Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার সহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন আটক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অটোভ্যান চুরির সাথে জড়ীত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৩ জন সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই একটি অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। শনিবার বিকেল ৩ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন চোর চক্রের সদস্যদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, মহাদেবপুর থানার অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত চৌকশ পুলিশ টিম শুক্রবার দিবাগত রাতে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা অটোভ্যান চোর দলের সক্রিয় সদস্য বদলগাছী উপজেলা কুশারমুড়ি গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৫৩), তার ছেলে আশিকুর রহমান (২১) ও পত্নীতলা উপজেলার মধইল বটতলা গ্রামের হাসু মন্ডলের ছেলে, বর্তমানে বদলগাছীর বালুভরা দোনাইল গ্রামের আবুল হোসেন (৪৭) কে আটক করেন। অভিযান কালে আটককৃতদের কাছ থেকে একটি চোরাই অটোভ্যান উদ্ধার ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানান অফিসার ইনচার্জ। উল্লেখ্য যে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ইউপির বাগডোব বাজার মসজিদের কাছ থেকে অটো চার্জার ভ্যান চুরি হয়। এ বিষয়ে রামচরণপুর গ্রামের মৃত মজিদুর মন্ডলের ছেলে এলিছ মন্ডল আজ্ঞাতনামা আসামী করে মহাদেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। 


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আমি এর আগেও বলেছি যে, কোনও সমস্যার সমাধান করতে হলে আগে স্বীকার করতে হবে যে, সমস্যা আছে। আমাদের এটিও স্বীকার করতে হবে, ৫ আগস্টের আগে এবং পরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের একটি গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এটা মেনে নিয়ে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। সে হিসেবে আমি প্রস্তাব করেছিলাম, আমাদের যে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কনসালটেশন আছে সেটি শুরু করবো বলে মন্তব্য করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

 জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘৪০তম সার্ক চার্টার দিবস’ উপলক্ষে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) আয়োজিত ‘দ্য সার্ক-পিপল অব সাউথ এশিয়া ক্রেভ ফর’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত যদি আমাদের সবাইকে একসঙ্গে নিতে পারতো তাহলে ভারতের সুবিধা হতো। আমাদেরও সুবিধা হতো। কিন্তু সেটা দুঃখজনকভাবে হচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপারে ভারতের অবস্থান খুবই ভালো। কিন্তু গত দুই-তিন মাসে যে ব্যবসায়িক মন্দা যাচ্ছে, সেটা কি শুধু বাংলাদেশকে এফেক্ট করছে? এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশকে এফেক্ট করছে না, ভারতকেও এফেক্ট করছে। পরিমাণটা অত কিন্তু বেশি না, তবে এফেট পড়ছে। কলকাতার অর্থনীতি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি, এই অচল অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারব।৷ অচল অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো যোগাযোগ স্থাপন।  ভারতের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন। আমাদের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করবন। এটা স্ট্যান্ডিং মেকানিজম, এটা অস্বাভাবিক কিছু না। প্রতিবছর আমাদের একজন যান ওপাশে পরের বছর ওপাশ থেকে একজন আসেন। এটাকে কনসাল্টেশন বলা হয়, এটা দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে। আমি আশা করবো, তারা একটা ফলপ্রসূ আলোচনা করবে।

তিনি বলেন, সার্ক শক্তিশালী হোক এই বিষয়ে প্রফেসর ড. ইউনূস অত্যন্ত পজিটিভ এবং আমরা আবারও আঞ্চলিকভাবে একটি স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাই। এটা আমাদেরকে শুরু করতে হব।৷ শুরু করলে একবারে আমরা সবকিছু করে ফেলতে পারবো, সেটি চিন্তা না করাই ভালো।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেশের সরকার অস্থায়ী হতে পারে, কিন্তু দেশ ও স্বার্থ স্থায়ী। আমি নিশ্চিত যে, স্বাভাবিকভাবে সার্ক নিয়ে একটি পজিটিভ অ্যাটিচিউট মানুষের মধ্যে আছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব হচ্ছে— এটিকে এগিয়ে নেওয়া। সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক শুরু হোক, যেটি গত ১০ বছরে হয়নি। তারপর আমরা চেষ্টা করবো্ কীভাবে একটি সামিটে রূপান্তরিত করা যায়।

