Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় গাজরের বাম্পার ফলন,সারে ৩ কোটি টাকা বিক্রির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার:

নওগাঁর মান্দা উপজেলায় অনুকুল আবহাওয়া ও উন্নত মানের বীজের কারণে এবারে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দাম আশানুরুপ হওয়ায় সারে ৩ কোটি টাকার গাজর বিক্রির আশা করছেন কৃষকরা।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গাজর কন্দাল জাতীয় ফসল। নাতিশীতোঞ্চ আবহাওয়া এ চাষের জন্য উপযোগী। এবারে একটানা ঘন কুয়াশা ও দীর্ঘ মেয়াদী শৈত্য প্রবাহ ছিলো না। এ কারণে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। 

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে মান্দা উপজেলায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বিলকরিল্যা, কুসুম্বা, বাদলঘাটাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে এ ফসলের চাষ বেশি হয়ে থাকে। এ চাষ থেকে অন্তত ৭২ হাজার মণ গাজর উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য সারে ৩ কোটি টাকার উপরে। রবিবার নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ৯টি মেশিনের সাহায্যে গাজর পরিষ্কারের কাজ চলছে। গ্রামের গাজর চাষিরা খেত থেকে গাজর তুলে এসব মেশিনে পরিষ্কার করে নিচ্ছেন। পরে পাইকারদের কাছে দরদাম চুকিয়ে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। এদিন প্রকার ভেদে প্রতিমণ গাজর ৫২০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

উপজেলার বিলকরিল্যা গ্রামের কৃষক হানিফ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, এবারে আমি ১৫ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ করেছি। হালচাষ, সার-বীজ, কীটনাশক ও পরিচর্যা সহ প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। উৎপাদন হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ মণ করে। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় আমার ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

একই গ্রামের কৃষক আবুল বাশার বলেন, প্রতি বারের মতো এবারেও গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে ৯টি মেশিনের সাহায্যে গাজর পরিষ্কারের কাজ চলছে। এজন্য এক মণ গাজরে দিতে হচ্ছে ২৫ টাকা করে। প্রতিদিন এসব পয়েন্টে অন্তত ২ হাজার মণ গাজর প্রসেসিং করা হয়। এরপর ট্রাকে করে নওগাঁ, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, অনুকুল আবহাওয়ার কারণে এবারে গাজরের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদনের সঙ্গে বাজারে দামও ভালো। এবারে মান্দা উপজেলা থেকে সারে ৩ কোটি টাকার উপরে গাজর বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকেরা আশানুরুপ লাভবান হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ওএসডি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (ওএসডি) করা হয়েছে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলামকে। একই আদেশে দেশের আরো ২৮ জন সিভিল সার্জনকে ওএসডি করা হয়েছে।

রোববার (২ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সনজীদা শরমিন এতে স্বাক্ষর করেছেন।

ঝালকাঠিতে ২১ তম ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তা ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঝালকাঠি ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

এদিকে,  ওএসডি করা ২৯ সিভিল সার্জনকে আগামী ৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ মান্য না করলে ৯ মার্চ তারা স্টান্ডরিলিজ হয়ে যাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজাপুরে বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, কলেজছাত্র কারাগারে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির রাজাপুরে সহপাঠীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে কাজী ফাহাদ (১৮) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রবিবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা রাজাপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ ফাহাদকে গ্রেপ্তার করে।

পরে সোমবার (১০ মার্চ) তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ফাহাদ এবং ভুক্তভোগী তরুণী রাজাপুরের বড়ইয়া ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বর্তমানে ভুক্তভোগী ছাত্রী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহারে ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, সহপাঠী হওয়ার সুবাদে তার মেয়ে ও ফাহাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফাহাদ কৌশলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে তার মেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন এবং আইনের আশ্রয় নেন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বিয়ের প্রলোভনে সহপাঠীকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলার চার ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান :

ঝালকাঠির রাজাপুরের (রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের হলরুমে ১০ ই মার্চ সন্ধ্যায় রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের সকল সদস্যদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিম রেজা , সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল হক, সহ-সভাপতি ও জাগো নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক দৈনিক সরকার এর জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আল আমিন, দৈনিক নিউজ ২৪ টেলিভিশনের এর জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করীম, বাংলা টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু সায়েম আকন, দৈনিক বিবিসি নিউজ এর জেলা প্রতিনিধি মোস্তফা সিকদার, ৭১ বাংলার খলিলুর রহমান, দ্যা ডেইলি অবজারভার এর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম রাব্বি, দৈনিক অগ্রযাত্রার সহবার্তা সম্পাদক নবীন মাহমুদ, দৈনিক মফস্বল বার্তার রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ইয়াসিন খান, বিডি টুডেস এর রাজাপুর উপজেলা প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান, ফেইস দ্যা পিপল এর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাত বিশ্বাস প্রমুখ।


আরও খবর



রোহিঙ্গাদের খাবারে বরাদ্দ কমাল জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

চলতি মাসের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা জোগাড় করতে না পারলে ১ এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য খাবারের বরাদ্দ অর্ধেক কমানো হতে পারে। এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এর ফলে আগে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রতি মাসে মাথাপিছু যেখানে সাড়ে ১২ ডলারের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হতো, তা কমে দাঁড়াবে ছয় ডলারে।

এতে করে প্রতি বেলার খাবারের জন্য বরাদ্দ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ টাকা থেকে কমে হবে আট টাকা। পরিণতিতে আগে থেকেই বিদ্যমান খাদ্য সংকট এবং অপুষ্টি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টদের অভিমত, এমন উদ্যোগে কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর তাৎক্ষণিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে গতকাল বুধবার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তারা (রোহিঙ্গা) এখন যা পাচ্ছে, সেটাই যথেষ্ট নয়। নতুন করে বরাদ্দ কমে যাওয়ার পরিণাম কী হবে তা অকল্পনীয়।

রেশন কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল চিঠি দিয়েছে ডব্লিউএফপি। আগের দিন মৌখিকভাবে তা মিজানুর রহমানকে জানানো হয়েছিল। এমন একটি সময়ে ডব্লিউএফপি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডি’র অর্থায়ন বাতিল করেছে। জানুয়ারিতে এ বিষয়ক প্রাথমিক ঘোষণায় জরুরি খাদ্য ত্রাণকে আওতার বাইরে রাখার কথা বলা হয়েছিল।

মিজানুর রহমান জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে বরাদ্দ কমেছে কি না, সেটা ডব্লিউএফপি সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি। তবে তিনি জানান, রেশন কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ এটাই যে শরণার্থীদের সহায়তায় শীর্ষ দাতা দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র।

মিজানুর রহমানকে পাঠানো চিঠিতে ডব্লিউএফপি উল্লেখ করেছে, তারা রেশনের পরিমাণ সাড়ে ১২ ডলার অব্যাহত রাখার জন্য তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করেছে, কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে দাতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ডব্লিউএফপি বলেছে, আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি, শরণার্থীরা মানবিক ত্রাণের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। যার ফলে, শরণার্থী পরিবারগুলো তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে হিমশিম খাবে এবং শিবিরে অস্থিরতা বেড়ে যেতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারে সহিংসতার সময় পালিয়ে আসে।

গত বছরও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালেও মাসিক রেশন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছিল। সে সময় সেখানে ক্ষুধা ও অপুষ্টির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়।

কয়েক মাসের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারীরা সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান এবং ১৫ শতাংশেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভোগে। পরবর্তীতে রেশনের পরিমাণ আবারও আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হয়।

রোহিঙ্গাদের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রয়োজন হবে ৮১ মিলিয়ন ডলার। ডব্লিউএফপি’র বাংলাদেশ মুখপাত্র কুন লি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি মাসে ১৫ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার সেই তহবিল জোগাড় না হওয়ায় অর্থ সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে এ মাসের মধ্যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের তহবিল জোগাড় করা সম্ভব হলে, আগামী মাসেও একই হারে অর্থাৎ জনপ্রতি সাড়ে ১২ ডলার করে অনুদান দেওয়া সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের একটি মানবিক প্রকল্পে কাজ করেন এনজিওকর্মী জসিম উদ্দীন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রায় ৫০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই তহবিল কমানোর অর্থ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বিপর্যয় নেমে আসা। যার ফলে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীও প্রভাবিত হবে।

