Logo
শিরোনাম
বিশৃঙ্খলার শংকা স্থানীয়দের

নওগাঁয় মেলা বন্ধে উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন :

নওগাঁ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা বন্ধে চেম্বার এর লিখিত আবেদনে সারা দেয়নি নওগাঁ জেলা প্রশাসন। এনিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনা তৈরী হয়েছে। 

অন্যদিকে পুলিশ এর ডিএসবি প্রতিবেদন ছাড়াই মেলার আয়োজনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড়ে তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সেসাইটি -গ্রাসরুট জোড়েসোরে মেলার আয়োজন করছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা করা না হলেও শোনা যাচ্ছে মেলার উদ্বোধন ২৫ মে। নওগাঁ জিলা স্কুলের সামনে মাইক্রোষ্ট্যান্ড সড়িয়ে বিশাল এলাকা জুড়ে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলেছে মেলা আয়োজকরা। ভেতরে ও বাইরে ডেকোরেশন, ষ্টল নির্মান করা হচ্ছে। এছাড়া বড় পরিসরে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র ও হোটেল-রেস্তোরা বসানোর কাজ চলছে। জেলা স্কুলের প্রধান ফটক ঘেঁষে ফুটপাত জুড়ে বসছে খাবারের দোকান। 

নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল জানান, নওগাঁ শহরের মুক্তি মোড়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই অনুমতি পেয়ে গ্রাসরুট মেলার আয়োজন করছে। অথচ চেম্বার ও জেলা পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি মেলা আয়োজনের জন্য সাম্প্রতিক পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পর্যন্ত নেয়া হয়নি। 

চেম্বার সভাপতি আরো জানান, নিয়ম অনুসারে মেলা আয়োজন করতে গেলে অন্তত এক মাস পূর্বে আয়োজককে স্থানীয় চেম্বার অব-কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির মাধ্যমে অনুমতি গ্রহন করতে হয়। মেলার স্থান বরাদ্দসহ নির্ধারিত ফি জমা দেয়ার চালান প্রমানসহ দাখিল করতে হবে। কিন্তু গ্রাসরুট চেম্বারের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করেনি। মেলার জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেননি এবং কোন প্রকার সুপারিশ পত্র গ্রহণ করেনি। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরিপত্রের সঙ্গে সমন্বয়হীন। তাই দ্রুত এই মেলার আয়োজন বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ২৩ মে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও কোন উদ্যোগ গ্রহন করেননি। ফলে শহরের বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আয়োজিত মেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনকারীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এসময় মেলা চলানো হলে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ার দারুন ভাবে বিঘ্নিত হবে। তারা আরো বলেন, শোনা যাচ্ছে মেলার প্রবেশ টিকিট মূল্য ২০ টাকা। ওই টিকিটে লটারী বা জুয়া চালানো হবে। এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার শংকা রয়েছে। এছাড়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই এতো বড় মেলার আয়োজন পুরোটাই নিরাপত্তাহীন বলে মন্তব্য করেছেন তারা। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মেলা বন্ধ করা না হলে আন্দোলন কর্মসূচীর প্রস্ততি নেয়ার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। 

এ বিষয়ে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান তৃনমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি -গ্রাসরুট এর স্থানীয় প্রতিনিধি মর্জিনা লাকি বলেন, জেলা প্রশাসন মেলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে। বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়নি। 

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, শহরের মুক্তি মোড়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা আয়োজনের বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মেলা বন্ধের জন্য স্থানীয়দের পাঠানো একটি লিখিত আবেদন পাওয়া গেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কিম্বা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা মুখ খুলছেন না। যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন। 


আরও খবর



রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সম্পাদক গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ মে ২০২৫ |

Image

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন (৬৫) কে গ্রেফতার করেছে। রোববার (২০ এপ্রিল ) বিকেলে অভিযান 

চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীনকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান,গত ২৬আগষ্ট উপজেলা বিএনপির দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর,লুটপাট,অগ্নি সংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোসারব হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার সাথে জরিত সন্দেহে আওয়ামীলীগ নেতা মফিজ উদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাকে নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মফিজ উদ্দীন উপজেলার বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত কোকাই প্রামানিকের ছেলে।তাকে এদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় কাজীর ভেলকিবাজি, এক বিয়ের দুই নিকাহনামা মোহরানাও আলাদা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর রাণীনগরে কাজীর ভেলকিবাজি।এক বিয়ের দুই নিকাহনামা মোহরানাও আলাদা।

