Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় বিষাক্ত সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বিষাক্ত সাপের কামড়ে মাহতাফ আলী (৫৯) নামের এক বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ২২ জুন সকালে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন। নিহত মাহতাব আলী ঐ গ্রামের মৃত মোবারক আলী মন্ডলের ছেলে। 

জানা যায়, শনিবার সকাল ৯ টারদিকে মরিচের ক্ষেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি বের করে দিতে যায় কৃষক মাহতাব আলী। সেখানে একটি বিষধর সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১১ টারদিকে তার মৃত্যু হয়।

সাপে কেটে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করে মৃতদেহ পরিবার (স্বজনদের) নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



কর আরোপে দাম বাড়লো যেসব পণ্যের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে । এতে খরচ বাড়লো মোবাইলফোনে কথা বলা, হোটেল-রেস্তোরাঁ সেবা, ইন্টারনেট সেবা, কোমলপানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায়।

মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।

এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় আরও যুক্ত হবে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্য। এর আগে ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেলেন করপোরেট কর বাড়ানোর পর শতাধিক পণ্যের ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ায় সরকার।

যেসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে

আগে মোবাইলফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের ওপর ২০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ হতো। এটি বাড়িয়ে এখন ২৩ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও বাড়বে। ব্র্যান্ডের দোকান ও বিপণিবিতানের তৈরি পোশাকের আউটলেটের বিলের ওপর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের রেস্তোরাঁর ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

শুল্ক-কর বৃদ্ধির তালিকায় আরও আছে টিস্যু, সিগারেট, বাদাম, আম, কমলালেবু, আঙুর, আপেল ও নাশপাতি, ফলের রস, যে কোনো ধরনের তাজা ফল, রং, ডিটারজেন্ট, রং, মদের বিল, পটেটো ফ্লেক্স, চশমার প্লাস্টিক ও মেটাল ফ্রেম, রিডিং গ্লাস, সানগ্লাস, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও তাতে ব্যবহৃত তেল, বিদ্যুতের খুঁটি, সিআর কয়েল, জিআই তার ইত্যাদি। এছাড়া ভ্রমণকরও বাড়ানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজের আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশের জন্য এই শুল্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের দেশে (সার্কভুক্ত দেশ বাদে) ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা করা হয়েছে। আর এসবের বাইরে অন্যান্য দেশে ৩০০০ টাকার আবগারি শুল্ক ৪০০০ টাকা করা হয়েছে।

নিম্ন, মধ্য, উচ্চ ও অতিউচ্চ সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যা ছিল যথাক্রমে ৬০, ৬৫.৫, ৬৫.৫ ও ৬৫.৫ শতাংশ।

স্থানীয় ব্যবসায় ভ্যাটের হার ৫ থেকে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ওষুধ ব্যবসার ক্ষেত্রে এ হার ২.৪ থেকে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক (প্রেক্ষাগৃহ), চলচ্চিত্র পরিবেশক, মেরামত ও সার্ভিসং, স্বয়ংক্রিয় ও যন্ত্রচালিত করাতকল, খেলাধুলার আয়োজক, পরিবহন ঠিকাদার, টেইলার্স, ভবন রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা, খেলাধুলার ক্লাব, বোর্ড সভায় যোগদানকারী, মোটর গ্যারেজ, ডকইয়ার্ড, ছাপাখানা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ইলেকট্রিক পোলের ভ্যাট ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

নন-এসি হোটেলে, কিচেন টাওয়াল, টয়লেট টিস্যু, ন্যাপকিন টিস্যু, মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, জোগানদার, সানগ্ল্যাস (প্লাস্টিক, মেটাল ফ্রেম) ফ্যাশন হাউজের ভ্যাট ৭.৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

রেস্তোরাঁ, ইভেন্টিং সংস্থার ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ট্র‍্যান্সফরমার, নারকেল ছোবড়ার ম্যাট্রেস, চশমার ফ্রেম ও রিডিং গ্লাস (প্ল্যাস্টিক ও মেটাল), আম, আনারস, কলা, পেয়ারা ও তেঁতুলের পেস্ট বিআরটিএ থেকে সরবরাহ করা লেমেনেটেড ড্রাইভিং লাইসেন্সের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। চাটনি কেচাপ, হাতে তৈরি বিস্কুট, কেক, আচারের ভ্যাট হার একইভাবে বাড়ানো হয়েছে।

বার ও বারযুক্ত হোটেল মোটেলে সেবায় ভ্যাট হার ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া এলপি গ্যাসে ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা (আইএসপি) তে ১০ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে।

ফলের রসে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কার্বোনেটেড ও নন কার্বোনেটেড পানীয়তে যথাক্রমে ৩০ ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ফল ও বাদামে ভ্যাট ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

ডিটারজেন্ট ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ, সাবানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ, পেইন্টস ও ভার্নিসে ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।


আরও খবর



মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো লেনদেন হবে না। বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছরের ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর দুদিন ‘ব্যাংক হলিডে’। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য বার্ষিক হিসাবনিকাশ শেষ করতে প্রতি বছর এই দুই দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করা হয়।

প্রথা অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকলেও শুধু ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। আর্থিক হিসাব মেলাতে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। তবে ব্যাংক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয় না।

ব্যাংক হলিডেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কোন ব্যাংক থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন পরিচালনা করা হয় না। এ সময়ে গ্রাহক চাইলে কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অপরদিকে পুঁজিবাজারের শেয়ার কেনাবেচার পর ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কোনো লেনদেন হয় না। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন না হলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫




এইচএমপিভি ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

করোনার পর বিশ্বের বহু দেশেই নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি। সম্প্রতি চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারত সহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। দুশ্চিন্তা বেড়েছে বাংলাদেশেও।একজনের শরীরে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছে।

তবে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, এই ভাইরাস বহু আগেই দেশে শনাক্ত হয়েছে। তাই আতঙ্কিত না হয়ে থাকতে হবে সতর্ক। যেমন- সর্দি, কাশি, জ্বর যদি হয় মাস্ক ব্যবহার করা, অন্যদের থেকে নিজেকে দূরে রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গবেষণা বলছে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া হতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তুষার মাহমুদ বলেন, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী এই ভাইরাস শিশু, বয়স্ক আর গর্ভবতীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে বেশি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেন নিউমোনিয়া না হয়ে যায় সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভিতে মৃত্যু ঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাই কোভিডের সময়কার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ তাদের।


আরও খবর

ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোটা ভাইরাস

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

দেশে পাঁচজনের শরীরে মিললো নতুন ভাইরাস

শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫




সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা অনশনে থাকা অসুস্থ শিক্ষার্থীরাও সেখানে এসেছেন। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এবার সচিবালয়ের সামনে আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে সচিবালয়ের পথে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টার দিকে তারা সচিবালয়ের সামনে পৌঁছান। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করবেন। সেখানে আমরণ অনশনও শুরু করেছেন তারা।

এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসে ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের ৩ দফা দাবি মেনে না নিলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করবেন তারা।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে করণীয় ঠিক করতে সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ সভা হবে।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আহমেদ শিবলীর সই করা নোটিশে এ সভা আহ্বান করা হয়। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জবি ক্যাম্পাসে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে ১৫ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের জবি মেডিকেল সেন্টারসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ছাত্ররা অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালিয়ে নিতে রাত ২টার দিকে গণ-অনশনে বসেন অর্ধশতাধিক ছাত্রী। তারা সকাল পর্যন্ত সেখানে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি

১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে সই করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বৈঠকের মাধ্যমে তা শেষ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালি সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।

২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।

৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলেই আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। বৈঠকে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। এরপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সভায় আমাদের দাবির অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।


আরও খবর



পরিত্যাক্ত প্লাস্টিকেই যুবকের ভাগ্য বদল

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অভাব-অনটনে পড়াশোনা করতে পারেনি, মাত্র ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত-ই সীমাবদ্ধ থাকে। চাকুরীর পিছনে ঘুরতে থাকে কিন্তু আশানুরূপ চাকুরী মেলেনি। পরবর্তীতে ধানের ব্যবসা শুরু করেন দুলাল। সে ব্যবসায় তেমন লাভবান না হওয়ায় ২০১২ সালে শুরু করেন প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যের ব্যবসা। দুইটি মেশিন ও ৫/৬জন কর্মচারী নিয়ে আল আবরার ট্রেডার্স নামে এ ফ্যাক্টরীতে আনুষ্ঠানিক যাত্রায় ভাগ্য বদলে যেতে থাকে দুলালের।

বৃদ্ধি পেতে থাকে ব্যবসার পরিধি, বাড়তে থাকে মেশিন, কর্মচারী, হকার এবং খুচরা বিক্রেতাদের দাদন। ছোট পরিসরের ব্যবসাটি বিশালকার ধারণ করে। বলছি ভোলা সদর উপজেলা শিবপুর চাউলতা তলা এলাকার আল আবরার ট্রেডার্সের পরিচালক মো. দুলাল মিয়ার কথা। যিনি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পুরানো পণ্যেকে পুনরায় বাজার জাত করেন। তৈরি করেন প্লাস্টিকের সুতা। যা ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। ভাগ্য বদলে যাওয়া দুলাল ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বদুর বাড়ীর চান মিয়ার ছেলে।

তরুণ উদ্যোক্তা দুলাল বলেন, আমি প্রথমে ধানের ব্যবসা করতাম, পরবর্তীতে ব্যবসাতে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা শুরু করি। ধার-কর্জ করে এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করি। প্রথমে দুইটি মেশিন এবং ৫/৬জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হলেও আজ সকলের দোয়ায় আমার ৪০/৪৫ জনের মত কাজ করে। আমার দাদন আছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা এবং মেশিন এখন ৮টি। প্রতি মাসে প্রায় ৩লক্ষ টাকা স্টাফের বেতন দেয় বলেও জানান দুলাল।

দুলাল আরো জানান, আমার মেশিনে সুতা হয় যা ভোলাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। পুরানো পণ্যেতে পুনরায় রং এবং প্লাস্টিকের নতুন পণ্যে তৈরি হয়। তিনি বলেন, এখন তো অনেক শিক্ষিত যুবকরা চাকুরীর পিছনে ঘুরে, এ চাকুরীর পিছনে না ঘুরে ছোট-পরিসরে ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হলে একদিন চাকুরী দিবে অন্যকে। যেমনটা আমি দিয়েছি বা দিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।

শ্রমিক নুরু নাহার বলেন, আমি আজ কয়েক বছর এখানে চাকুরী করি। আমার পরিবার এ আয়ের উপর নির্ভরশীল। বাড়ীর পাশে এ প্রতিষ্ঠান থাকায় আলহামদুলিল্লাহ চাকুরী করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাল আছি। অপর শ্রমিক হৃদয় আহমেদ বলেন, আমার বাড়ী নোয়াখালী, আমি এখানে চাকুরী করি। বেতন ১৮ হাজার টাকা। খুব ভাল আছি এবং নিয়মিত বেতন পাচ্ছি। আমি এ প্রতিষ্ঠানের আরো উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর