Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় অঙ্কে শিক্ষকের ভুল ধরায় ছাত্রকে পেটালেন শিক্ষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মান্দায় গণিত ক্লাসে শিক্ষকের ভুল ধরায় এক শিক্ষার্থীকে মারধরে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থীকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ইউএনওসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকমহলে চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ সাফি (১১)। সে গোবিন্দপুর গ্রামের আনিছুর রহমান মণ্ডলের ছেলে ও গোবিন্দপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ভর্তি রোল ৪৪ বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গণিপুর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।  

শিক্ষার্থী সাফি জানায়, সোমবার টিফিনের পর আড়াইটার দিকে সহকারী শিক্ষক ইয়ামিন স্যারের গণিত ক্লাস চলছিল। ক্লাসে লসাগু’র পূর্ণরূপ স্যার ভুলভাবে উপস্থাপন করছিলেন। সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ায় ইয়ামিন স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ছড়ি দিয়ে আমাকে বেদম মারধর করেন।

শিক্ষার্থী সাফির মা নাদিরা বেগম বলেন, ছেলে সাফি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অঙ্ক ক্লাসে ভুল ধরায় শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। সন্ধ্যার দিকে তাকে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষক ইয়ামিন হোসেন বলেন, গণিত ক্লাস চলাকালিন শিক্ষার্থী সাফি আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাই তাকে একটু শাসন করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলেছি। অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। স্থানীয় প্রসাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন মণ্ডল বলেন বিষয়টি শুনেছি। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীকে মারধর করা ঠিক হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



এই তথ্যগুলো জানা বিশেষ জরুরী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অষ্ট্রেলিয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গনধর্ষনের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক এক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন এই বলে- যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছিলো। তাদের সরল জবাব ছিলো;

“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো, যে একজন ভালো মুসলমান কখনোই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে, যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে। তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী।

আজ কেন যেন মনে হয় টিক্কা খান এবং নিয়াজীরা একাত্তরে হেরে গেলেও আসলে জিতে গেছে। আজ রাস্তা-ঘাটে পাকিস্তানীদের অসংখ্য সমর্থক পাওয়া যায়, যারা চিৎকার করে স্লোগান তোলে ম্যারি মি আফ্রিদি, অনলাইনে পুরান ঘটনা ভুলে গিয়ে পাকিস্তানীদের শীতল ঘৃণার পরিবর্তে উষ্ণ ভালোবাসা দেবার পরামর্শ দেন কিছু আধুনিক তরুণ, অযুতনিযুত শহীদের কবরের উপর দাঁড়িয়ে। তাদের দৃষ্টিতে ইকবালের কাছে রবীন্দ্রনাথ কিছুই না, পাকিস্তানী জাল ব্যান্ডের গানের কাছে সোনার বাংলা ক্ষ্যাতফসল, ইসলামাবাদ বা করাচীর সৌন্দর্যের কাছে বান্দরবান বা রাঙ্গামাটি বোগাস, লাহোর বা করাচীর কামিজ পড়া একজন সাদা চামড়ার মেয়ের তুলনায় বাঙ্গালী নারীরা এসব তরুণদের কাছে নিতান্তই নীরস।

 মনেপ্রাণে পাকিস্তানী এসব তরুণেরা কি জানে একাত্তরের মার্চে মিরপুরের সেই বীভৎসতার কথা বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে এনেছিল পাকিস্তানীরা, কাপড় খুলতে বলেছিল সবাইকে? রাজি না হওয়ায় বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তানী নারীদের দেখে কামোত্তেজিত এসব তরুণেরা কি জানে, একাত্তরে বাঙ্গালী নারীদের পাকিস্তানী সেনারা ধরে এনে কি পৌশাচিক নির্যাতন করতো? রাজারবাগে পুলিশ লাইনে ধরে আনা বাঙ্গালী নারীদের উপর একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ত ওরা, ধর্ষণ করতে করতে হঠাৎ ছুরি দিয়ে স্তন কেটে, পশ্চাৎদেশের মাংস কেটে, যোনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়তো ওরা, মাঝে মাঝে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে যোনি থেকে গলা পর্যন্ত চিরে ফেলতো, তারপর এ সকল মেয়ের লাশ অন্যান্য মেয়েদের সম্মুখে ছুরি দিয়ে কেটে কুচি কুচি করে বস্তার মধ্যে ভরে বাইরে ফেলে দিত। আর ছোট ছোট বালিকাদের যখন ধর্ষনে সুবিধা করতে পারতো না, তখন ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দুজন দু পা দু দিকে টেনে ধরে চড়চড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিত। এরা কি জানে, ধর্ষণের তীব্রতায় জেনারেল নিয়াজি শেষ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছিল,

