Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় চার মাসে ৭শ' ৭২ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ৪ মাসে ১৩ হাজার ৩শ' ৬ জনের পরীক্ষা করে, এদের মধ্যে ৭শ' ৭২ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁর স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন ৩শ' ৮২ জন। বাকিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। 

বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) অ্যাডভোকেসি সভায় এই তথ্য জানান নওগাঁর ডেপুটি সিভিল ডা. সার্জন মুনীর আলী আকন্দ। নওগাঁ প্যারিমোহন সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নাটাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউর রহমান (বাবলু)। জেলা নাটাবের সদস্য আব্দুই হাই-এর সঞ্চালনায় ‘যক্ষা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সুশীল সমাজের করণীয়’ শীর্ষক অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য দেন, নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুনীর আলী আকন্দ, নওগাঁ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কাকলী আক্তার, জেলা নাটাবের কোষাধাক্ষ্য জোবায়ের আলম (সিন্ধু) প্রমুখ। 

ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুনীর আলী আকন্দ বলেন, নওগাঁয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ৪ মাসে ১৩ হাজার ৩শ' ৬ জনের পরীক্ষা করে ৭শ' ৭২ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁর স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন ৩শ' ৮২জন। বাকিরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। সরকারি ভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যক্ষা রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও অনেক কুসংস্কার রয়ে গেছে। তাই এই সংক্রামক ব্যাধি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




জবির প্রধান ফটকে ৩ দাবিতে তালা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন।

আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীদের জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিতে দেখা গেছে। এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেনি তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইইআর বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা শাটডাউন কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এদিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলানোর ফলে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে পারছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পকেট গেট খোলা রয়েছে।

জবি শিক্ষার্থীদের তিন দাবি হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৬

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের উত্তর প্রদেশে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় আরও আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পদদলনের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। খবর এএফপির।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হিন্দুদের ছয় সপ্তাহের এ মেলার সবচেয়ে শুভদিন উপলক্ষ্যে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে কয়েক লাখ মানুষ প্রয়াগরাজের অস্থায়ী শহরটিতে হাজির হয়েছিল।

এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে ভক্তরা রাতে অন্ধকারের মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক অদৃশ্য নদী সরস্বতীর মিলনস্থল ত্রিবেণীতে ‘পবিত্র’ ডুব দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।

পদদলনের ঘটনার পর ধারণ করা ভিডিও ও ছবিগুলোতে দেখা গেছে, মৃতদেহ স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর লোকজন মাটিতে বসে কাঁদছে, জান বাঁচাতে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা লোকজনের মালপত্র একটা কার্পেটের ওপর পড়ে আছে আর কিছু লোক সেখানে কাজ করছে।

রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখেছেন। তিনি নদী তীরের ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্সের কাছে ছিলেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কীভাবে পদদলনের ঘটনাটি ঘটেছে তা পরিষ্কার হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদদলনের ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য ভক্তরা সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে বের হওয়ার একটি পথে ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়িতে আরেকটি পদদলনের ঘটনা ঘটে। তখন তারা সেখান থেকে সরে এসে বের হওয়ার আরেকটি পথের খোঁজে পন্টুন সেতুগুলোর কাছে গেলে দেখেন কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে রেখেছে।

মুম্বাই থেকে আসা রাবিন নামে এক ভক্ত বলেন, “বহু মানুষকে পড়ে যেতে ও ভিড়ের লোকজনকে তাদের ওপর দিয়ে চলে যেতে দেখেছি আমি। বহু শিশু ও নারী হারিয়ে গিয়ে সাহায্যের জন্য কাঁদছিল।

সঙ্কটজনক পরিস্থিতি চলার সময় র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএএফ) একটি বিশেষ ইউনিটকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মোতায়েন করা হয়। উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।

২০১৩ সালের মহা কুম্ভ মেলার সময়ও সবচেয়ে শুভদিন মৌনী অমাবস্যার রাতে ভিড়ের চাপে একই ধরনের পদদলের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ৩৬ জন নিহত হয়েছিলেন।

ভারতীয় চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার ছিল মৌনী অমাবস্যা। সনাতন ধনর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা ও স্বরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করলে অশেষ পূণ্য অর্জিত হয়। এ কারণেই মঙ্গলবার সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল।


আরও খবর

টিউলিপের ১০ বছর জেল হতে পারে!