আঞ্চলিক দারিদ্র্য দূরীকরণে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি পরস্পরকে সহযোগিতা করি, তাহলে এই অঞ্চলের দারিদ্র্য দূর করা যাবে। দারিদ্র্য থেকে সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। আমরা কিছুটা সাফল্য অর্জন করিনি তা কিন্তু না। আরও কিছুটা পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য সবার সহযোগিতা লাগবে। সার্ককে আমাদের কর্মক্ষমতা পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে৷

এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু বলেন, আমরা যদি অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করতে চাই, তাহলে আমাদের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই জরুরি। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য না সবার জন্যই প্রয়োজনীয়। আমরা যদি একে অন্যের সঙ্গে বিরোধপূর্ণভাবে চলতে থাকি, তা আমাদের সুফল বয়ে আনবে না।আমাদের প্রতিবেশী দেশের (ভারত) সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক ভালো নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক হচ্ছে না এখনও। আমরা চাই না বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হোক। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি চাই। আমরা চাই সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক।

সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রহমান বলেন, এখন আমাদের একটি আঞ্চলিক জোটের খুবই প্রয়োজন। এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই আমাদের এই জোটের প্রয়োজন। এখন সার্কের কোনও কার্যকরীতা নেই। এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সার্ককে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে। আমি সার্কের দেশগুলোর সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই— তারা বাংলাদেশে এসে দেখুক, বাংলাদেশে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিচার করা থেকে বিরত থাকুন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া বলেন, সার্ক ছিল জিয়াউর রহমানের একটি স্বপ্ন। কিন্তু আজকে দুটা দেশের জন্য সার্কের এই অবস্থা। যেখানে ইউরোপ এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের দক্ষিণ এশিয়া বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। আজকে সার্ক যদি উজ্জীবিত থাকতো, তাহলে আমাদের এই অবস্থা হতো না।

সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) সভাপতি নাসির আল মামুনের সভাপতিত্বে ও সেমিনার অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার রফিকুল ইসলাম আজাদের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্ট্রাটেজিক এক্সপার্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল মজুমদার।


আরও খবর



সিপিবির সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান

মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

প্যালেস্টাইনের জনগণের সাথে সংহতির আন্তর্জাতিক দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আজ ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, শুক্রবার আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন সংহতি সভা উদযাপিত হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এই সংহতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংহতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

সভায় সূচনা বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি ডা. আবু সাইদ, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. শাকিল আক্তার। সভা সঞ্চালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাকী আক্তার।

সূচনা বক্তব্যে হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘সকল আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার সনদ চরমভাবে লঙ্ঘন করে সাম্রাজ্যবাদের প্রত্যক্ষ মদদে জায়নবাদী ইসরাইলী বাহিনী গাজাসহ পুরো প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যে পশ্চিমা দেশগুলো কথায় কথায় বিশ্বকে মানবাধিকারের সবক দেয়, তারা আজ প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সম্পর্কে কার্যত নীরব। আরব লীগ এবং ওআইসির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যার্থ। পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যতটা সরব, গাজায় গণহত্যা নিয়ে ঠিক ততটাই নীরব। প্রথমে তারা যুদ্ধবিরতিতেও ভেটো দিয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। অবিলম্বে প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলী বাহিনীর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে জাতিসংঘ স্বীকৃত স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সিপিবির এই সংহতি সভায় প্যালেস্টাইনের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে প্যালেস্টাইনের জনগণের প্রতি বিশেষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে ১৯৭৩ সালে প্যালেস্টাইনের জনগণের কাছে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। প্যালেস্টাইনের মানুষ সব সময়ই সংকটের মধ্যে আছে। বাংলাদেশ প্যালেস্টাইনের এক অকৃত্রিম বন্ধু।

সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মদদে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের মধ্য দিয়েই এর একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার বিচার করতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র ঘোষণা করতে হবে।’

সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহিন রহমান বলেন, ‘ইসরাইলে মার্কিন সমরাস্ত্র প্রদান, নৌবহর প্রেরণসহ সব সহায়তা বন্ধ ও স্বাধীন প্যালেস্টাইনের দাবিতে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে।’

সমাপনী বক্তব্যে সিপিবির সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমরা প্যালেস্টাইন ভূখণ্ডে দখলদার শক্তির সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ প্যালেস্টাইনের বিরুদ্ধে সকল বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আগামী দিনে আমরা প্যালেস্টাইনের জনগণের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আমাদের দেশের সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’

