Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় খাল ও নদীর পানিতে ডুবে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গোসল করতে গিয়ে খাল ও নদীর পানিতে ডুবে দু'জন শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে। এসময় অপর একজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চোঁয়াপুর ও শনিবার চকরাজাপুর গ্রামে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন (৬) নওগাঁর পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার কলমা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ও শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। অসুস্থ রিমা আক্তার (১০) একই গ্রামের জাহিদ হোসেনের মেয়ে। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন। অপরদিকে নিহত রিয়া মনি (১০) মান্দা উপজেলার চকরাজাপুর গ্রামের সুজাউদ্দৌলার মেয়ে ও চকরাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। শনিবার দুপুরে সমবয়সী দু'জন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে খালে গোসল করতে নেমে রিয়া মনি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খালের পানি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।  

নিহত মরিয়মের খালু আলমগীর হোসেন জানান, শালিকা রেজিয়া খাতুন তার মেয়ে মরিয়ম ও আরেক ভায়রার মেয়ে রিমাকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রবিবার সকাল ১০টারদিকে বাড়ীর পার্শ্বে শিবনদীতে গোসল করতে গিয়ে মরিয়ম পানিতে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে রিমাও ডুবে যায়। এসময় শিশু রায়হান ও মাহিমের চিৎকারে লোকজন নদীর পানি থেকে মরিয়ম ও রিমাকে উদ্ধার করলেও মরিয়মকে বাঁচানো যায়নি। অসুস্থ রিমাকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান বলেন, অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত দু'জন শিশুর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



আট মাসে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা জব্দ দুদকের

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দুর্নীতিবাজদের ধরপাকড়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার ক্ষেত্রে রেকর্ড সাফল্য দেখিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মাত্র আট মাসে দেশে ও বিদেশে অবস্থান করা দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, সরকারি অর্থ লোপাটকারী ও ঋণখেলাপিসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানা সিদ্দিকের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।

২০২৪ সালের পুরো সময়ে ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৬১ কোটি টাকা। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় তিন হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল আট মাসে সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

দুদকে দায়ের হওয়া বিভিন্ন দুর্নীতির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত আট মাসে (আগস্ট-মার্চ) আদালতের নির্দেশনায় এসব সম্পদ ক্রোক বা অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

আদালত ও দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের ভেতরে গত আট মাসে প্রায় ১২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদ ক্রোক করেছে দুদক। এ সময়ের মধ্যে আদালতের আদেশে ৭৭৩ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৩ টাকা অবরুদ্ধ করেছে সংস্থাটি। অন্যদিকে, দেশের বাইরে ১২০ কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার ৬৮ টাকা মূল্যের সম্পদ ক্রোক এবং ৪৫ কোটি ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৪১৯ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ১৯১ একর জমি, বিদেশে ৫৮২টি ফ্ল্যাট, দেশে ২৮টি বাড়ি, ৩৮টি ফ্ল্যাট, ১৫টি প্লট, ২৩টি গাড়ি, ২৩টি কোম্পানির আট লাখ ৮৮ হাজার ডলার, ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৪৮০ ইউরো, তিনটি কোম্পানি ও তিনটি জাহাজ। এছাড়া এক হাজার ১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৮১৭ কোটি ১৪ লাখ। অবরুদ্ধ করা হয়েছে আট হাজার ৭১৩ কোটি টাকার শেয়ার, ৬৬০ গ্রাম সোনা, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নয়টি বিও হিসাবে নয় কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা স্থিতি। ব্যাংক স্থিতি সাত লাখ ১৩ হাজার ডলার ও ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮০ ইউরো। সবমিলিয়ে গত আট মাসে ক্রোক ও অবরুদ্ধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকারও অনেক বেশি।

ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানা সিদ্দিকের পরিবারের সম্পদ, শিকদার গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ ও সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী-এমপি ও আমলা। আরও আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানসহ অন্তত শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘গত আট মাসে যে পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে তার পরিমাণ নিঃসন্দেহে বিপুল। এর আগে এত কম সময়ে এত পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার রেকর্ড নেই।’ এসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা সম্পদের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এটি নিয়ে কাজ করছে।’

সাধারণত আদালতের ভিন্ন কোনো নির্দেশনা না থাকলে ক্রোক বা অবরুদ্ধ করা সম্পদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করে দুদকের ব্যবস্থাপনা ইউনিট। ২০১৯ সাল থেকে কমিশনের স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট যাত্রা শুরু করে।

বর্তমানে ওই ইউনিটের অধীনে ২০২৪ সালে আদালতের আদেশে ১৭০ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৩৩ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ১১ হাজার ১৪০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে ২৮৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ ক্রোক এবং ১৩২ কোটি এক লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।

একইভাবে ২০২২ সালে ৫৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ২২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকা ও ২৭ হাজার ৯৫৪ মার্কিন ডলার অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২১ সালে ৩২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং এক হাজার ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৮০ টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (পাউন্ড, কানাডিয়ান ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার) অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২০ সালে আদালতের আদেশে ১৮০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৫২ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শীর্ষ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে ব্যাপক অর্থপাচার ও দুর্নীতির প্রমাণ পায় সংস্থাটি।


আরও খবর



দেশে নতুন ভোটার ৬৩ লাখ : ইসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৬৩ লাখের বেশি নাগরিকের তথ্য। অন্যদিকে মারা যাওয়ায় তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ২৩ লক্ষাধিক ভোটার।

শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের পরিচালক আব্দুল মমিন সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ৬৩ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৫৭; নারী ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ২৯৪ জন। তাদের মধ্যে ছবি তুলে ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৬১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মারা যাওয়ায় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ১১৭ জনের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭২, নারী ৯ লাখ ২২ হাজার ৭৮১ ও তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছেন ৩২৬ জন।

জানা যায়, নির্বাচন কমিশন গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ৫২২টি থানা/উপজেলার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করেছে। এ সময়ের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন, তারা অনলাইনে তথ্য পূরণ করে নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটার হয়েছেন।

সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন। হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী জুনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।


আরও খবর



চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন তাসকিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের বিমান ধরলেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াডে রাখা হয়নি তাকে। গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করায় তাকে চিকিৎসা করাতে যুক্তরাজ্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

রবিবার রাতে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাসকিন লেখেন, ‘আমি কিছুটা গোড়ালির ব্যথায় ভুগছিলাম, তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আমাকে এই সিরিজ (জিম্বাবুয়ে) থেকে বিশ্রাম দিয়েছে এবং একজন গোড়ালি বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাচ্ছে। বিসিবিকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব! আমাকে আপনারা দোয়ায় রাখবেন।’

বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ তাসকিন আহমেদ। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। একই কারণে চট্টগ্রাম টেস্টেও খেলা হচ্ছে না এই টাইগার পেসারের।

এর আগে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন ২৯ এপ্রিল তাসকিনের জন্য ইংল্যান্ডের এক চিকিৎসকের অ্যাপয়নমেন্ট নেওয়া হয়েছ। ফলে এর আগেই তিনি সেখানে থাকবেন। তাসকিনের সঙ্গে থাকবেন দেবাশীষও।


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টির মাঝে তাপমাত্রা বৃদ্ধির আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

সারাদেশ দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ ঝড় ও বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। 

সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বান্দরবান জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

সোমবার (১৯ মে) পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানায়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ। চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বুধবার (২১ মে) রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

 বৃহস্পতিবার (২২ মে) রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর



পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে এবং এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উত্তেজনা নিরসনসহ সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ভারত এখন সংঘাত এড়াতে নয় বরং পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে — এমনটাই জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মিরে হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পাশাপাশি দিল্লিতে অবস্থিত শতাধিক কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিত আলোচনা চালাচ্ছে।

তবে ভারতের এই প্রচেষ্টা মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে নয়, বরং (পাকিস্তানে) সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চারজন কূটনৈতিক কর্মকর্তা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক ভাষণে মোদি সরাসরি পাকিস্তানের নাম না নিলেও “সন্ত্রাসী আস্তানাগুলো ধ্বংস করার” এবং “কঠোর শাস্তি” দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় টানা কয়েক রাত ধরে ছোট অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হয়েছে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কেউ বলেছেন— গত তিন রাত ধরেই গোলাগুলি হয়েছে, আবার কেউ বলেছেন— গত তিন রাতের মধ্যে দু’রাতে গোলাগুলি হয়েছে।

অন্যদিকে কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। সেখানে শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের দিকে বয়ে যাওয়া নদীগুলোর পানিপ্রবাহ বন্ধ করার ঘোষণা দেয় ভারত। সেই সঙ্গে পাকিস্তানি দূতাবাসের কিছু কর্মী ও ভারতে সফররত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলো — বিশেষ করে কাশ্মির সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) যুদ্ধবিরতির চুক্তি — স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতে মুসলিম বিরোধী মনোভাবও বাড়ছে। কাশ্মিরের বাইরে অন্য শহরগুলোতে পড়াশোনা করা কাশ্মিরি শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হয়রানির মুখে পড়ছেন এবং অনেকেই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন।

এদিকে হামলার পাঁচ দিন পরও ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম ঘোষণা করেনি এবং হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার পক্ষে খুব কম প্রমাণ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার এই হামলায় নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

মূলত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানের অতীতের সন্ত্রাসবাদে সহায়তার ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তারা জানান, সর্বশেষ এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং হামলাকারীদের পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন কিছু প্রযুক্তিগত প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের মতে, এখন পর্যন্ত শক্ত প্রমাণের অভাব দুটি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়: হয় ভারত আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সময় নিচ্ছে, নয়তো বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে তারা মনে করছে— আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না দিয়েই পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।

অবশ্য ভারত ও পাকিস্তান — উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ হওয়ায় সামরিক সংঘাত দ্রুত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে। তবে বর্তমানে ভারতের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক চাপের “তোয়াক্কা অনেক কম”।

ইরান ও সৌদি আরব দুই পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় শক্তিগুলো এখন অন্য সংকট নিয়ে ব্যস্ত, ফলে ভারত অনেক দেশ থেকে “সমর্থন” পাওয়াকে কার্যত তার ইচ্ছামতো ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের বন্ধু হলেও দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান পরিস্থিতিতে কতটা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম তিন মাস পার হয়ে গেলেও এখনও ভারতে কোনও মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হয়নি। আর এটি দক্ষিণ এশিয়াকে ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকারের তালিকায় নিচে থাকার ইঙ্গিত দেয়।

এমনকি যদি যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য শক্তিধর দেশ এই সংঘাতে নিজেদের ঢুকিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে, তবুও তাদের প্রভাব সীমিত থাকতে পারে। কারণ ভারত ও পাকিস্তান ইতোমধ্যেই কাশ্মির নিয়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে। উভয় দেশই কাশ্মিরের সম্পূর্ণ অংশ দাবি করলেও তারা কার্যত একটি অংশ শাসন করে এবং নয়াদিল্লি এই বিরোধটিকে কেবল পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা হিসাবে দাবি করে থাকে।

মূলত ২০১৯ সালে হওয়া কাশ্মিরের আগের বড় সংঘাতের সময়ের মতোই এবারের হামলা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমিক প্রতিক্রিয়া একই রকম। তখন অবশ্য জইশ-ই-মুহাম্মদ নামের পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট ছিল।

সে সময় ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় এবং পরে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়ে একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। পরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভারতীয় ওই পাইলটকে আটক করে।

এবার ভারত “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনা করছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে। পাকিস্তানও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ভারতের যেকোনও আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তার চেয়ে বড় আঘাত হানবে তারা।

বিশ্লেষক ড্যানিয়েল মার্কির মতে, উভয় পক্ষই নিজেদের সংকট সামলানোর সক্ষমতা অতিরঞ্জিত করে দেখছে, ফলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এছাড়া, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার হামলাকারী দলের পরিচয় ও সংখ্যা নিয়েও যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়েছে। “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে কার্যত এক অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক দাবি, এটি আসলে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার ছায়া সংগঠন।

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন জানিয়েছেন, মোদি সরকারের জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই, কারণ ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছিল ভারত। মোদি সরকার একণ চাপের মধ্যে রয়েছে, কারণ তারা কাশ্মিরকে সম্প্রতি আরও নিরাপদ এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় একটি জায়গা হিসেবে উপস্থাপন করছিল, অথচ সেখানে বড় ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা দিয়েছে।

তবে মেনন বলেন, “আমি খুব একটা চিন্তিত নই কারণ, উভয় পক্ষই সংঘাতের একটি নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকতে পছন্দ করে।”

এখন পর্যন্ত পরিষ্কার প্রমাণ সামনে না এনেই ভারত পাকিস্তানের অতীতের “সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার” ইতিহাস তুলে ধরে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে অনেক কূটনীতিক একে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

একজন কূটনীতিক পর্যন্ত মন্তব্য করেছেন, “কেবল অতীতের রেকর্ডের ওপর নির্ভর করে কি আপনি পরমাণু অস্ত্রধারী প্রতিবেশীর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করবেন?


আরও খবর