Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় গৃহবধূর ঘরে যুবকের রাত্রী-যাপন, দু' জনকেই পুলিশে সোর্পদ

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় পরক্রিয়া সম্পর্কের অভিযোগে প্রবাসীর স্ত্রী সহ এক যুবককে আটক করে রেখে দিনভর ঘটনাটি মিমাংসার চালিয়ে অবশেষে আটককৃত প্রবাসির স্ত্রী ও যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। বুধবার দুপুরে পুলিশি জরুরী সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে গ্রামবাসি কর্তৃক আটক প্রবাসীর স্ত্রী ও যুবক কে ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনাটি ঘটেছে মহাদেবপুর উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাকলা গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম তার স্ত্রী এবং দু'জন মেয়েকে বাড়িতে রেখে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন। ইতি মধ্যেই তাদের বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

গ্রামবাসীর অভিযোগ, স্বামী আমিরুল ইসলাম প্রবাসে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী (৩৫) প্রতিবেশী মোজাম্মেল হকের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) এর সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরা একাধিকবার অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের দু' জনকে আটক করলে তারা ভুল শিকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু গ্রামবাসীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা নিয়মিত অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ফারুক আবারও ঐ প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ রাত্রী-যাপন করার পর সকাল সাড়ে ৬ টারদিকে গ্রামবাসীরা প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে তাদের দু'জন কে আটক করেন। এক পর্যায়ে গ্রামে মিটিং বসিয়ে দিনভর আলোচনা শেষে সমাধান না হওয়ায় বিকেলে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। 

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ পদক্ষেপ পক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



তামিমের কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ |

Image

কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বললেন, ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন থেকে যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সবগুলো করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং একটি স্টেন্ট করা হয়েছে। তামিম ইকবালের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে ঢাকার গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেখানেই তামিম সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়৷

কেপিজে হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজিব তামিম ইকবালের স্টেন্টিং কীভাবে করানো হয়েছে, সে আপডেট দেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে স্টেন্টিংটা খুব স্মুথলি ও এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ ওনার স্টেন্টিং করেছেন। ওনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। উনি যেমন ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিলেন, স্টেন্টিংয়ের পর ওনার ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, সময় লাগবে। ওনার জন্য আমরা সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আপনারা ওনার জন্য দোয়া করবেন। আমরা আশাবাদী উনি ভালো হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’

এর আগে সকালে বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচ চলছিল মোহামেডানের। টস করার পরই হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দলীয় কর্মকর্তা এবং সতীর্থদের বিষয়টা জানান। তখন বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে তার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দ্রুতই বিকেএসপির কাছাকাছি কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তামিমকে। চিকিৎসার জন্য একটি হেলিকপ্টারও বিকেএসপিতে আসে। কিন্তু হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থায় ছিলেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিইও তৌফিক বিন ইসমাইলসহ বিসিবি ও বিকেএসপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সবশেষে ডা. রাজীব বলেন, ‘বিকেএসপির ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই ওনারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন। ঢাকায় নিয়ে যাওয়াটা ব্যাপার নয়; কিন্তু ওই সময়টা এটেন্ড করতে না পারলে কি হতো বলা আসলে মুশকিল।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

ওয়াক্ফ আইন ঘিরে অতি সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে যে সহিংসতা ঘটল, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করে ভারত। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ৮ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মুসলিমদের সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

“বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সাথে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী এবং ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা, যেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য করা এবং সদ্গুণের পরামর্শ প্রদানের পরিবর্তে বাংলাদেশ যদি তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে, তাহলে আরও ভাল করবে।”

গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভা এবং পরের দিন উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় ‘সংশোধিত ওয়াক্ফ বিল, ২০২৫’। তারপর ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে আইনে পরিণত হয় সেই বিল এবং ৮ এপ্রিল তা কার্যকর হয়।

এদিকে আইন কার্যকর হওয়ার পরপরই ভারতের রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিমরা ও বিজেপিবিরোধী বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে আক্ষরিক অর্থেই রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছিল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলা। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘাতে মুর্শিদাবাদে ৩ জন সংবাদও পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ শতাধিক বিক্ষোভকারী। তবে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলার অবস্থা শান্ত।

আইন স্থগিতের দাবিতে ইতমধ্যে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে এবং দেশটির প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার বেঞ্চে বুধবার মামলার ওপর শুনানিও শুরু হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হওয়ার দিনই আইনটির কার্যকর হওয়ার সময় পিছিয়ে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।


আরও খবর



স্মার্ট কার্ড সেবা থেকে বঞ্চিত সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দিতে দেশের নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিতরণ কর্মসূচি শুরুর পর প্রায় সাড়ে আট বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্মার্টকার্ড পাননি সাড়ে ছয় কোটির মতো নাগরিক।

ইসির সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। এখন পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার নাগরিক। অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড হাতে পায়নি এমন ভোটারের সংখ‌্যা ৬ কোটি ৬৬ লাখ ১ হাজার ১৫৩ জন, যার মধ্যে বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২৭১টি।

২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। সে হিসাবে আট বছর পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সব নাগরিকের হাতে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে পারেনি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।

স্মার্ট কার্ড বিতরণে ধীরগতির কারণ জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের এখন প্রায়োরিটি কাজগুলো হচ্ছে আমরা যে ভোটার নিবন্ধন করছি সেটি সংশোধনের যেসব আবেদন করা হচ্ছে, সেগুলো নিষ্পন্ন করা এবং ইসির প্রতিদিনের যেসব কাজ থাকে সেটা। এসব কাজের কারণে আমরা কিন্তু স্মার্ট কার্ড বিতরণ করতে পারছি না। নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়ে গেলে তখন আমরা স্মার্ট কার্ড বিতরণে মনোযোগ দিতে পারব। এছাড়া সকলকে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার লক্ষে আমরা নতুন স্মার্ট কার্ড কেনার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছি।’

জানা গেছে, ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নাগরিকদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১১ সালে আইডিইএ (স্মার্টকার্ড) প্রকল্পটি হাতে নেয় কমিশন। তারপর দীর্ঘ চার বছর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে স্মার্টকার্ড তৈরির দিকে এগোয় সংস্থাটি। এক্ষেত্রে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিসের সঙ্গে ওই সময়ের ৯ কোটি ভোটারের জন্য নয় কোটি ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড তৈরি করে দিতে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি চুক্তি করে ইসি। যার মেয়াদ ছিল ১৮ মাস। কিন্তু মেয়াদ বাড়ানোর পরেও ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তিতে উল্লেখিত কার্ড সরবরাহ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে সে বছরের শেষের দিকে অবার্থারের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, অবার্থার ১ দশমিক ৫১ ডলার দরে ৭ কোটি ৭৩ লাখ কার্ড সরবরাহ করতে পেরেছিল। সেই মোতাবেক আগের ১ কোটি ২৭ লাখ নাগরিকের কার্ড ঘাটতি ছিল। এই কয়েক বছরে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। সব মিলিয়ে আরও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটির মতো ব্ল্যাংক কার্ড তৈরি এবং তাতে নাগরিকের তথ্য সংযুক্ত করে বিতরণে যেতে হবে। এজন্য ইতিমধ্যে আইডিইএ দ্বিতীয় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর ১ হাজার ৮০৫ কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে তিন কোটি কার্ড দেওয়ার কথা থাকলেও ডলারের দাম বাড়ায় ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০টি কার্ড দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি-বিএমটিএফ। অবশিষ্ট কার্ডগুলো প্রকল্পের মেয়াদ শেষে রাজস্ব খাত হতে ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে নতুন প্রকল্প থেকে কার্ড তৈরি ও বিতরণেও তেমন অগ্রগতি নেই। ১১৪ উপজেলার ভোটারের স্মার্টকার্ড ছাপানোই হয়নি বলে জানিয়েছেন অনেক কর্মকর্তা।

ইসির স্মার্ট কার্ড বিতরণের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত মোট স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়েছে ৮ কোটি ৬৭ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৩টি। বিতর‌ণ করা হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯২টি। আর বিতরণের অপেক্ষায় আছে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩ হাজার ২৭১ টি।

নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এনআইডির (স্মার্ট কার্ড) যে ব্লাংক কার্ড, এটা একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে। তিন কোটি কার্ড কেনার জন্য সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি হয়। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সেনাবাহিনী আমাদের দিতে পারছে না মর্মে চিঠি দেয়। পরে এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, তারা ১৭২ টাকা করে আমাদের কার্ড দেবে। কিন্তু সে সময় সেনাবাহিনী রাজি ছিল না। পরে এটা নিয়ে একটা ওপেন টেন্ডারে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। এরপর সেনাবাহিনী ১৭২ টাকা করে দিতে রাজি হয়। সে অনুযায়ী কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪০৬ কোটি টাকায় যতগুলো কার্ড হয় সেগুলো তাদের কাছ থেকে নেওয়ার।


আরও খবর



গোলার বাজার টু যাত্রাবাড়ি, বাস সার্ভিসের বৈষম্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক :

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে সকাল ৭টার পর নড়িয়ার গোলার বাজার থেকে প্রতিদিন শুধু মাত্র একটি বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। এতে আশেপাশের ঢাকাগামী মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফিরে এসেছিল কিন্তু এখানেও নিয়মিত চলছে বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতি। আমি এর মধ্যে একদিন সকাল ৬টার পর পরই বাসে গিয়ে উঠলাম যেন সামনের সিট পাওয়া যায়, সে আশায় ঘন্টাখানেক আগেই গেলাম কিন্তু দেখলাম ভিন্ন চিত্র। পুরো বাস ফাঁকা তিনজন যাত্রী দেখতে পেলাম তাও তারা পিছনের সিটে, সামনে সব গুলো ফাঁকা, বসতে চাইলেও বসতে দিলো না জাহাঙ্গীর নামক এক হেলপার নাকি কন্ট্রাকদার বুঝিনি। তবে চেহারা চিনি সব আমলেই দৌরাত্ম্য তার গাড়ি ব্যবসায়। যাইহোক বসতে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলে লোক আছে, পিছনে একটা সিট ছিলো কোনরকম বসে পরলাম, অপেক্ষায় ৭.১০ বেজে গেলো, ছবিটি এ সময়েই তোলা। এর মধ্যে অনেক লোক আসলো কিন্তু তাদের ফিরিয়ে দিলো যায়গা নেই বলে। সবাই হতাশ আর মন খারাপ করে চলে গেলো। কেউ কেউ আমার মতোই কারণ জেনে চুপ হয়ে গেলো। ৭ টা ২০ মিনিটে হুট করে দেখি আগে থেকে হাসপাতালের মতো বুকিং দেওয়া লোকজনে বাস ভরে গেলো এবং ছেড়ে গেলো। 

যাইহোক ঘটে যাওয়া বৈষম্য বললাম।  এমন ঘটনায় আমি যা দেখতে পেলাম তা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। গোলার বাজার, আশেপাশের দুটি ইউনিয়নের মানুষের বসবাস, এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করে, সবাই সবার পরিচিত কিন্তু বাস সার্ভিস যদি পরিচিতদের মধ্যে ভিআইপি তৈরি করে দেয় সেখানে বিভেদ সৃষ্টি হয়। যারা নিয়মিত ঢাকাগামী তারা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, সময় মতো বাসে গিয়ে কেও সিট না পাওয়া কিংবা ফিরিয়ে দেওয়া সেসব মানুষজন আর এ বাসে যাওয়ার জন্য আসবে না তারা পূর্বের হাল ই বেছে নিবে। নিয়মিত যাত্রীবাহী বাস কখনো আগে থেকেই বুকিং হয়ে থাকে না এতে জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার সাধারণ যাত্রী। 

পরিশেষে- যারা এখানকার মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ বাসটি চালু করেছেন তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন বলে আশাবাদী।  

নিয়ম করা যায়-আগে থেকে কোন বুকিং নয় সময়মতো বাস ছাড়বে সে অনুযায়ী যে যেখানে ফাঁকা পাবে সেখানে বসবে। বাস ভরে গেলো ছেড়ে যাবে। এতে সকলেই সুবিধাভোগ করগে পারবে বৈষম্য দুর হবে।


আরও খবর



যে ভুলে কমছে না পেটের চর্বি

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ২০ এপ্রিল ২০25 |

Image

শরীরের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমলে তা হৃদরোগ ও টাইপ টু ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।  
এ বিষয়টি অনেকেরই জানা।

তারপরেও অনেকেরই পেটে জমে যায় মাত্রাতিরিক্ত চর্বি। এটি কমানোর জন্য অনেকেই ব্যায়াম থেকে শুরু করে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে আনা পর্যন্ত অনেক ধরনের কাজই করেও কোনো সুফল পাননি। এর কারণ হিসেবে থাকতে পারে ভুল ডায়েটিং কিংবা ভুল শারীরিক অনুশীলনের মতো বিষয়। আজকের লেখায় থাকছে তেমনই কয়েকটি বিষয়, যা আপনার পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার দেহের নানা মাপকাঠি পরিবর্তিত হয় এবং এতে ওজনও বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষ বা নারী, উভয়েরই দেহের ওজন বাড়তে পারে।

* মধ্যবয়সী নারীদের মেনোপজের জন্য পেটে বাড়তি চর্বি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে ভালো খবর হলো, চিকিৎসকের সহায়তায় এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।

* অনেকেই বড় কোনো ব্যায়াম প্রোগ্রামের একাংশের ব্যায়াম করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি শুধু হৃৎপিণ্ডের জন্য ব্যায়াম করেন তাহলে তা পেটের চর্বি কমাতে ভূমিকা রাখবে না। এজন্য সঠিক ব্যায়াম করতে হবে। পেটের চর্বি কমানোর জন্য প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম বা ১২৫ মিনিট উচ্চমাত্রার নির্দিষ্ট ব্যায়াম করা যেতে পারে।

* আপনার কি অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? ক্র্যাকার্স, চিপস, পরিশোধিত চিনি, কোমল পানীয়, মিষ্টি খাবার ইত্যাদি আপনার পেটের চর্বি বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া খাবার যেমন ফলমূল, সবজি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার আপনার পেটে চর্বি জমা থেকে রক্ষা করবে।

* মানবদেহ সব ধরনের চর্বিতে একই আচরণ করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রায় দ্রবীভূত চর্বি (মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের চর্বি) গ্রহণ পেটের চর্বি বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে কিছু উদ্ভিদ, মাছ, সূর্যমুখী তেল ও অলিভ অয়েলে থাকা অদ্রবীভূত চর্বি ক্ষতিকর নয়। বরং সঠিকভাবে খেলে পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণেও এগুলো ভূমিকা রাখে। অবশ্য মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো খাবার খাওয়াই ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

* পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেকেই অল্পমাত্রায় শারীরিক অনুশীলন করেন। কিন্তু কিছুদিন অনুশীলনের পর কোনো উপকার পান না। এর কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত অনুশীলন। তাই শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে পেটের চর্বি কমানোর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে।

* আপনার পেটের চর্বি কমানোর সামান্য লক্ষণ দেখা গেলেই কি অনুশীলন বাদ দেন? ব্যায়াম পুরোপুরি সফল হওয়ার আগেই যদি আপনি অনুশীলন ছেড়ে দেন তাহলে এর ফলাফল ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া রয়েছে শুধু পেটের অনুশীলনের মতো কাজ করা। এক্ষেত্রে সারা দেহের জন্য সুষম অনুশীলন করা হতে পারে সঠিক উপায়।

* আপনার যদি কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা, সন্তান ইত্যাদি নিয়ে অতিরিক্ত চাপের মাঝে থাকতে হয় তাহলে তা পেটের চর্বি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য উপায় প্রয়োগ করার আগে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

* আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে তা দেহের ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর অন্যতম রূপ হতে পারে পেটের চর্বি বৃদ্ধি। এজন্য ব্যক্তিভেদে প্রতি রাতে সাত থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানোর প্রয়োজন হয়।

* অনেকের দেহের মাঝখানের অংশ বিশেষ করে পেট, থাই, উরু ইত্যাদি গঠনগত কারণেই মোটা থাকে। জেনেটিক কারণেই এমনটা হতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পেটের চর্বি কমানো কঠিন; তবে অসম্ভব নয়। এজন্য বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়।

* টেস্টোস্টেরোনের মাত্রার ওপর দেহের অনেক বিষয় নির্ভর করে। এ হরমোনটি দেহে উচ্চমাত্রায় থাকলে তা ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে।

* পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে উৎসাহের সঙ্গে অনুশীলন করার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি পেটের চর্বি কমাতে চান আবার সব উপায়গুলো ঠিকঠাক মেনে না চলেন তাহলে তা কোনো উপকারে আসবে না।


আরও খবর

স্নিগ্ধ সাজে নতুন বছরকে বরণ

বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