Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

নওগাঁয় মাছ আহরণ দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর সাপাহারে ব্র্যাক এডাপটেশন ক্লিনিক এর জলবায়ু অভিযোজিত মাছ চাষ কর্মসূচির অধীনে 'মাছ আহরণ দিবস' অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৮ জানুয়ারি সকাল সাডরে ৯টায় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী মহজিদ পাড়া গ্রামের মৎস্যচাষী আব্দুর রহমানের পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরার মাধ্যমে এই মৎস আহরণ দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে মহজিদ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারী সকল মৎস্যচাষীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম হেড জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আবু সাদাত মনিরুজ্জামান খান, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি তৈসিফ আহমেদ কোরেশী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফাতেমা তুজ-জোহরা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এডাপটেশন ক্লিনিক এরিয়া ম্যানেজার ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান, সেক্টর স্পেশালিষ্ট কৃষিবিদ মোঃ মহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক প্রধান শিক্ষক মহজিদ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় অধিক খরা প্রবন। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ এই এলাকার জন্য একটি টেকসই সমাধান হতে পারে এই লক্ষ্যে এডাপটেশন ক্লিনিক এর সহযোগিতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি সাইজের পোনা ছাড়া হয়েছিল যা মাত্র ৪ মাসেই বাজারজাত করা সম্ভব হয়েছে। এর সাফল্য হিসেবে ৪০,০০০ হাজার টাকার পোনা মাছে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছে মাছচাষীগণ।


আরও খবর



বিশ্ব বাবা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুভূতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

‎মো. হৃদয় হোসাইন‎, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎পৃথিবীর অধিকাংশ ভালোবাসা উচ্চারিত হয় শব্দে, আবেগে, চোখের জল আর হাসিতে। কিন্তু কিছু সম্পর্ক আছে, যা প্রকাশিত হয় নিঃশব্দে—অভিনয়ের বাইরে, নিঃস্বার্থ আর নিরব ভালোবাসায়। এমনই এক সম্পর্ক—বাবা আর সন্তানের। বাবা, যিনি হয়তো আবেগপ্রবণ নন, কিন্তু তার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে, প্রতিটি পরিশ্রমে সন্তান থাকে সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

‎বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে  খোঁজার চেষ্টা করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস  সাংবাদিক মো. হৃদয় হোসাইন। 

‎বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো

‎বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো। আমি যখন হাঁটতে শিখিনি, তখনও তিনিই আমার পথের দিশারি ছিলেন। আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, কিন্তু এখনো কোনো সমস্যায় পড়লে প্রথম মনে পড়ে বাবার কথা। তার নীরব ত্যাগই আমার জীবনের ভিত্তি। বাবার অনুপ্রেরণায় আমি এতোদূর আসতে পেরেছি। বাবা নামটিই নিরব এক ভালোবাসার উচ্চারণ। 

‎তামান্না

‎শিক্ষার্থী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  

‎বাবা আমার ছায়ার মতো সঙ্গী

‎আমার বাবা কখনো আমাদের সামনে আসেন না, নিজের আবেগ প্রকাশ করেন না। কিন্তু যখন প্রয়োজন হয়, তিনি ঠিক আমার পেছনে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি হয়তো বলেন না ‘ভালোবাসি’, কিন্তু তার প্রতিটি কাজই সে কথাটাই বলে দেয়, আরও দৃঢ়ভাবে। বাবারা খুব একটা প্রকাশ করেন না। তারা ফুলের তোড়া, কার্ড বা স্ট্যাটাসের ভাষায় নিজেদের ভালোবাসা বোঝাতে পারেন না। কিন্তু তাদের নিঃশব্দ পরিশ্রম আর ছায়ার মতো উপস্থিতিই সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় আশ্রয়।

‎ মীর মাহফুজারা রহমান

‎শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

‎আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি

‎বাবা হচ্ছেন আমার আত্মবিশ্বাসের উৎস। যেকোনো ব্যর্থতায় আমি যখন ভেঙে পড়ি, তিনি খুব অল্প কথায় আমাকে আবার নতুন করে দাঁড়াতে শেখান। জীবনে বহুবার হেরেছি, কিন্তু বাবার মুখটা মনে করে আবার উঠে দাঁড়িয়েছি।