বিয়ের সময় এক মোহরানা ও বিচ্ছেদের পর অর্থের বিনিময়ে আরেক মোহরানার নিকাহনামা দিয়ে প্রতারণা করে আসছে বেলাল হোসাইন নামের এক কাজী। কাজীর এই ধরণের প্রতারণা মূলক কাজে প্রতারিত হয়ে অনেকেই আইনের আশ্রয়ে গেলে প্রভাবশালী কাজী বেলালের অর্থের দৌরাত্মের কাছে নায্য বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। রাণীনগর উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে মহিদুল ইসলামের লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে প্রয়াত এমপি ইসরাফিল আলমের শাসনামলে রাণীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী বেলাল হোসাইনের এমন প্রতারণা মূলক কর্মকান্ড। শুধু মহিদুল ইসলামই নয় আরও অনেক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে আলোচিত কাজী বেলাল হোসাইনের নতুন ও পুরাতন নানা অবৈধ কর্মকান্ডের কাহিনী বেরিয়ে আসছে। উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মৃত মনির উদ্দীনের ছেলে মহিদুল ইসলাম বলেন, কাজী বেলাল হোসাইন উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের কাজী হলেও সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করে। সে অর্থের বিনিময়ে বিবাহ নিবন্ধনকালিন সময়ে মোহরানা বৃদ্ধি করেন। অনেক ক্ষেত্রে একই বিবাহ বিনা কারণে শুধুমাত্র মোহরানা বৃদ্ধির জন্য অর্থের লোভে একাধিকবার নিবন্ধন করেন।

তিনি আরো জানান, গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসের ০৭ তারিখে তার ভাগিনা নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রামের সামছুল প্রামাণিকের ছেলে আনিসুর রহমানের সাথে রাণীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের কাটরাশইন গ্রামের শাহানাজ মেম্বারের মেয়ের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানায় বিবাহ নিবন্ধন করেন কাজী বেলাল হোসাইন। বিবাহের কয়েক মাস পর বিচ্ছেদের সময় কাজী বেলালের নিবন্ধন করা ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা মোহরানার বিবাহ নিবন্ধন দাখিল করেন মেয়ে পক্ষ। তখন একই বিবাহের ভিন্ন ভিন্ন মোহরানার বিবাহ নিবন্ধন দাখিল করায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে উভয় পক্ষই আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেস্টা করছেন।

তিনি আরও বলেন, নানা অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে বিগত সময়ে কাজী বেলালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে সে অর্থের মাধ্যমে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে নিজেকে বাঁচিয়ে নেয়। তার এই ধরণের কর্মকান্ডে বহু সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। এছাড়া অনেক নিরীহ পরিবারে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনাও ঘটছে। সে নিজে এবং তার ভাই, পুত্র ও ভাগিনা দিয়ে নিজ এলাকার বাহিরে এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বে-আইনী ভাবে বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করার কাজ চালিয়ে আসছে। তার দ্বারা শত শত মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। বছরের পর বছর এমন প্রতারণার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে কাজী বেলালের সকল অবৈধ্য কর্মকান্ড বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন আইনানুগ পদক্ষেপ এর বিকল্প নেই। এব্যাপারে বক্তব্য জানতে ৬ মে মঙ্গলবার বিকেল পনে ৫ টারদিকে প্রতিবেদক কাজী বেলাল হোসাইন মুঠোফোনে (০১৭--৫২২৫৬৫) যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত অভিযোগ বিষয়ে বলেন, আপনেও ঘটনাটি যাচাই করে দ্যাখেন এবং যে বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন এর নিকাহনামার দুটি কাগজ বের হয়েছে দুটির লেখাও আলাদা  আপনিও ভালোকরে দ্যাখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন। এছাড়া তিনি দাবি করেন, পূর্বে কাজীর দায়িত্বে থাকা একজন আমার বিরুদ্ধে এসব অপ-প্রচার ও অভিযোগ করে নিচ্ছেন বলেও দাবী করেন তিনি।

এব্যাপারে নওগাঁ জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন কাজী তার এলাকার বাহিরে গিয়ে কাজ করার কোন ক্ষমতা রাখেন না। কাজী বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: শেয়ারবাজারে পতন

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

ভারত ও পাকিস্তান কেউই যেন কাউকে দেখতে পারে না। তাদের সম্পর্কটা এরকমই সাপে-নেউলে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা দু’দেশের চিরবৈরী মনোভাবকে আরও উসকে দিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বর্তমানে দেশ দুটির মধ্যে দেখা দিয়েছে সামরিক উত্তেজনা। আর সেই উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় ঘটেছে বড় ধরনের দরপতন।

