Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা ও ভাঙচুর, দুই জন আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা। হামলায় ভেকু মেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন ও বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশের পার-কালিকাপুর এলাকায়। এ ঘটনায় ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা বাদী হয়ে মান্দা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরী, কাঞ্চন গ্রামের মৃত অবের আলীর ছেলে সামছুল ইসলাম, সূর্য নারায়নপুর গ্রামের মৃত খুদুর ছেলে ফিরোজ হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে রহমত আলী মোল্লা বালু মহলের ইজারাদার। তিনি মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশ বালু মহাল ইজারা নিয়ে সরকারী নিয়ম মেনে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছিলেন। ঘটনার দিন গত সোমবার বেলা সকাল সারে ১১টারদিকে উক্ত আসামীরা পার-কালিকাপুর বালুর পয়েন্টে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ৪টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করতে দিবে না বলে তারা বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়ি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এ সময় উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরীর আদেশে তার সহযোগীরা ৪টি ড্রেজার পাইপ, ১টি ভেকুমেশিন ও ১টি ড্রাম ট্রাক ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলা ও ভাংচুরের সময় ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন এবং বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় হামলাকারীরা ভেকু মেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেনের কাছে থাকা একটি ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী সৈকত, আব্দুল মতিন, নাজমুল হকসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর জানান, বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে এটা শুনেছি। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর



ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে ভোগান্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ঢাকায় নাগরিক সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। সেবা পেতে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর থেকে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে বার বার ঘুরছেন নগরবাসী। অধিকাংশ কাউন্সিলর অফিসগুলোতেই স্বাভাবিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আঞ্চলিক  অফিসেও সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন নগরবাসী। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো নিতে হয়রানি আর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এতে উষ্মা প্রকাশ করছেন নগরের বাসিন্দারা।  

   

সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে,  গত ২৬শে সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করে সরকার। তাই কাউন্সিলরদের পরিবর্তে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওয়ার্ড সচিব এবং সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ড সচিবকে দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সরজমিন রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে গিয়ে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক কাউন্সিলর অফিস এখন বন্ধ রয়েছে। অসংখ্য অফিস সময়মতো খুলছে না। কাউন্সিলরদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাও ঠিকমতো অফিস করছেন না। সকাল থেকে সেবাগ্রহীতারা অফিসগুলোতে গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানেন না, জন্ম মৃত্যুসনদের সেবাগুলো তারা কোথায় পাবেন? ওয়ার্ড সচিবরা কোথায় বসেন সেটিও তারা জানেন না কেউ কেউ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে প্রশাসনিক বাড়তি দায়িত্ব পালনে হিমশিম খাচ্ছেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনেক ওয়ার্ড সচিবকে দুই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাই তারা নাগরিক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। লোকবল বাড়িয়ে নাগরিক সেবা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬২ ৬৩ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, দুপুর পেরিয়ে বিকাল হলেও সেখানে কাউন্সিলর অফিস বন্ধ। তার থেকে কিছু দূরে একটি দোকানে ওয়ার্ড সচিব এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। গত আগস্ট সরকার পতনের পর ৬২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোস্তাক আহমেদ পলাতক রয়েছেন। সেখানে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. রিপন হোসেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, মৃত্যু সনদপত্র ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেক জায়গায় অতিরিক্ত টাকা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে সেবা পাচ্ছেন  না তারা।