‎রাকিবুল বাপ্পি

‎শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

‎বাবা হলেন আমার প্রথম শিক্ষক ‎

‎বাবা শুধু  আমার অভিভাবক নন, আমার জীবনের শিক্ষকও। তিনি শিখিয়েছেন কীভাবে সম্মান করতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়, মানুষ হতে হয়। এখন বুঝি, তার শাসনের আড়ালে ছিল অগাধ ভালোবাসা। বিশ্ব বাবা দিবসে বাবাকে বলতে চাই, বাবা, আপনি আমাদের জীবনের নায়ক। আপনার অবদান কোনো দিবসে সীমাবদ্ধ নয়, তা আমার প্রতি নিঃশ্বাসে জড়িয়ে থাকে।

‎মো: ইথারুল ইসলাম‎, শিক্ষার্থী, বুয়েট


আরও খবর



সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর বিধি জারি

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর উপস্থিতি বিধি জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন থেকে অফিস সময় শেষ হওয়ার আগে অর্থাৎ বিকাল ৫টার পূর্বে কেউই দপ্তর ত্যাগ করতে পারবেন না।

অফিস চলাকালীন দাপ্তরিক বা জরুরি প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে বাইরে বের হতে নিজ অনুবিভাগের প্রধানের অনুমতি নিতে হবে।সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ এর তফসিল অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রক্ষিত অফিস ত্যাগের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে অফিস ত্যাগ করতে হবে।

গত ২৩ জুন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ (বিচার শাখা-৫) থেকে এ-সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।

ওই বিধিমালায় বলা হয়, সরকারি অফিসে যে কাজ করা যাবে না তা হলো, বিনা অনুমতিতে কর্মে অনুপস্থিতি; বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগ; বিলম্বে অফিসে উপস্থিতি থাকা যাবে না। সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কর্মদিবসে সকাল ৯টার মধ্যে নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিত থাকতে হবে। বর্ণিত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, অফিস ত্যাগ, বিলম্বে অফিসে উপস্থিত হলে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা, ২০১৯ ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিয়ম না মানলে কী শাস্তি হতে পারে, তা-ও বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সরকারি অফিসে দেরিতে গেলে বেতন কাটা বা ছুটি বাতিল হতে পারে। এছাড়া একাধিকবার দেরি হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। সরকারি কর্মচারী (নিয়মিত উপস্থিতি) বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, দেরিতে অফিসে আসার কারণে বেতন কাটা অথবা বরাদ্দকৃত ক্যাজুয়াল লিভ থেকে কর্তন করা হতে পারে।যদি কোনো সরকারি কর্মচারী যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দেরিতে অফিসে আসেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।একাধিকবার দেরিতে আসলে ৭ দিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নেওয়ার বিধানও রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যগামী সব ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আশঙ্কায় কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং বাহরাইন সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে ঢাকা থেকে এসব গন্তব্যে পরিচালিত সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) মধ্যপ্রাচ্যের এই চারটি দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক যৌথ ঘোষণায় জানিয়েছে, নাগরিক, অধিবাসী ও ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে আগমন ও বহির্গমন—দুই ধরনের ফ্লাইটই স্থগিত থাকবে।

সোমবার মধ্যরাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ থেকে দোহা, দুবাই, আবুধাবি, কুয়েত ও বাহরাইনগামী যাত্রীদের ওপর। ঢাকা থেকে পরিচালিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস- বাংলা এয়ারলাইন্স, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ফ্লাইদুবাই, কুয়েত এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ারসহ বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জানায়, এ অবস্থায় নির্ধারিত যাত্রার আগেই এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আপডেট পাওয়া মাত্র যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে সোমবার রাতে কাতারের মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান। এরপর একে একে দেশগুলো তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়।


আরও খবর



নওগাঁয় লাগাতার অভিযানের কারণে কমতে শুরু করেছে চালের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০২ জুলাই 2০২5 | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় গত এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই খোলা বাজারে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ৫-৬ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। এতে করে নাভিশ্বাসে পড়ে খেটে খাওয়া দিন-মজুর শ্রেণির ক্রেতা ও সাধারণ ভোক্তারা। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে নওগাঁ জেলার অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, জেলা খাদ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর যৌথ অভিযান শুরু করে। চলমান লাগাতার অভিযানের কারণে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে খোলাবাজারে চালের দাম প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা করে কমতে শুরু করেছে। এতে করে খেটে খাওয়া শ্রেণির দিনমজুর মানুষদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবুও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ মজুতদারদের মজুত না রেখে দ্রুতই বাজারে চালের সরবরাহ ও সকল পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার কাজ চলমান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ ওবাইদুল ইসলাম।