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




নওগাঁয় ডাকাতী করতে গিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ৭জন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতি করার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে তুলে মাঠে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এর আগে সোমবার রাতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকজামদই মুচিপাড়া এলাকার আজির মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), চকজামদই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর এলাকার মনির উদ্দিন শেখের ছেলে সোলাইমান আলী (৩৮), গৗড়রা বৌদ্দপুর এলাকার মাসুদ রানা সর্দারের ছেলের সাগর হেসেন (১৯), বন্দীপুর এলাকার মাসিদুল মাসুদ রানার ছেলে রুবেল সরদার (২৮), নিয়ামতপুর উপজেলার জিনারপুর (সাবিলপুর) এলাকার রিপন আলী (৩০) ও মহাদেবপুর উপজেলার চককন্দর্পপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সাগর হেসেন (১৯)।

জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতদল প্রবেশ করে। পরে বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা ডাকাতির সময় তারা এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাড়ী থেকে একটু দূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে তাকে ঐ গৃহবধূকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে জড়িত ডাকাতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পর আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদের মধ্যে ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর



কানাডায় থাকার আশা ভঙ্গ! ফিরে যেতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

গানের কথার সঙ্গে মিল রেখে দিয়ে যদি শুরু করি তাহলে বলা যায় "এ কানাডা এখন তো আর সে কানাডা নেই"

হ্যাঁ, এটাই সত্যি। একটা সময় ছিল মানুষ নানাভাবে কানাডায় এসেছেন। বিশেষ করে বৈধভাবে আসার একটা মাধ্যম ছিল  স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছেন সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা। তারমধ্যে বাংলাদেশ থেকে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যাও কম নয়। 

এই স্টুডেন্টরা আগে যারা এসেছেন তাদের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল। ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া সহজ ছিল। তারপর পিআরও পেয়ে যেতেন সহজে। তারপর সিটিজেন হয়ে যেতেন নির্দিষ্ট সময়ে। তারপর তাদের বাবা-মা স্পন্সর ভিসায় এসে এখানে নাগরিকত্ব পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে পাশার দান। বলতে পারেন এখন প্রায় সবকিছুর রুলস কঠিন হওয়া বা পাল্টে যাওয়া, CRS পয়েন্টস বেশি হওয়া, PGWP এ কড়াকড়ি সব মিলিয়ে গোন্ডগোল বেঁধে গেছে। এখন আর পিআর পাওয়া সহজ হচ্ছে না। আবার স্টুডেন্টদের বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগও স্থগিত করা হয়েছে।

এসব অসুবিধার আওতায় পড়েছেন অসংখ্য স্টুডেন্ট। যারা এখানে এসে পড়ালেখা শেষ করেছেন ডিপ্লোমা বা পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের কথা বলছি তারা CRS পয়েন্টস মিট না হওয়া ও ওয়ার্ক পারমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কানাডায় থাকা সম্ভব হচ্ছে না। চলে যেতে হবে বাড়িতে। এমন সংখ্যা অসংখ্য। এ বছরেই দেশে ফিরে যেতে হবে বারো লক্ষ বা তার বেশি স্টুডেন্টকে। আর যারা বর্তমানে পড়াশোনায় চালু আছেন তাদের তো আরো সমস্যা। তাদের তো ওয়ার্ক পারমিট পাওয়াতেই নানা বাঁধা হবে নতুন রুলসে। সবার জন্য ইজি হবে না। 

আমার ফেসবুকের মেইন আইডিতে ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ছোট ভাই আছে। ২০২০ সালে সে এসেছিল টরন্টোতে। সে আমাকে মাঝেমাঝে মেসেজ দিত। তার একটা কথা আমার মনে আছে। একদিন আমার এক খাবারের পোস্ট দেখে সে বলেছিল "আপু, আমাকে খাওয়াবেন?" তখন আমি তাকে চিকেন বিরিয়ানি ও অন্যান্য অনেক কিছু রান্না করে দিয়ে এসেছিলাম। তখন সে বলেছিল "আপু, আপনি আমার জন্য যা করেছেন, আমার আপন বোনও সেটা করত না।"

যাই হোক, সেই ছেলে তো পড়া শেষ করে তিন বছরের ওয়ার্ক পারমিটে ছিল। টরন্টোতে একটা ইন্টারন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে কাজ করত। তারপর সে অন্টারিও থেকে অন্য প্রভিন্সে মুভ হয়েছিল যদি ভিসা পেতে সুবিধা হয় সেইজন্য। সেখানে গিয়েও সে একটা রেস্টুরেন্টে কাজ নিয়েছিল। 

অনেক দিন তার খবর জানতাম না। ফেসবুকে তার ছবি দেখে তাকে মেসেজ দিয়ে বললাম, তুমি কি পিআর পেয়েছ? 

সে বলল " না আপু। আমার হবে না মনে হচ্ছে। আমার ফিরে যেতে হবে।"

তারপর তার কাছে তো অনেক কিছু  শুনলাম। সে বলল, টরন্টো থেকে অন্য প্রভিন্সে গিয়ে তার সবচেয়ে বড়ো ভুল হয়েছে। ওখানের রেস্টুরেন্ট তাকে কোনো রকম হেল্প করে নি। তারপর সেখানে একটা কার না হলে চলাই যায় না। একটা কার কিনতে হয়েছে। যার জন্য তার খরচ হয়েছে মাসে $600 cad করে। যেটা টরন্টোয় থাকলে তার খরচ হতো না।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তার কতো খরচ হয়েছিল সেটা উঠেছে কিনা আর কিছু জমাতে পেরেছে কিনা।

সে বলল, তার পড়ার টিউশন ফি বাবদ খরচ হয়েছে $39 cad. যার অর্ধেক সে আসার আগে ও বাড়ি থেকে শোধ করেছে। আর বাকিটা চাকরি করে দিয়েছে। পড়া+অন্যান্য খরচ সবকিছু  মিলিয়ে সে চাকরি করে ওঠাতে পেরেছে। 

