Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় দু'জনকে হত্যা' জড়ীত দু'জন আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় একজন ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে একাধীক আঘাত করে হত্যা'র পর মহাসড়কের ধারে জঙ্গলের ভেতর ফেলে যাওয়ার ঘটনায় হত্যার সাথে জড়ীত ট্রাক চালক ও চালকের সহকারি হেলপাড় কে আটক পূর্বক আটককৃতদের কাছে থেকে নিহত ব্যবসায়ীর ছিনতাইকৃত নগদ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ও হত্যা কাজে ব্যবহারীত হাতুড়ি জব্দ সহ আটককৃতদের দেখানো মতে স্থান থেকে ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ। অপরদিকে নওগাঁ জেলা সদর শহরে প্রকাশ্যে হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। এপৃথক দুটি হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে রবিবার পূর্বরাতে নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার নওগাঁ টু রাজশাহী মহাসড়কের ফয়েজ উদ্দিন কোল্ড স্টোরেজ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ও শনিবার দিনগত রাত ১০ টারদিকে নওগাঁ শহরের ইয়াদালীর মোড় নামক স্থানে। 

হাতুড়ির আঘাতে হত্যার শিকার ব্যবসায়ী হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের মৃত আলেফ এর ছেলে কংক্রিটের পোল ব্যবসায়ী মামুন হোসেন (৩৫) এবং হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত বিএনপি নেতা হলেন, নওগাঁ জেলা শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন (৫২)।

পুলিশ ও স্থানিয় সুত্রে জানাগেছে, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কুমরিয়া গ্রামের মৃত আলেফ এর ছেলে কংক্রিটের পোল ব্যবসায়ী মামুন হোসেন পূর্বের ন্যায় তার প্রতিবেশি একই গ্রামের দুলাল হোসেন এর ছেলে ট্রাক চালক সুমন হোসেন (২৫) এর ট্রাক যোগে শনিবার কংক্রিটের তৈরি পোল নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ যান এবং সেখানে বিক্রি করে ঐ ট্রাক যোগেই পূর্বের ন্যায় বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু রাত পেরিয়ে সকাল হওয়ার পরও ব্যবসায়ী মামুন বাসায় না ফেরায় এবং তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ট্রাকের চালক সুমন হোসেন ও হেলপাড় নওগাঁ সদর উপজেলার উল্লাসপুর গ্রামের সানাউল্লার ছেলে সুজিত হোসেন (২৬) এর সন্দেহজনক চলাফেরার কারনে মামুন এর পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে নওগাঁর সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় এর সার্বিক নির্দেশনায় নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও মহাদেবপুর সার্কেল এর নের্তৃত্বে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন সঙ্গীয় অফিসার পুলিশ ফোর্স সহ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে রবিবার বেলা ১১টারদিকে প্রথমে সন্দেহজনক ভাবে ট্রাক চালক সুমন ও হেলপাড় সুজিত কে নওগাঁ সদর উপজেলার জবার মোড় এলাকা থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা টাকা ছিনতাই করার জন্য ব্যবসায়ী মামুন কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা সহ মৃতদেহ সড়কের ধারে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দেওয়ার কথা শিকার করলে এসময় তাদেরকে আটক পূর্বক ছিনতাইকৃত ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা উদ্ধার সহ আটককৃতদের দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহারীত হাতুড়ি জব্দ সহ আটককৃতদের সাথে নিয়ে নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের আলু স্টোরেজ এলাকায় পৌছে রবিবার দুপুর ১টারদিকে তাদের দেখানো মতে সড়কের ধারের জঙ্গলের ভেতর থেকে ব্যবসায়ী মামুনের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি হেফাজতে নিয়েছেন।

মৃতদেহ উদ্ধার সহ জড়ীত ট্রাক চালক ও হেলপাড়কে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন প্রতিবেদক কে জানান, টাকা ছিনতাই করার জন্যেই ব্যবসায়ী মামুনকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আটককৃতরা পুলিশকে জানিয়েছেন। ইতি মধ্যেই ছিনতাইকৃত টাকা সহ হত্যায় ব্যবহারীত হাতুড়ি ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন সহ আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

অপরদিকে শনিবার দিনগত রাত ১০টারদিকে নওগাঁ শহরের ইয়াদালীর মোড় নামক স্থানে মুখোশধারী হেলমেট বাহিনীর আক্রমনে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কামাল হোসেন (৫২) নামে এক বিএনপি নেতা খুন হয়েছেন। নিহত কামাল হোসেন নওগাঁ শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নওগাঁ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। এছাড়া তিনি নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) নওগাঁ জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন বলেও জানা গেছে। স্থানিয় সুত্র জানায়, ঘটনার সময় সড়কের পাশে কামাল মোটরসাইকেলের উপর বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই মুখোশধারী ও মাথায় হেলমেট পড়া ৫ থেকে ৭ জন যুবক চাপাতি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় কামাল হোসেন কে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফায়সাল বিন আহসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা সহ আটকের জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ। এছাড়া ময়না তদন্তের পর স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল  হামিদ খান ভাসানীর ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।  

কর্মসূচিগুলোর মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে আজ ১৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল ৭টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ  ড. মোঃ সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,  কর্মকর্তা, কর্মচারি ও  শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতি, ভাসানী পরিষদ,  বঙ্গবন্ধু পরিষদ (অফিসার), বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ  এবং বিশ্ববিদ্যালয়  ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  

এছাড়াও সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ জুমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে  মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁ-৩ মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

সিনিয়র রিপোর্টার :দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর মনোনয়ন পত্র দাখিল এর শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নওগাঁ-৩ 'মহাদেবপুর-বদলগাছী' আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। স্ব স্ব প্রার্থীরা তাদের নেতা-কর্মী ও সমর্থক সহ মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে সোডাউন দিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। মনোনয়ন পত্র উৎসব মুখরভাবে দাখিল করায় এলাকায় নির্বাচনি আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে। 

১১ জন প্রার্থীর মধ্যে কেউ মহাদেবপুর ও বদলগাছী সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট, আবার কেউ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের নিকট মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

মনোনয়ন পত্র দাখিলকারিদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও নতুন মুখ সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী,

সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার (সেলিম), সাবেক এমপি ও সদ্য প্রয়াত ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী মাহফুজা আকরাম মায়া চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহ বাংলা চলচিত্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ও ইউটিউবার শামিনুর রহমান চিকন আলী এবং মাসুদ রানা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে, সোহেল কবির চৌধুরী তৃণমূল বিএনপি'র প্রার্থী হিসেবে, স্বপন কুমার দাস এনপিপির প্রার্থী হিসেবে, জাবেদ আলী বিএনএফ এর প্রার্থী হিসেবে, আলাল হোসেন জাকের পার্টির প্রার্থী হিসেবে, ডিএম মাহবুবুল মান্নাফ ও ফিরোজ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।


আরও খবর

১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে না আওয়ামী লীগ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




ইউটিউব দেখুন বিজ্ঞাপন ছাড়া

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। যেখানে আপনার বিনোদনের খোরাক মেটাতে পারেন খুব সহজেই। সিনেমা, গান, নাটক সব কিছুই রয়েছে এখানে। এছাড়া ইউটিউব থেকে অনেকেই মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।

তবে ইউটিউবে বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো ভিডিও দেখে শান্তি নেই। অনেকেই বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ করে রাখেন। তবে এখন এটি বিনামূল্যে আর করা যাবে না। ইউটিউব সবাই বিনামূল্যেই ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু সেই পরিষেবা পেতে গিয়ে গুচ্ছের বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে হয় ইউজারদের। যা এড়াতে চাইলেও সম্ভব হয় না। কেউ যদি সেই বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে চান, তাহলে তাকে মোটা টাকা দিয়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়।

অনেকেই বিজ্ঞাপন মুক্ত ইউটিউব ব্যবহার করার জন্য অনেকে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন। এই উপায়ে যেমন প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের জন্য টাকা খরচ করতে হয় না, তেমনই শান্তিতে ভিডিয়ো উপভোগ করা যায়। তবে সম্প্রতি এই ধরনের অ্যাড ব্লকারের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন অভিযান শুরু করেছে ইউটিউব।

সংস্থা জানিয়েছে, অ্যাড ব্লকারের ফলে সংস্থা আয়ে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। যে কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউটিউব। চলতি বছরের শুরু থেকেই অ্যান্টি-অ্যাড ব্লকার ক্র্যাকডাউন অভিযান শুরু করেছে সংস্থা। জানা গেছে, এই অভিযান আরও বড় আকারে নিতে চলেছে। যার ফলে ইউটিউবে কোনোভাবেই আর ব্যবহার করা যাবে না অ্যাড ব্লকার।


আরও খবর

CMOS(সিমোস) কি?এবং এর কাজের বর্ননা

শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩




বিএনপি এলে তফসিল পুনর্নির্ধারণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি একটা বড় দল, নির্বাচনের বাইরে আছে। তারা যদি অংশগ্রহণ করে, তফসিল পেছানোর সুযোগ রয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব এলে বিবেচনায় নেওয়া যাবে। তফসিল পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

২৪ নভেম্বর মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুন হলে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইসি কর্মকর্তা বলেন, আলোচনায় আমন্ত্রণ জানালে ২৬টি দল আসে, ১৮টি দল আসে না। কারা নির্বাচনে এলো আর কারা এলো না, এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এজন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪ এর মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন করার। ভোটাররা ভোট দিতে এলেই নির্বাচন সফল হবে।

ভোটারের অংশগ্রহণই হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটে জনগণ যদি যোগ দেয় তবে সেটাই অংশগ্রহণমূলক হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করা তো আমার ওপর নির্ভর করে না। দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।

নির্বাচনের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি। ওই সময়ে অনলাইন, আইপি টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন অপপ্রচার চালানো না হয়, সেদিকে সাংবাদিকদের নজর রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান। বলেন, আগামী নির্বাচনে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে, যা আগে ছিল না। ভোটের দিন নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক থাকবে, তবে গুজব ছড়ানো থেকে সাবধান থাকতে হবে। যদিও মূলধারার গণমাধ্যম এসব করে না।

সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবী চন্দ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রমুখ।


আরও খবর

সাত ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিলো নোয়াখালী

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




ঐতিহাসিক ১১ নং সেক্টরের ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

আজ ৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের কামালপুর রণাঙ্গন। পাক হানাদার বাহিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ করে। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সূচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ। 

জানা যায়,১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গন। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে । ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধীনে থাকা ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর রাজধানী ঢাকা দখলের সহজ ও একমাত্র পথ ছিল এটি। কামালপুর দখল হলেই ঢাকা দখল সহজ হয়ে যাবে এ কারনে পাক হানাদার বাহিনি ধানুয়া কামালপুরে শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলে ছিলো। পাকসেনাদের এই শক্তিশালী ঘাটির পতন ঘটানোর লক্ষ্যে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হানাদার পাকসেনাদের দফায় দফায় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। সব চেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৩১ জুলাই রাতে। সম্মুখ যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ ১৯৪ জন মুক্তিযুদ্ধা শহীদ ও শত্রু পক্ষের একজন মেজরসহ ৪শ ৯৭ জন নিহত হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার শেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হন এবং ১টি পা হারান। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনি হানাদার বাহিনির কামালপুর বিওপিতে আঘাত হানে। মাত্রাতিরিক্ত আর্টিলারি গোলা বর্ষণ করেও তেমন কোন ক্ষতি করা সম্ভব হয়নি। এর পর বিমান হামলার মাধ্যমে পাকিস্থান সেনা বাহিনির বিওপি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। শুরু হয় বিমান আক্রমণ। প্রতিটি মিশনের পর মেজর জেনারেল গিল পাক বিওপি কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান কে আত্বসর্মপণ করার জন্য একটি করে চিঠি পাঠান। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ৪ ডিসেম্বর শত্রু সেনা বিওপিতে প্রথম চিঠি নিয়ে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমদ বীর প্রতীক। চিঠিতে লেখা ছিল তোমাদের চারদিকে যৌথবাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। বাচঁতে চাইলে আত্মসর্মপণ কর, তা না হলে মৃত্যু অবধারিত। এই চিঠি পেয়ে অগ্নিমূর্তি ধারন করে পাকসেনা কমান্ডার আহসান মালিক। বশিরের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় আরেকটি চিঠি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুকে পাঠানো হয় পাকসেনা ক্যাম্পে। চিঠির জবাব না পাওয়ায় শুরু হয় চুড়ান্ত বিমান হামলা। অবস্থা বেগতিক দেখে অস্ত্রসহ পাক বাহিনির কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্বসমর্পন করতে বাধ্য হয়। হানাদার মুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গণ। মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কামালপুর মাঠে। এরপর থেকেই ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।


আরও খবর