নওগাঁয় বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু
ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
লেবাননে হামলা শুরু ইসরায়েলি স্থলবাহিনীর
সকল শঙ্কাকে সত্য করে
লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দেয়। যদিও হামলাটি সীমিত এবং
নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা।
ইসরায়েলি
প্রতিরক্ষা বাহিনী স্থল হামলার ব্যাপারে বলেছে, কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো
লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে ‘নির্দিষ্ট এবং সীমিত’ স্থল অভিযান শুরু করেছে সেনারা।
ব্লু লাইনের কাছে অবস্থিত হিজবুল্লাহর এই অবকাঠামোগুলো ইসরায়েলি শহরগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক
হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
এর
আগে সোমবার রাতে লেবাননে স্থল হামলার অনুমোদন দেয় দখলদার ইসরায়েলর নিরাপত্তা
পরিষদ। ওই সময় জানানো হয়,
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
লেবাননে
স্থল হামলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে দেশটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক বিমান
ও কামান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময় ধারণা করা হচ্ছিল, স্থল সেনাদের
লেবাননে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে এমন তীব্র হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি
প্রতিরক্ষা বাহিনী বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই স্থল হামলা হবে ‘সীমিত,
স্থানীয় এবং হিজবুল্লাহর নির্দিষ্ট অবস্থান’ লক্ষ করে।
মার্কিন
সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ লেবাননে সীমিত
এবং স্বল্পমেয়াদী স্থল হামলার অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের উত্তর
লেবানন দখল করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সংবাদমাধ্যমটিতে দাবি করা হয়েছে।
লেবাননে
ইসরায়েলের নতুন স্থল অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন নর্দান অ্যারোস’। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামলাটি চালানো
হচ্ছে স্থল, আকাশ এবং কামান বাহিনীর সমন্বয়ে।
কাতারভিত্তিক
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, স্থল হামলার আগে ইসরায়েল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে
ব্যাপক কামান হামলা চালিয়েছে যেন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তাদের অবস্থান থেকে সরে যান
এবং তারা সেসব অবকাঠামো ধ্বংস করে দিতে পারে। তবে যদি হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা পাল্টা
প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাহলে ইসরায়েলের এই ‘সীমিত’ স্থল অভিযান ধরে রাখা কষ্ট
হবে। ইসরায়েল যদি লেবাননে শক্ত অবস্থান গড়তে চায় তাহলে তাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে
হবে।
ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
মিল্টনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ফ্লোরিডা
শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪
আমাদের মুখ থেকে যখন শুনবেন, সেটাই হবে তারিখ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের
মেয়াদ কতদিন হবে তা সরকারই জানাবে। সেটা সরকারই বলবে। যখন আমাদের মুখ থেকে শুনবেন, তখন সেটাই হবে
তারিখ। উপদেষ্টা পরিষদে আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি, কিন্তু
এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, বলে মন্তব্য করেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভয়েস
অব আমেরিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ প্রসঙ্গে এসব কথা
বলেন ড. ইউনূস।
সেনা
কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূস জানান, দেশে
শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের ভূমিকা নেওয়ার কথা থাকলেও সার্বিক পরিস্থিতিতে তারা
মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। সম্প্রতি ছাত্র-জনতা হত্যা করায় কটু কথার ভয়ে পুলিশ সাধারণ
মানুষ থেকে কিছুটা দূরে থাকতে চাচ্ছে।
তিনি
বলেন, পুলিশের সবাইতো আর অন্যায় করেনি। যারা অন্যায় করেছে তাদের চিহ্নিত করব,
তাদের শাস্তি হবে। বাকিরা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু এটি
একটি লম্বা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়
রাখতে সীমিত সময়ের জন্য সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সশস্ত্র
বাহিনীকে যে সময়ের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যেই পুলিশ
ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।
গণঅভ্যুত্থানে
নেতৃত্ব এবং সরকার পরিচালনায় তরুণদের ভূমিকা বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, তরুণদের হাতেই
ক্ষমতা যাওয়া উচিত। এখানে বুড়োদের কোনো কাজ নেই। তারা শুধু ভুল করে গেছে এ
পর্যন্ত।
তিনি
বলেন, তাদের (তরুণদের) নেতৃত্বে একটি বড় কাণ্ড হয়ে গেল। কাজেই তাদের অবিশ্বাস
করার কোনো কারণ নেই। আমি বরাবরই বলে আসছি, তরুণদেরই দেশ
চালানো উচিৎ। তারাই তাদের ভবিষ্যৎ রচনা করবে। শুধু বাংলাদেশ না, সারা বিশ্বেই তরুণদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া ভালো।
একাত্তরে
গণহত্যার বিষয়ে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা না চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড.
ইউনূস বলেন, সেটা পৃথক বিষয়। এটা কীভাবে হবে সেটা পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হবে।
কিন্তু সার্ক একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। আমরা চাই এটা শক্তিশালী হোক এবং সেই চেষ্টা
আমি করে যাব।
পাহাড়ে
সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে বর্তমান সরকার বিশেষভাবে চিন্তিত কি না জানতে চাইলে
শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আমরা সব জায়গায় শান্তি চাই। কোনো কোনো জায়গায় হয়তো
অপারগ হয়েছি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমরা ইচ্ছা করে এটা করছি না। পার্বত্য
চট্টগ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছিল, সেটা ঠিকও হয়ে
গেছে। এমন ঘটনা ঘটলে সরকারের দায়িত্ব তা সমাধান করা।
গণঅভ্যুত্থানে
ছাত্র-জনতা ও পুলিশ নিহত ও আহতের ঘটনায় সরকারের ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ড.