রোহিঙ্গারা যেসব খাবার পেয়ে থাকেন, তার মধ্যে আছে চাল, ডাল, পাঙ্গাস মাছ ও হাস-মুরগি প্রভৃতি। চাহিদার বিপরীতে এর পরিমাণ একেবারে ন্যূনতম।

জসিম উদ্দীন বলেন, চাকরির সুযোগ না থাকায় অনেক রোহিঙ্গা তরুণ শিবির থেকে কাজের খোঁজে বের হন। কেউ কেউ মাদক ও মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েন। আমার আশঙ্কা, খাদ্য সহায়তা সীমিত হয়ে পড়ায় রোহিঙ্গারা শিবির থেকে বের হয়ে এসে স্থানীয়দের জীবিকার উৎসগুলো দখল করার চেষ্টা করবে।

এ ব্যাপারে সরকারে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের উচিত শিগগির আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা।


আরও খবর

ঈদ ঘিরে সক্রিয় জাল নোট চক্র

সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫




ইসলাম প্রতিষ্ঠায় মা খাদিজা (রাঃ) অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ |

Image

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় খানকা শরীফে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া, বরুড়া আয়োজিত ইফতার ও মিলাদ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন ড. সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেন,"প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত মা খাদিজা (রাঃ) তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি। নবুয়্যতপ্রাপ্তি ও ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যে দুর্গম ও কণ্টকময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন, সে কঠিন মুহূর্তে তিনি সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে সবসময় মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর পাশে ছিলেন। উঁচু হেরা পাহাড়ের গুহার সেই বন্ধুর পথ তিনি প্রতিদিন পাড়ি দিতেন শুধুমাত্র রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি তার অসীম ভালোবাসার জন্য।"


সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন,"বিশেষত, ইসলামের বাণী প্রচারের সূচনালগ্নে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)  যখন কাফিরদের অত্যাচার ও বিদ্বেষের  তীরের আঘাতে জর্জরিত, তখন প্রেরণার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছিলেন মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি আত্নত্যাগের জন্যই তিনি লাভ করেছেন, 'উম্মুল মু'মিনীন' বা 'বিশ্বাসীদের মা' এর মহৎ মর্যাদা। তিনি নিজের সব ধন-সম্পদ ইসলামের প্রচারের লক্ষ্যে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কদম মুবারকে উৎসর্গ করেন। এত ধনী পরিবারের সন্তান হয়েও মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইসলামের জন্য তিনি রাজত্ব ছেড়ে দারিদ্র্যকে আলিঙ্গন করেছেন। প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাত্র ২৩ বছরে তৎকালীন বর্বর আরব জাতিকে ইসলামি চেতনায় উজ্জীবিত একটি মানবিক জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন অগণিত ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে। ১৪০০ বছর আগে তিনি যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, আজও তার অনুসরণে বিশ্ববাসী পাচ্ছে মুক্তির দিশা। আজ ইসলামের পতাকা বিশ্বের কোণে কোণে পৌঁছে গিয়েছে। আর এ অনন্য সফলতার পেছনে হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) এর অবদান অনস্বীকার্য। তার জীবনাদর্শ থেকে আমরা প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও ইসলামের প্রতি আমাদের ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত তার যেমন শিক্ষা পাই, তেমনি আদর্শ মা এবং দাম্পত্য জীবনকেও রঙিনভাবে সাঁজাতে পারি। যে দিক থেকেই বিশ্লেষণ করা হোক না কেন, হযরত মা খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দেদীপ্যমান নিদর্শন আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।

মাহ্ফিলে মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফের খলিফাবৃন্দ, বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম, আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়া ও মইনীয়া যুব ফোরামের নেতৃবৃন্দ এবং হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর