Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ, তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন শিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ

একাধিক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী তোপের মুখে নুর মোহাম্মদ নামের (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) এক সহকারী শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষকের নিকট পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সেনাবাহিনীর পাহারায় বাড়ি যান তিনি। পদত্যাগ করা শিক্ষক নওগাঁ জেলার বদলগাছীর কোলা বিজলি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

জানা যায়, কোলা বিজলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বিগত কয়েক বছর ধরে স্কুলের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি প্রাইভেট পড়ানোর সময় স্কুলের মেন গেটে তালা মেরে ছাত্রীকে নিয়ে দীর্ঘসময় দরজা বন্ধ অবস্থায় থাকে। বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের নজরে এলে তা প্রকাশ পায়। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর পরই গতকাল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও  এলাকাবাসী ঐ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নিকট যান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ কয়েক জন শিক্ষক ঘটনার সত্যতা জানার জন্য কিছু শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার সত্যতা পান। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী সহ কোলা হাটের সাধারণ মানুষ স্কুল ঘেরাও করে অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাদের চাপের মুখে শিক্ষক নুর মোহাম্মদ পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পর ও এলাকাবাসী স্কুল ঘেরাও করে রাখে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ লিখন তার ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে বদলগাছী উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের সহযোগীতায় এলাকাবাসীকে ছত্রভঙ্গ করে শিক্ষক নুর মোহাম্মদকে বাড়ী পৌঁছে দেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বদলগাছী উপজেলার সমন্বয় মোঃ লিখন বলেন, ঐ শিক্ষকের সাথে একাধিক ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক এমন অভিযোগে এলাকাবাসী স্কুল ঘেরাও করে রাখে। আমি আমার ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে সেনাবাহিনীর সহযোগীতা নেই।

এবিষয়ে জানতে শিক্ষক নুর মোহাম্মদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে তিনি ইস্তফাপত্রে লেখেন, সবিনয় নিবেদন এই যে আমি মোঃ নুর মোহাম্মদ, সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) পদে অত্র বিদ্যালয়ে কর্মরত আছি। আমার পারিবারিক ও শারীরিক সমস্যা জনিত কারণে অদ্য ২০/৮/২৪ তারিখে আমার পদ হইতে সেচ্ছায় সজ্ঞানে পদত্যাগ করলাম।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) পার্থ কুমার মন্ডল শিক্ষক নুর মোহাম্মদ গতকাল সন্ধ্যার পর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



শহিদরা জাতির সম্পদ, তাদের দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

আমরা শহিদদেরকে কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। এই শহিদরা জাতির সম্পদ, ইজ্জতের চূড়ান্ত সীমায় আমরা তাদের রাখতে চাই, দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি ময়দানে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, শহিদ পরিবারগুলোর প্রতি সরকারকে অবশ্যই তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।

এসময় শহিদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের অহংকারের পাত্র, মর্যাদার পাত্র, সম্মানের পাত্র। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো শহিদদের সঠিক স্বীকৃতিটা যেন দেওয়া হয়। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদ-মুগ্ধরা ছিল।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, প্রতিটা শহিদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে তাদেরকেও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে।

তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার চাই। যারাই যেখান থেকে এ জাতির ওপর জুলুম করেছে, তাদের সকলের বিচার এ জাতি দেখতে চায়।

জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সহায়তা করতে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে ঋণ প্রদান বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নতুন এ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে

আবদুলায়ে সেক জানান, সরকারের সংস্কার, বন্যা, উন্নত বায়ুর গুণমান এবং স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বব্যাংক এই অর্থ বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের নতুন অর্থায়ন জোগাড় করতে পারে

আমরা যত দ্রুত সম্ভব এবং যতটা সম্ভব আপনাকে সমর্থন করতে চাই। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক চাহিদাগুলোতে সহায়তা করতে চায়

নতুন প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি, মাল্টিল্যাটারাল ঋণদাতা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে যা বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে পুনর্বিন্যস্ত করা হবে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এই অর্থায়ন করা হবে। এই পদক্ষেপটি প্রধান উপদেষ্টার উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বানের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ

আবদুল্লাহ সেক বলেন, অতিরিক্ত ঋণদান বাংলাদেশকে দেওয়া সফট ঋণ এবং অনুদানের পরিমাণ এই অর্থবছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবে যখন বিদ্যমান প্রকল্প থেকে অর্থ পুনর্বিন্যস্ত করা হবে। সংস্কারগুলো সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশ এবং এর তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে প্রতিবছর প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ শ্রমবাজারে যোগ দেয়

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি হেডকে বলেন, বিশ্বব্যাংককে অবশ্যই বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে নমনীয়তা রাখতে হবে এবং ১৫ বছরের চরম দুর্ব্যবস্থাপনার পর একটি নতুন যাত্রা শুরু করতে সহায়তা করতে হবে। এই ধ্বংসস্তূপ থেকে আমাদের নতুন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। আমাদের বড় একটি ধাক্কার প্রয়োজন, এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমি প্রস্তাব করব, আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের দলে অংশ নিন

বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া কোটি কোটি ডলার পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে চুরি করা সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশকে শূন্য দুর্নীতি সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়তে বিশ্বব্যাংকের দক্ষতা প্রয়োজন হবে

এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বাংলাদেশকে চুরি যাওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করতে রাজি হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি। ব্যাংকের তথ্য স্বচ্ছতা, ডেটা অখণ্ডতা, ট্যাক্স সংগ্রহের ডিজিটালাইজেশন ও আর্থিক খাতের সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চাই

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করার ও বড় ধরনের সংস্কার করার জন্য জীবনে একবার এই সুযোগ হারাতে পারে না। আমরা একবার এটি হারিয়ে ফেললে, আর ফিরে আসবে না

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ঢাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার ক্যারিয়ারের ৩০ বছরের মধ্যে এটি কোথাও দেখিনি। আমাদের তাদের ক্ষমতায়ন করতে হবে

 


আরও খবর



নতুন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

২০২৪ সালে নতুন ই পাসপোর্ট করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এটি করতে আপনাকে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে ভিজিট করে আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ট থানা সিলেক্ট করতে হবে। এর পর একটি ইমেইল এড্রেস ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করে সাইন ইন করতে হবে। এরপর, আবেদনকারীর তথ্য, পিতা-মাতার তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে অনলাইন আবেদন সাবমিট করতে হবে।

আবেদন সাবমিট করার পর আবেদন সামারি ও কপিটি ডাউনলোড করে এ-চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করতে হবে। কিছুদিন পর পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে আপনার পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহ করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

নতুন ই পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলো-

আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদ।

অনলাইন আবেদন ফরমের কপি।

আবেদনকারীর পেশাগত প্রমাণ (পেশাগত সনদ বা Employer Id)।

পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি।

পূর্ববর্তী পাসপোর্ট থাকলে তার তথ্য পেজের ফটোকপি।

চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ও বাড়ির ইউটিলিটি বিলের কপি (পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য)।


ই পাসপোর্ট ফি


ই পাসপোর্টের ফি নির্ভর করে পাসপোর্টের মেয়াদকাল, পৃষ্ঠা সংখ্যা ও ডেলিভারির ধরনের উপর। সাধারণ ফি হলো-

৫ বছরের জন্য

৪৮ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৪,০২৫ টাকা, এক্সপ্রেস – ৬,৩২৫ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ৮,৬২৫ টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৬,৩২৫ টাকা, এক্সপ্রেস – ৮,৬২৫ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১২,০৭৫ টাকা।

১০ বছরের জন্য

৪৮ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৫,৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস – ৮,০৫০ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১০,৩৫০ টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠা: রেগুলার – ৮,০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস – ১০,৩৫০ টাকা, সুপার এক্সপ্রেস – ১৩,৮০০ টাকা।

অনলাইন ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ

নতুন ই পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের ধাপগুলো-

রেজিস্টার করুন: https://www.epassport.gov.bd/ পোর্টালে গিয়ে Apply Online অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করুন।