৭ মে দুপুর ১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দরপতন হয় ৩৭৭টির। এর মধ্যে দর বাড়ে কেবল ৯টির এবং আগের দরে লেনদেন হয় ৭টির। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১১৬ পয়েন্ট। আর এই সময়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

অন্যদিকে দুপুর ১টা ৭ মিনিটে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২২৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৭৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬ টির, কমেছে ১৫২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬ টির।

জানা গেছে, ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে আজ বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতেই হয় বড় ধরনের দরপতন।

শেয়ারবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এই উপমহাদেশে আতঙ্ক ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আগে থেকেই পতনের ধারায় থাকা দেশের শেয়ারবাজার এখন তলানিতে রয়েছে। এখান থেকে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত। তাহলে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি ও ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির কারণে শেয়ারবাজারে এমন দরপতন দেখা দিয়েছে।

আমাদের শেয়ারবাজার এমনিতেই এখন বটম লাইনে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখান থেকে বাজার খুব নিচে নামার সম্ভাবনা কম। আশা করছি, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, বিনিয়োগকারীদের এখন দিশেহারা অবস্থা। এর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের ভেতর সৃষ্ট বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা গণমাধ্যমে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট এই পরিস্থিতির কারণে সবার মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে অনেক বিনিয়োগকারী কম দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ কারণেই লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন দেখা দিয়েছে।

বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে শেয়ার বিক্রির চাপ না বাড়ালে বাজার অচিরেই ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। হামলার পর দিল্লি সোজাসুজি এর দায় চাপায় ইসলামাবাদের ঘাড়ে। দুই দেশ থেকে নেওয়া হয় বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপও।

পরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থামাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেয় ইরান ও রাশিয়া। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত।

এদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তারাও কাশ্মীরের ভিম্বর গলি অঞ্চলে গোলা নিক্ষেপ করেছে।


আরও খবর



পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ছোঁ'য়া'চে রো'গ ‘স্ক্যা'বি'স’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ মে ২০২৫ |

Image

স্ক্যাবিস (SCABIES) একটি ছোঁয়াচে ত্বকের রোগ। এটি Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র মাকড়সার (MITE) কারণে হয়ে থাকে। এই মাকড়সা ত্বকের উপরিভাগে গর্ত তৈরি করে এবং ডিম পাড়ে, যার ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি এবং ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

স্ক্যাবিসের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

 * তীব্র চুলকানি: বিশেষ করে রাতে চুলকানি বাড়ে।

 * ফুসকুড়ি: ছোট ছোট লালচে দানা বা ফোস্কার মতো দেখা যায়।

 * গর্তের চিহ্ন: ত্বকের উপর ছোট, আঁকাবাঁকা, ধূসর বা সাদা রঙের সরু রেখা দেখা যেতে পারে, যা মাকড়সার তৈরি করা গর্ত।

স্ক্যাবিস সাধারণত নিম্নলিখিত স্থানগুলোতে বেশি দেখা যায়:

 * আঙুল ও পায়ের আঙুলের মাঝে

 * কবজি

 * কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে

 * বগলের নিচে

 * কোমর

 * নিতম্ব

স্ক্যাবিস অত্যন্ত ছোঁয়াচে এবং সরাসরি চামড়ার সংস্পর্শে আসা, অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কাপড়, বিছানা ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

যদি আপনার মনে হয় আপনার স্ক্যাবিস হয়েছে, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তার সাধারণত শারীরিক পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে ত্বকের নমুনা নিয়ে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। স্ক্যাবিসের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ধরনের ক্রিম বা লোশন পাওয়া যায় যা মাকড়সা এবং তাদের ডিম ধ্বংস করে। পরিবারের সকল সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও একই সময়ে চিকিৎসা করানো উচিত, এমনকি তাদের লক্ষণ না থাকলেও। এছাড়া, ব্যবহৃত কাপড় ও বিছানা গরম পানিতে ধুয়ে বা ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা জরুরি।


আরও খবর



এখনো ভিসা হয়নি ৪৩৬৫ হজযাত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ মে ২০২৫ |

Image

এখনো ৪ হাজার ৩৬৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। অন্যদিকে মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল পর্যন্ত ৭৪টি ফ্লাইটে মোট ৩০ হাজার ১৩৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

৬ মে সকালে হজ অফিসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনার ৫ হাজার ৬৪ জন ভিসা পেয়েছেন।

অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৭৭ হাজার ৬৭৬ জনসহ মোট ৮২ হাজার ৭৩৫ জন হজযাত্রী ভিসা পেয়েছেন। এখনো ৪ হাজার ৩৬৫ জন হজযাত্রীর ভিসা বাকি রয়েছে। বাকি হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন হজ পালন করবেন।



আরও খবর