Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ছেলের লাঠির আঘাতে নেশাগ্রস্ত বাবার মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ছেলের লাঠির আঘাতে ৭০ বছরের বৃদ্ধ বাবা গদেন কুজুর এর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টারদিকে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সাদাপুর জিগাবাড়ি গ্রামে ছেলে সজিব কুজুর (৩০) তার বৃদ্ধ বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। নিহত গদেন কুজুর ঐ গ্রামের মৃত ছবি কুজুরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গদেন কুজুর নেশাগ্রস্ত ছিল। দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পরও গতকাল রাতে নেশা করে বাড়ি ফেরায় ছোট ছেলে সজিব কুজুর বাবার উপর চড়াও হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাড়িতে পড়ে থাকা লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে ছেলে। লাঠির আঘাতে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় রাতেই স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয় তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, নিহত গদেন কুজুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এবং নিহতের ছেলে সজিব কুজুরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তি আবেদন বেশি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন চলছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে অনলাইনে এ আবেদন করতে পারছে শিক্ষার্থীরা। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে আবদেনের পরিমাণ বেশি।

এর মধ্যে প্রথম ৫ দিনে (১২-১৬ নভেম্বর) মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪১৯ জন শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৫৪৯টি স্কুলে ভর্তির জন্য পছন্দ দিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে সরকারি স্কুলগুলোতে। সরকারি স্কুলের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি আসন। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করেছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলে ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে। এই আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

প্রতি বছর ন্যায় এবারও সরকারি স্কুলে ভর্তিতে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা কম হলেও আবেদন পড়ে তুলনামূলক বেশি। এবার ৬৮০টি সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে মোট আসন ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি। এর বিপরীতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী— একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিতে পারবে। তবে এ পর্যন্ত আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২টি চয়েজ ফরম পূরণ করেছে।

বেসরকারি আসন বেশি আবেদন কম

লটারির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসনের চেয়েও কম আবেদন জমা পড়ে। এবারও সেই ধারা দেখা যাচ্ছে। প্রথম ৫ দিনে বেসরকারি স্কুলে মাত্র ১ লাখ ৬ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তারা ২ লাখ ২৩৭টি স্কুল চয়েজ (পছন্দ) দিয়েছে।

মাউশি সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশের ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি স্কুলে মোট ভর্তিযোগ্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। সেই হিসেবে তুলনামূলক আবেদনের হার কম।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপ-পরিচালক আজিজ উদ্দিন জানান, টেলিটক ভর্তি আবেদনের সংখ্যা আমাদের জানায়। তারা প্রতি দু-দিন পর পর তথ্য দেয়।

তিনি জানান, প্রথম দিনের আবেদনের সংখ্যা কম থাকে। শেষের দিকে এ আবেদনের সংখ্যা বাড়বে।

আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর একটি ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই ও ভর্তি করা হবে। এ বছর ভর্তির আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১০ টাকা। টেলিটক সিম ব্যবহার করে এই ফি পরিশোধ করতে হবে। ডিজিটাল লটারির পর আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া; চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রথম ধাপে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২২-২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি চলবে এবং দ্বিতীয় ধাপের তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৬-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

https://gsa.teletalk.com.bd/ এই লিঙ্কে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে পারবে।


আরও খবর



চীনে গাড়িচাপায় অন্তত ৩৫ পথচারী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাই শহরে এক চালক সোমবার সন্ধ্যার দিকে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার এই ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। মঙ্গলবার চীনা পুলিশের বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ঝুহাই স্পোর্টস সেন্টারে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে শরীর চর্চা করার সময় লোকজনের ওপর এক ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন। এতে ৩৫ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন।’’

পুলিশ বলছে, ফ্যান নামের এক ব্যক্তি তার ছোট এসইউভি পথচারীদের ওপর চালিয়ে দিয়েছেন। ঝুহাই স্পোর্টস সেন্টারের সামনে প্রতিবন্ধকতা গুঁড়িয়ে দিয়ে পথচারীদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেন তিনি। এ সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়েন বেসামরিক লোকজন।

হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় গাড়ির চালক ফ্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলার সময় গুরুতর আহত হয়েছেন ফ্যান। বর্তমানে তিনি কোমায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে বিবাহবিচ্ছেদের পর স্ত্রীর সাথে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ থেকে লোকজনের ওপর ফ্যান গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, বর্তমানে কোমায় থাকায় গাড়ির চালক ফ্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের শেয়ার করা এই ঘটনার বেশিরভাগ ভিডিও চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে কিছু ফুটেজ এখনও অনলাইনে রয়েছে। এতে দেখা যায়, হামলার স্থলে অনেক মানুষ মাটিতে পড়ে আছেন। স্থানীয় প্যারামেডিকস ও পথচারীরা সেখানে তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