“It is not uncommon in history when a battle has been lost because troops were over indulgent in loot and rape.”

এই তরুণেরা কেমব্রিজ আর অক্সফোর্ডের পাকিস্তানীদের দেখে অবাক হয়, গর্ববোধ করে। অথচ এরা ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীকে চেনে না। ইংল্যান্ডের এডিনবার্গ থেকে কার্ডিওলজিতে এমআরসিপি ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৬২ সালে! ডা. রাব্বী মেডিসিনে নোবেল পেতে পারতেন! মনে হচ্ছে আবেগে একটু বেশি বলছি? ‘A case of congenital hyperbilirubinaemia (DUBIN-JOHNSON SYNDROME) in Pakistan’ এই টাইটেলে ‘Journal o Tropical Med Hyg.’ নামক বিখ্যাত জার্নালে সেই ১৯৬৪ সালেই পাবলিশ করেছেন ডঃ রাব্বী! ‘Spirometry in tropical pulmonary eosinophilia’ নামে আরেকটা ফাইন্ডিংস ছাপা হয়েছিল ব্রিটিশ জার্নাল ‘অফ দা ডিসিস অফ চেস্ট’-এ ১৯৭০ সালে! একাত্তরের নয় মাস গোপনে হাজারো মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করার অপরাধে এই ফজলে রাব্বীকে ১৪ই ডিসেম্বর তুলে নিয়ে গিয়েছিল আলবদর আর পাকিস্তানীরা। তাকে কীভাবে মারা হয়েছিল জানেন? হাত-পা আর চোখ বেঁধে ব্রাশফায়ার করে খুবলে তুলে নিয়েছিল তার হার্টটা। কার্ডিওলজিস্ট ছিলেন কিনা, একটু রসিকতা করা আর কি!

ঠিক যেভাবে আরেক বিশ্ববিখ্যাত চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ আবদুল আলীম চৌধুরীর চোখ দুটো উপড়ে নিয়েছিল নরপিশাচগুলো! শহীদুল্লাহ কায়সার, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, হুমায়ূন কবীর (ইংরেজি সাহিত্য), রাশিদুল হাসান (ইংরেজি সাহিত্য), সাজিদুল হাসান (পদার্থবিদ্যা), ফজলুর রহমান খান (মৃত্তিকা বিজ্ঞান), এন এম মনিরুজ্জামান (পরিসংখ্যান)– একাত্তরের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর নরপিশাচরা এমন ৯৯১ জন শিক্ষাবীদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলীকে উলঙ্গ করে, চোখ বেঁধে, বেয়নেটে খুচিয়ে খুচিয়ে, মলদারে লাঠি ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছিলো। এই তথ্যগুলো অবশ্য বাংলাদেশ নিবাসী এইসব আধুনিক পাকিমনাদের মনে কোন ছাপ ফেলে না। তারা বরং এক হাতে তালি বাজে না টাইপের ইঙ্গিত দিয়ে বোঝাতে চান একাত্তরে বাঙ্গালীদেরও দোষ ছিল, ইনফ্যাক্ট সবচেয়ে বেশি।

২৪ বছর ধরে বাঙ্গালীদের পায়ের তলে রেখে একটু পিষলোই বা শোষণই করলো! তাই বলে পাকিস্তান ভেঙ্গে বের হয়ে যাইতে হবে? সালে মছুয়া বাঙ্গাল! হারামজাদে! পৃথিবীর কোন মানুষ যদি ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার তিনবেলা ননস্টপ গ্রেনেড খাওয়া পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে, তাহলে ধরে নিতে হবে সেই মানুষের মানসিক সমস্যা আছে। একমাত্র বদ্ধ উন্মাদ ছাড়া পাকিস্তানকে কোন নিম্নশ্রেণীর পশুও পছন্দ করার কথা না। কারণ তারা যে নির্মম হত্যাজজ্ঞ চালিয়েছিলো এই দেশে, সেটা হার মানিয়ে ছিলো হিটলার, মুসলিনি, গেস্টেপোদেরও।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড অনুসারে পৃথিবীর সবচেয়ে নির্মমতম গণহত্যাটি হয়েছিলো বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের হাতে। ওরা পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের পুরস্কারটা পাকিস্তানকে দেয়। যদি গিনেস জানতো সেই নিপীড়িত জাতির মানুষরাই এখনো পাকিস্তানের জন্য হেগেমুতে আস্ফালন করে, শহীদের রক্তে পাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের উপর চালানো বর্বরতার কথা ভুলে যেতে আহ্বান জানায়, ক্ষমা চাওয়া তো দূরে থাক, আজো চিৎকার করে গণহত্যা অস্বীকারকারী পাকিস্তানীদের ভাই হিশেবে বুকে টেনে নিতে চায়, তাহলে হয়তো আমাদেরও একটা পুরস্কার দিতো। শ্রেষ্ঠতম বেহায়া, নির্লজ্জ, চুতিয়া জাতির পুরস্কার।

তো এই জমিনের আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠে যারা মনেপ্রাণে এখনো পাকিস্তানকে ভালোবাসেন, বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকলে, পেয়ারা পাকিস্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে, জানের প্রতি বিন্দুমাত্র মায়া থাকলে তাদের অবিলম্বে পাকিস্তান চলে যাওয়া উচিৎ। যদি কেউ পাকিস্তানকে ভালোবাসার একশো একটা কারণ দেখায়, আমরা তাকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলার ৩০ লাখ কারণ দেখাতে পারবো। একটা-দুইটা না, ত্রিইইইইইইশ লাখ!

(সংগৃহীত)


আরও খবর



বিশ্ব বাবা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুভূতি

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

‎মো. হৃদয় হোসাইন‎, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

‎পৃথিবীর অধিকাংশ ভালোবাসা উচ্চারিত হয় শব্দে, আবেগে, চোখের জল আর হাসিতে। কিন্তু কিছু সম্পর্ক আছে, যা প্রকাশিত হয় নিঃশব্দে—অভিনয়ের বাইরে, নিঃস্বার্থ আর নিরব ভালোবাসায়। এমনই এক সম্পর্ক—বাবা আর সন্তানের। বাবা, যিনি হয়তো আবেগপ্রবণ নন, কিন্তু তার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে, প্রতিটি পরিশ্রমে সন্তান থাকে সবচেয়ে বড় প্রেরণা।

‎বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে  খোঁজার চেষ্টা করেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস  সাংবাদিক মো. হৃদয় হোসাইন। 

‎বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো

‎বাবা আমার জীবনের প্রথম হিরো। আমি যখন হাঁটতে শিখিনি, তখনও তিনিই আমার পথের দিশারি ছিলেন। আজ আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি, কিন্তু এখনো কোনো সমস্যায় পড়লে প্রথম মনে পড়ে বাবার কথা। তার নীরব ত্যাগই আমার জীবনের ভিত্তি। বাবার অনুপ্রেরণায় আমি এতোদূর আসতে পেরেছি। বাবা নামটিই নিরব এক ভালোবাসার উচ্চারণ। 

‎তামান্না

‎শিক্ষার্থী, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  

‎বাবা আমার ছায়ার মতো সঙ্গী

‎আমার বাবা কখনো আমাদের সামনে আসেন না, নিজের আবেগ প্রকাশ করেন না। কিন্তু যখন প্রয়োজন হয়, তিনি ঠিক আমার পেছনে ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি হয়তো বলেন না ‘ভালোবাসি’, কিন্তু তার প্রতিটি কাজই সে কথাটাই বলে দেয়, আরও দৃঢ়ভাবে। বাবারা খুব একটা প্রকাশ করেন না। তারা ফুলের তোড়া, কার্ড বা স্ট্যাটাসের ভাষায় নিজেদের ভালোবাসা বোঝাতে পারেন না। কিন্তু তাদের নিঃশব্দ পরিশ্রম আর ছায়ার মতো উপস্থিতিই সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় আশ্রয়।