লগইন করুন: সাইন ইন পেইজে গিয়ে ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন।

পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করুন: Ordinary Passport সিলেক্ট করুন।

ব্যক্তিগত তথ্য দিন: আবেদনকারীর নাম, পেশা, জন্মস্থান ইত্যাদি পূরণ করুন।

ঠিকানার তথ্য পূরণ করুন: স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার তথ্য দিন।

আইডি ডকুমেন্ট সিলেক্ট করুন: NID Card বা জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দিন।

পিতা-মাতার তথ্য ও বৈবাহিক অবস্থা পূরণ করুন: পিতা-মাতার নাম, পেশা, জাতীয়তা ইত্যাদি পূরণ করুন।

জরুরী যোগাযোগের তথ্য দিন: কোনো একজনের তথ্য ও মোবাইল নাম্বার দিন।

পাসপোর্ট অপশন ও ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন: পৃষ্ঠার সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারি অপশন সিলেক্ট করুন।

আবেদন সাবমিট ও ডাউনলোড: সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদন সাবমিট করুন ও ফরম ডাউনলোড করুন।

আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন


অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও বায়োমেট্রিক প্রদান করতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। সেখান থেকে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার পর আপনাকে একটি অ্যাপ্লিকেশন স্লিপ দেয়া হবে যা দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে।


পুলিশ ভেরিফিকেশন


পাসপোর্ট অফিসে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে তা সংগ্রহ করা যাবে।

শেষকথা

নতুন ই পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে আপনার মোবাইল নাম্বারে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। তারপর আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। আশা করি এই গাইডটি আপনাকে নতুন ই পাসপোর্ট করতে সাহায্য করবে।


আরও খবর



শুধু যাত্রাবাড়ি দিয়ে ৪০ জেলার মানুষ ঢাকায় ঢোকে

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সারা দেশ থেকে ঢাকায় ঢোকার রাস্তা মাত্র ৩টা। এর মধ্যে,গাবতলী দিয়ে ঢাকায় আসে ১৮ জেলার মানুষ। 

উত্তরা দিয়ে ৫ জেলার মানুষ। যাত্রাবাড়ি দিয়ে ৪০ জেলার মানুষ।

এই তিন পয়েন্টের বাইরে যে রাস্তাগুলো আছে সেগুলোর ডিজাইন ভালো না। তাই প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহারের অযোগ্য। যেমন ধরেন বাবুবাজার সেতু পারতপক্ষে কেউ ব্যবহার করবে না কারণ পুরান ঢাকার যানজট পাড়ি দিতে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা লাগবে। ৩০০ ফিটের রাস্তা কেউ ব্যবহার করবে না কারণ রাস্তা সরু আর প্রায় ১৫ কিমি বেশি ঘুরতে হয়। ইত্যাদি।

.

এখন ফিরে আসি ওই তিন প্রবেশপথের প্রসঙ্গে। এই তিন প্রবেশপথের মধ্যে যেটা সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো উত্তরার রাস্তা। এটা দিয়ে ৫ জেলার মানুষ ঢাকায় ঢুকে। এই রাস্তায় আছে ৪ লেন মহাসড়ক, বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট, দুইটা এক্সপ্রেসওয়ে (ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আর আশুলিয়া-ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে)।

.

উত্তরার রাস্তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গাবতলী। এটা দিয়ে ১৮ জেলার মানুষ ঢাকায় আসে। এতে ৪ লেন মহাসড়ক আছে। তবে এক্সপ্রেসওয়ে নেই। রাতে এই রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকে।

.

এরপর আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ি। এটা দিয়ে ৪০ জেলার (চট্টগ্রাম, সিলেট, দক্ষিণবঙ্গ) মানুষ ঢাকায় আসে। এই প্রবেশপথটা সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে মজাদার প্রবেশপথ। সিলেট মহাসড়কের ৪ লেন, চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৬ লেন, মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেন = মোট ১৪ লেন সড়ককে একত্র করে ১ লেন বানানো হয়। 

.

বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। প্রথমে সিলেট মহাসড়ক এনে চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে সিলেটের ৪ লেন আর চট্টগ্রামের ৬ লেন মিলে জোর করে ৬ লেন করা হয়েছে, যেখানে প্রয়োজন ছিল ১০ লেন। এই ৬ লেন এসে ঢুকেছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে। 

.

এদিকে বাম দিকে থেকে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ৪ লেনও মেয়র হানিফে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মানে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ১৪ লেন মহাসড়কের চাপ নিয়েছে।

.

এখন হানিফ ফ্লাইওভার যে ঢাকায় ঢুকলো সেটার দিকে তাকাই। হানিফের এক্সিট পয়েন্ট দুইটা। একটা গুলিস্তান (২ লেন)। এই ২ লেন একেবারেই অব্যবহারযোগ্য। হকারদের জন্য গুলিস্তান দিয়ে কোন গাড়ি, বাস ঢোকার উপায় নেই। তাই গুলিস্তানের এক্সিট পয়েন্ট বাতিল। 

বাকি থাকলো চানখারপুল এক্সিট। শুধু এটাই কাজ করে। এটা মাত্র ১ লেন। দুটো গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়ানোরও উপায় নেই। ১৪ লেন মহাসড়ক এনে জোর করে ১ লেন করা হয়েছে।

.

প্রশ্ন আসবে, তাহলে এই ট্রাফিক সিস্টেম কাজ করে কীভাবে?

উত্তর হলো, করে না।

প্রতিদিন চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার, মাওয়া মহাসড়কে ২ কিলোমিটার আর সিলেট মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট লেগে থাকে। প্রতিদিন যাত্রাবাড়ি থেকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে আসতে এত ৪০ জেলার মানুষ ৫ কিলোমিটার রাস্তায় ন্যূনতম ৩ ঘন্টা বসে থাকে।

.

এতো বড় ভোগান্তির কথা আপনি আমি জানি না কেন?

জানি না কারণ আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো ঐতিহ্যগতভাবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত। যাত্রাবাড়ির যানজট পাড়ি দিয়ে কোন ব্যক্তির পক্ষে সকাল ১০টায় উত্তর ঢাকায় গিয়ে অফিস ধরা রীতিমত সুপারহিউম্যানের কাজ। ফলে মিডিয়া ও সাংবাদিক এবং অন্য যারা আমাদের মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ করেন তারা সবাই বাস করেন নিকেতন, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, খিলগাও, বনানী বা ফার্মগেটের দিকে। ফলে ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ এবং ঢাকার সর্বাধিক জনসংখ্যাপূর্ণ ৪টি থানা কখনোই কোন মিডিয়াতে গুরুত্ব পায় না। যে কারণে এলাকা বিচারে এই গণঅভ্যুত্থানে সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ছাত্র ও পুলিশ যাত্রাবাড়িতে মারা গেলেও আমরা জানিনা।

.

এটা শুধু একটা উদাহরণ দিলাম। জাস্ট এলিট শ্রেণির দৃষ্টিভঙ্গির জন্য বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রতিটা উন্নয়ন প্রকল্পে সর্বনাশ হয়ে চলেছে।



আরও খবর



সুনামগঞ্জের হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন জেলের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ |

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: 

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জে হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তিন মৎস্যজীবী মারা গেছেন। রবিবার সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডার গাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার  ছেলে মোঃ জালাল মিয়া এবং একই গ্রামের মোঃ নুরুল হকের ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন দেখার হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্বজনরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এ ঘটনায় নিহত দুইজনের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। 

দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, সকালে দেখার হাওরের মাছ ধরতে গিয়েছিল দুইজন। এসময় বর্ষণ ও বজ্রপাত ছিল। আকষ্মিক বজ্রপাতে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদের মরদেহ স্বজনরা উদ্ধার করেছেন।

এদিকে জামালগঞ্জ উপজেলার পাকনার হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে কালাগুজা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শরীফ মিয়া বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মরদেহ স্বজনরা উদ্ধার করেছেন।

সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জাকির হোসেন হাওরে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে তিনজনে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন 


আরও খবর