ইউনূস বলেন, যে যেখানে অপরাধ করেছে, সে তার শাস্তি পাবে। একটার
বিচার হবে, আরেকটার হবে না—এটার বিরুদ্ধেই তো গণঅভ্যুত্থান হলো। কাজেই অপরাধ করলেই তার শাস্তি
পেতে হবে।
রোহিঙ্গাদের
শরণার্থী মর্যাদা দেওয়া বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, তাদেরকে শরণার্থী
মর্যাদা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দিয়েছে এবং ইউএনএইচসিআর সেখানে কাজ করছে।
জাতিসংঘের
অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বৈঠকগুলোতে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমান
সরকারের মূল লক্ষ্য সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়া এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে
ক্ষমতা হস্তান্তর করা বলেও জানান ড. ইউনূস।
স্বাধীনতার
বিরোধীতাকারীরা এখন দেশের রাজনীতিতে সামনের দিকে চলে আসছে— এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের সংবিধান
বলে, প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সেই অধিকার আমার
নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধানের বিধান থেকে আমি বের হয়ে আসতে পারি না। তারা যদি অপরাধ
করে তাহলে শাস্তি পাবে। কিন্তু রাগ করে তাকে দুশমন ভাবতে পারি না, তার অধিকার কেড়ে নিতে পারে না।
সংবিধান
সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগের সরকার সব ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সেখান থেকে
পুণর্জাগরণ করতে হবে। এর জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা কমিশন গঠন করছি। ছয়টি করা
হয়েছে, তার মধ্যে একটি সংবিধান নিয়ে। আরও কমিশন আসছে।
তিনি
আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে সারাদেশ একমত। কী বিষয়ে বা কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে বিতর্ক হবে। কমিশন একটা রূপরেখা দেবে, সেটা
নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক করার সুযোগ তৈরি করা হবে, যেন
রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে এবং সবাই মিলে ঠিক করে যে এই সংশোধন এখনই করবে নাকি
পরবর্তীতে।
সংবিধান
সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আইনি ব্যাপার। আমরা এখন কাজ করছি
কী প্রয়োজন সেটা নিয়ে। আইনসঙ্গতভাবে কীভাবে সেটা হবে তা পরবর্তীতে আলোচনা করে ঠিক
করা হবে।
প্রতিবেশী
দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নেও এই সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে অন্তর্বর্তী সরকার
প্রধান।
সাবেক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে
চাইলে ড. ইউনূস বলেন,
এটা আইনগত বিষয়। তিনি যেখানেই থাকুন, নিশ্চয়ই
আমরা তাকে ফেরত চাইব আইনি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য।
সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
সেপ্টেম্বরে সড়কে ৪২৬ প্রাণহানি
সেপ্টেম্বরে সারা দেশে ৩৯২টি সড়ক
দুর্ঘটনায় ৪২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮১৩ জন। এর মধ্যে ১৬৪টি মোটরসাইকেল
দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৭৯ জন।
গত মাসে
আটটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন দুজন। এছাড়া
১৭টি রেল দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। সবমিলিয়ে তিন পথে দুর্ঘটনায়
৪৫০ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার
সকালে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো প্রতিবেদনে
এসব তথ্য জানা যায়। ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া
এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
রোড
সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬২টি জাতীয়
মহাসড়কে, ১৪৪টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৭টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৪টি শহরের সড়কে এবং ৫টি অন্য
স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
কেশবপুরে জলবদ্ধতা নিরোশনের দাবিতে মানববন্ধন
ঝিকরগাছায় যৌতুকলোভী ও নারী নির্যাতন; হাসপাতালে গৃহবধু
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
দেশের আট জেলায় ফের বন্যার আশঙ্কা
ভারী বৃষ্টিতে দেশের আট জেলার
কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও
সতর্কীকরণ কেন্দ্র। জেলাগুলো হলো- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মৌসুমি বন্যা এবং বৃষ্টিপাত সংক্রান্ত সর্বশেষ বার্তায় এই
তথ্য জানানো হয়।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানিই
এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী ও গোমতী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি
সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দেশে এবং উজানে ভারী
বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী দুইদিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি
পেতে পারে। এর ফলে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের
নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব
বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে এবং দুই দিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময়ে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের
পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত
অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর
পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তি দুই
দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার
উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।
আগামী তিন দিন পর্যন্ত এসব নদীর পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং
বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং
অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ-মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ধলাইয়ের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং
বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।তবে অনেক জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার
শঙ্কার কথা জানানো হলেও জোরালো বন্যার সম্ভাবনা কম উল্লেখ করে সতর্কীকরণ কেন্দ্রের
উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, বন্যা হলেও স্বল্পমেয়াদী হবে। অর্থাৎ, এর স্থায়িত্ব দুই তিনদিনের
বেশি হবে না।
তাছাড়া প্লাবনের শঙ্কা কক্সবাজার ও বান্দরবানের দিকে যতটা প্রকট
ফেনী-নোয়াখালী অঞ্চলে ততটা নয়।
ফেনী-নোয়াখালীর মানুষ এখনো কয়েকদিন আগের ভয়াবহ বন্যার পর পুনর্বাসন পর্যায়ে রয়েছেন। এ কারণে আগে থেকেই সেখানকার মানুষকে সতর্কতার আওতায় রাখতে চায় সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪
২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ
শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