‎ মীর মাহফুজারা রহমান

‎শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

‎আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি

‎বাবা হচ্ছেন আমার আত্মবিশ্বাসের উৎস। যেকোনো ব্যর্থতায় আমি যখন ভেঙে পড়ি, তিনি খুব অল্প কথায় আমাকে আবার নতুন করে দাঁড়াতে শেখান। জীবনে বহুবার হেরেছি, কিন্তু বাবার মুখটা মনে করে আবার উঠে দাঁড়িয়েছি।

‎রাকিবুল বাপ্পি

‎শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

‎বাবা হলেন আমার প্রথম শিক্ষক ‎

‎বাবা শুধু  আমার অভিভাবক নন, আমার জীবনের শিক্ষকও। তিনি শিখিয়েছেন কীভাবে সম্মান করতে হয়, দায়িত্ব নিতে হয়, মানুষ হতে হয়। এখন বুঝি, তার শাসনের আড়ালে ছিল অগাধ ভালোবাসা। বিশ্ব বাবা দিবসে বাবাকে বলতে চাই, বাবা, আপনি আমাদের জীবনের নায়ক। আপনার অবদান কোনো দিবসে সীমাবদ্ধ নয়, তা আমার প্রতি নিঃশ্বাসে জড়িয়ে থাকে।

‎মো: ইথারুল ইসলাম‎, শিক্ষার্থী, বুয়েট


আরও খবর



ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফের কাঁপল ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইরানের ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। যার ফলে দেশজুড়ে রকেট সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।

নতুন হামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত ও ৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি স্বেচ্ছাসেবক-ভিত্তিক জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা সংস্থা ইউনাইটেড হাটজালাহ। টাইমস অব ইসরায়েল ও জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং পেতাহ তিকভা শহরের একটি ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানে। তেল আবিবেও দুটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, কেউ যেন হামলার স্থান বা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার না করেন, কারণ শত্রুপক্ষ এসব তথ্য নজরে রেখে পরবর্তী হামলার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে।

ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ম্যাগান ডেভিড এডাম (এমডিএ) জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চারটি স্থান চিহ্নিত করেছে এবং সেখানে জরুরি সেবা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা মাঝারি এবং বাকিরা হালকা আহত হয়েছেন। এছাড়া অনেকেই আতঙ্ক ও উদ্বেগে মানসিক চাপে ভুগছেন।

এদিকে হাইফা শহরেও হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান। একই সময়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে ইসরায়েলের কিছু অঞ্চলে হুতিদের হামলার সতর্কতা সাইরেনও সক্রিয় হয়ে ওঠে।

হামলার কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে রোশ হানিকরা এলাকায় ড্রোন অনুপ্রবেশের সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।


আরও খবর



২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

২৫.৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সোমবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুসারে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০.০৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে দুই হাজার সাত কোটি পাঁচ লাখ ৯০ ডলার। তবে ব্যয় যোগ্য রিজার্ভ এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশের মোট রিজার্ভ দুই হাজার ৫৪৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার।

গত ৭ মে দেশে রিজার্ভ বিপিএম-৬ হিসেবে হয়েছিল দুই হাজার ২৯ কোটি ১২ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর দেশের মোট রিজার্ভ হয়েছিল দুই হাজার ৫৬৭ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এর আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় ১৮৮ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।


আরও খবর



ঝুঁকিতে মৌলভীবাজারের বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

মৌলভীবাজারে গত ২-৩ দিন হয় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে গেছে হাকালুকি হাওর সহ হাওর বাওর ও নদীপারের নিম্নাঞ্চল। বাড়ছে মনু ধলাই ফানাই সোনাইর পানি। জুড়ী নদীর পানি ইতিমধ্যে বিপদসীমা ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । কিন্তু বন্যার পদধ্বনি শুরু হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে। হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের জুন মাসে। কিন্তু মে ২০২৫ মাসে এসে মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলাকে বন্যা মুক্ত রাখতে হাজার কোটি টাকার ওই প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৭ শতাংশ। অথচ বন্যার আগাম সতর্কতা জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মনু নদীর ভাঙন হতে মৌলভীবাজার সদর, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলাকে রক্ষা করার লক্ষে ২০২২ সালে ৯৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। পরে চর অপসারণ বাধ মেরামত ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ পুনর্বাসন সহ বিভিন্ন ধরনের কাজের ৭২ টি প্রকল্প টেন্ডার করে কাজ শুরু করা হয়।

