Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ডাকাতী করতে গিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, ৭জন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ডাকাতি করার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে তুলে মাঠে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান, নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার। এর আগে সোমবার রাতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকজামদই মুচিপাড়া এলাকার আজির মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম পচা (২৯), চকজামদই এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে তারেক হোসেন (২৬), বনসেতর এলাকার মনির উদ্দিন শেখের ছেলে সোলাইমান আলী (৩৮), গৗড়রা বৌদ্দপুর এলাকার মাসুদ রানা সর্দারের ছেলের সাগর হেসেন (১৯), বন্দীপুর এলাকার মাসিদুল মাসুদ রানার ছেলে রুবেল সরদার (২৮), নিয়ামতপুর উপজেলার জিনারপুর (সাবিলপুর) এলাকার রিপন আলী (৩০) ও মহাদেবপুর উপজেলার চককন্দর্পপুর এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে সাগর হেসেন (১৯)।

জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার খাজুর গ্রামের একটি বাড়িতে ডাকাতদল প্রবেশ করে। পরে বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকা ডাকাতির সময় তারা এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক অপহরণ করে বাড়ী থেকে একটু দূরে ফাঁকা মাঠে নিয়ে তাকে ঐ গৃহবধূকে পর্যায়ক্রমে গণধর্ষণ করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রামবাসীর সহায়তায় ভিকটিম গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে জড়িত ডাকাতদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পর আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হলে তাদের মধ্যে ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর



ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর

চলতি বছরই হতে পারে নির্বাচন

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ভারতের সাথে অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

ভারতের সাথে সম্পাদিত সীমান্ত সংক্রান্ত সকল ধরনের অসম চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

উপদেষ্টা বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আগামী ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ভারতের নয়াদিল্লীতে ৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ২০১১ সালে ভারতের সাথে বাংলাদেশের তিন বিঘা ও দহগ্রাম করিডোর নিয়ে একটি অসম চুক্তি হয়েছে। তাছাড়া মহিষাশন (ভারত)-কুলাউড়া (বাংলাদেশ) আন্তঃদেশীয় রেলপথের কুলাউড়া রেল স্টেশন সীমান্ত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত। আমরা তাদেরকে আমাদের বর্ডারের তিন কিলোমিটার ভিতরে আসতে দেবো না। সেখানে সীমান্তের সন্নিকটে কাস্টমস-সহ একটা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট নির্মাণের প্রস্তাব করা হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে হলে দুই পক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এগুলো একপক্ষে করার নিয়ম নাই। উন্নয়নমূলকভাবে একটা মসজিদ বা মন্দির করতে হলে দুই দেশের সম্মতি নেয়া প্রয়োজন৷ আগামীতে কিছু করতে হলে যেন তারা সম্মতি নেয় এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয়া হবে৷

ভারতের সাথে সম্পর্কের আস্থা বাড়াতে বাংলাদেশ কোনো ছাড় দিবে কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শুধু ছাড় দিয়ে কিন্তু আস্থা বাড়ানো যায় না। আলোচনার মাধ্যমেও আস্থা বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয়রা অনেক সময় ফেন্সিডিল-সহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করে আমাদের দেশে ঢুকিয়ে দেয়। যদিও তারা বলে ফেন্সিডিলগুলো ওষুধ হিসেবে তৈরি করছে। আসলে এটা মাদক হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বৈঠকে ভারতীয় গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার বন্ধের বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এ বিষয়ে আমাদের গণমাধ্যম ও দেশের জনগণ খুবই সোচ্চার।

৫৫তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক/ভারতীয় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো বা কাউকে আহত করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া বা আটক করা বন্ধ করা; বিএসএফ বা ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন বা অবৈধ পারাপার অথবা অনুপ্রবেশ বন্ধ; ভারত হতে বাংলাদেশে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হয় এরূপ চারটি খালে পানি শোধনাগার স্থাপন; বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী নদীসমূহের পানির সুষম বণ্টন, নদী হতে পানি উত্তোলন, পানি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং রহিমপুর খালের মুখ পুনঃউন্মুক্তকরণ; বিতর্কিত মুহুরীর চর এলাকার সীমানা নির্ধারণ, বিভিন্ন এলাকায় বর্ডার পিলার স্থাপনের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য 'কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা' কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন; দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




এক মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক হাজার ১০০ জন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

নিহত ৬০৮ জনের মধ্যে নারী ৭২ জন ও শিশু ৮৪ জন। এ ছাড়া ২৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছ, যা মোট নিহতের ৪৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬১ জন ঢাকা বিভাগের। সবচেয়ে কম ৩০ জন বরিশাল বিভাগে।