সোমবার বিকেলে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন চাউল কল ও চাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ত্রিমোহনী হাট এলাকায় ধানের চাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করে অন্যকে ভাড়া প্রদান করায় এবং বরাদ্দের চেয়ে বেশি সময় ধরে ধান মজুত রাখার অপরাধে মেসার্স অনিক চাউলকে ৫ হাজার টাকা এবং কুবরাতলী মোড়ের মেসার্স মোল্লা এন্ড সন্স রাইচ মিলকে অতিরিক্ত সময় ধরে বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত ধান মজুত রাখার অপরাধে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া চাতালগুলো অন্যকে ভাড়া দেওয়ায় প্রকৃত মালিকদের সতর্কতা প্রদান করা হয়।

উপজেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোঃ মকলেছুর রহমান বাবু জানান এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাতাল মালিকরা ধান থেকে চাল বের করতে পারেননি। তারপরও যারা সরকারের নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ ভাবে মজুতদেও মাধ্যমে ধান-চালের কারবার কওে আসছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে এই ধরণের অভিযানের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকেও সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। আগামীতেও এই ধরণের কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত রাখার পরামর্শ প্রদান করেন এই সভাপতি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান যারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ধানের চাতাল পরিচালনা করে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। যারা বিভিন্ন বাহানায় অবৈধ মজুত বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের বাজারকে অস্থির করার চেস্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান রাখা হবে। এমন অভিযানে অন্য যারা সতর্ক হবেন না পরবর্তিতে অভিযান চালিয়ে সেই সব ধানের চাতাল ও মিল জব্দ করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক যতদিন না খোলা বাজারে চালের দাম একটি সহনীয় পর্যায়ে না আসছে এবং চালের বাজারে স্থিতিশিল অবস্থা ফিরে না আসছে ততদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




রাসূল সম্পর্কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আক্বিদা!

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

শাহ্সূফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী :

১.মহান আল্লাহ রাসূল (ﷺ) কে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেনঃ

রাসূল (ﷺ) এর নূর সম্পর্কে কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন স্থানে ➤ সূরা মায়েদা  আয়াত ১৫, সূরা তাওবাহ, ৩২ আয়াত, সূরা নূর,৩৫,  সূরা ছাফ, ৮, সুরা আহযাব, ৪৫-৪৬ এবং অসংখ্য হাদিসে পাকে রয়েছে। 

তন্মধ্যে হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু কর্তৃক রাসূল (ﷺ) কে সর্বপ্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাসূল (ﷺ) বলেন,-

فَقَالَ: يَا جَابِرُ! إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ قَبْلَ الأَشْيَاءِ نُورُ نَبِيِّكَ مِنْ نُورِهِ، فَجَعَلَ ذَلِكَ النُّورِ يَدُورُ بِالْقُدْرَةِ حَيْثُ شَاءَ اللَّهُ، وَلَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ لَوْحٌ وَلا قَلَمٌ وَلا جَنَّةٌ وَلا نَارٌ وَلا مُلْكٌ وِلا سِمِاءٌ وَلا أَرْضٌ وَلا شَمْسٌ وَلا قَمَرٌ وَلا جِنِّيٌ وَلا إِنْسٌ.


‘‘অতঃপর রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন হে জাবের! নিশ্চয় আল্লাহ তা‘য়ালা সবকিছুর পূর্বে তার স্বীয় নূর হতে তোমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। তখন লওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম.....কিছুই ছিল না।’’  

