Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ৪ বছরেও মেরামত হয়নি রিং কালভার্ট' দূর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন একটি গ্রামীণ রাস্তা হচ্ছে লোহাচূড়িয়া টু ঝিনা রাস্তা। রক্তদহ বিল থেকে আসা রতনডারী ডারার তীর দিয়ে এই গ্রামীণ রাস্তাটি চলে গেছে। এই রাস্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে ছিন্নমূল, ভূমিহীন, গৃহহীন, গরীব ও অসহায় মানুষদের বসতি। প্রায় ৪ বছর আগে বন্যার পানিতে গহেলাপুর, ঝিনা ও লোহাচূড়িয়া রাস্তার সংযোগ স্থলের রিং কালভার্ট টি ভেঙ্গে গেলেও এখন পর্যন্ত তা মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা সহ লোকজনদের। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এই ভাঙ্গা অংশ পায়ে হেটে কিংবা বাইসাইকেল দিয়ে কোন মতে পার হওয়া গেলেও ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে প্রতিনিয়তই আকনা, বাঁশবাড়িয়া, ঝিনা, বিজয়কান্দি, বড়বড়িয়া সহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষদের ঐতিহ্যবাহী লোহাচূড়িয়া ধানের হাটে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই অঞ্চলের কৃষকদের ধানের হাটে ধান নিয়ে যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বর্তমানে ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। অথচ এই রিং কালভার্টটি মেরামত করা হলে মাত্র ৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে ধানের হাটে চলাচল করা সম্ভব। এতে করে কৃষিপণ্য বিপনন করতে লোকসান হিসেবে অতিরিক্ত খরচও গুনতে হবে না ২০টি গ্রামের কৃষকদের।

ঝিনা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের সুবিধা এখনোও গ্রামের মানুষরা পাচ্ছে না। ৪ বছর আগে এই সামান্য রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মেরামত না করায় এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঝুঁকি নিয়ে কোন মতে চলাচল করলেও রাতের আধাঁরে এই ভাঙ্গা স্থানটি পারাপার হতে অনেক মানুষই নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। 

এলাকার বাসিন্দা নারী আছমা খাতুন বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের এই রাস্তা দিয়ে গহেলাপুর স্কুলে যেতে হয়। এই ভাঙ্গা অংশটি ৪ বছরেও মেরামত না করায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটির ইটের উপর শেওলা জমে যাওয়ার কারণে হাটার সময় পিছলে পড়েও অনেক দূর্ঘটনা ঘটে। তাই এই ভাঙ্গা রিং কালভার্টটি দ্রুত মেরামত সহ পুরো রাস্তাটি ইটের পরিবর্তে পাঁকাকরণ করার জন্য উন্নয়নবান্ধব সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত ঐ স্থানে আরেকটি রিং কালভার্ট কিংবা অন্য কোন কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবো।


আরও খবর



ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নতুন মাসের শুরুতে আবারও বাড়ল তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা করা হয়েছে। নতুন এ মূল্য আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।

২ অক্টোবর রাজধানীর কাওরান বাজারে টিসিবি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

এর আগে গত মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ১৪০ টাকা থেকে ১৪৪ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ২৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগস্ট মাসে যার দাম ছিল ১১৪০ টাকা। তারও আগে জুলাই মাসে যার দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।

নতুন মাসের শুরুতে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ঘোষণা করবে আজ। সোমবার দুপুর আড়াইটায় নতুন দাম ঘোষণা করবে বিইআরসি।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। তবে ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হবে। ফলে সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্যও ওঠানামা করবে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। সেই ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।


আরও খবর



জওয়ানের তিন দিনে ৩৫০ কোটি আয়

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

বিনোদন ডেস্ক : নিজেকে আরও একবার চিনিয়ে দিলেন শাহরুখ খান। এবার বক্স অফিসে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন তিনি। মুক্তির মাত্র তিন দিনের মধ্যেই ৩০০ কোটির ঘরে পৌঁছে গেছে ‘জওয়ান’। ভারতের চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ মনোবালা ভি জানিয়েছেন, প্রথম তিন দিনেই বিশ্বজুড়ে ৩৫০ কোটির ব্যবসা করেছে ‘জওয়ান’।

তৃতীয় দিনে ছবিটি হিন্দি, তামিল এবং তেলুগুতে যথাক্রমে গ্রস ৭৩.৭৬ কোটি, ৫.৩৪ কোটি এবং ৩.৭৪ কোটি ব্যবসা করেছে। অর্থাৎ তৃতীয় দিনে ছবিটির আয় মোট ৮২.৮৪ কোটি টাকা। আয়ের সংখ্যা চোখ কপালে তোলার মতোই!
রোববার সারাদিনে ‘জওয়ান’-এর আয় আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আতলী কুমার পরিচালিত এই ছবি বলিউডের সর্বকালের সর্বোচ্চ ওপেনিং।

পুরো ভারতে তো বটেই, বাংলাতেও দারুণ ব্যবসা করছে ‘জওয়ান’। প্রথম দিনেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ছবিটির আয় হয়ে ৪ কোটি। হিন্দি তো নয়ই, এমনকি অনেক বাংলা ছবিরও লাইফটাইম আয়ের থেকে বেশি এই অঙ্ক।

বছরের শুরুর দিকে ‘পাঠান’, শেষ এসে ‘জওয়ান’। পাঁচ বছরের আড়াল থেকে বের হয়ে শাহরুখ খান ফিরে এলেন স্বরূপে।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




প্রতারণা মামলায় নুসরাতকে ইডির তলব, কী বলছেন যশ?