আমি জানতে চাইলাম কিছু কি জমাতে পেরেছ? সে বলল, "জি আপু। $30 cad জমাতে পেরেছি সব খরচের বাইরে। তারমানে ধরেন ২৫ লাখ টাকার মতো হবে। খারাপ কী! আমি তো মনে করি এই অর্থ দিয়ে সে দেশে একটা বিদেশি রেস্টুরেন্ট চালু করতেও পারবে। আরো অনেক স্টুডেন্ট আছে যাদের থাকার সম্ভাবনা নেই, তারা এখন শুধু  ইনকাম করে টাকা জমানোর চেষ্টা করছে। তবে কেউ কেউ হয়তো এতোটা পারছে না। 

সেই ছেলে বলছে, "আপু, কানাডায় এসে অনেক কিছু শিখেছি। এতেই আমি হ্যাপি। দেশে থাকলে তা পারতাম না।" এখন তার ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্য পরিকল্পনা। সে জানাল, সে জার্মানির দিকে মুভ হবে। সেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে মাস্টার্সও করবে। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা রাখলে জার্মানিতে টিউশন ফি লাগে না বলে সে জানাল।

যাই হোক, এটাই হলো জীবনের মান বোঝার উপযুক্ত পরিকল্পনা। কোনো বাঁধাতেই জীবনকে কোনো এক নির্দিষ্ট আঙ্গিকে আটকে রাখতে হয় না। মুভ অন হতে হয়। যেটা চাওয়া হয় সেটা না পেলে খুশি হয় না মন। তাই বলে হতাশায় যেন মন আচ্ছাদিত না হয় তাই ঐ ছেলের মতো বলতে হবে আমি যা পেয়েছি বা শিখেছি তাতেই আমি খুশি। চেষ্টা তো সবাই করেছে। 

অসংখ্য স্টুডেন্ট এখন মেন্টালি রেডি। ইন্ডিয়ান স্টুডেন্টের সংখ্যা বেশি। এমনকি আমার বেসমেন্টে থাকা স্টুডেন্টদের সবার হয়তো হচ্ছে না। তাতে তারা মোটেও বিচলিত না। বরং বলেছে, আমরা দেশে ফিরে যাব। পিআর হলেও থাকতাম না। 

তারা রেডি টু গো ব্যাক টু দ্যা কান্ট্রি। আমি বলব, সবাই ব্যাকে না, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। হয়তো সামনের কিছু জীবনের জন্য আরো ভালো, আরো মসৃণ হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলেই সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেত বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয়টিতে ঘুরে দাঁড়ায় টিম টাইগ্রেস। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয় মেয়েদের কাছে ৮ উইকেটে হারের ফলে সিরিজের সাথে সরাসরি বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগও হারাল বাংলাদেশ। অবশ্য সুযোগ একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ৬ দলের সঙ্গে একটি বাছাইপর্ব খেলে উৎরে যেতে পারলে ২০২৫ সালের বিশ্বমঞ্চের টিকিট পাবেন জ্যোতিরা।

সেন্ট কিটসে শুক্রবার রাতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৪৯ রান। এক পর্যায়ে স্কোর হয় ৩ উইকেটে ৯৪। সেখান থেকে হঠাৎ ধসে ৪৩.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে কেবল ১১৮ রানের সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের মেয়েরা। জবাবে ২৭.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিক দল।

টপঅর্ডার ব্যাটাররা কাজটা কিছুটা করে দিয়েছিলেন। শুরুতে উইকেট হারানোর পরও ফারজানা হক পিংকি ও শারমিন আক্তারের জুটিতে ধীরে অর্ধশতরানের জুটি আসে। দুজনই থিতু হয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন, ফারজানা করেছেন ২২, শারমিন বিদায় নেন ৩৭ রানে।

তাদের বিদায়ের পর থেকে শেষপর্যন্ত সবচেয়ে বড় ইনিংসটা খেলেছেন সোবহানা মোস্তারি। কিন্তু উইকেটের অন্যপাশে ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। এরমধ্যেই ৬২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষপর্যন্ত ১১৮ রানে থামে বাংলাদেশ।

জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু থেকেই ছিল আক্রমণাত্মক মেজাজে। উদ্বোধনী জুটি তাদের এনে দেয় ৪৫ রান। অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউস ফিরে গেলেও ১১৯ রান তাড়া করতে স্বাগতিকদের বেগ পেতে হয়নি। কিয়ানা জোসেফ করেন ৩৯, সঙ্গে ডিয়ান্দ্রা ডটিনের ১৯ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস উইন্ডিজের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে দেয়।

মেয়েদের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকিট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভারত। বাংলাদেশকে হারানোয় ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে অষ্টমস্থানে। তাদেরও সরাসরি খেলা হচ্ছে না বিশ্বকাপে। অন্যদিকে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাছাই পর্ব খেলবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে দুটি দল পাবে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট।


আরও খবর

এক ঘণ্টায় শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