চেন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী চীনা সংবাদমাধ্যম কাইক্সিনকে বলেছেন, হামলার সময় সেখানে কমপক্ষে ছয়টি দল হাঁটার জন্য স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল। সেখানে রাস্তার পাশ ঘেঁষে প্রত্যেক দিনই শরীর চর্চা করেন তারা।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




নির্মাণ মৌসুমেও কমছে রড-সিমেন্টের দাম

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

চলতি বছরের শুরুর দিকে অবকাঠামো নির্মাণের প্রধান পণ্য রড-সিমেন্টের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ডলার ব্যাংকে তারল্য সংকটের পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খুলতে অনীহাসহ বিভিন্ন কারণে এলসি মার্জিন সুবিধা কমে যায়। এতে ব্যাহত হয় আমদানি বাণিজ্য। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সরবরাহ উৎপাদন। তবে পর্যাপ্ত আমদানি সত্ত্বেও চাহিদা না থাকায় দাম নিম্নমুখী রয়েছে। চলতি নির্মাণ মৌসুমে সংকট কাটিয়ে বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরার আশা থাকলেও সরকারি নির্মাণ প্রকল্পে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় সংকটে পড়েছে ইস্পাত সিমেন্ট খাত।

গত দুই সপ্তাহে দেশের বাজারে রডের দাম টনপ্রতি - হাজার টাকা কমেছে। সর্বশেষ গত দুই দিনে কমেছে প্রায় হাজার টাকা। রডের পাশাপাশি সিমেন্টের দামও বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০-১৫ টাকা কমেছে। চাহিদা না বাড়লে রড-সিমেন্টের দাম আরো কমবে বলে আশঙ্কা করছেন মিল মালিকরা।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অবকাঠামো খাত সবচেয়ে নাজুক সময় পার করছে। চলমান প্রকল্পের কাজে ধীরগতির পাশাপাশি বিগত ছয় মাসে নতুন কোনো মেগা প্রকল্পের অনুমোদন হয়নি। আগের প্রকল্পগুলোয় বিক্রি করা পণ্যের দামও মেটাতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। আগস্ট-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ মিলছে না। আবার সরকারি প্রকল্পের বিল আটকে থাকায় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না অনেকে।

এদিকে গত এক বছর ডলারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে বাড়তি দামে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। অথচ দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদকরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত ইস্পাত শিল্পকে নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া না হলে এর সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মেসার্স ডালিয়া ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. সাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘শীত মৌসুমে মূল্যবৃদ্ধির কথা থাকলেও গত ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের রডের দাম টনপ্রতি - হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার টনপ্রতি দাম কমেছে হাজার টাকা। মিল মালিকরা সরবরাহ বাড়ানোর কারণে মিলগেট থেকে সংগ্রহ মূল্য টনপ্রতি হাজার টাকা কমিয়েছেন।দাম আরো কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী সংগ্রহ মজুদ কমিয়ে দিচ্ছেন। এতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন তিনি।

জানা গেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে নির্মাণ খাতে ধস নেমেছে। আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম একেবারে স্তিমিত হয়ে গেছে। মিল-কারখানাগুলো কোনো রকমে উৎপাদন চালু রাখলেও নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ কার্যত বন্ধ রয়েছে। ব্যক্তি পর্যায়ে ভবন নির্মাণে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজেও মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বিগত এক বছর দেশে সরকারি বড় অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন কম থাকায় রড-সিমেন্টের বাজারে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমান সরকার বেছে বেছে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন দিচ্ছে।

বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশের ইস্পাত খাত সংকটময় সময় পার করছে। বৃহৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্লান্ট স্থাপনে বিশাল বিনিয়োগ করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে কারখানাগুলো। এতে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার চাহিদা না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে না পারলে ইস্পাত খাতের উদ্যোক্তারা বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

সিমেন্ট খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রেড ওয়ানভুক্ত কোম্পানিগুলোর সরবরাহ করা সিমেন্টের বস্তাপ্রতি দাম ছিল ৫০০ টাকা। তবে গত কয়েক দিন সিমেন্ট ক্রয়ে ডিলারদের বিশেষ ছাড় দিচ্ছে উৎপাদকরা। যার কারণে বস্তাপ্রতি দাম ১০-১৫ টাকা কমে লেনদেন করতে পারছেন পাইকারি খুচরা বিক্রেতারা। তবে দেশে উৎপাদিত অন্যান্য কোম্পানির সিমেন্ট ৪৬০-৪৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদা কম থাকায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দাম আরো নিম্নমুখী হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রামভিত্তিক ডায়মন্ড সিমেন্টের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাকিম আলী বলেন, ‘সিমেন্ট খাতের উৎপাদন সরকারি নির্মাণ প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দেশের বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। যেসব প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, সেগুলো গত আগস্টের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে সিমেন্ট খাতে।বিশ্ববাজার থেকে আমদানি, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা কেটে গেলেও ব্যবহারজনিত চাহিদা বৃদ্ধি না পেলে খাত ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উৎপাদকরা বলছেন, এতদিন ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ব্যাংকে ব্যাংকে ধরনা দিতে হতো। ডলার সংকটে অনেকে বাধ্য হয়ে ছোট আকারের এলসি খুলতেন। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহের কারণে পর্যাপ্ত আমদানি হচ্ছে। যার কারণে দেশে রড-সিমেন্ট উৎপাদনে কাঁচামালের সংকট নেই। বরং বাড়তি আমদানির কারণে স্ক্র্যাপের বাজারও কমে গেছে। উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও চাহিদা কম থাকায় দামে প্রভাব পড়েছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, দেশের ইস্পাত কোম্পানিগুলোর রড উৎপাদনে সক্ষমতা কোটি ২০ লাখ টন। বছরে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টনের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশই ব্যবহার হয় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে। বাকি ৪০ শতাংশ বেসরকারি উদ্যোক্তা ব্যক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহার হয়। বর্তমানে চাহিদা কমে ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা কমেছে সরকারি প্রকল্পে। নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে রডের চাহিদা ২০ শতাংশেরও নিচে নেমে আসায় দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রানী রি-রোলিং স্টিল মিলসের নির্বাহী পরিচালক সুমন চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ইস্পাত পণ্যের প্রধান ক্রেতা সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাসহ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন কার্যত বন্ধ রয়েছে। চলমান প্রকল্পগুলোর কাজের গতিও শূন্যের কোঠায়। যার ফলে রডের বাজারে ক্রেতা চাহিদা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। অবকাঠামো নির্মাণ খাতের উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরও সংকটময় পরিস্থিতিতে বিল পাচ্ছেন না। ফলে নানামুখী সংকটের কবলে পড়েছে দেশের ইস্পাত সিমেন্ট খাত।

 


আরও খবর



লন্ডনে তারেক রহমান ও ফখরুলের বৈঠক

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দশ দিনের সফরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন এবং এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেরেছেন প্রাথমিক আলাপ। সাক্ষাৎকালে ফখরুল দেশের সার্বিক পরিস্থিতির পাশাপাশি নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, অর্ন্তর্বতী সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপ আদায়ের কৌশল নির্ধারণ করা, বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখার অধিকতর প্রচারণা ও কার্যকর করা, দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও গতিশীল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। কারণ, এসব ইস্যু নিয়েই মির্জা ফখরুল লন্ডনে গেছেন।

এদিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চান বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা।

তাদের ভাষ্য, দেশের জনগণের কাছে মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের, ঠিক তেমনি মানুষকে সেবা প্রদানের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের।

তারা আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ভোটে যে-ই সরকার গঠন করুক না কেন, মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করাটাই বিএনপির টার্গেট।

এ বিষয়ে কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে।

তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষে নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছি। তারাও এ বিষয়ে সম্মত। বলেছে সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে। এখন আমরা দেখব তারা কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদি ডিসেম্বরের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, তবে নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে নামতে পারি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দলীয়ভাবে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। এখন দুই নেতার বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত আসে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি মনে করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচিত সরকারের হাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক ধরনের কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এরপরও যদি প্রয়োজন হয়, তখন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। পরে ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এরপর সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হলেও নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে লন্ডনে গেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।


আরও খবর



দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ নভেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

অগ্রহায়ণের শুরু থেকেই গ্রামবাংলায় শীতের আমেজ। উত্তরের হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা থেকে প্রবাহিত ঠান্ডা হাওয়ো বাড়াচ্ছে শীতের প্রকোপ। তবে রাতের চেয়ে ভোরেই ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। পঞ্চগড় জেলায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১৬ ডিগ্রির নিচে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভোর ৬টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ ভোর থেকে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ভেদ করে ছড়াচ্ছে সূর্যের আলো। শীতের পরশ ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলের এ জেলার জনপদে। অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাপমাত্রা কমে শীতের মাত্রাটা কিছুটা বেড়েছে। এমন শীতের মধ্যে ভোর থেকেই কর্মব্যস্ততা দেখা যায় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষদের।

জানা গেছে, বিকেল গড়ালেই সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভব হয়। দিন দিন তাপমাত্রা কমতে থাকায় বাড়তে শুরু করেছে শীতের অনুভূতি। সন্ধ্যার পরেও গায়ে জড়াতে হচ্ছে শীতের কাপড়। রাতে কম্বল ও কাঁথা নিতে হচ্ছে। তবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত এখনও বেশ গরম থাকছে। বিশেষ করে আমাদের উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় এখানে সবার আগে শীত নামে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে এখনো সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা ঠান্ডা অনুভব হওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। ভোরে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আজ ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর