Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে কলেজ পড়ুয়া ৩ বন্ধুর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ঈদের দিন বিষাক্ত মদপানে ৩ জন কলেজ পড়ুয়া বন্ধুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। খবর পেয়ে ঈদের দিন বৃহস্পতিবার দিবাগত ৮টারদিকে নওগাঁর মান্দা থানা পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নিহত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত ৩ জনের অপর আরেক বন্ধু গা ঢাকা দিয়েছে। হা ঢাকা দেওয়া বন্ধু হলেন মুক্তার হোসেন।

নিহত ৩ জন নওগাঁর মান্দা উত্তরা ডিগ্রি কলেজ এর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানাগেছে। নিহত ৩ জন হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন এর পাকুড়িয়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে শারিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (২২), পাকুড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে আশিক হোসেন (২২) ও প্রসাদপুর ইউনিয়ন এর দ্বারিয়াপুর গ্রামের  নেকবর আলীর ছেলে নাঈমুর রহমান ওরফে নিশাত (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মান্দা উপজেলার বিলউরাইল গ্রামের মাঠে ৪ জন যুবক এক সঙ্গে মাদপান করে। মদ পানের কিছু পরই তারা অসুস্থ হয়ে পরলে। তাদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ 

নেওয়ার পথে আশিক এর মৃত্যু হয়। অপর দু' জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আনন্দ কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার পূর্বেই পিন্টু ও নিশাতের মৃত্যু হয়েছে। 

এব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী প্রতিবেদক কে ৩ জনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্ত এর জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পস্তুতি চলছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাবে কিছু মন্তব্যসহ সম্মতি দিয়েছে লেবানন ও হিজবুল্লাহ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন। একে যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে গুরুতর প্রচেষ্টা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নবীহ বেরির সহকারী আলী হাসান খলিল বলেছেন, সোমবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের লিখিত জবাব জমা দিয়েছে লেবানন। হোয়াইট হাউসের দূত আমোস হোচস্টেইন বৈরুতে আলোচনা অব্যাহত রাখতে এসেছেন।

ইরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র বেরিকে সমর্থন দিয়েছে। খলিল বলেন, লেবানন ইতিবাচক পরিবেশে প্রস্তাবটির ওপর তাদের মন্তব্য তুলে ধরেছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের দেয়া সব মন্তব্যে জাতিসংঘের রেজোলিউশন ১৭০১-এর সুনির্দিষ্ট ধারাগুলো মেনে চলার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। খলিল মূলত ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে পাস হওয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৭০১-এর কথা উল্লেখ করেছেন।

এই প্রস্তাবে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত ও লিটানি নদীর (যা সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কি.মি উত্তরে অবস্থিত) মধ্যবর্তী এলাকায় হিজবুল্লাহর যেকোনো সশস্ত্র উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খলিল বলেন, এই উদ্যোগের সাফল্য এখন ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। যদি ইসরায়েল সমাধান না চায়, তাহলে তারা ১০০টি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, রেজোলিউশন-১৭০১ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। এই যুক্তি তুলে ধরতে তারা সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও অস্ত্রের উপস্থিতির কথা বলে আসছে। অন্যদিকে লেবানন ইসরায়েলকে তার আকাশসীমায় যুদ্ধবিমান উড়ানোর মতো লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম)

হেমন্তের বিদায় কালে ভোরের হালকা কুয়াশায় নিমজ্জিত সবুজ ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দু আর ঝরে থাকা শিউলি ফুলের মিষ্টি সৌরভ যেন পৌঁছে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ছাড়া যেন শীতের আমেজেই পাওয়া যায় না। শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে বসে সুস্বাদু খেজুরের রস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। শীতের আগমনী বার্তা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগাম খেজুরের রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার খেজুর গাছিরা।


কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য। কুড়িগ্রাম জেলার জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ খেজুর গাছ সংরক্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে না পারার কারণে এই অঞ্চলের খেজুর গাছ অনেকটা বিলুপ্তির পথে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা নলের গুড়,ঝোলা গুড়,দানা গুর মুটা গুড়, বাটালী গুড়ের মিষ্টি গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেত। খেজুর রসের পায়েস রসে ভেজা পুলি  পিঠা সহ-বিভিন্ন সুস্বাদ খাবারের তো জুরিই ছিল না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার এই সব সুস্বাদু ঐতিহ্য খেজুরের রস,গুড়। কিছুদিন আগেও গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছিল রাস্তার দুই ধারে কিংবা অধিকাংশ বাড়ির পুকুর পাড়ে সারি সারি ভাবে অসংখ্য খেজুর গাছ ছিল। খেজুর গাছগুলো কোন রকম পরিচর্যা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো। শীত মৌসুমে রস গুড় উৎপাদন করে কয়েক মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহ করেন গ্রামের অনেক খেজুর গাছির পরিবার। খেজুর গাছ সংকটের কারণে প্রতিবছরের মতো এবছর চাহিদা অনুযায়ী রস ও গুড় পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন ফুলবাড়ীর গাছিরা।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা মেলে সকালের মিষ্টি রোদে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটি চন্দ্র খানা গ্রামের হারান গাছি, খেজুর গাছের বুকচিরে রস সংগ্রহের প্রান্তিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি জানান,আমার নিজের কয়েকটি গাছ সহ-অন্যের প্রায় ৬০টির মতো গাছ লিজ নিয়েছি, এক সময় খেজুর রস ও গুড়ের জন্য হামার ফুলবাড়ী উপজেলার খ্যাতি ছিল। শীত কালে শহর থেকে মানুষ দলে, দলে ছুটে আসতো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য ওই সময় সন্ধ্যা কালীন গ্রামের পরিবেশটা খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠতো। শীতে খেজুর গুড় দিয়ে গ্রাম বাংলার সেই আলোচিত ভাপা পিঠা খাওয়ার যেন জুরি নেই।


সদর ইউনিয়নের চন্দ্র খানা কালির হাট এলাকার খেজুর গাছ মালিক মিজানুর রহমান জানান,গাছিদের তিন/চার মাসের জন্য চার থেকে পাঁচ কেজি গুরের বিনিময়ে গাছগুলো আমরা ভাড়া দেই। অনেক পুরোনো গ্রামীণ ঐতিহ্য যাতে বিলীন না হয় অনেকটা স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছি,বর্তমানে যে হারে খেজুর গাছ হারিয়ে যাচ্ছে একসময় গ্রামীণ ঐতিহ্য খেজুর গাছ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে খেজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের হাজার বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে আগামী প্রজন্মের জন্য ধরে রাখতে চাইলে খেজুর গাছ সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।


আরও খবর

আমাদের মফস্বল সাংবাদিকতা ও কিছু কথা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বামী কত প্রকার? ---- স্বামীপেডিয়া

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪




সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, শীতের সবজির

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

মৌসুমি বাহারি সব সবজিতে পরিপূর্ণ বাজার। তবে হাতের নাগালে নেই দাম। বাড়তি দরে পণ্য কিনতে কিনতে ত্রাহি দশা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।

রাজধানীর নয়াবাজার, রামপুরা বাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি বাজারে থরে থরে টাটকা নানা রকমের শীতকালীন সবজি সাজিয়ে রাখা আছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, সিম, বেগুনসহ নানা সবজি দেখা যায় খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তবে তুলনামূলক তেমন কোনো ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শিম, মুলা, বেগুনসহ বেশ কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। শীত বেশি এলে আরও কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিক্রেতারা।

গত সপ্তাহের ১০০ টাকার শিম ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ৬০ টাকার মুলা ৫০, শালগম ২০ টাকা কমে ১০০ থেকে ৮০ টাকা, আমদানি করা টমেটো ১০ টাকা কমে ১৫০, দেশি টমেটো ২০ টাকা কমে ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০, কম ঝাঁজালো কাঁচামরিচ ১২০, গোল বেগুন ১০ টাকা কমে ১০০, লম্বা বেগুন ৮০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো পেঁপে ৫০, গাজর ১৫০, করলা ৮০ থেকে ১০০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০, মিষ্টি কুমড়া ও পটল ৬০ ও ৮০ টাকা, কচুরমুখী ২০ টাকা বেড়ে ১০০, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙা, ধুন্দল ও শশা প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবুর হালি ১৫ থেকে ২৪ টাকা, পুঁইশাক ৩৫, পালং, লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রুকন বলেন, শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। ফলে শিম, বেগুন, কপি ও মুলার দাম কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে কচুরমুখীর দাম বেড়েছে। তবে আশা করা যায়, ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা শাহরিয়ার বলেন, এক মাস ধরে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ভেবেছিলাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সব সবজি চলে আসবে; কিন্তু দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ নাগালের বাইরে।

দেশের ইলিশের বাজার এখন অস্থির। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকায়। এ ছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩০০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৯০০ টাকা হারে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে অন্য মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

এদিকে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমলেও স্থিতিশীল রয়েছে অন্যান্য মাংস ও ডিমের দাম। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৭৫-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী হাকিম বলেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে দাম কমেছে। তবে ইতোমধ্যে বিয়ের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে; দাম কতদিন কম থাকবে বলা যাচ্ছে না। চাহিদা বাড়লে দামও বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে শুল্ক ছাড়ের এক মাস পর কমতে শুরু করেছে চিনি ও ডিমের দাম। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৯ কোটি ডিম আমদানির খবরে ৫ টাকা কমে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিম আমদানির পর থেকে আড়ত মালিকরা কমদামে ডিম বিক্রি করতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে চিনির আমদানিতে শুল্ক কমানোয় মিলে চিনির দাম কমেছে। ফলে বাজারেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ১৩০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও ৫ টাকা কমেছে এ পণ্যের দাম। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২৫ এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা। তবে নতুন আলু বাজারে এলেও দাম কমেনি এ পণ্যটির। আগের মতো পুরান আলু ৭৫-৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন আলু ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন পাইজাম ও আটাশ চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না আসায় বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।


আরও খবর

দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪




ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়: কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, যে মানুষটির (মওলানা ভাসানীর) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না, যে মানুষটির জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না আর পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। তার অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে। 

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় কাদের সিদ্দিকী বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতের বর্জন করে অস্বীকার করে এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চাই। তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরকেও রকম হতে হবে। মানুষ খুব আশা করেছিল কিন্তু গত তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পাই নাই। 

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-সন্তান পরিবার নিয়ে খেতে পারছে না ভালোভাবে। তারপরেও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পীরে কামেল এরকম অলি, এরকম জনগণের বন্ধু এই উপমহাদেশে খুব কম আছে। আমি আল্লার কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাকে যেন বেহেস্ত নসিব করেন। তার উসুলাই বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিতে রাখেন। 

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, যারা সরকার চালাচ্ছে তাদেরকে অনুরোধ করবো-তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন। ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন নয়, আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও নয়। এজন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। দেশের মানুষকে সম্মান করুন, অতীতকে সম্মান করুন। 


আরও খবর



নেপথ্যে পরকিয়া, নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে বাবা ও মেয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০২ ডিসেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

নওগাঁয় ট্রেনে কাটা পরে কোহেলী আক্তার (৯) ও তার বাবা কোরবান আলী (৩২) দু' জনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সারে ৯ টারদিকে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায়। পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে স্ত্রী এক যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোর কারনে অভিমানে বাবা কোরবান আলী তার মেয়ে কোহেলী আক্তারকে সাথে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন বলে ধারনা করছেন স্থানিয়রা। বাবা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মেয়ে ও বাবার মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য সোমবার বিকালে মর্গে প্রেরন করেছেন।

নিহত বাবা ও মেয়ে হলেন, নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মেয়ে কোহেলী আক্তার রাণীনগর আল-আমিন দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত কোরবান আলী একজন বাকপ্রতিবন্ধী মানুষ। সে কথা বলতে পারতো না এবং কানেও কম শুনতো। তার স্ত্রীর এক যুবকের সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ে এবং গত সোমবার পূর্বরাতে ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে সেই যুবকের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। শিশু সন্তান সহ স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ায় স্বামী কোরবান আলী

মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে। আজ সকালে কোরবান আলী তার মেয়েকে নিয়ে রাণীনগর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হোন। সকাল সারে ৯ টারদিকে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন চকের ব্রিজ এলাকায় পৌছালে সেখানে বাবা তার মেয়েকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যা করেছেন বলেই ধারনা করছেন স্থানিয়রা। স্থানীয়রা আরো জানান, রেল লাইনের উপর বাবা ও মেয়ের দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়া হয়। বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে সান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাবা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।


আরও খবর