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিনোদন ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে তাকে। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় দেশটির বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

একদিকে যখন এ খবরে রাজ্য রাজনীতি সরগরম, অন্যদিকে তখন শহর জুড়ে অভিনেত্রী দিব্যা খোসলা কুমারের সঙ্গে আসন্ন নতুন হিন্দি সিনেমা ‘ইয়ারিয়া ২’-এর প্রচার চালাচ্ছেন স্বামী যশ দাশগুপ্ত।

নুসরাত প্রসঙ্গে যশকে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে প্রশ্ন করা হলে কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি এখন নতুন সিনেমার কাজে ব্যস্ত। আমার মনে হয় না, এটা সঠিক সময় এ বিষয়ে কথা বলার। সঠিক সময় এলে নিশ্চয়ই সব উত্তর দেব।

নুসরাতের সঙ্গে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন কী যশ? সে কথাও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, আজ শনিবারই সিনেমার প্রচারের জন্য মুম্বাই চলে যাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, নুসরাতসহ সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ এবং ‘স্লিপিং ডিরেক্টর’ রূপলেখা মিত্রকেও ইডির তরফে তলব করা হয়েছে।


আরও খবর

ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নতুন চরিত্রে শ্রাবন্তী

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আখেরি চাহার শোম্বা আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা আজ। এই দিনে নবিজি (স.) শেষবারের মতো রোগ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর শোকর আদায় করেছিলেন বলে প্রতিবছর মুসলমানরা শুকরিয়ার দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে থাকেন।

এ উপলক্ষ্যে আজ বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোহা. বশিরুল আলম।

আখেরি চাহার শোম্বা মূলত ফার্সি পরিভাষা। ফার্সি শব্দ আখেরি অর্থ শেষ। চাহার অর্থ সফর মাস এবং শোম্বা অর্থ বুধবার। অর্থাৎ সফর মাসের শেষ বুধবারে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সাময়িক সুস্থতাকে স্মরণ করে মুসলমানরা যে ইবাদত করেন, তাই আখেরি চাহার শোম্বা।

এ বিষয়ে ইসলামী শরিয়তে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। জানা গেছে, ২৩ হিজরির শুরুতে হজরত মোহাম্মদ (সা.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইমামতি পর্যন্ত করতে পারেননি। ২৮ সফর মহানবী (সা.) সুস্থ হয়ে ওঠেন।

২৯ সফর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মাত্র কয়েক দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হজরত মোহাম্মদ (স.)।

পৃথিবীর সব মুসলিম যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এই দিনটি স্মরণ না করলেও বাংলাদেশসহ ভারত উপমহাদেশের মুসলিমরা এই দিন বিশেষভাবে পালন করেন। পারসিক প্রভাবিত এই এলাকার ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম বিষয় আখেরি চাহার শোম্বা। কারণ, এ অঞ্চলের সুফিরা এবং দিল্লির শাসকরা রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দিনটি পালন করতেন। ফলে ধীরে ধীরে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালন করা এই এলাকার মুসলিমদের ধর্মীয় জীবনের অংশ হয়ে ওঠে।


আরও খবর



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গুর টিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। এই টিকা বেশ কার্যকর। তবে এটি নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন দিলে তা দেশে ব্যবহার করা যাবে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চান্দইর গ্রামে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউভিএম) লার্নার কলেজ অব মেডিসিনের গবেষকেরা একটি টিকার সফল পরীক্ষা করেছেন। দুটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি টিভি-০০৫ নামের টিকাটির দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল সফলতার সঙ্গে শেষ করার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা, চার ধরনেই কার্যকর টিভি-০০৫টিকাটি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)।

এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশেই ডেঙ্গুর প্রতিষেধক হিসেবে কার্যকর টিকা তৈরি হয়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যে দুটি টিকা তৈরিও হয়েছে। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না। কারণ, টিকাগুলোয় কিছু সমস্যা রয়েছে। চার ধরনের ডেঙ্গু আছে। টিকা নিলে দেখা যায়, কিছু ভাইরাস দমন হচ্ছে; কিন্তু সব ভাইরাস দমন হয় না। আর যারা একবার ডেঙ্গুর টিকা নিয়েছেন, তাদের অন্য ভাইরাসে আক্রমণ করলে অবস্থা বেশি গুরুতর হয়ে যায়। এ কারণে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে না।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকলেও ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় নয় হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন আসছে এবং তা হাসপাতালগুলোয় দেয়া হচ্ছে। এছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন এখন অনেক গুণ বাড়িয়েছে। এসব ওষুধ কোম্পানি মাসে প্রায় ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারে। বর্তমানে মাসে ডেঙ্গুর জন্য প্রয়োজন হলো ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার আরও বেড়ে গেলে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ।

জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ কারণে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলাও কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় রোগী মারাও যান।

জাহিদ মালিক বলেন, গত ১০ বছরে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশের বড় বড় প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করেছে। করোনাকালে সরকার দেশের মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দেশে খাদ্যের কোনো অভাব নেই।


আরও খবর