এ ছাড়া একক জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা জেলায় এবং সবচেয়ে কম অর্থাৎ পঞ্চগড় জেলায় কোনো মৃতু ঘটেনি।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ বেশি কিছু বিষয় উল্লেখ করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

প্রতিবেদনটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।


আরও খবর

কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দু-তিন মাস লাগবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

মূল্যস্ফীতি কমাতে আরো দুই থেকে তিন মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার আসন্ন রোজায় নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এসব উদ্যোগের ফলে আগামী জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অনেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার তুলনা করেন, এটি ঠিক নয়। তবে দেশের ৬০টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১২টি পুরোপুরি কার্যকর, বাকিগুলো খুঁড়িয়ে চলছে। এটিও বুঝতে হবে। তিনি বলেন, চালসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্যের সরবরাহ এখন থেকে আর কমতে দেওয়া হবে না। চাল, ডাল, সারসহ এ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানি করা হচ্ছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মার্চে সংশোধিত বাজেটে ভ্যাট পর্যালোচনা করা হবে। এ সময় ফল আমদানিকারকদের দাবি অনুযায়ী ফলের বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে না। আন্দোলন করলে করুক। কিছুই করার নেই।


আরও খবর

আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ফুলবাড়ী সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার ১৪ বছরেও পায়নি বিচার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত, (কুড়িগ্রাম) 

আজ- ০৭(জানুয়ারি)সীমান্তে আলোচিত ফেলানী হত্যার-১৪ বছর।২০১১সালে এইদিনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর অনন্তপুর হাজিটারী সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ ফেলানীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।এ হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কাঙ্খিত বিচার পায়নি তার পরিবার।


পাশ্ববর্তী নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ রামখানা কলোনিটারী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ফেলানী হত্যার এই দিনটির স্বরণে ফেলানীর কবর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতে ব্যস্ত তার পরিবার।ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম জানান,আজ ১৪ বছরেও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনি, আজ ও সেদিনের তার আত্ম চিৎকারে গভীর রাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায়।আমাদের মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সহ নানান জনের কাছে গিয়েছি কিন্তূ এপর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত বিচার পেলাম না।


২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট ভারতের কুচবিহার জেলার বিএসএফের ১৮১ সদর দপ্তরে অবস্থিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে ০৫ (সেপ্টেম্বর) সেই কোর্টে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১১ (সেপ্টেম্বর)  ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবার আশায় ভারত সরকারকে একটি পত্র দিয়ে জ্ঞাত করেন। ২০১৪ সালে ২২(সেপ্টেম্বর) পুনঃবিচার কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন কারণে তা একাধিকবার স্থগিত হয়ে যায়।


পরবর্তীতে ২০১৫ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্র ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চে আরও একটি ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করেন। ৩১(আগষ্ট) ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সেদেশের সরকারকে ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ্য রুপি প্রদানের অনুরোধ করেন ,এর জবাবে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম কে দায়ী করে বক্তব্য দেন। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় শুনানি দিন তারিখ পিছিয়ে গিয়ে একেবারে ২০২০ সালে ১৮ (মার্চ)শুনানির দিন ধার্য হয়ে আজ অবধি শেষ হয়নি সেই বিচার কাজ।


ফেলানী হত্যা মামলার তৎকালীন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য মানবাধিকার কর্মী, সাবেক পিপি এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার পাইনি,পেলে মানবাধিকার সুরক্ষার পথ আরও সুগম হতো।


এছাড়াও ২০১৩ সালের ২৭(সেপ্টেম্বর)ফেলানী হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ১ম বাদী ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলী ২য় বাদী হয়ে ভারতের আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় (ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার) সচিব এবং বিএসএফের মহাপরিচালক কে বিবাদী করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট নয়াদিল্লীতে ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ -৩২ অনুযায়ী একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে  ২১ (জুলাই) আবারও ফেলানীর বাবার জন্য অন্তবর্তী কালীন ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করেন।


এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালমা আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মামলাটি ভারতের নয়াদিল্লীর সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘদিন যাবত ঝুঁলে আছে।


এদিকে ফেলানী হত্যার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে ৭ (জানুয়ারি) কে ফেলানী দিবস ঘোষণা,হত্যার বিচার,তার পরিবার কে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ঢাকা শহরের উত্তর সিটি কর্পোরেশন বারিধারা পার্ক রোডের নামকরণ ফেলানী স্বরণী রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। এতদিন পার হয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটিও।

এবিষয়ে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিন মুঠোফোনে জানান,এবার তারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শুধু স্টিকার লাগাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন,৭ (জানুয়ারি) ফেলানী দিবস পালন সহ সারা বিশ্বে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে আমরা একটি লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছিলাম। পরবর্তীতে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের নিকট যে কোন রাষ্ট্রকে এবিষয়ে প্রস্তাব আনতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সে উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি।


আরও খবর