জানা যায়, মনু নদীর বাঁধের কাজ চলছে ৪ বছর থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিএসএফের বাধা, জমি অধিগ্রহণ ও অর্থ সংকট জটিলতায় ৫০ শতাংশের মতো কাজ হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় ২ দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় ফের বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

জানা জায়, গত বছর বর্ষা মৌসুমে টানা ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলায় মনু নদীর পৃথক পৃথক স্থানে একাধিক ভাঙন দেখা দেয়।

ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পনি প্রবেশের কারণে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও ফিসারী। গৃহহীন হয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হয় বন্যাকবলিতদের। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়তে হয় তাদের।

ভুক্তভোগীরা জানান ওই সময় একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়। তারপরও টিলাগাঁও ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের গুদামঘাট নামক স্থানে প্রায় ৬শ’ ফুট বাঁধ ও মিয়ারপাড়া এলাকায় ৩শ’ ফুটের মতো বাঁধ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া ডেমা বিল এলাকায় ১শ’ ফুটের মতো ভাঙনের ফলে গ্রামের পর গ্রাম বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন।

গতবছর বাঁধের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও এ বছর আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মনু নদীতে পানি বৃদ্ধির সময় টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকা। হাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর, দাউদপুর, সাধনপুর, মন্দিরা ও কাউকাপন বাজার এলাকা। শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল ও চানপুর এলাকা এবং পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো ভাঙনের কবলে পড়বে বলে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ গত বছরের ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রেখে পানি উন্নয়ন বোর্ড আগাম ব্যবস্থা নেয়ার কথা, কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আশ্রয়গ্রাম এলাকায় বাঁধে নতুন মাটি ভরাট করা হয়েছে বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ কতটুকু নিতে পারবে এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেখানের স্থানীয় বাসিন্দারা।

মৌলভীবাজার জেলা পাউবো সূত্রে জানা যায়, নদী ভাঙন মুক্ত রাখতে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর, হাজীপুর, পৃথিমপাশা ও টিলাগাঁও ইউনিয়নে ২৮টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। যার চুক্তিমূল্য ৩০৭ কোটি টাকা। ২৮টি প্যাকেজের মধ্যে স্থায়ী তীর-প্রতিরক্ষা কাজের ২০টি, চর অপসারণ কাজের ৪টি এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনরাকৃতীকরণ কাজের ৪টি প্যাকেজের কাজ রয়েছে। ২০২১ সালে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের প্রায় চার বছর হলেও কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। মেয়াদ শেষ হলে ২ দফায় সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে বন্ধ রয়েছে।

টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত জানান, টিলাগাঁও ইউনিয়নের আশ্রয়গ্রাম, মিয়ারপাড়া, সন্দ্রাবাজ ও খন্দকারের গ্রাম, হাজীপুর (গুদামঘাট) এলাকার নদীর বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। মনু নদীর গত বছরের ভাঙন স্থান হাজীপুর (গুদামঘাট) ও মিয়ারপাড়া মাটি ভরাট করে ব্লক দেয়া হয়েছে তবে কাজ এখনো বাকি রয়েছে।

পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কমরেড আব্দুল লতিফ জানান, মনু নদীর শিকড়িয়া (ডেমা বিল) এলাকায় গত বছর ১০০ ফুটের মতো ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বাঁধের কাজ বিএসএফের বাধার কারণে এখনো করা হয়নি। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া, বেলেরতল, ছৈদল বাজার, রাজাপুর (কলিকোনা) এলাকা প্রতিরক্ষা বাঁধ সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে শিকড়িয়ার ভাঙনটি ভরাট না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন অনেক এলাকায় স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।


আরও খবর