ডেঙ্গু মশা নিধনে কর্মচারীরা দায়িত্বে অবহেলা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মশক নিধনকর্মীরা নিয়মিত আসেন না। কিছু এলাকায় কয়েক মাস ধরে মশকনিধনকর্মীর দেখা মিলেনি- এমন অভিযোগও আছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি ছেলের জন্মসনদ নিতে এসেছেন। কিন্তু নানা জটিলতায় জন্মসনদ পাচ্ছেন না। তরুণ উদ্যোক্তা রহমত উল্যাহ। স্বল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসা শুরুর স্বপ্ন তার। ঢাকা দক্ষিণ  সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের এই বাসিন্দা ট্রেড লাইসেন্স করাতে কার্যালয়ে দু’-একদিন পরপরই যাচ্ছেন এবং প্রতিবারই নিরাশ হয়ে ফিরছেন। তিনি বলেন, যিনি ট্রেড লাইসেন্সের কাজ করবেন, তাকে অফিসে পাইনি। গেলেই বলা হয়, তিনি আজ আসবেন না। সাজ্জাদ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ওয়ারিশান সনদ নিতে আজকে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি কিন্তু অফিসে লোক না থাকায় ওয়ারিশান সনদ পাচ্ছি না। শারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী। তাই নিজেই এসেছেন ছেলের জন্মসনদ নিতে। গত এক মাস ধরে সিটি করপোরেশনে ঘোরাঘুরি করছেন। তিনি বলেন, আজকে এখানকার একজন আমাকে জন্মসনদ নেয়ার জন্য ডেকেছেন। তবে এখনো পাইনি। মাহতাব নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আগে নিয়মিত কাউন্সিলর অফিস খোলা থাকলেও এখন তা হচ্ছে না। ফলে অনেকে জরুরি কাজে আসলেও ফিরে যেতে হয়। ৬২ নং ওয়ার্ডের সচিব মো. রিপন বলেন, বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের স্বাভাবিক কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। একটা মৃত্যু সনদের জন্য মানুষকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। মৃত্যু সনদের জন্য ধলপুরের আঞ্চলিক অফিসে গেলে তথ্যের অভাবে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। ছাড়া স্থায়ী অথবা অস্থায়ী নাগরিকত্ব সার্টিফিকেটের জন্য মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে ধলপুরের অফিস থেকে ফিরে আসতে হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খিলগাঁওয়ের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে গিয়েছিলেন শফিকুল ইসলাম।নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান সংশোধনের জন্য কয়েকদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছেন। শফিকুল ইসলাম বলেন, তার মেয়ের জন্মসনদে নামের বানান ভুল আসায় আমাকে চার দিন আসতে হয়েছে। আজ হয়তো আমার কাজটা হবে। তার মতো অসংখ্য সেবাপ্রত্যাশীদের দেখা যায় খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে। খিলগাঁওনং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব রেজাউল করিম বলেন, এখানে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে না। যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমানে এখানে সেবা নিতে আসাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম ঢাকা উত্তর সিটির ৪৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার বয়স্ক ভাতার খোঁজ নিতে কাউন্সিলর অফিসে গিয়েছিলেন। এর আগেও দুদিন এসে ফিরে গিয়েছেন। বয়স্ক ভাতার কোনো তথ্য পাননি। আক্ষেপ করে রহিমা বেগম জানিয়েছেন, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন তিনি। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কার্ড নেয়ার জন্য কাউন্সিলর অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন ধরে কার্ড নিতে এসে ফিরে গিয়েছেন তিনি। রহিমা বেগম বলেন, দুইবার আসছিলাম কার্ড নিতে। কিন্তু এখানে কাউকে পাই নি। অফিস বন্ধ পাইছি। আজকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন  অফিস খুলেছে। কিন্তু কার্ড কখন  দেবে জানি না। রহিমা বেগমের মতো অন্তত ২৫ জন এসেছেন কাউন্সিলর অফিসের কার্যালয়ে। তাদের সবার অভিযোগ একইরকম।

গত আগস্টের পর থেকে কাউন্সিলর পালিয়ে যাওয়ার পর অফিসের সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এতে  ৪৯ নং ওয়ার্ড অন্তর্গত কাওলা, আশকোনা, গাওয়াইর এলাকার সেবাগ্রহীতারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই কার্যালয় খুব কম সময়ই খোলা হয়। সেবার জন্য সরাসরি উত্তরার আঞ্চলিক কার্যালয়ে যেতে হয়। সরজমিন দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কাউন্সিলর অফিসে এসেছিলেন সিটি করপোরেশনের মশকনিধনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে দেখা যায়নি। বর্তমানে কাউন্সিলর অফিসের জায়গায় গড়ে উঠেছে হরেক রকমের দোকানপাট, হোটেল, রেস্তরাঁ ইত্যাদি। ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্গত অঞ্চল-৭ এর নির্বাহী কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সচিব মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে যারা সেবা নিতে আসছেন তারা খুব খুশি মনে সেবা নিচ্ছেন। তারা সেবা নিতেই যায়। আমাদের নতুন ওয়ার্ডগুলোতে সচিব পদ ছিল না। কিন্তু সেখানে কাজ থেমে নেই। ৪৯ নং ওয়ার্ড আমাদের নতুন ওয়ার্ড, সেখানেও সচিব ছিল না। 


আরও খবর

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নেপথ্যে পরকিয়া, নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে কোহেলী আক্তার (৯) ও তার বাবা কোরবান আলী (৩২) দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সারে ৯ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে স্ত্রী এক যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর কারনে অভিমানে বাবা কোরবান আলী তার মেয়ে কোহেলী আক্তারকে সাথে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন স্থানিয়রা। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকালে মর্গে প্রেরন করেছেন।

নিহত বাবা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মেয়ে কোহেলী আক্তার রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কোরবান আলী একজন বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ। সে কথা বলতে পারতো না এবং কানেও কম শুনতো। তার স্ত্রীর এক যুবকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে এবং গত সোমবার পূর্বরাতে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শিশু সন্তান সহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী কোরবান আলী

মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আজ সকালে কোরবান আলী তার মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হোন। সকাল সারে ৯ টারদিকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ এলাকায় পৌছালে সেখানে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারনা করছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়রা আরো জানান, রেল লাইনের উপর বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



ফুলবাড়িতে,সুইয়ের ফোঁড়ে স্বাবলম্বী নারী রাজিয়া সুলতানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী :

জীবন জীবিকার তাগিদে নিজের ইচ্ছে শক্তি আর সুঁই-সুতার বুননের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এখন স্বাবলম্বী নারী মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্ত শিল্পের উপর হাতেখড়ি নিয়ে নিজে স্বাবলম্বীর পাশাপাশি তার হস্ত শিল্প পণ্য এখন এলাকার গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সারা দেশে।


এই এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক নারী বর্ধন মুলক এ কাজ করে সংসারে এনেছেন ‌স্বচ্ছলতা রাজিয়া সুলতানা এখন উপজেলার প্রথম সারির নারী উদ্যোক্তা। যিনি নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজ এলাকা সহ-দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিচিত লাভ করেছেন।


কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গা মোড় ইউনিয়নের অজপাড়া গাঁয়ে সরে জমিনে গিয়ে জানাযায়,২০২৩ সালে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হস্ত শিল্পের উপর এক মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ বাড়িতে ব্লক বাটি, হ্যান্ড পেইন্টিং,ও সেলাইয়ের কাজ শুরু করেন রাজিয়া সুলতানা। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পেয়ে যান সাফল্য তার নিজের সফলতার পর এলাকার বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে ৫০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।


রাজিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুঁচের ফোঁড়ে ফোঁড়ে নকশিকাঁথার উপর ফুটিয়ে তুলছেন নানা রংয়ের ফুল,পাখি, লতাপাতা সহ-বিভিন্ন কারুকাজ,আবার কেউ কেউ করছে রংয়ের কাজ এতে যা মজুরি পাচ্ছে তা দিয়ে তাদের সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দোকান থেকে কাপড়, রং ও মেডিসিন ক্রয় করে তারা তৈরি করছেন থ্রিপিচ,চাদর, বেডশিট, পাঞ্জাবি ,শাড়িসহ অনেক কিছু। তৈরিকৃত প্রতিটি থ্রিপিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পাঞ্জাবি ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে।


রাজিয়া সুলতানার কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া নারী সাথী আক্তার,লুনা,শাহনাজ পারভীন,হ্যাপি বেগম বলেন,আমাদের মতো সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের আইডল হলো রাজিয়া আপা।ওনার অনুপ্রেরণায় আমরা কাজ শুরু করেছি তাতে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছি।এবং আমাদের মতো অনেকেই আপাকে দেখে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।


রাজিয়া সুলতানার স্বামী মোঃ রাজীব মিয়া বলেন দৃঢ় মনোবল এবং আত্নবিশ্বাস থাকলে যথোপযুক্ত কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে সংসার করার পাশাপাশি একজন সফল উদ্যোক্তা হত্তয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন আশাকরি আত্ম তৃপ্তির পাশাপাশি এটি আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথকে আরও মসৃণ করবে।


নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন,আমি জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে এক মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আমার নিজ বাড়িতে ব্লক বাটি,হ্যান্ড পেইন্টিং,ও সেলাইয়ের কাজে সফলতা অর্জন করার পর আমার গ্রামের বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করি এখন আমার বাড়িতে ৫০ জন বেকার নারী কাজ করে তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।এখান থেকে প্রতি বছরে আমার প্রায় এক লাখ টাকা আয় হচ্ছে তিনি আরও জানান শুধু আমার গ্রামেই নয় আমার ইচ্ছে আছে আমি পুরো উপজেলার বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।


এব্যাপারে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ললিত মোহন রায় জানান,যব উন্নয়ন থেকে রাজিয়া সুলতানা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এক জন সফল উদ্যোক্তা হয়ে বেকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন সেই তিনি বছরে এক লাখের ও বেশি টাকা আয় করছেন। আমি নারী উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানার সফলতা কামনা করছি।


আরও খবর



বেতন পেলেন শ্রমিকরা, আগামীকাল খুলবে কারখানা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

টিএনজেড গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে টানা তিনদিন গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। এবার সরকারের সহায়তায় গ্রুপের পাঁচটি কারখানার তিন হাজার ৬২০ শ্রমিক এবং ১২০ জন স্টাফ বকেয়া এক মাসের বেতন পেয়েছেন। এতে খুশি শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে যথারীতি শনিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে।

টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক জানান, প্রথম দফায় শ্রমিকদের বকেয়া আট কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রমিকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে এই বেতন পরিশোধ করা হয়। এর ফলে শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বেতন পেয়ে কারখানার শ্রমিক রোকসানা আক্তার বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।

টিএনজেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়াতুল হক জানিয়েছেন, শনিবার থেকে কারখানাগুলো পুনরায় চালু হবে। তিনি আশা করছেন, শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন এবং উৎপাদন শুরু করে মালিকপক্ষের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা করবেন।

টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেসিক ক্লথিং লিমিটেড ও অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ শ্রমিকের অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। এছাড়া এক্সপো কার্টুন ও এমএনএস ইয়ার্ণ ডায়িং কারখানায় স্টাফদের বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট বকেয়া রয়েছে।

এরপর ৯ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ভয়াবহ যানজট দেখা দেয় মহাসড়কে। সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন এবং পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়। টানা তিনদিনের বিক্ষোভের পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান ঘোষণা দেন যে, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে উদ্যোগ নেবে সরকার।

গত সোমবার রাতে শ্রম ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে টিএনজেড গ্রুপের ৩১ শ্রমিক প্রতিনিধি, বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৭ নভেম্বরের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের এবং ৩০ নভেম্বরের মধ্যে অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।

টিএনজেড অ্যাপারেলস গ্রুপের চেয়ারম্যান হেদায়তুল হক বলেন, আমরা বড় বিনিয়োগ করেছি এবং ব্যাংকের সুদ পরিশোধে আমাদের অর্থ সংকট হয়েছে। এক্সপোর্ট বিপ্ল আপ ফান্ড থেকে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সরকারের সহায়তায় নির্ধারিত সময়ের আগেই গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন বাবদ ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। শ্রমিকরা কোনো কাজ না করেই এই অর্থ পেয়েছেন। আগামী কিস্তির অর্থও তারা কাজ ছাড়াই পাবেন।

ব্যাংক লোন প্রাপ্তিতে জটিলতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছি। ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাবদ দেড়শ কোটি টাকা পরিশোধ করেছি। ব্যাংক থেকে ৮ কোটি টাকার একটি লোন অনুমোদন করানো হলেও, টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বেতন দিতে সমস্যা হয়।

হেদায়তুল হক আরও বলেন, আমাদের এক্সপোর্ট বিপ্ল আপ ফান্ড থেকে ১১-১২ কোটি টাকা তুলে শ্রমিকদের বেতন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সহযোগিতা করলে এই সংকট হতো না। কয়েকবার তারিখ দিলেও তা রক্ষা করতে পারিনি।

শ্রম সচিব শফিকুজ্জামানের সহায়তায় শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেন, বিজিএমইএ’র রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীনের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি বলেন, প্রায় শত কোটি টাকার ব্যক্তিগত সম্পত্তির দলিল নিয়ে সহযোগিতার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু সচিব শফিকুজ্জামান ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেননি।

শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতায় শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকাগুলো সময় মতো পাবেন। আমরা আশা করি, শ্রমিকরাও এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারখানার উন্নয়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনা, ট্রাক চালক ও হেলপাড় সহ ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় খেড়বাহী ট্রাক উল্টে মহাসড়কের ধারে গর্তের পানিতে পড়ে ট্রাকের চালক সুমন হোসেন (৩৪) ও চালকের সহকারি (হেলপাড়) এর দূর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিকআপের ধাক্কায় আবুল কাশেম (৭৪) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর সকাল ৫ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের খামারবাড়ি নামক স্থানে খেড়বাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের ধারে গর্তের পানিতে পড়ে। এসড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে ট্রাকের চালক ও চালকের সহযোগী হেলপাড় দু'জনের মৃতদেহ পানি থেকে উদ্ধার করেন। স্থানিয়রা জানান, ভোর সকালে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটলেও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ প্রায় দু'ঘন্টা পর দূর্ঘটনাস্থলে এসে পরবর্তীতে জেলা পুলিশের রেকার এনে গর্তেপড়া ট্রাকটি উদ্ধার করে সড়কের উপর তোলেন। অপরদিকে একই দিন


সকাল ৯ টারদিকে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় পিকআপের ধাক্কায় আবুল কাশেম নামে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবুল কাশেম হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার ভবানীগাছী দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত কুদরত আলী প্রামাণিকের ছেলে এবং নিহত ট্রাক চালক সুমন মিয়া হলেন, গাইবান্ধা জেলা সদর উপজেলার পশ্চিম কামারনাই গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তথ্য সংগ্রহকালে ট্রাক চালকের সহকারি নিহত (হেলপাড়) এর নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়নি। ট্রাক দূর্ঘটনায় চালক সহ দু' জনের মৃত্যুর সত্যতা করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসমত আলী বলেন, স্থানীয়রা সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ দেওয়ার পর দূর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য দূর্ঘটনাস্থল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত দু'জনের মধ্যে এক জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেলেও অপর জনের নাম-পরিচয় এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর