Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ ছিনতাইকারী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুরে গভীর রাতে রাস্তায় পথরোধ করে মোটরসাইকেল চালককে মারপিটে আহত করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারেক হাসান (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় ভুক্তভোগী মিলন নামের এক যুবক থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই সোমবার মহাদেবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটককৃতের বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ তাকে আটক করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল রাত অনুমান সোয়া ১২ টারদিকে উপজেলার ভালাইন গ্রামের শিবগঞ্জ থেকে বামনসাতাগামী রাস্তার উপর ফিংঙ্গার পুকুর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনীর সামনে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন দুষ্কৃতিকারী রাস্তার পথরোধ করে মিলন সহ মোটরসাইকেল আরোহী দু'জনকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে তাদের ব্যবহৃত একটি সুজুকী জিসার মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন,  মহাদেবপুর সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনার জন্যে একটি শক্তিশালী চৌকশ পুলিশ টিম গঠন করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দস্যুদের আটকের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেল টি উদ্ধার সহ তারেক হাসানকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ মামলায় জড়ীত অপরদের কেও আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েচে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেওয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব বিচাপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আদেশ দেন। আগামীকাল বুধবার থেকে এই সাড়ে হাজার শিক্ষককে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা ছিল।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।

এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন হাজার ৫৩১ জন। 

গত ২৮ মে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ঢাকা চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) মৌখিক পরীক্ষাসহ নিয়োগপ্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসংক্রান্ত হাইকোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, আপিল বিভাগ তা খারিজ করে দেন। পরিপ্রেক্ষিতে মৌখিক পরীক্ষা নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 


আরও খবর



চিন্ময় ইস্যুতে ভারতীয় বিবৃতির প্রতিবাদ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারে ভারতের বিবৃতির পাল্টা জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ। বিবৃতিতে কড়া ভাষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো ধর্মীয় কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভারতের বিবৃতিতে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা একটি বিবৃতি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। অত্যন্ত হতাশা এবং গভীর দুঃখের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখ করছে যে, শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করার পর থেকে তার গ্রেফতারকে কিছু মহল ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। বাংলাদেশ সরকার বলতে চায়, এই ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু সত্যকে বিকৃত করে না বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিটি সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি এবং এই বিষয়ে সরকার ও জনগণের প্রতিশ্রুতি এবং প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে না বলে মন্তব্য করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতি সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির, তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আবারো বলতে চায় যে, দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং এটি বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। প্রশ্নাধীন বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারও দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আজ বিকেলে চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার ও জামিন নাকচ করার বিষয়টি আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। বাংলাদেশের হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পরে এ ঘটনা ঘটলো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঘটনার অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাপানো হয়েছে; যিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে ন্যায্য দাবিগুলো উপস্থাপন করেছিলেন।

হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন-৬ এর কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। তবে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে তার অনুসারীরা বাধা দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের হট্টগোল ও সংঘর্ষ চলে। এ সময় তারা এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করে।


আরও খবর



দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা, বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ এর অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের পর এটিই তার জনসম্মুখে দেওয়া প্রথম দীর্ঘ বক্তব্য। ট্রাম্প বারবার বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অবিলম্বে ওই যুদ্ধ বন্ধ করবেন। যদিও কিভাবে কী করবেন, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

এরপর তিনি তার সমর্থকদের জানান, তার অন্যান্য অগ্রাধিকার হবে মধ্যপ্রাচ্য এবং “দুর্নীতিগ্রস্ত, ভঙ্গুর, ব্যর্থ প্রশাসনকে সাফ করা”। তবে এই পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কেও তিনি বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন।

এই অনুষ্ঠানটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (নির্বাচিত প্রার্থীর) বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইন্সটিটিউট’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজেরই সংস্থা। ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই সংস্থাটি। এই প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একাধিক রক্ষণশীল নীতির প্রস্তাবনা তৈরি করেছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা যে এভাবে জিতে যাবো, তা কেউ জানতো না। এটি একটি বড় বিজয় ছিল।”

