Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় গাঁজা সহ দু'জন কে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় মোটরসাইকেল যোগে অভিনব কায়দায় গাঁজা বহনকালে গাঁজা উদ্ধার সহ দু'জন কে আটক করেছে র‌্যাব।

নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার চকতাল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোটর সাইকেলে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা মাদক গাঁজা সহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী কে আটক করেন র‌্যাব। সত্যতা নিশ্চিত করে।

র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২টারদিকে নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার চকতাল এলাকা হতে ১ কেজি ৯শ' গ্রাম গাঁজা সহ বদলগাছী উপজেলার ঝালঘড়িয়া গ্রামের মৃত শাহজাহান আলী খান এর ছেলে সোহেল রানা (৩৪) ও সাহপুর গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে

মোঃ রিপন (৩৫) কে আটক করা হয়।

আটককৃত সোহেল রানা চিহ্নিত একজন মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়ী সোহেল সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে রিপন এর মাধ্যমে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করত বলেও জানান র‌্যাব। এব্যাপারে নওগাঁর বদলগাছি থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে পরিবেশ বিধিমালা লঙ্ঘন অপরাধে বন্ধ করা হয় অবৈধ ইটভাটা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৫ এপ্রিল 20২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

বাংলাদেশে পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ইটভাটা চালু করা অবৈধ এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ। হাইকোর্টের ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখের রায়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকলে ইটভাটা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং তা উচ্ছেদ করতে হবে। 

এই আদেশের পর থেকে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করছেন পরিবেশ অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি গ্রামে ফারুক সরদারের মেসার্স ষ্টার ব্রিকস নামের ইটের ভাটায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ইয়াসমিন। ভ্রাম্যমান আদালতে প্রসিকিউশন প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো.আমিনুল হক। 

গনমাধমে এতথ্য জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনজুমান নেছা বলেন, 'ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত-২০১৯) এর ৫ ধারা লংঘন করার অপরাধে প্রতিষ্ঠান মালিককে একলক্ষ টাকা নগদ জরিমানা করা হয়। একই সাথে ফায়ার সার্ভিসের মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে চুল্লীর আগুন নিভিয়ে ও কাঁচা ইট ধ্বংস করে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।


আরও খবর



ভারত যুদ্ধ চাইলে চূড়ান্ত জবাব দেবে পাকিস্তানও!

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে। ঘটনার পর থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দুদেশ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। এরই মধ্যে কয়েক দফায় কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে।

এ অবস্থায় ভারতকে একটি স্পষ্ট এবং জোরালো বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার কোনোরকম চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তানের দিক থেকেও চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

পাকিস্তানি গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল সদর দপ্তরে একটি বিশেষ কর্পস কমান্ডারদের বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির।

এরপরই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিরাজমান ভূ-কৌশলগত পরিবেশ নিয়ে একটি বিস্তৃত পর্যালোচনা করেছেন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, বিশেষ করে বর্তমান পাকিস্তান-ভারত অচলাবস্থা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা যাচাইয়ের উপর জোর দিয়েছেন তারা।

বৈঠকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের যেকোনো আগ্রাসন বা দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য নিজেদের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর অটল পেশাদারিত্ব, দৃঢ় মনোবল এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন সেনাপ্রধান। জেনারেল আসিম মুনির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেকোনও মূল্যে মাতৃভূমি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এছাড়া সকল ফ্রন্টে সতর্কতা এবং সক্রিয় প্রস্তুতি বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বের উপরও জোর দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান।

বৈঠকে জম্মু ও কাশ্মীরে (IIOJK) ভারতীয় নৃশংসতার তীব্রতা বাড়তে পারে বলেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডাররা। তাদের আশঙ্কা, পেহেলগাম হামলা ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাকে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে উঠেছে ভারত, যেমনটা ঘটেছিল ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর। ওই ঘটনার পরই ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর কেন্দ্রের শাসন চালু করে ভারত।

পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) বলছে, ভারতীয় সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোকে কার্যকরভাবে শ্বাস নেওয়ার স্থান তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ধরনের বিচ্যুত কৌশল কখনই সফল হবে না।

শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির প্রতি পাকিস্তানের অবিচল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপাশি পাকিস্তানি শীর্ষ কমান্ডারদের ফোরাম স্পষ্টভাবে বলেছে, যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার যেকোনও প্রচেষ্টার অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে এবং পাকিস্তানের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে যেকোনও মূল্যে সম্মান করা হবে।

একইসঙ্গে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ভারতীয় সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে দাবি করে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে ফোরামটি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।

এ ছাড়া সিন্ধু নদের পানি ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। স্পষ্ট ভাষায় তিনি ঘোষণা দেন, যেকোনো মূল্যে নিজের পানির অধিকার রক্ষা করবে পাকিস্তান। সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের জেরে ভারতকে হুমকি দেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোও। তিনি বলেন, সিন্ধু দিয়ে হয় পানি বইবে, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে।

পাকিস্তান প্রয়োজনে পারমাণবিক হামলার জন্যও প্রস্তুত আছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ ও রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আব্বাসি।

অন্যদিকে পেহেলগাম হামলায় জড়িত ও মদতদাতাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করব এবং এমন শাস্তি দেব, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সময় এসেছে সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার। ১৪০ কোটি মানুষের দৃঢ় সংকল্প সন্ত্রাসের মদতদাতাদের চূর্ণ করে দেবে।


আরও খবর



শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শিশুটির মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে আজকে নির্মমভাবে হতা করা হয়েছে। শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার আবারও সাক্ষী হলো দেশ।  

শিশুটির বাবারও আহামরি বয়স নয়। বড়জোর ৩০ হবে। এই লোক তার বড় ছেলে জিহাদকে একটি গ্যারেজে কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলো। নিহত ছোট শিশুটির নাম আবু বকর সিদ্দিকী। শিশু শ্রেনীতে পড়তো।  

মিরপুর-১১, বাউনিয়াবাদ, ডি ব্লক পোড়া বস্তি পেরিয়ে 'আলহামদুলিল্লাহ বাইক সার্ভিসিং সেন্টার'। এই গ্যারেজেই বড় ভাই জিহাদ কাজ করতো। 

শিশু আবু মাঝেমধ্যে এখানে স্কুল শেষে ভাইয়ের সাথেই থাকতো। বাইকে চড়ার বায়না করতো। শিশুর এই আচরণ  গ্যারেজ মালিকের চোখে দুষ্টুমি লেগেছে। ব্যাস শিশুর অপরাধ এইটুকুই। 

গ্যারেজের মালিক সুজন খান বড় ভাইকে পাউরুটি-চা আনার জন্য পাঠায়। আর এই ফাঁকে শিশু আবুবকরকে দুষ্টুমির শাস্তিসরূপ মলদ্বারে কর্মচারীদেরকে দিয়ে মেশিনের বাতাস প্রবেশ করায়। 

ফলাফল, মূহুর্তেই শিশুটির নাক মুখ দিয়ে খাবার বেরিয়ে যায় ও পায়ুপথ দিয়ে রক্ত। হাসপাতাল যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। 

এই ঘটনা ঘটানোর পর, হতাকারী শান্ত থাকেনি।

সমাধানের জন্য হতাকারী স্হানীয় রাজনৈতিক নেতাকে ধরেছে। তার মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য।  

সবশেষ তিনজনের মধ্যে মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আপনাদের মনে আছে কীনা জানিনা, এর আগেও ২০১৫ সালে খুলনায় রাকিব (১২) এবং ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে ইয়ামিন (১৩) নামের দুই কিশোরের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। ওই দুই কিশোর কারখানায় কাজ করত। 

এবং ২২ সালেও গাজীপুরে একই ঘটনা ঘটে ও একজন শিশু নিহত হয়। একই বছরে আরেক নারী শ্রমিককে এভাবে আহত করা হয়েছিলো।    

আমার চোখে, এতটুকু দুধের শিশুর প্রতি যারা সহিংসতা করে। এদেরকে আসলে আইনী সাজা দেওয়ার চেয়ে উপস্থিত সাজাই দেওয়া উত্তম। কারণ এসব নপুংসক মানুষ না। নরখোর। এদের বেঁচে থাকার অধিকার নাই। 

প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এই শিশুর হতাকারী তিনজনকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি যে বা যারা এখানে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শিশুর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। এদেরকেও আইনের আওতায় আনা হোক।

শিশু আবু বকর সিদ্দিকীর হতার বিচার চাই।


আরও খবর



জনসমর্থন নেই-এমন কাজ করলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ মে ২০২৫ |

Image

জনগণের সমর্থন নেই– এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ধীরে ধীরে অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্রকারীরাও সক্রিয় হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনসমর্থন নেই এমন কাজ দলের কেউ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রংপুর বিভাগের তিন জেলা– লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি।

তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারের ভয়ে কেউ যখন কথা বলতে সাহস পায়নি, তখন আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি। ৩১ দফা দেশ ও জাতির জন্য বাস্তবায়ন করতে হবে। রাজনীতিবিদসহ পেশাজীবীরা এটি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবেন। যে কোনো মূল্যে আমাদের সুদৃঢ় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে সব অর্জন ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী নিয়ে বহু রাজনীতি হয়েছে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে এ দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবের লক্ষ্যে। তিস্তা নদী ঘিরে প্রায় তিন কোটি মানুষের জীবনে প্রভাব পড়ে। কখনও অতিরিক্ত পানি, কখনও পানির তীব্র সংকট। খালখনন ও নদীশাসন আমাদের করতে হবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ সুবিধা এবং পানির সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বিএনপি সরকার গঠনের সুযোগ পেলে এ কাজ যে কোনো মূল্যে শুরু করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কৃষক যেন শুষ্ক মৌসুমে পানি ব্যবহার করতে পারে, বন্যার ক্ষতি থেকে মানুষ যেন রক্ষা পায়, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব।

কর্মশালায় নেতাকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আয়তনে বড় না হলেও জনসংখ্যার ভিত্তিতে একটি বড় দেশ। এ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি ও সংস্কৃতি, যা আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য। বিএনপি অতীতে ক্ষমতায় থাকাকালে সংস্কৃতি বিকাশে নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যাতে শিশুরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।

এর আগে সকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে কর্মশালা উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সাবেক তিন সংসদ সদস্য– রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দাবি না মানলে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ঘোষণা না আসলে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগর ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকের সামনে মহাসমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিল, ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করাসহ ছয় দফা দাবি পূরণের জন্য ঢাকা মহিলা পলিটেকনিকের সামনে মহাসমাবেশ এর ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমাবেশে কুমিল্লায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে বিভিন্ন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হোন। এ সময় তারা ৬ দফা দাবি পূরণে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে একত্রিত হোন শেরে বাংলানগর মহিলা পলিটেকনিক এর সামনে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলন যৌক্তিক। তবে তারা রাস্তায় থেকে যানজট তৈরি করতে চাচ্ছেন না। দীর্ঘ আট মাস ধরে আন্দোলন করলেও সরকার আমলে নিচ্ছেন না। তাদেরকে সরকার রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে তারা আর সময় দেওয়ার পক্ষে নয়। খুব শিগগিরই তাদের দাবি পূরণ করা না হলে আরও কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।


আরও খবর