☞ইমাম আবদুর রায্যাক, আল-মুসান্নাফ (জুযউল মুফকুদ): ১/৬৩, হাদিস-১৮, (ঈসা মানে হিমইয়ারা সংকলিত), আল্লামা আজলুনী : কাশফুল খাফা: ১/৩১১ পৃষ্ঠা, হাদিস/৮১১, আল্লামা কুস্তাল্লানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া: ১/১৫, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, আল্লামা জুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব: ১/৮৯, আশরাফ আলী থানবী, নশরুত্ত্বীব :  পৃষ্ঠা, ২৫, আব্দুল হাই লাখনৌভী, আসারুল মারফূআ, ৪২-৩৩ পৃষ্ঠা, ইবনে হাজার মক্কী, ফতাওয়ায়ে হাদিসিয়্যাহ, ৪৪ পৃষ্ঠা, ও (শামেলা),  শায়খ ইউসুফ নাবহানী, হুজ্জাতুল্লাহিল আলামিন: ৩২-৩৩ পৃষ্ঠা, ও জাওয়াহিরুল বিহার, ৩/৩৭ পৃষ্ঠা, আনোওয়ারে মুহাম্মাদিয়্যা, ১৯ পৃষ্ঠা, মোল্লা আলী ক্বারী, মাওয়ারিদুর রাভী, ২২ পৃষ্ঠা, এ হাদিস এবং এ  বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম খন্ডের ২৯৩-৫৭৪  পৃষ্ঠা, দেখুন।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَمَّا خَلَقَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ آدَمَ خَيَّرَ لِآدَمَ بَنِيهِ، فَجَعَلَ يَرَى فَضَائِلَ بَعْضِهِمْ عَلَى بَعْضٍ، قَالَ: فَرَآنِي نُورًا سَاطِعًا فِي أَسْفَلِهِمْ، فَقَالَ: يَا رَبِّ مَنْ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا ابْنُكَ أَحْمَدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخَرُ وَهُوَ أَوَّلُ شَافِعٍ -

‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যখন আল্লাহ তা‘য়ালা হযরত আদম (عليه السلام) কে সৃষ্টি করলেন, তখন তাকে তার সন্তান-সন্ততি দেখালেন। হযরত আদম (عليه السلام) তাদের পারস্পরিক শ্রেষ্ঠত্ব নিরীক্ষা করতে থাকেন। অবশেষে তিনি একটি চমকপ্রদ নূর দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে পরওয়ারদিগার! এ কার নূর? আল্লাহ তা‘য়ালা বললেন, এ তোমার আওলাদ হবে, তার নাম আসমানে আহমদ। যিনি (সৃষ্টিতে) প্রথম এবং তিনি প্রেরণে (নবীদের) শেষ। তিনি সর্বপ্রথম শাফায়াতকারী।’’  

☞ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ৫/৪৮৩  পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, ইমাম সুয়ূতী : খাসায়েসুল কোবরা : ১/৭০  পৃষ্ঠা, হাদিস : ১৭৩, ইমাম ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৭/৩৯৪-৩৯৫  পৃষ্ঠা,দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ইমাম যুরকানী : শরহুল মাওয়াহেব, ১/৪৩  পৃষ্ঠা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, মুত্তাকী  হিন্দী : কানযুল উম্মাল : ১১/৪৩৭ পৃ, হাদিসঃ ৩২০৫৬, আবু সা‘দ নিশাপুরী, শরফুল মুস্তফা, ৪/২৮৫ পৃষ্ঠা, কুস্তালানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ১/৪৯ পৃষ্ঠা, দিয়ার বকরী, তারীখুল খামীস, ১/৪৫ পৃষ্ঠা, সার্রাজ, হাদিসাহ, হাদিসঃ ২৬২৮, ইবনে হাজার আসকালানী, আল-মুখাল্লিসিয়্যাত, ৩/২০৭ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ২৩৪০, সালিম জার্রার, আল-ইমা ইলা যাওয়াইদ, ৬/৪৭৮ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৬০৮৩।


তাই প্রমাণিত হল যে বাবা আদম (عليه السلام)ও আমাদের নবীজিকে নূর হিসেবেই জানতেন। আহলে হাদিসদের ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী (১৯৯৯খৃ.) এ সনদটি প্রসঙ্গে লিখেন-


قُلْتُ: وَهَذَا إِسْنَادُ حَسَنٌ؛ رِجَالُه كُلُّهُمْ ثِقَات رجال البخاري؛


‘‘আমি (আলবানী) বলছি, এই হাদিসের সনদ ‘হাসান’ , ইহার সকল বর্ণনাকারীগণ ইমাম বুখারী (রহ.) এর বর্ণনাকারী ন্যায়।’’

☞আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসুদ দ্বঈফাহ, হাদিস নং  ৬৪৮২।


আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) তাঁর তাফসীরে সুরা যুখরুফের ৮১ নং আয়াত-


 قُلْ إِنْ كَانَ لِلرَّحْمَنِ وَلَدٌ فَأَنَا أَوَّلُ الْعَابِدِينَ


‘‘হে হাবিব! আপনি বলুন দয়াময় আল্লাহর যদি কোন সন্তান হতো তাহলে ইবাদাতকারীদের মধ্যে আমিই সর্ব প্রথম তার ইবাদত করতাম।’’ এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) একটি হাদিস উল্লেখ করেন এভাবে-

قَالَ جَعْفَرْ الصَادِقْ رَضِى الله عَنْهُ أَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِ مُحَمَّد صلى الله عليه وسلم قَبْلَ كُل شىء

'‘হযরত ইমাম জাফর সাদেক (رضي الله عنه) বলেন, সকল কিছুর পূর্বে আল্লাহ ‘নূরে মুহাম্মাদী’ কে সৃষ্টি করেছেন।’’

☞ইসমাঈল হাক্কী : রূহুল বায়ান : ৮/৩৯৬  পৃষ্ঠা,

সুরা যুখরুফ, আয়াত ৮১।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকায়েদের ইমাম আবুল হাসান আশ‘আরী (رحمة الله) বলেন-

اِنَّهُ تَعَالٰى نُوْرٌ لَيْسَ كَالْاَنْوَارِ وَ رُّوْحُ النَّبُوْيَّةُ القُدْسِيَّة لُمْعَةُ مِنْ نُوْرِهِ وَالْمَلاَئِكَةٌ اشرار تِلْكَ الْاَنْوَارِ وَقَالَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى وَمِنْ نُوْرِى خَلَقَ الله كُلِّ شّئٍ-

‘‘আল্লাহ তা‘য়ালা নূর, তবে অন্যান্য নূরের মতো নন। আর নবী করীম (ﷺ) এর রূহ মোবারক হচ্ছে তাঁর নূরের ঝলক। আর ফেরেশতাগণ হচ্ছেন তাঁর নূরের শিখা। হুযুর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আমার নূরকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমার নূর থেকে আল্লাহ প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছেন।’’  

☞ইমাম মাহদী আল ফার্সী : মাতালিউল মাসার্রাত : ২১  পৃষ্ঠা, মাতবায়ে মাকতুবায়ে নূরীয়া, পাকিস্তান, শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার, ২/২২০  পৃষ্ঠা, মারকাযে আহলে সুন্নাহ বি বারকাতে রেযা, গুজরাট।


তাই বুঝা গেল, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ইমামের আক্বিদা রাসূল (ﷺ) নূরের সৃষ্টি। যারা এ আক্বিদায় বিশ্বাসী নয়, তারা কি করে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী বলে দাবি করেন? রাসূল (ﷺ) ‘র সৃষ্টি নূরের এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ এর ১ম খন্ডের ২৯৩-৫৭৪  পৃষ্ঠা দেখুন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে আসবে।


২. রাসূল (ﷺ) হযরত আদম (عليه السلام)‘র বহু আগেই সৃষ্টি, যদিও প্রেরিত হয়েছেন সকল নবির শেষে 


এ প্রসঙ্গে ‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) নিজেই ইরশাদ করেন-


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله تعالى عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُنْتُ أَوَّلَ النَّبِيِّينَ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ-

‘‘আমি ছিলাম সৃষ্টিতে নবিগণের সর্বপ্রথম এবং প্রেরণে নবীগণের সর্বশেষ।’’  


☞ ইমাম আদী : আল কামিল : ৩/৩৭৩  পৃষ্ঠা, দায়লামী : ফিরদাউস বিমাসুরিল খিতাব : ৩/২৮২ পৃ  হাদিস : ৪৮৫০, দায়লামী : ফিরদাউস বিমাসুরিল খিতাব : ৪/৪৪১ পৃ  : হাদিস : ৭১৯৫, আযলূনী : কাশফুল খাফা : ২/১১৯ পৃ   : হাদিস : ২০০৭, ইমাম বগভী : মা‘লিমুত তানজিল : ২/৬১১ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৬৮০, ইবনে কাসীর : তাফসীরে ইবনে কাসীর : ৬/৩৮২ পৃষ্ঠা,ও সিরাতে নববিয়্যাহ, ১/২৮৯ পৃষ্ঠা, ১/৩১৮ পৃষ্ঠা, সুয়ূতি : খাসায়েসুল কুবরা : ১/৫ হাদিস : ১, আবু নুয়াইম ইস্পাহানী : দালায়েলুন নবুওয়াত : ১/৪২  পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩, আবি হাতেম : আত্ তাফসীর : ৯/৩১১৬ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ১৭৫৯৪, মুত্তাকি হিন্দী কানযুল উম্মাল : ১১/৪৫২ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩২১২৫, তাবরানী, মুসনাদিস্-শামীন, ৪/৩৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ২৬৬২, মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন।


এই হাদিসটি এক সূত্রে সহীহ, আরেকটি সূত্রে ‘হাসান’ পর্যায়ের।


قَالَ  قَتَادَةُ : إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:كُنْتُ أَوَّلَ الْأَنْبِيَاءِ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ


'‘হযরত কাতাদা (رحمة الله) হতে সহীহ সনদে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূলে করীম (ﷺ) ইরশাদ করেন : আমি সৃষ্টিতে নবীদের প্রথম এবং প্রেরণের দিক দিয়ে সবার শেষে।’’

☞শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৬৬পৃ, ইবনে সা‘দ : আত্-তবকাতুল কোবরা : ১/১৪৯  পৃষ্ঠা, ইমাম বগভী : তাফসীরে মা’লিমুত  তানযিল : ৪/৪৩৫পৃ, ইমাম তবারী : তাফসীরে তবারী : ১০/২৬২, তিনি বলেন হাদিসটির সনদ সহীহ, দায়লামী : মুসনাদিল ফিরদাউস : হাদিস : ৪৮৫০, আবু নুঈম ইস্পাহানী : দালায়েলুল নবুয়ত, হাদিস ৩, ইমাম আদি : আল-কামিল : ৩/৪৯ পৃ হাদিস : ৩৭২, ইমাম কাযি আয়াজ, শিফা, ১/১১৪ পৃষ্ঠা,ও ১/৪৬৬ পৃষ্ঠা, তাবরানী : মুসনাদিস্-সামীন : ৪/২৬৬২ পৃষ্ঠা।


ইমাম সুয়ূতী সহ আরও অনেকে হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন।’’

☞ইমাম সুয়ূতি, জামেউস সগীর, ২/২৪৮ পৃষ্ঠা, হা/৬৪২২-২৩


এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম  খন্ডের ২৪৮-২৫১ পৃষ্ঠা,য় দেখুন।


ইমাম ইবনে সা‘দ (رحمة الله) {ওফাত. ২০৭হি.}একটি হাদিস সংকলন করেন-


عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ. صلى الله عليه وسلم : كُنْتُ أَوَّلَ النَّاسِ فِي الْخَلْقِ وَآخِرَهُمْ فِي الْبَعْثِ


-‘‘হযরত কাতাদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, আমাদেরকে জানানো হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এরূপ বলেছেন, সৃষ্টির মধ্যে আমিই প্রথম মানুষ এবং প্রেরিত হয়েছি সবার শেষে।’’  

☞ইমাম ইবনে সা‘দ, আত্-তবকাতুল কোবরা, ১/১৯৯ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, 

ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ২/৩৯৩ পৃষ্ঠা,

দারু ইহ্ইয়াউত তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, শিফা শরীফ, ১/১১৪ পৃষ্ঠা, 

কাসতাল্লানী, মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া, ১/৪২ পৃষ্ঠা,।

আহলে হাদিসদের ইমাম এবং ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসির (رحمة الله) {ওফাত. ৭৭৪হি.}এই হাদিসটি সংকলন করে লিখেন- وَهَذَا أَثْبَتُ وَأَصَحُّ -‘‘এই সনদটি প্রমাণিত ও অধিক সহীহ।’’  

☞ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নিহায়া, ২/৩৯৩ পৃষ্ঠা,


তাই আদম (عليه السلام)-এরই পূর্বেই রাসূল (ﷺ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে; যা এই সহীহ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল।


তাই আদম (عليه السلام)-এরই পূর্বেই রাসূল (ﷺ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই এই দিকেই ইশরা করে হযরত আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-

قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالجَسَدِ

‘‘রাসূল (ﷺ)‘র কাছে জানতে চাওয়া হলো যে, আপনি কখন নবুয়ত লাভ করেছেন? তিনি বলেন, আদম (عليه السلام) যখন রূহ ও দেহের মাঝামাঝি ছিলেন।’’ 

 ☞তিরমিযি, আস্-সুনান, ৫/৫৮৫ পৃষ্ঠা,

 কিতাবুল মানাকিব, হাদিসঃ ৩৬০৯, তিনি বলেন হাদিসটি ‘হাসান’। 

আহলে হাদিস আলবানী সনদটিকে সহিহ বলেছেন।

তাই যারা বলছেন তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেছিলেন তারা যে গোমরাহ তা স্পষ্ট প্রমাণিত হল।


আরও খবর

কারবালার ৭২ জন শহীদের নাম

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