সংহতি সমাবেশে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমরেডবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী গান পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।

এই কর্মসূচি উপলক্ষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট পার্টি সংহতি বার্তা পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমিউনিস্ট পার্টি অব রাশিয়া, কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবা, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া, ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিল সহ অন্যান্য সংগঠন  

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি প্রকাশে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের আহ্বান জানায়। এর ১০ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে দিনটি আন্তর্জাতিক প্যালেস্টাইন  সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

আমরা শুধু ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, দেশের সামগ্রিকভাবে একটি পরিবর্তন চাই। সেই পরিবর্তনের জন্যই আমরা সংস্কার চেয়ে আসছি। ড. ইউনূস সরকারকে অন্তত কেউ তুলতে পারছে না। যে বিএনপি এক সময় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে, এখন তারা বলছে এ দলকে নিষিদ্ধের পক্ষে না। পরিবর্তনের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হয়, বলে মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কে. আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ: যেভাবে বাংলাদেশ আগাচ্ছে এবং নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি যখন ভঙ্গুর অবস্থা। বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সহায়তা দিতে সাহস পাচ্ছে না, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা চলে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, কেউ বলছে, আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন। আবার কেউ বলছে, আগে নির্বাচন। সংস্কার শেষ করে ভোট; এ কথার ভিত্তি নেই। ভোটও হবে, সংস্কারও হবে। ভোটও একটি সংস্কার। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে তাদের (সরকারকে) মিনিমাম কিছু সংস্কার করতে হবে। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কার জরুরি রলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অনেকে ধরেই নিয়েছে এ সরকারের সময় সব কিছু করা যাবে। সব দাবি নিয়ে আসছে। তারা তো সবকিছু করতে পারবে না। সক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে। দেশ একটা স্বৈরাচারের অধীনে ছিল, সেখান থেকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন চলছে। আওয়ামী লীগের আবার ফিরে আসা সম্ভাবনা খুবই কম। তারা যা করেছে, তিনি (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নিজেই বলেছিলেন, তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি কোনো কিছুরই বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সুতরাং, জুলাই অভ্যুত্থানকে বিপ্লব বলা যায় না। এখন অনেকে বলছে, এখানে কিছু ভুল ছিল। কেউ বলছে, একটা বিপ্লবী সরকার গঠনের উচিত ছিল। এতে সন্দেহ নেই যে, মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটা কঠিন লড়াই করেছে, সেখানে বিপ্লবী চেতনা ছিল বলেই সম্ভব হয়েছিল।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে বড় নিয়োগ আসছে

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে ২২ হাজার নতুন নিয়োগ আসছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা দেয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ২২ হাজার নতুন নিয়োগ আসছে। এখানে সব কটিই কর্মকর্তা পদ। বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ হবে, নাকি বিশেষ বিসিএস হবে, বিষয়টি দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দেয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোকলেসুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্ভিস নিয়োগ নিয়ে কথা বলবেন। নিয়োগের ব্যাপারে তিনিই বিস্তারিত জানাবেন।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদের দৌড়ে রয়েছেন রিপাবলিকান দলীয় দুই আইনপ্রণেতা মার্কো রুবিও এবং ক্রিস্টি নোয়েম। ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া অভিজ্ঞ সামরিক কর্মকর্তা মাইকেল ওয়াল্টজ ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন।

মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে তাদের নিয়োগের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিবিএস বলছে, সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম ট্রাম্প প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে।

তবে রুবিও ও ওয়াল্টজের অফিস এই বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। গত ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পের প্রশাসন সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি দেশটির কংগ্রেসের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। দলটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। এখনও কিছু অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা চলায় দলটি সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ অন্যান্য কিছু নিয়োগের জন্য সিনেটরদের অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে।

যদিও ট্রাম্প দাবি করেছেন, পরবর্তী সিনেট নেতা তাকে এই বিষয়টি এড়িয়ে যেতে সহায়তা করবেন। তিনি সরাসরি অন্যান্য যেমন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে পারেন।

রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সুসি ওয়াইলসকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া তার বিগত প্রশাসনের অভিবাসন কর্মকর্তা টম হোম্যানকে বর্ডার জার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। নিউইয়র্কের কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদের জন্য মনোনীত করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রায় ৪ হাজার রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে পারেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের সময় মন্ত্রিসভা গঠনে কয়েক মাস সময় নিয়েছিলেন।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