Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় ননএমপিও স্কুলের নামে পরীক্ষা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দার চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তার নিজ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থীকে না জানিয়ে "চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়" নামের একটি নন এমপিও বিদ্যালয়ের নামে পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, নন এমপিওভুক্ত ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কোঠা পূরণ করতে এই অনিয়ম করছেন তারা।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার মধ্যে একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এজন্য এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেশি ভর্তি হয়। ২০২৩ সালে ঐ বিদ্যালয়ের ১১৭ জন পরীক্ষার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩/১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (নন এমপিওভুক্ত) চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে শিক্ষার্থীদের না জানিয়ে রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেন। তিনি বছরের পর বছর ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে ও জানান তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়  চলতি ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ঐ বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঐ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১০৪ জন বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীদেরকে না জানিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের নামে ফরম করিয়ে পরীক্ষা দেওয়াচ্ছেন। সেই ১৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান বিভাগের আর ৮ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগের। বিজ্ঞান বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীরা হলেন, মরিয়ম আক্তার, উর্মিলা, সীমা খাতুন, হিরা এবং সাহরিয়া আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, হাফিজা আক্তার, ইসরাত জাহান ইভা, সুমি আক্তার, তাসমিন, রাজিয়া সুলতানা রিয়া, রাজ্জুমা এবং নাহিদা আক্তার। এর মধ্যে হাফিজা আক্তার নামের এক পরীক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা দায়ের করায় তাকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি। এজন্য হাফিজা আক্তারের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অত্র বিদ্যালয়ে আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করেছি। করোনাকালীন সময়ে জিএসসি পরীক্ষায় আমরা সকলে অটোপাস করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে কোন সনদপত্র দেয়া হয়নি। এবারের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে ১১৭ জন পরীক্ষার্থী ছিলাম। ঐ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমাদের ১৩ জন শিক্ষার্থীদের কাউকে উপবৃত্তির টাকাও দেয়া হয়নি। আমার মত আরো ১৩ জন পরীক্ষার্থীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য স্কুলে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আমাদের ১৩ জন ছাত্রীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেসব বিষয়ে আমরা কেউ জানতাম না। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি চকচম্পক ছোট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে গোটগাড়ি শহীদ মামুন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের ১১২ নং রুমে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।আর বাকি ১০৪ জন এই স্কুলের শিক্ষার্থী হিসেবে মান্দার প্রসাদপুরে “মান্দা থানা আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ" কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, তারা জেএসসি পরীক্ষাও ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে দিয়েছে। ঐ পরীক্ষার্থীরা কোন স্কুলে ভর্তি হয়েছে এবং ক্লাস করেছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সাক্ষাত করতে বলেন।

চকগোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী আপনার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছে কি না সেটা জানতে চাইলে সত্যতা স্বীকার করে চকচম্পক ছোট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রতিষ্ঠানে অনেকে লেখাপড়া করে গ্রামের প্রতিষ্ঠানের নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাতে সমস্যা কি?

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম শেখ বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। স্বীকৃতি প্রাপ্ত এক স্কুলের শিক্ষার্থীকে অন্য কোনো স্কুলের শিক্ষার্থী হিসাবে দেখিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। এরপরেও যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে 


আরও খবর



ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচিতে পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

মো: হৃদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল  হামিদ খান ভাসানীর ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।  

কর্মসূচিগুলোর মধ্যে মাওলানা ভাসানীর মাজারে আজ ১৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সকাল ৭টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ও কোষাধ্যক্ষ  ড. মোঃ সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,  কর্মকর্তা, কর্মচারি ও  শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারি সমিতি, ভাসানী পরিষদ,  বঙ্গবন্ধু পরিষদ (অফিসার), বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ  এবং বিশ্ববিদ্যালয়  ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  

এছাড়াও সকাল ৮ টায় তবারক বিতরণ ও বাদ জুমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে  মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



দাম কমেছে মুরগি, মাছ ও ডিমের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

বাজারে গরুর মাংসসহ কমেছে মুরগি মাছ ডিমের দাম। দীর্ঘ সময় পরে এ নিম্নমুখী প্রবণতায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতা। তবে এখনো বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চাল চিনি আটা ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা মালিবাগ ও মগবাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র। একই সঙ্গে শীতের সবজিও অনেকটা ক্রেতার নাগালে।

চলতি বছরের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাতে চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। মোটা চালের দাম আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সবধরনের চালের দর কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছিল, এখনো সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি কিনতে খরচ হচ্ছে কমবেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে স্বস্তির বাজারে ক্রেতাদের টানছে গরুর মাংস। এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনো আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।

গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১১০ ও ১২০ টাকার মধ্যে।

বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। তা ছাড়া মাংসের দাম কমার প্রভাবও পড়েছে মাছের দামে। বেশি কমেছে চাষের মাছে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি কিনতে এখনো গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।


আরও খবর

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলো আকরিক লোহার দাম

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




সুখবর নেই নিত্যপণ্যের বাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

কয়েকদির আগেও প্রায় সব ধরনের সবজিই ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকার ঘরে। তবে কয়েকদিনের ব্যবধানে শীত মৌসুম উঁকি দেওয়ায় কিছুটা কমেছে সবজির দাম। যদিও এখনো আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। সে কারণে মাছের বাড়তি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৎস্যখাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং চলমান অবরোধের কারণে চড়া যাচ্ছে মাছের বাজার।

রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, একইভাবে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

অন্যদিকে, সব ধরনের মাছের দামই বাড়তি যাচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙাস মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, টাকি মাছ ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি সাইজের ইলিশ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

এছাড়া, প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি ১১০০ টাকা ও সাইজে একটু ছোট চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি আইড় মাছের দাম ৭০০ টাকা, টেংরা মাছ ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও রুপচাঁদা আকৃতিভেদে ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ টাকা, ছোট সাইজের বাইম মাছ প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি শোল মাছ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, লেয়ার প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির লাল ডিম প্রতি হালি (৪ পিচ) বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পাশাপাশি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৮০ টাকায় ও খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

রাজধানীর গুলশান সংলগ্ন বাজারে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী প্রীতম সাহা বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবুও ৫০-৬০ টাকার নিচে কিছুই নেই। যদিও কয়েকদিন আগে এসব সবজির দাম আরও বাড়তি ছিল। কিন্তু মাছের দার এখনো অনেক বেশিই যাচ্ছে। অল্প কিছু পাঙাস, তেলাপিয়া ও চাষের কই মাছ তাও কেনা যায়। কিন্তু ভালো কোনো মাছই আমরা কিনে খেতে পারি না। কারণ ওইসব মাছের দাম এতটাই বেশি যে, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা শখ করে ছাড়া কিনতে পারছে না।

সবজির দামের বিষয়ে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা খোরশেদ আলম বলেন, শীত মৌসুম প্রায় চলে আসার কারণে সব ধরনের সবজির দামই আগের চেয়ে কমেছে। পুরো শীতে এসবের দাম আরও কমবে। তবে বর্তমানে দেশে হরতাল-অবরোধ চলার কারণে পরিবহন ভাড়া আগের চেয়ে বেড়ে গেছে এবং পরিবহন পাওয়াও কঠিন। এসব কারণ না থাকলে বর্তমান বাজারের চেয়েও আরও কম দামে সবজি পাওয়া যেত।

মাছের বাড়তি দামের কারণ জানিয়ে মহাখালী বাজারের মাছ বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, মাছের এরকম দাম আরও অনেক আগেই থেকেই চলছে। তবে হরতাল-অবরোধে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীতে মাছ কম সরবরাহ হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন ভাড়াও বর্তমানে বাড়তি। এসব মিলিয়েই বর্তমানে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। তবে যখন থেকে মাছের খাবারের দাম বেড়েছে, মূলত সেই সময় থেকেই মাছের দাম বেড়েছে। এরপর আর কমেনি। সেইসঙ্গে বর্তমান হরতাল অবরোধের কারণে পরিবহন সংকটে মাছের দর আরেক দফা বাড়তি যাচ্ছে।

 


আরও খবর

দাম বাড়ল এলপি গ্যাসের

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

কমলো আকরিক লোহার দাম

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




দিনে পাঁচটি আগুন লাগে ঢাকায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 |

Image

চলতি বছরের অক্টোবরে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সারা দেশে ২৭ জন আহত ও ১০ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬৩টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকায় দিনে ৫-এর অধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে এবং মিরপুর এলাকায় অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটছে। মঙ্গলবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অক্টোবরে সারা দেশে ১ হাজার ৪৭৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০১টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২১৩টি, খুলনা বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ৫৯টি, বরিশাল বিভাগে ৬৬টি ও রংপুর বিভাগে ১৯৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বরে থেকে অক্টোবরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কমেছে। গত মাসে সারা দেশে ১ হাজার ৫৫৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

এরমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৬৩টি আগুনের ঘটনায় ১৫ জন আহত ও ৩ জন নিহত হয়েছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর (২২টি) সর্বোচ্চ আগুনের ঘটনা ঘটেছে, এছাড়া মোহাম্মদপুরে ১৩টি, ডেমরাতে ৯টি, তেজগাঁও ১২টি, বারিধারায় ৯টি, উত্তরায় ১০টি, পোস্তাগোলায় ১০টি, এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আরো জানানো হয়, অক্টোবরে সারা দেশে ৮৪৬টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এতে ৮৩০ জন আহত ও ১৬৭ জন নিহত হন। যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৬৯০টি। এছাড়া রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারজনিত দুর্ঘটনা ৩৯টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটিজনিত ১৩টি, লিফট দুর্ঘটনা ২১টি, বজ্রপাত ৩টি, নদী ও পানিতে ডুবে যাওয়ার ৫৮টি দুর্ঘটনা ঘটে। সারা দেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে ৩৮ জন নিহত হন।

শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৪টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১৯৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২২২টি, খুলনা বিভাগে ৯৬টি, সিলেট বিভাগে ৩৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪০টি ও রংপুর বিভাগে ৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে প্রাপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অক্টোবরে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৮১৭টি কলের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেছে। এছাড়া ১১৩৯টি কলের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬৪ জন রোগী পরিবহন করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করে।


আরও খবর

অবরোধেও রাজধানীতে গাড়ির চাপ

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




নওগাঁয় ট্রাক চাকায় মোটরসাইকেল চালক যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল চালক এক যুবকের মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর সন্ধার পূর্ব মহূর্তে নওগাঁ বাইপাস সড়কের (জৈনক জসিম এর ধান চাতাল) নামক এলাকায়। নিহত যুবক হলেন, নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার কোমাইগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হাসান আহম্মেদ (২১)।

দূর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফয়সাল বিন আহসান মুঠোফোনে প্রতিবেদক কে জানান, সড়ক দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হোন ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক ২১ বছর বয়সী হাসান আহম্মেদ এর মৃত্যু হয়েছে এবং নিহত হাসান আহম্মেদ এর বাসা নওগাঁ সদর উপজেলার কোমাইগাড়ী গ্রামে। তবে তথ্য নেওয়ার সময় পর্যন্ত এব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি জানিয়ে অফিসার ইনচার্জ বলেন, এব্যাপারে আইনানুগ পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।


আরও খবর