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করা। (আবু দাউদঃ ১১১৪)


২৯) একান্ত উযর না থাকলে দুই পিলারে মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সালাত আদায় না করা। (হাকেমঃ ১/১২৮)


৩০) সালাতের জন্য কোন একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা,যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যায় সেখানেই সালাত আদায় করা (আবু দাউদঃ৮৬২)। অর্থাৎ আগে থেকেই নামাজের বিছানা বিছিয়ে জায়গা দখল করে না রাখা বরং যে আগে আসবে সেই আগে বসবে।


৩১) কোন নামাজীর সামনে দিয়ে না হাঁটা অর্থাৎ মুসুল্লী ও সুতরার মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে না হাঁটা। (বুখারীঃ৫১০)


৩২) এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোন কিছু না পড়া,যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদঃ ১৩৩২)


৩৩) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযীলত অন্তরে জাগরূক রাখা।

৩৪) হাঁটার আদব মেনে মসজিদে গমন করা।

৩৫) খুৎবার সময় খতীবের কোন কথার সাড়া দেওয়া বা তার প্রশ্নের জবাব দানে শরীক হওয়া জায়েজ। (বুখারীঃ ১০২৯, মুসলিমঃ ৮৯৭)


৩৬) হানাফী আলেমগন বলেছেন যে,ভিড় প্রচণ্ড হলে সামনের মুসুল্লীর পিঠের উপর সিজদা দেওয়া জায়েজ (আহমাদঃ১/৩২)। দরকার হলে পায়ের উপর ও দিতে পারে (আর রাউদুল মুরবী)


৩৭) যেখানে জুম’আর ফরজ আদায় করেছে, উত্তম হল ঐ একই স্থানে সুন্নাত না পড়া। অথবা কোন কথা না বলে এখান থেকে গিয়ে পরবর্তী সুন্নাত সালাত আদায় করা। (মুসলিমঃ ৭১০, বুখারীঃ ৮৪৮)

৩৮) ইমাম সাহেব মিম্বরে এসে হাজির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাসবীহ-তাহলীল, তাওবা- ইস্তিগফার ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকা।


আরও খবর

২৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট

মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫




ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়াতে চায় না

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছা নেই ভারতের। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ভারতের একাধিক সরকারি সূত্র এমন দাবি করেছে।১৭ এপ্রিল ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা বাণিজ্য বিষয়ক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটির বদলে কোনো পাল্টা ব্যবস্থা দিল্লি হয়ত নেবে না বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

ভারতীয় সরকারি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরের জট কমাতে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কোনো প্রভাব পড়বে না বলে ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে।

যদিও দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যমে এর আগে বেশ ফলাও করে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে মন্তব্য করার পর ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তাদের সরকার।

টাইমস অব ইন্ডিয়া দাবি করেছে, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের আগেই গত মার্চ মাসে বাংলাদেশ তিনটি বন্দর বন্ধ ও স্থল বন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও সুতা আমদানি সংক্রান্ত নির্দেশনা কেবলই গত সপ্তাহে জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।

এছাড়া গত জানুয়ারিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে বাংলাদেশ সতর্কতা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিল সেটিও দুই দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে করা হয়েছিল বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করতে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য শুরু করেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ট্রেডিং কর্পোরেশনে মাধ্যমে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে’- উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।


আরও খবর



ব্যবসা দখলে মিথ্যা ছড়িয়ে ভাইকে ‘হত্যাচেষ্টা’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

রাত-দিন ডুকরে কাঁদছেন রাজধানীর রামপুরার বিখ্যাত আল কাদির রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্রদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা করে আসছিলেন তিনি। একাধিকবার পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছাত্ররা আশ্রয় নিয়েছিলেন তার রেস্টুরেন্টে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রাস্তায় দায়িত্ব পালনকারী ছাত্রদের তিনবেলা নিজের রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ান সুমন। কিন্তু অপতথ্য ছড়িয়ে ছাত্র-জনতাকে উত্তপ্ত করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তারই আপন ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন।

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বড় ভাইকে হত্যার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কাজে লাগিয়ে তাকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে প্রচার চালিয়ে ছাত্রদের দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই বড় ভাই। তবে অভিযুক্তরা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

এই বড় ভাইয়ের নাম ফিরোজ আলম সুমন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে তার। আল কাদেরিয়া নামে একটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নানা পুরস্কার পেয়েছেন। সুমন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রথম যুগ্ম মহাসচিব।

১৯ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় নিজের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সুমন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ছোট ভাই ইফতিখারুল আমিন প্রায় ১৪ মাস ধরে সুমনকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা চালান।

প্রায় ১৫ বছর আগে আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলেন তিনি। খাবারের মানের কারণে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়, ব্যবসাও প্রসারিত হয়। রামপুরা, মালিবাগ, বসুন্ধরা, গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় রেস্টুরেন্টটির শাখা গড়ে ওঠে। কিন্তু করোনার সময় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে যায়। করোনা শেষে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ায় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসায় আরও ভালো করার জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্তে ছোট দুই ভাই ইফাতিখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্বে আনেন।

তিনি জানান, দুই ভাইকে ব্যবসায় যুক্ত করার পর হঠাৎ করেই দেখেন তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আরও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮/১০ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তখন তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ক্যামেরা বসান। এরপর খেয়াল করেন যে, তার আপন দুই ভাই ক্যাশ কাউন্টার থেকে নগদ টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলম সুমন তার ছোট ভাই হাসনাইন আমিনকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরে ফেললে ভাই-ভাইয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

সুমন বলেন, আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাইদের ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরা লাভবান হয়েছে। কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন তারা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। আমি প্রায় দেড় কোটি টাকা ঋণ করেছি ওই সময়। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি, কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চায়।

তিনি বলেন, আসিফ নামে এক যুবককে টাকা দিয়ে ভাড়া করে তারা। আমার বিরুদ্ধে তাকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে বলে, যাতে করে ওই পোস্ট দেখে উত্তেজিত হয়ে লোকজন আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এতে তারা দ্বায়মুক্ত থাকে। এমন ষড়যন্ত্র তারা করেছিল। এছাড়া আমাকে অসংখ্যবার নানাভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়, সেগুলোও প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, আসিফ নেওয়াজকে তারা টাকা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে বলেছে। কিন্তু তারা আসিফকে বলেনি যে, আমি তাদের আপন ভাই। এসব বিষয়ে রামপুরা ও বাড্ডা থানায় অভিযোগ করেছি। সেগুলোর তদন্তও হচ্ছে। অন্য একটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়নাও জারি রয়েছে।

ফেসবুকে পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজ বলেন, ইফতিখারুলের উদ্দেশ্য ছিল এই পোস্টের কারণে লোকজন উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করবে। আমাকে সে বলেনি সুমন তার ভাই হন। এছাড়া প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকেসহ আরও অনেককে ব্যবহার করে সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আমি ইফতেখারুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে।

ভাইদের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে জানতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাঈদনগরে সুমনদের বাসায় গেলে তাদের বাবা নুরুল আমিনকে পাওয়া যায়নি। পরে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের প্রতিবেশী ইমরান হোসাইন বলেন, আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টটি সুমন সাহেবের। তিনি তার ভাইদের বসিয়েছিলেন। পরে শুনলাম, তার ভাই টাকা-পয়সা আত্নসাৎ করেছে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া নিয়েও তাদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছে।  ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক প্রতিবেশী বলেন, এক সময় তাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। বছর খানেক ধরে তাদের সম্পর্ক ভালো না। নানা দ্বন্দ্ব হচ্ছে শুনেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে কার দোষ এটা আমরা ওইভাবে বলতে পারবো না। যেহেতু এটি থানা পুলিশ ও আদালতে গেছে সেখানে গিয়ে সব বলবো।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, সুমন একজন ভালো ব্যবসায়ী। আমাদের সংগঠনের নেতাও। তার ভাইদের কাছে হেনস্থার শিকার তিনি। আমরা এর প্রতিবাদও জানিয়েছি।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।


আরও খবর

চেনা রূপে ফিরেছে রাজধানী

রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