জনতার মাঝে থাকা অনেককে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। তাদের মাঝে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই এবং হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ছিলেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার মালিক ইলন মাস্কের কথাও বারবার উল্লেখ করেছেন। ইলন মাস্ক গত কিছুদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে তার বাসভবনে ছিলেন।

“তিনি এই জায়গাটি পছন্দ করেন। আমি তাকে বের করে দিতে পারি না। আমিও এখানে তাকে পেয়ে আনন্দিত,” ইলন মাস্ককে মজা করে বলছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরও কিছু হাই-প্রোফাইল সমর্থককেও ধন্যবাদ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেমন– সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামী ও মার্কিন রাজনীতিবিদ টালসি গ্যাবার্ডকে। তাদের দু’জনকেই সিনিয়র পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ফ্লোরিডায় বক্তব্য দেওয়ার সময় ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি হোম সেক্রেটারি হিসাবে ডগ বারগামকে মনোনীত করেছেন। প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ফেডারেল জমির ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের দায়িত্ব যে বিভাগের আওতায়, এক সময়ের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডগ বারগাম সেই বিভাগটি পরিচালনা করবেন এবার।

এই পদটিসহ বেশিরভাগই মন্ত্রিপরিষদ পদের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার ঘোষণা করা হবে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর এই সময়টিকে উপভোগ করছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার জন্য তিনি অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। তবে তার শপথ গ্রহণ জানুয়ারির আগে হবে না। তাই তাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু আজকের এই আয়োজন ছিল তার ভক্ত ও সমর্থকদের সামনে বিজয়ের উদযাপন।

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিন থেকে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, দুই-ই গ্রহণ করবেন। রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

তবে তার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে এবং সেটি করা হবে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুসরণ করে। আগামী ১৭ জানুয়ারি ইলেক্টোরাল কলেজের প্রতিনিধিরা একসাথে বসে তাদের ভোট দেবেন। বিবিসি বাংলা


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




শুধু নির্বাচন দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বললেন, শুধু নির্বাচন আয়োজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নয়। তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেয়ারটেকার সরকার নয়। তাই শুধু নির্বাচন দেওয়াই এই সরকারের কাজ নয়। ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শেষে নির্বাচন দেওয়া হবে।

সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেচির সঙ্গে সাক্ষাতে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দেশের স্বার্থ রক্ষা হয়, এমন যেকোনো কাজ করতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তুত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলমান। এ বিচার নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সারা পৃথিবী থেকে সমর্থন পেয়েছে, যা এখনো অব্যাহত আছে।

কমনওয়েলথের সহকারী মহাসচিব লুইস ফ্রান্সেচি নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারসহ সরকারের চলমান সংস্কার উদ্যোগে কমনওয়েলথের সমর্থনের আশ্বাস দেন।

তিনি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য কমনওয়েলথের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশের পাশে তারা আছেন জানিয়ে বলেন, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, গণমাধ্যম, সাইবার নিরাপত্তা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ।

সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহম্মদ মেহেদী হাসান, কমন‌ওয়েলথের অ্যাডভাইজার অ্যান্ড হেড অব এশিয়া দিনুসা নিহারাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরও খবর



নিয়ন্ত্রণে আসছে না নিত্যপণ্যের বাজার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

নিত্যপণ্যের দাম কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও স্বস্তি ফেরেনি বাজারে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল ও ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড়, নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ ব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন, টিসিবি ও ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিবিষয়ক নীতিমালা যুগোপযোগী করাসহ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারপরও বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়েছে।

এতে নতুন করে দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হয়েছে আটা, ময়দা, আলু, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, মুরগি ও গরুর মাংস। মোটা চাল ও চিনির দাম সামান্য হলেও বেড়েছে। সবজির দাম এতদিন চড়া ছিল। কয়েক দিন ধরে কমছে। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে ভোক্তারা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাজারে এখনো সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণেই বাজার ব্যবস্থা রীতিমতো অসহায়।

বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যেকোনো উদ্যোগের কার্যকারিতা নির্ভর করে তার ফলাফলের ওপর। অন্তর্বর্তী সরকার মূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও ফলাফলের নিরিখে এখনো বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি। কারণ মূল্যস্ফীতির চাপ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাজার শান্ত করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহে তথ্যগত ঘাটতি রয়েছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ বাড়ানো জরুরি। শুল্ক কমানো হলো; কিন্তু আমদানি বাড়ল না, তাতে সুফল পাওয়া যাবে না। চাল, পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের বাজারে শুল্ক কমানোর ইতিবাচক প্রভাব না পড়ার বড় কারণ আমদানি বৃদ্ধি না পাওয়া। নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখা ও এই ব্যাপারে বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের যত দূর সম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনাটা জরুরি বলে মনে করেন তারা। এ ছাড়া টিসিবি ও খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত পরিসরে নিত্যপণ্য বিক্রি করা দরকার, যাতে আরও বেশি মানুষ সুফল পান।

জানা গেছে, সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি বাড়িয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের জন্য সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিল—এই পাঁচ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার আগের কর্মসূচি চালু রাখা হয়েছে। সুলভ মূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা পেঁপে ও বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজিসহ প্যাকেজ আকারে ১০টি কৃষিপণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। ১৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের নাম ‘কৃষি ওএমএস কর্মসূচি’।

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। আগে পেঁয়াজ বিক্রি করা হলেও আপাতত বন্ধ। এর বাইরে টিসিবি ট্রাকে করে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। তবে টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে অনেককেই ফেরত যেতে হয়। এ কার্যক্রম শুধু শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি চাল, নন-ব্র্যান্ড খোলা সয়াবিন তেল, পাম তেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও এলাচের দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। খাদ্যমূল্য স্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে।

এ বছরের নভেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন বা ২৬ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

ওই প্রতিবেদনে ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এজন্য অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কারণগুলোকে দায়ী করেছে। এর মধ্যে একটি কারণ হলো আমদানি কমে যাওয়া। অভ্যন্তরীণ কারণগুলোর মধ্যে আছে বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি, এ সময়ে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া বাজার সিন্ডিকেট আরেকটি কারণ। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দায় ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলে ৮০০ থেকে ৮১০ টাকা ও খোলা পামঅয়েলে ১৪৪ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফার্মের বাদামি রঙের ডিমের হালি ৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সুত্রাপুর বাজারে মেসার্স আদনান অ্যান্ড আরাফাত ট্রেডার্সের মালিক মো. ফারুক বলেন, গত দুই-তিন মাস ধরে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে, মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে লড়াই করছেন। বেশির ভাগ ভোক্তা চাহিদার তুলনায় পণ্য কম নিচ্ছেন। আগে যারা পাঁচ কেজি আটা কিনতেন, তারা এখন দুই থেকে তিনি কেজি আটা কিনছেন। অন্যান্য পণ্যও কেনা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছেন।

রায়সাহেব বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেশি। মাসে যে টাকা আয় করি তার অর্ধেক চলে যায় বাসা ভাড়ায় আর বাকিটা যায় বাজার খরচে। মাস শেষে আবার ঋণও করতে হচ্ছে। এভাবে চলা যায় না। সরকার বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিলেও কোনো কাজে আসছে না কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে। তারা সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা হঠাৎ বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। পরে দাম বাড়িয়ে বাজারে নতুন করে পণ্য ছাড়ে। যেটা বিগত সরকারের সময়ও আমরা দেখেছি। বর্তমান সরকারের কাছে এসব প্রত্যাশা করিনি। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারকে যত রকমের বংবস্থা আছে নিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে অন্তত ছয় ধরনের নিত্যপণ্যের এলসি কম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল, পেঁয়াজ, ছোলা, পরিশোধিত চিনি ও খেজুর। ঋণপত্র খোলা বেশি কমেছে পেঁয়াজের। গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পেঁয়াজ আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে দুই লাখ টনের কাছাকাছি। অবশ্য সয়াবিনের বীজ, মসুর ডাল ও অপরিশোধিত চিনি আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা বেড়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল ও পেঁয়াজের আমদানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। চলতি অর্থবছরের গত তিন মাসে ৩ লাখ ৩২ হাজার টন পাম তেল আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম। এ সময়ে অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজার টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ শতাংশ কম। কমেছে পেঁয়াজের আমদানিও। গত তিন মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার টন। গত বছর একই সময়ে আমদানি হয়েছিল সাড়ে ৩ লাখ টন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কী কারণে পণ্যগুলোর আমদানি কম হয়েছে, সরকারের উচিত বিষয়টি খতিয়ে দেখা। তা না হলে পণ্যগুলোর দামের লাগাম টেনে ধরা কঠিন হবে। ইতোমধ্যে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল, পাম তেল, চিনি ও গমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে পাম অয়েলের দাম টনপ্রতি ৯৪ ডলার বেড়েছে। একই সময়ে সয়াবিন তেলের দাম টনপ্রতি ৫১ ডলার, গমের দাম ১৩ ডলার এবং চিনির দাম টনপ্রতি চার ডলার বেড়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) জানিয়েছে, পণ্য উৎপাদন খরচের ক্রমাগত উচ্চ মূল্য, অদক্ষ বাজার ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য ও উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকার স্বল্প সুযোগ ইত্যাদি কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

ডিসিসিআই সুপারিশ করেছে, মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতা কমিয়ে ও অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে যেসব পণ্যের উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য নেই। এ ছাড়া স্থানীয় ও আমদানি করা খাদ্যপণ্যের নগদ মেমোর জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি উৎপাদন খরচ কমাতে সার, তেল ও বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বলেন, সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোতে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হলেও ভোক্তা পর্যায়ে গিয়ে সে সুবিধাটা পৌঁছাচ্ছে না। একটা শ্রেণি চায় না পণ্যের দাম কমুক। এজন্য পণ্যের দাম কমছে না। তারা অতিমুনাফা করার জন্য এটা চায় না। সরকার অনেক পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে, আমদানির অনুমতি দিয়েছে, টাক্সফোর্স গঠন করেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে, টিসিবির মাধ্যমে সুলভমূল্যে পণ্য দিচ্ছে। সরকার আর কী উদ্যোগ নেবে?

তিনি বলেন, মূলত অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই পণ্যের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট আছে, যেটা বিগত সরকারও ভাঙতে পারেনি। তখন আমরা মনে করেছি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আতত আছে দেখে তারা সিন্ডিকেট ভাঙতে পারে নাই। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঙ্গে তো ব্যবসায়ীদের কোনো আঁতাত নেই। তারপরও তারা কারসাজিকারীদের বা সিন্ডিকেট যারা করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। যদি দুই-একজন ব্যবসায়ীকে শাস্তির আওতায় আনতে পারতো তাহলে বাজার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসতো বলে আমি মনে করি।

ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা সবাই জানি সিন্ডিকেট কারা করে, সেক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। সরকার কঠোর হচ্ছে না বিধায় ব্যবসায়ীরা সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, তারা ভোক্তাদের পকেট খালি করার সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের অনেক সংস্থা রয়েছে অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ছাড়া আর কেউ কোনো কাজ করছে না।

সিন্ডিকেটের পাশাপাশি কর্পোরেট ব্যবসায়ীরাও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মজুদ করে বা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা রীতিমতো ভোক্তাদের লুট করে নিচ্ছে। এটা কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের খারাপ একটা অভ্যাস। একই সঙ্গে পরিবহন ভাড়া নিয়েও কারসাজি করা হচ্ছে। ১৫ হাজার টাকার ট্রাক ভাড়া এখন ২০ হাজার টাকা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের একটু স্বস্তি দিতে পারে টিসিবির পণ্য, সেখানেও দীর্ঘ লাইন, চাহিদার তুলনায় পণ্য কম। এ জায়গায় টিসিবির কার্ডের সংখ্যা ও পণ্য আরও বাড়ানো অনুরোধ করেন তিনি।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